আন্দোলনের চাপে প্রত্যাহার করা হয়েছে তিনটে কেন্দ্রীয় কৃষি আইন। তবু হাল ছাড়েনি বড় বড় কোম্পানি। কৃষি ব্যবস্থায় আধিপত্য কায়েম করতে এখন রুগ্ন রাইস মিল কিনছে আদানি গোষ্ঠী। পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরে জৌগ্রামে তারা এরমধ্যেই একটা বড় রাইস মিল কিনে নিয়েছে। সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, মিলের আশপাশের অনেকখানি জমিও তারা কিনেছে। সেখানে নাকি বড় গুদাম হবে। শুধু একটা নয়, এই জেলার অনেক রুগ্ন রাইস মিলের উপরেই তাদের নজর পড়েছে। জলের দরে সেগুলো তারা কিনতে চায়। যদিও কোম্পানির পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যম জানানো হয়েছে, তারা একটা রাইস মিলই কিনছে।  কথাটা যে একেবারে মিথ্যা তা বুঝতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। আদানিরা পূর্ব বর্ধমানে হাওয়া খেতে বা ছুটি কাটানোর বাগানবাড়ি করতে রাইস মিল কেনেনি। কোম্পানির লক্ষ্যই হল চাল ব্যবসায় একচেটিয়া আধিপত্য। তার জন্য একটা বা কয়েকটা রাইসমিল কিনে তারা বসে থাকবে না। কালক্রমে তাদের কাছেই কৃষকদের ধান বিক্রি করতে বাধ্য করবে। আজকের স্থানীয় ফড়েদের জায়গা দখল করবে কোম্পানির এজেন্ট। সরকার কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে বাজার গরম করবে।

এক-দেড় দশকের মধ্যেই উল্কাগতিতে উত্থান হয়েছে আদানি গোষ্ঠীর। তাদের ফরচুন ব্র্যান্ডের ভোজ্য তেল, আটা, চালসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে ছেয়ে গেছে নগরের মল থেকে গ্রামের মুদি দোকান। স্থানীয় ছোট কোম্পানিগুলোর তেলের টিনের বদলে পাওয়া যাচ্ছে সুদৃশ্য মোড়কে ব্র্যান্ডেড কোম্পানির ভোজ্য তেল। ব্র্যান্ডেড কোম্পানির চাল, আটা এখন দেশের বিকাশের প্রতীক। বিনিময়ে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক ছোট কোম্পানি। খাদ্যপণ্যের বাজার চলে গেছে কতকগুলো কর্পোরেট সংস্থার নিয়ন্ত্রণে। ফলে লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে  খাদ্যদ্রব্যের দাম। আদানি গোষ্ঠী অনেক আগেই ফুড কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছে। বিভিন্ন খাদ্যশস্য ঝাড়াই-বাছাই করে তারা মজুত করবে, বন্টনের ব্যবস্থা করবে। এফ সি আইয়ের কাজের ভার তুলে নিয়েছে আদানি গোষ্ঠীর আদানি এগ্রি লজিস্টিকস লিমিটেড (এ এ এল এল)। কোম্পানির দাবি কৃষকরা এর ফলে সঠিক দামে ফসল বিক্রি করতে পারবেন। কৃষকের থেকে সরাসরি ফসল কেনার সরকারি ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেশজুড়েই কর্পোরেটদের ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের তিনটে কৃষি আইন ছিল সেই নীতির পথে এক লাফে অনেকখানি এগিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র। আইন আপাতত বাতিল হয়েছে। কিন্তু সরকারি নীতি বদলায়নি।  

