নতুন আকাঙ্ক্ষা আসে—চ’লে আসে নতুন সময়—
পুরানো সে-নক্ষত্রের দিন শেষ হয়
নতুনেরা আসিতেছে ব’লে।

(জীবনানন্দ দাশ; নির্জন স্বাক্ষর)

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন

~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

কৃত্রিম বুদ্ধি বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) নিয়ে একটা হাওয়া উঠেছে, আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে তৈরি হয়েছে একগাদা সংশয় ও আশঙ্কা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এ এক নিত্য ও অতি পরিচিত বিড়ম্বনা। অতীতেও দেখা গেছে, যে E = mc2 জ্ঞানের দ্বার উন্মোচন করেছে, সেই E = mc2-এই নিহিত ছিল হিরোশিমা-নাগাসাকির বিভীষিকা। যে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, সোশাল মিডিয়া আমাদের জীবনকে অনেক ‘সহজ’ করে দিয়েছে, তারাই আবার হয়ে উঠেছে মানুষের পরিচিত সামাজিক জীবনের যে স্বাভাবিক বন্ধন, তা টিকিয়ে রাখার সবচেয়ে বড় অন্তরায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও এই ধারার ব্যতিক্রম নয়।

ভালমন্দ বিচারের আগে, সহজ করে জেনে নেওয়া যাক, AI আসলে কী? সত্যি বলতে, আমার মতে, AI কে সংজ্ঞায়িত করা বা সুনির্দিষ্টভাবে কোন জিনিসগুলো AI-এর আওতায় পড়ে আর কোনগুলো পড়ে না, তা বলা বেশ কঠিন। বরং আমাদের অভিজ্ঞতা ও কিছু উদাহরণ থেকে এর রকমসকম বোঝার চেষ্টা করি।

লোকাল ট্রেনে পঞ্চাশ টাকায় বিক্রি হওয়া একটা ছোট ক্যালকুলেটরকেই ধরা যাক। যদি ১৯৭৮.৭৫ এর সাথে ৭৯৯ গুণ করতে হয়, তাহলে এই ক্যালকুলেটর কমপক্ষে ৯৯.৯৯% উচ্চশিক্ষিত মানুষের চেয়ে অনেক তাড়াতাড়ি করে ফেলবে তা বলাই বাহুল্য। শুধু তাই নয়, অনেক মানুষ গুণে ভুল করলেও ক্যালকুলেটর ভুল করবে না। তাহলে কি এই ক্যালকুলেটরকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তকমা দেব? উত্তর হল – হ্যাঁ এবং না।

হ্যাঁ, কারণ এই বিশেষ কাজটা সে মানুষের চেয়ে অনেক দ্রুত করছে। আর না, কারণ এই কাজ সে নিজের ইচ্ছায় করছে না। মানুষ ক্যালকুলেটরে টাইপ করছে, তাই ও গুণ করছে। কেন গুণ করছে — পেয়ারার দামের হিসাব করতে না কাটমানির হিসাব করতে — ও কিন্তু তা জানে না। ও মানুষের হাতের পুতুল। ওর কোনো ‘বুদ্ধি’ নেই। ব্যাটারি কমে গেলেই ও কী কাণ্ড করবে, কোনো বিশ্বাস নেই। ‘আদর্শ’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে হতে হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আর এখানেই চলে আসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভাগ বা ভাগাভাগি, কতরকমের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আছে সেসব কথা।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দৃষ্টিকোণ বাদ দিয়ে স্বল্প পরিসরের এই আলোচনা থেকে আরেকটা জিনিস বোঝা যায়, যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে বা বিশেষ কোনো AI কে আমরা কী নজরে দেখব তা অনেকটাই নির্ভর করে আমাদের অভিজ্ঞতা, অভ্যাস ও প্রত্যাশার উপর। পাঠকদের মধ্যে অনেকেই হয়ত প্রথম টিভি দেখেছেন পরিণত বয়সে। প্রথম দর্শনে বিস্ময়ে ফেটে পড়েছেন। পর্দায় জীবন্ত মানুষ! এক নয়, অনেক। সেই মানুষগুলো আবার বদলে বদলে যাচ্ছে। টিভি বন্ধ করে দিলে মানুষগুলো উধাও! একই কথা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিন্তু ধীরে ধীরে এই যন্ত্রগুলো আমাদের অভ্যাসের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদের কর্মকাণ্ড আর আমাদের বিস্ময়াবিষ্ট করে না। বরং এর অন্যথা হলেই আমাদের মাথাব্যথা শুরু হয়।

