সায়ক ঘোষ চৌধুরী

সারা দেশে ২৯টি বিধানসভা কেন্দ্র এবং তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বলা যেতে পারে, ২০২২-এর ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের আগেই এটিই ছিল শেষ ‘বড় নির্বাচন’। ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে। সাধারণত যে রাজ্যে উপনির্বাচন, সেই রাজ্যের শাসক দলের জয় দস্তুর হলেও হিমাচল প্রদেশে খানিকটা অন্য চিত্র দেখা গিয়েছে। সেখানে বিরোধী দল কংগ্রেস নিজেদের ফতেহপুর এবং অর্কি আসন ধরে রাখার পাশাপাশি জুব্বাল-কোটখাই আসনটি বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। সেই সঙ্গে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের পত্নী প্রতিভা সিং কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছেন। মান্ডি কেন্দ্রে বিজেপির হার বিশেষ কিছু কারণে গুরুত্বপূর্ণ:

(১) মান্ডি জেলা হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী জয় রাম ঠাকুরের নিজের জেলা। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী রামস্বরূপ শর্মা ৪.০৫ লক্ষ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রে। সেই ব্যবধান অতিক্রম করে কংগ্রেস প্রার্থীর জিতে যাওয়া বিজেপির পক্ষে বড় ধাক্কা বৈকি।

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন

~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

(২) হিমাচল প্রদেশের লাগোয়া দুটি রাজ্যের নাম পাঞ্জাব এবং উত্তরাখন্ড, যেখানে আগামী তিন মাসের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন। হিমাচল প্রদেশ রাজ্য আগে পাঞ্জাবেরই অংশ ছিল। কাজেই কৃষি আন্দোলনের প্রভাব বিজেপির বিরুদ্ধে যাচ্ছে এ কথা বলাই যায়। হিমাচল প্রদেশের উপনির্বাচনের ইস্যু ছিল দৈনন্দিন পণ্যের দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি এবং কৃষক সমস্যা। আপেল চাষীদের দুর্দশা নির্বাচনে গভীর প্রভাব ফেলেছে।

(৩) হিমাচল প্রদেশের ফলাফল এই জন্যেও বিজেপির পক্ষে চিন্তার কারণ। ভারতীয় সৈন্যবাহিনীতে হিমাচল প্রদেশের প্রচুর মানুষ আছেন। সেই ভেবেই বিজেপি কার্গিল যুদ্ধের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার খুশাল ঠাকুরকে প্রার্থী করেছিল। তাতেও মানুষ ভোট দেননি। ফলে কৃষকের সঙ্গে সঙ্গে সৈন্যবাহিনীর মানুষও বিজেপির পক্ষে থাকছেন না। অর্থাৎ বিজেপির “সৈনিকরা সিয়াচেনে লড়ছেন, অতএব সরকারের যাবতীয় বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্ত মেনে নাও” জাতীয় প্রচারকে ধূলিসাৎ।

শুধু হিমাচল প্রদেশ নয়। উত্তর ভারতের আরও দুটি রাজ্যে উপনির্বাচন হয়েছিল। রাজস্থানের বল্লভনগর এবং ধরিয়াবাদ বিধানসভা উপনির্বাচনেও বিজেপি শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে। বল্লভনগরে চতুর্থ এবং ধরিয়াবাদে বিজেপি প্রার্থী তৃতীয় হয়েছেন। হরিয়ানার এলানাবাদে ভারতীয় লোক দলের প্রার্থী অভয় সিং চৌতালা বিজয়ী হয়েছেন।

হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানাতে বিজেপির পরাজয় গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই রাজ্যগুলিতে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সব আসনই জিতেছিল — সর্বমোট ৩৯টি। উত্তর ভারতে বিজেপির মুঠি আলগা হয়ে গেলে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর দেশের ক্ষমতায় পুনরাগমন সম্ভব হবে না।

শুধু উত্তর ভারত নয়, পশ্চিম ভারতেও দাদরা ও নগর হাভেলি লোকসভা কেন্দ্রে এবং দেগলুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি পরাজিত হয়েছে। দাদরা ও নাগর হাভেলি কেন্দ্রে প্রয়াত সাংসদ মোহন দেলকরের পত্নী কলাবেন দেলকর শিবসেনার টিকিটে জয়ী হয়েছেন। দেগলুর কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী জিতেশ অন্তপুরকর প্রায় ৪২,০০০ ভোট জয়ী হয়েছেন। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস-শিবসেনা-রাষ্ট্রবাদী কংগ্রেস পরিচালিত ‘মহা বিকাশ আগাড়ি’ জোট এর ফলে শক্তিশালী হল বলেই মনে করা হচ্ছে।