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন

~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

ভোটের ময়দানে তরজায় মেতে থাকা অধিকাংশ দলের মধ্যেই কর্পোরেট দালালির প্রশ্নে কোনো পার্থক্য নেই, বরং তারা দালালির প্রতিযোগিতায় মত্ত। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের অনেক আগে থেকেই তৃণমূল সরকার সেই কাজে অনেকখানি এগিয়ে গেছে। ‘এগিয়ে বাংলা’ স্লোগান এক্ষেত্রে অনেকখানি সার্থক। বাংলায় চুক্তি চাষের আইনি ভিত মজবুত করা হয়েছে। ২০১৪ সালে কৃষি পণ্য বিপণন (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধন করা হয়। পরের বছরে আইনের বিধি জারি হয়। ব্যক্তি মালিকানায় কৃষি বাজার খোলা ও ই-ট্রেডিং অনুমোদন করা হয়। মতলব পরিষ্কার। সরকারের ফসল কেনার ব্যবস্থা দুর্বল করে ব্যক্তি মালিকানাকে সুবিধা করে দেওয়া, যার সুযোগ নেবে কর্পোরেট সংস্থাগুলো। বিজেপি সরকারও নয়া কৃষি আইনে সেই যুক্তিই দেখিয়েছিল। দাবি করেছিল, ই-ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে কৃষক সঠিক মূল্যে ফসল বেচতে পারবেন, স্বাধীন হবেন। স্বাধীনতা দেওয়ার অছিলায় যে তাঁদের কর্পোরেট দানবদের শিকারে পরিণত করা হচ্ছে, তা বুঝতে কৃষকদের অসুবিধা হয়নি। সাত-আট বছর আগে থেকেই তৃণমূল সরকার এই রাজ্যে সেই জমি প্রস্তুত করেছে। 

এমএসপি ঘোষণা করে সরাসরি ফসল কেনার ব্যবস্থা এই রাজ্যে আগে থেকেই দুর্বল। যেটুকু ছিল সেটাকেও রুগ্ন করে ফেলা হয়েছে। ঢাকঢোল পিটিয়ে কিষাণ মান্ডি হয়েছে, কৃষকের বিশেষ উপকারে লাগেনি। অধিকাংশ কৃষকই সরকারি মূল্যে ধান বেচতে পারেন না। এই মরসুমেই সরকারের নির্ধারিত মূল্য ছিল কুইন্টাল প্রতি ১৯৪০ টাকা (কেন্দ্রীয় ক্রয় কেন্দ্রে বাড়তি ২০ টাকা)। অধিকাংশ কৃষক আমন ধান কুইন্টাল প্রতি ১৪০০-১৫০০ টাকা দরে বেচেছেন। গত মরশুমে বোরো ধান বেচেছিলেন ১৩০০- ১৭০০ টাকা কুইন্টাল দরে। লোকসান হলেও, ফড়ে, মহাজনদের কাছে তাঁরা ফসল বিক্রি করতে বাধ্য হন। নিয়মের বেড়াজালে, ধান কেনার সুবন্দোবস্ত না করে সরকার কৃষকদের এভাবে বিক্রি করতে বাধ্য করে। তার সঙ্গে রয়েছে চাষের খরচ বৃদ্ধি, কৃষি সরঞ্জামের কালোবাজারি। দেনা মেটাতে অধিকাংশ কৃষক সরকারের ভরসায় থাকতে পারেন না। আমন ধানে অধিকাংশ কৃষকের লোকসান হয়েছে। তার আগে বোরো ধানের বেলাতেও তা-ই হয়েছিল। এই মরসুমে বোরো ধান রুইতে খরচ বহু গুণ বেড়েছে। পটাশের দাম কিলো প্রতি বেড়েছে ২০-২৫ টাকা। ডিএপির দাম বস্তা প্রতি (৫০ কেজিতে এক বস্তা) বেড়েছে ৪০০-৫০০ টাকা। ইউরিয়া বেড়েছে বস্তা পিছু ১৫০-২০০ টাকা। এন পি কে ১০:২৬:২৬-এর দাম বস্তা পিছু বেড়েছে ৬০০-৭০০ টাকা। সারের দামে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। একই কোম্পানির সারের একেক জায়গায় একেকরকম দাম। আবার চাহিদা বাড়লে দাম বাড়ছে। মাঝে মাঝে চমক দিতে সরকারি কর্তারা দোকানে হানা দেয়। তারপর সব ফিরে যায় আগের নিয়মে। কীটনাশকের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে, সঙ্গে বাড়ছে কালোবাজারি। ডিজেল, কেরোসিনের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতেও চাষের খরচ বেড়েছে। ধান লাভজনক ফসল হলেও, এখন লোকসানই নিয়ম হয়ে গেছে। ধানের ভান্ডার বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই তাই কৃষক ধানের দাম না পেয়ে আত্মহত্যা করেন।