তাই আজকের দিনে ক্যালকুলেটর, বা যে মোবাইল ফোন কি কম্পিউটারে আপনি এই লেখাটা পড়ছেন, তাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বললে অনেকের হাস্যকর মনে হবে। কিন্তু যদি আমরা রোবট ভ্যাকুয়াম ক্লিনারকে — যে নিজে নিজে ঘর পরিষ্কার করতে পারে — কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত যন্ত্র বলি, তাহলে খুব একটা আপত্তি হবে না।

এই রোবট ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের সূত্র ধরেই আমাদের আলোচনাকে আরেকটু প্রসারিত করা যাক। রোবট ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের সুনির্দিষ্ট একটা মডেল iRobot Roomba 980 দিয়েই আলোচনা শুরু হোক। এর একটা চার্জিং স্টেশন আছে, যা ঘরের পছন্দমত জায়গায় প্লাগ ইন করে রাখা যায়। তার উপর রোবটটা বসে থাকে। মোবাইল অ্যাপ থেকে বা রোবটের উপরের সুইচ টিপলে এ নিজে থেকেই ঘর পরিষ্কার করে। যেখানে বাধা আছে, যেমন হয়ত একটা চেয়ার, সেটাকে ও পাশ কাটিয়ে চলে যেতে পারে। যদি উপরের তলা পরিষ্কার করে সিঁড়ির মুখে এসে বুঝতে পারে যে সিঁড়ি আছে, এগোলে পড়ে যাবে, তখন এগোয় না। পরিষ্কার করা শেষ হলে আবার চার্জিং স্টেশনে ফিরে আসে। ফলে মানুষের মতই ঘর পরিষ্কার করার ‘বুদ্ধি’ এর আছে। সীমিত অর্থে এটা এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্র।

কেন সীমিত? কারণ অনেক। এক, নিজের ডাস্টবিন পরিষ্কার করার ক্ষমতা এর নেই। দুই, পায়ে হেঁটে নিচের তলায় যাবার ক্ষমতা এর নেই। তিন, প্রয়োজন মত ফিল্টার পরিবর্তনের ক্ষমতা নেই। চার, কখন ঘর পরিষ্কার করা উচিত সে বিষয়ে নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা নেই। পাঁচ, বিদ্যুৎ না থাকলে এ সম্পূর্ণ দিশেহারা হয়ে যাবে। এমন আরও অনেক কারণ এই তালিকায় যোগ করা যায়।

এখন আমরা যদি এমন একটা রোবট ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বানাতে পারি যে উপরের কাজগুলো সব নিজেই করতে পারবে? শুধু তাই নয়, যখন কোনো যন্ত্রাংশ খারাপ হবে, আগে থেকে বুঝতে পেরে নিজেই দোকানে গিয়ে বা অনলাইনে অর্ডার দিয়ে সেটা আনিয়ে নিয়ে নিজেই পাল্টে নেবে? বিদ্যুৎ না থাকলে যথাস্থানে যথাসময়ে খবর দেবে? এক কথায় ঘর পরিষ্কারের জন্য যা কিছু দরকার, সব নিজে থেকেই করে নিতে পারবে, কোন মানুষের কোনরকম সাহায্যের প্রয়োজন নেই? তাহলে কি ওটাকে একটা নিখুঁত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্র বলা যাবে?