উত্তর ভারতের মত পশ্চিম ভারতেও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির দারুণ ফলাফল ছিল। উত্তর এবং পশ্চিম ভারতে খারাপ ফলাফল হলেও বিজেপির খানিকটা মুখরক্ষা করেছে দক্ষিণ ভারত, মধ্য ভারত এবং আসাম।

কর্ণাটকের ফলাফল বিজেপির পক্ষে মিশ্র। লিঙ্গায়েত প্রভাবিত হাঙ্গল বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী শ্রীনিবাস মানে জয়ী হয়েছেন। আসনটি বিজেপির দখলে ছিল। সিন্দাগি আসনটি আবার বিজেপি জনতা দল (সেকুলার)-এর থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। জনতা দল (সেকুলার)-এর ভোট কমেছে প্রায় ৪০০০। বিজাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এই আসনে জনতা দল (সেকুলার)-এর এই অশক্ত অবস্থা হয়ত দলটির শেষের ইঙ্গিত।

দক্ষিণ ভারতে বিজেপির উল্লেখযোগ্য জয় হয়েছে তেলেঙ্গানার হুজুরাবাদ আসনে। এখানে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি ভেঙে বেরিয়ে আসা বিজেপি প্রার্থী ইয়েতলা রাজেন্দ্র প্রায় ২৪,০০০ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির প্রার্থী গেলু শ্রীনিবাস যাদবকে। মূলত তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি-কংগ্রেস প্রভাবিত রাজ্য তেলেঙ্গানাতে অন্য রাজনৈতিক দল ভেঙে ভেঙে বিজেপি শক্তিবৃদ্ধি করছে কোনো সন্দেহ নেই।

মধ্য ভারতে একমাত্র মধ্যপ্রদেশে উপনির্বাচন হয়েছিল। বিজেপি এখানে নিজেদের প্রভাব অক্ষুণ্ন রেখেছে বলা যায়। খাণ্ডোয়া লোকসভা কেন্দ্র ছাড়াও পৃথ্বীপুর-যোবাত এবং রাইগাঁও বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল। এর মধ্যে খান্ডোয়া লোকসভা এবং পৃথ্বীপুর, যোবাতে বিজেপি এবং রাইগাঁও বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস জয়ী হয়েছে। ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে পৃথ্বীপুর-যোবাত কংগ্রেস এবং রাইগাঁও বিজেপি প্রার্থী জিতেছিলেন। পৃথ্বীপুর-যোবাতে জয়ী বিজেপির প্রার্থীরাও কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার অনুগামী। খাণ্ডোয়া লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির জেতার ব্যবধান ৭২,০০০, যা ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আড়াই লক্ষ ছিল। যদিও তাতে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে এ কথা বলা যাবে না। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে কমলনাথের ব্যর্থতা পরিষ্কার। কৃষক আন্দোলনের প্রভাব মধ্যপ্রদেশ অবধি পৌঁছয়নি — এ কথা নির্দ্বিধায় বলে দেওয়া যায়। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতেও ক্ষমতা ধরে রাখতে না পারার প্রভাব থেকে কংগ্রেস নিজেকে মুক্ত করতে পারেনি। কংগ্রেসকে অবিলম্বে নেতৃত্ব পরিবর্তন করে নতুনভাবে শুরু করতে হবে। অন্যদিকে জাতপাতের সমীকরণ এবং বিরোধী দল ভাঙানোর প্রক্রিয়া বিজেপিকে মধ্যপ্রদেশে শক্ত জমিতে দাঁড় করিয়েছে।

কিন্তু এর বাইরে পূর্ব ভারতে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে আঞ্চলিক দলগুলোর জয়জয়কার, উত্তর-পূর্ব ভারতে বিজেপির জোট রাজনীতির জয়যাত্রা অব্যাহত।

প্রথমে উত্তর-পূর্ব ভারতের কথা বলি। তারপর বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের বিষয়ে আসছি। উত্তর-পূর্ব ভারতে দেশব্যাপী নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বিরাট কোনো কাজে লাগছে না বিজেপি স্থানীয় দলগুলির সঙ্গে শক্তিশালী জোট তৈরি করায়। এতে অর্থ ও পেশীশক্তির ভূমিকা আছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগের কারণে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকেও হাইকোর্ট সতর্ক করে দিয়েছে। কিন্তু একটি বিষয় পরিষ্কার। বিরোধীরা উত্তর-পূর্ব ভারতে ক্রমাগত ভুল রাজনীতি এবং অর্থের বিনিময়ে কংগ্রেসের নেতা ও সংগঠন বিজেপিতে চলে যাওয়ার ফলে বিরোধীরা নেতৃত্বহীন হয়ে পড়েছে। আসামে বিজেপি এবং স্থানীয় দলগুলি, মিজোরাম-নাগাল্যান্ড-মেঘালয়ে আঞ্চলিক দলগুলি জয়ী হয়েছে সর্বমোট দশটি আসনে। এর মধ্যে বিজেপির জয় তিনটি আসনে। বাকি সাতটিতেই রাজ্যগুলির শাসক দল জিতেছে।