কৃষি সরঞ্জামের মূল্য নিয়ন্ত্রণ বা কৃষি দপ্তর থেকে বিতরণ নিয়ে চূড়ান্ত দুর্নীতি সরকারি নীতিরই অঙ্গ। কালোবাজারি, ফড়ে রাজের মাধ্যমে ফুলে ফেঁপে উঠছে অবৈধ কারবারের অর্থনীতি। যার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠছে শাসক দলের অনুগত লুম্পেন বাহিনী। আর সেই সুযোগেই আসরে নামছে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা। এলাকার লুটেরাদের চিনে নেওয়া যায়।

কিন্তু এইসব কর্পোরেটদের আসল রূপ প্রথমে বোঝা যায় না।  মানুষের দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে এরা আসে ত্রাতার বেশে। নানারকম সুযোগের কথা বলে, প্রচারের মাধ্যমে কৃষকদের মন জয় করার চেষ্টা করে। ফড়ে, মহাজনদের কাছে ঠকতে ঠকতে, সরকারি ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হতে হতে কৃষকরা তখন এদের ফাঁদে পা দিতে বাধ্য হন। বিকাশ বা উন্নয়নের নামে সরকারই এদের হয়ে প্রচার করে।  সরকার যদি গ্রামে গ্রামে ক্রয় কেন্দ্র করে কৃষকের থেকে ফসল কেনার ব্যবস্থা করত, সার আর কীটনাশকের কালোবাজারি বন্ধ করত, তাহলে কর্পোরেটরা আসার সুযোগ পেত না।

বেসরকারি টেলিকম কোম্পানিগুলোকে সুযোগ দিতে বি এস এন এলকে রুগ্ন করে দেওয়া হয়। বেসরকারিকরণের জন্য সরকারি শিক্ষা, স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়। একই লক্ষ্যে কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে ফসল বিক্রির ব্যবস্থা সরকার করে না। কৃষকের সর্বনাশেই কর্পোরেটদের পৌষমাস। এই রাজ্যের খনি, বন্দর, কৃষি সবেতেই মোদির নয়নের মণি আদানি গোষ্ঠীর নজর পড়েছে। তৃণমূলের সঙ্গেও তাদের ঘনিষ্ঠতা সকলের জানা। ২০১৮ সালেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে এগ্রি লজিস্টিকসে বিনিয়োগের জন্য আদানি গোষ্ঠীর মৌ স্বাক্ষরিত হয়।  

আদানি গোষ্ঠীর বদলে আম্বানি, টাটা বা অন্য কোনো কর্পোরেট এলেও বিপদ কম হয় না। কর্পোরেটদের মধ্যে প্রগতিশীল বা ‘ছোট’ শত্রু হয় না। নয়া উদারনীতির পথেই কৃষি ক্ষেত্রে পুঁজির আগ্রাসন বাড়ছে। কৃষি সরঞ্জাম থেকে ফসলের বাণিজ্য — সবকিছু কর্পোরেটরা দখল করতে চায়। চায় কৃষিজমি। খুচরো ব্যবসায় অনুপ্রবেশে সেই সুযোগ আরও বেড়ে গেছে। কর্পোরেট এখন মল থেকে ই-কমার্স — সবেতেই বিনিয়োগ করছে। হয় কোম্পানি কিনছে, না হয় অংশীদারি বাড়াচ্ছে।

দীর্ঘ দু বছরের অতিমারী তাদের অনেকখানি সুযোগ করে দিয়েছে। লকডাউনে বেড়েছে ই-কমার্স, বেড়েছে ডিজিটাল লেনদেন।  ২০২০ সালে সরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠে গ্রামীণ ই-স্টোর। গ্রামে খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন জিনিসের হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা। স্বনির্ভর  গোষ্ঠী, কৃষকদের থেকে ফসল কেনার ব্যবস্থা হয়। গত বছর আদানি গোষ্ঠী এই উদ্যোগের ১০ শতাংশ অংশীদারি কিনে নেয়। এত সামান্য অংশীদারিতে অবশ্য নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করা যায় না। কিন্তু আগামীদিনে অংশ বাড়িয়ে বা যৌথ উদ্যোগে গ্রামে ই-কমার্সে বিনিয়োগ বৃদ্ধির এটা প্রাথমিক পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে তারা কৃষকের থেকে সরাসরি ফসল কেনার সুযোগ পাবে। সেই ফসল কেবল গ্রামীণ ই-স্টোরেই বিক্রি হবে না।