হ্যাঁ বা না উত্তর দেওয়ার আগে আমরা আমাদের কল্পনাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাই। এমন একটা রোবট যদি বানানো যায় যে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ, হেলিকপ্টার চালানো থেকে সিনেমা পরিচালনা সবকিছু করতে পারবে? আর তার কাজের উপরে মানুষের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না, সে নিজের পরিচর্যা নিজেই করতে পারবে, সব সিদ্ধান্ত নিজেই নেবে? এমনকি তাকে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা হলে প্রতিহত করবে?

এমন একটা পূর্ণাবয়ব রোবটকে স্বয়ংসম্পূর্ণ নিখুঁত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্র হিসাবে কল্পনা করলে আমাদের কাল্পনিক নিখুঁত রোবট ভ্যাকুয়াম ক্লিনারকে বলা যেতে পারে আংশিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা — যে কেবলমাত্র বিশেষ একটা কাজেই পারদর্শী। আংশিক হোক বা পূর্ণাবয়ব হোক, এই স্বয়ংসম্পূর্ণতার মধ্যেই লুকিয়ে আছে AI নিয়ে মানুষের যত আশা, আকাঙ্ক্ষা ও আশঙ্কা।

আশা ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রথমে কয়েকটা কথা বলা যাক, তারপর আশঙ্কার দিকে নজর দেব আমরা। আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ রোবট অকল্পনীয় দক্ষতায় কাজ করে আমাদের জীবনকে যে অনেক সহজ করে দেবে তা বলাই বাহুল্য। বিশেষ করে যেসব কাজে প্রচণ্ড শ্রম বা অনেক বিপদ আছে, যেমন গভীর খনির ভিতর বা অতি উচ্চ ভোল্টেজের লাইন নিয়ে যেখানে কাজ হয়, বা অতি দূষিত কি তেজস্ক্রিয় পদার্থ ঘাঁটাঘাঁটির কাজ – তা যদি রোবট করে দেয়, তাহলে অনেক প্রাণহানি ও প্রাণক্ষয় এড়ানো যাবে। তেমনি রোবট যদি ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধিকে একেবারে গোড়াতেই সনাক্ত করতে পারে, তাহলেও অনেক মৃত্যু আটকানো যাবে।

আশঙ্কার মধ্যে সর্বপ্রথম হল, রোবট যদি মানুষের যাবতীয় কাজকর্ম করে দিতে থাকে, তাহলে মানুষ কী করবে? কিছু না করে মানুষ বাঁচবে কী করে? তাছাড়া রোবটের উপর নিয়ন্ত্রণ হারাবার পরে রোবট যদি মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে! মানুষ কি তাহলে রোবটের দাসে পরিণত হবে? মানুষের ভালমন্দ, সুখদুঃখ, বাঁচামরা — সবই রোবটদের হাতে চলে যাবে?

আরো পড়ুন প্লাজমা ওয়েকফিল্ড অ্যাক্সিলারেশন: গবেষণায় বিপ্লব

স্বয়ংসম্পূর্ণ AI নিয়ে এখন পর্যন্ত আশা, আকাঙ্ক্ষা ও আশঙ্কা সংক্রান্ত যা কিছু আলোচনা হল, সবটাই কিছুটা ভবিষ্যৎমুখী – অনেক ‘যদি’ ‘তাহলে’ ভিত্তিক, মানে যা হতে পারে বা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অদ্যাবধি কোনো আংশিক বা পূর্ণাবয়ব স্বয়ংসম্পূর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি হয়নি। যেগুলো হয়েছে সেগুলো বিশেষ কয়েক ধরনের কাজ করতে সক্ষম। যেমন মানুষের মুখ চেনা, গলার আওয়াজ চেনা, বেশ খানিকটা স্বয়ংক্রিয় গাড়ি ইত্যাদি। যুদ্ধক্ষেত্রেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আংশিক প্রয়োগ হচ্ছে। তবে এরা সবাই বৃহত্তর অর্থে মানুষের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত। তাই উপর্যুক্ত ভবিষ্যৎভিত্তিক মহাভীতিগুলোর সম্মুখীন আগামী কয়েক দশক বা শতকে মানবজাতিকে হতে হবে না বলেই মনে হয়।