বিহারের ক্ষেত্রে তারাপুর ও কুশেস্বর আস্থান আসনে শাসক দল জনতা দল (সংযুক্ত) জয়ী হয়েছে। যদিও রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও কংগ্রেস এবার আলাদা লড়েছিল। এছাড়াও ছিল চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস)। যদিও কংগ্রেস বিশেষ প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি, বিহারের ফলাফল থেকে পরিষ্কার যে বিজেপি-জনতা দল (সংযুক্ত)-এর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হলে রাষ্ট্রীয় জনতা দল-কংগ্রেস-লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস)-র জোটবদ্ধ হওয়া দরকার। সঙ্গে সিপিআই (এম-এল)-কেও নিলে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে শক্তিশালী জোট তৈরি হতে পারে।

সবশেষে আসি পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গে চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল — দিনহাটা, খড়দহ, শান্তিপুর ও গোসাবা। এর মধ্যে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে দিনহাটা ও শান্তিপুর বিজেপির দখলে ছিল। কিন্তু উপনির্বাচনে যা ফলাফল হয়েছে তাতে কয়েকটি বিষয় পরিষ্কার:

(১) পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিরোধী দল হিসাবে কাউকে খুঁজে পাচ্ছেন না।

(২) বিজেপির চূড়ান্ত অবনমন ঘটে গেছে মাত্র ছ মাসেই।

(৩) পশ্চিমবঙ্গ প্রায় একদলীয় শাসনের দিকে এগোচ্ছে। তৃণমূল নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী হয়েছে, যা বামফ্রন্ট তাদের ৩৪ বছরে কোনোদিন হতে পারেনি।

একমাত্র শান্তিপুর বাদ দিলে বাকি ৩ টি কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট:

(১) দিনহাটা (৮৪.১৫%) – জয়ের ব্যবধান ১, ৬৪, ০৮৯

(২) গোসাবা (৮৭.১৯%) – জয়ের ব্যবধান ১, ৪৩, ০৫১

(৩) খড়দহ (৭৩.৫৯%) – জয়ের ব্যবধান ৯৩,৮৩২

শান্তিপুরে তৃণমূল খানিক ‘খারাপ’ ফল করেছে। ব্যবধান ৬৪,৬৭৫।

এতে একটি বিষয় পরিষ্কার। পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলগুলিকে মানুষ ঠিক বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না। বিজেপির শক্তি ক্রমহ্রাসমান। কিন্তু সেটি কংগ্রেস বা সিপিএমের পালে নতুন কোনো হাওয়া লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। তৃণমূল সরকারের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ বা ‘দুয়ারে সরকার’ বা ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পগুলি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন।

আমরা আশা করতেই পারি, এই ধারা অক্ষুণ্ন থাকলে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ৪২ টি আসনের সিংহভাগই দখল করবে। তবে সর্বভারতীয় স্তরে “কংগ্রেসের বিকল্প হয়ে উঠছে তৃণমূল”, মমতা ব্যানার্জীর এই আত্মবিশ্বাসের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কংগ্রেস এবং কংগ্রেস সমর্থিত জোটই এখনো সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপির একমাত্র বিকল্প হিসাবে এই ২৯টি বিধানসভা ও তিনটি লোকসভার উপনির্বাচনে নিজেদের ছাপ ফেলতে সক্ষম হয়েছে।

যদিও তার ফলে ২০২৪-এ নরেন্দ্র মোদীর গদি উল্টে যাবে কিনা, তা বলার সময় এখনো আসেনি। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ সহজে বিনা যুদ্ধে গদি ছাড়তে চাইবেন, এমন কোনো লক্ষণ নেই। তাঁরা পরাজয়ের সম্ভাবনা দেখলে হয়ত সাংবিধানিক সঙ্কট সৃষ্টি করবেন, দাঙ্গাহাঙ্গামা শুরু করবেন দেশজুড়ে। যে দমনপীড়ন নীতি তাঁরা বিরোধীদের উপরে চালিয়েছেন, ক্ষমতা হারিয়ে ফেললে একই নীতি তাঁদের উপরেও প্রয়োগ হবে, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেই ভয়েই তাঁরা সাম-দাম-দণ্ড-ভেদের নীতি প্রয়োগ করে প্রচন্ড লড়াই করবেন।

কাজেই উপনির্বাচন মনে আশার আলো জাগালেও, বিরোধীদের কাছে “দিল্লী এখনও দূর অস্ত”…

নিবন্ধকার রাজনৈতিক বিশ্লেষক। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। মতামত ব্যক্তিগত।

নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.