এই গোষ্ঠীই গত বছর এপ্রিল মাসে ফ্লিপকার্টের সঙ্গে অংশীদারি কারবারের চুক্তি করেছে। আম্বানি গোষ্ঠী ফিউচার গ্রুপের বিগ বাজার অধিগ্রহণ করছে। আবার মার্কিন কোম্পানি সিলভার লেক ২০২০ সালে  খুচরো ব্যবসার জন্য আম্বানি গোষ্ঠীর শেয়ার কেনে। তারা জিও প্ল্যাটফর্মেরও কিছু শেয়ার কিনেছে। ফেসবুকও জিও প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া ও টেলিকম পরিষেবার মাধ্যমে ই-কমার্সের ব্যবসা বাড়ানোই লক্ষ্য। এভাবেই মল থেকে ই-কমার্সে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে দেশ বিদেশের নানা কোম্পানি জোট গড়ে তুলছে। যে খুচরো ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসা।

কর্পোরেট সংস্থার রাইস মিল কেনার বিপদ এখানেই। কৃষকদের নিরুপায় অবস্থার সুযোগ নিয়ে তাঁদের যে কোনো দামে ফসল বিক্রি করতে বাধ্য করা কঠিন নয়। সরকার ময়দান ছেড়ে দিলে কৃষকরা এদের কাছে ফসল বেচতে বাধ্য। ফড়ের বদলে থাকবে কোম্পানির এজেন্ট। বাজার দখল করতে প্রথমে ফসলের দাম তারা বেশি দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ছোট রাইস মিলগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না। হয় বন্ধ হবে, নয় কর্পোরেটরা কিনে নেবে। তখন এদের কাছে ধান বিক্রি করা ছাড়া কৃষকদের কাছে কোনো বিকল্প থাকবে না। কার্যত কৃষকদের দর কষাকষির ক্ষমতাই থাকবে না। সেই সুযোগে শুরু হবে চুক্তি চাষ, জমি কেনা। পূর্ব বর্ধমানের গোবিন্দভোগসহ বিভিন্ন সুগন্ধী চালের খ্যাতি আছে। এই চাল রপ্তানি হয়। আগামীদিনে এইসব সুগন্ধী চালের ব্যবসা চলে যাবে কর্পোরেটদের দখলে।  একটা রাইস মিল বা সামান্য পরিমাণ শেয়ার কিনে এভাবেই কর্পোরেট দানবরা আসরে নামে। ধীরে ধীরে সব গ্রাস করে।

বিপদ শুধুমাত্র কৃষক বা ছোট ব্যবসায়ীদের নয়, ক্রেতাদেরও। ভোজ্য তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি থেকে যা সহজেই বোঝা যায়। এখন ফুড কর্পোরেশনের সঙ্গে কর্পোরেটরা চুক্তি করছে। এমনিতেই গণবন্টন ব্যবস্থার গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর সার্বিকভাবে গণবন্টন ব্যবস্থাই লাটে তুলে দেওয়া হবে। তাই শাসক দলের বদল নয়, সরকারি নীতির বদল চাই। দেশের জমি, খনি, জল সব লুঠ করার ‘উন্নয়ন’ মডেলকেই প্রশ্ন করতে হবে। কর্পোরেটের প্রতি মোহ নয়, তাদের বিরুদ্ধে তীব্র শ্রেণি ঘৃণাই পারে প্রতিরোধ গড়তে।

মতামত ব্যক্তিগত। তথ্য লেখকের

আরো পড়ুন

জলবায়ু পরিবর্তন ও বিপন্ন কৃষিব্যবস্থা

 

নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.