আসল ভয় অন্যত্র। হালের ChatGPT-র কথাই ধরা যাক। কত কিছুর উত্তর দিচ্ছে! দিনে দিনে উন্নত হচ্ছে। এত জানছে কোথা থেকে? কে উত্তর জোগাচ্ছে? এসবের পিছনে লুকিয়ে আছে পর্বতপ্রমাণ তথ্য বা ডেটা আহরণ করা, সংরক্ষণ করা এবং সেগুলোর চুলচেরা মূল্যায়ন করা — কল্পনাতীত ‘কম্পিউটেশন শক্তি’। আমি, আপনি জ্ঞানত বা অজ্ঞানত ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় এই তথ্য সরবরাহ করে চলেছি। সেইসব তথ্যের মধ্যে যদি অনেক ভুল থাকে, তার প্রতিফলন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিশ্লেষণে পড়বে। আপনার জানা পাঁচটা বিষয় মিলে গেছে বলে ছ নম্বরটাকেও বিশ্বাস করে কোনো একটা বড় সিদ্ধান্ত আপনি হয়ত নিলেন। তারপর কী হবে কেউ জানে না।

এছাড়া প্রতিনিয়ত উন্নত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রকমসকম। এর সঙ্গে তাল মেলাতে তরুণরাই হিমশিম খাচ্ছে, বয়স্ক মানুষদের কথা তো বাদই দিলাম। ChatGPT এমন কম্পিউটার প্রোগ্রামিং লিখে দিচ্ছে কয়েক মুহূর্তে, যে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং লেখা যাদের পেশা, তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। অর্থনীতিতে কান টানলে মাথা আসে। অন্যান্য পেশার মানুষদেরই বা কী হবে? এছাড়া আছে মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও স্বাধীনতার প্রশ্ন।

যে প্রচণ্ড গতিতে সবকিছু এগোচ্ছে, তাতে আমার ধারণা AI সম্পর্কে সবচেয়ে বিদ্বান মানুষটিও সব প্রশ্নের নিশ্চিত উত্তর দিতে পারবেন না। আমরা যা করতে পারি তা হল অতীতের কিছু ঘটনার বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ অনুমান করা। সদা ভ্রাম্যমাণ শিকারসর্বস্ব আদিম মানুষ যখন চাষাবাদ আর পশুপালন শিখে এক জায়গায় থিতু হয়েছে, তখনো হয়ত অনেকের মনে অনেক বিষয়ে সংশয় ছিল। যেমন, এক জায়গায় থিতু হলে মানুষ যদি দৌড়তে ভুলে যায়! যদি সিংহের সঙ্গে আর লড়াই করতে না পারে! আমরা দেখেছি, মানুষের বিবর্তন হয়েছে, মানুষ তার মত করে টিকে গেছে। মোটর গাড়ি এসে পালকির বেহারাদের কাজ গেছে। কম্পিউটার এসে টাইপিস্টের কাজ খেয়ে নিয়েছে। নতুন খনি আবিষ্কারে অনেক আদিবাসী পথে বসেছেন। তবু সমষ্টিগতভাবে মানুষ টিকে গেছে নতুনভাবে সজ্জিত হয়ে; আর ব্যক্তি মানুষ চেষ্টা করেছেন অভিযোজিত হতে। সভ্যতার আদি লগ্ন থেকেই ব্যক্তিস্বার্থ, ক্ষুদ্র গোষ্ঠীস্বার্থ ও বৃহত্তর গোষ্ঠী স্বার্থের দ্বন্দ্ব হয়েছে। ইতিহাসের নানা বাঁকে তা নানাভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থানেও এর অন্যথা হবে না। ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্বব্যবস্থা নতুনভাবে সজ্জিত হবে। ব্যক্তি মানুষ চেষ্টা করবে তার মত করে অভিযোজিত হতে।

  • মতামত ব্যক্তিগত

নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.