সৌভিক ঘোষ
অনেকদিন হল, সবাই বলছে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে। বলছে ঠিকই, কিন্তু কেউই জানে না ব্যাপারটা কবে হবে। এই যে নির্বাচনের সময় সম্পর্কে অহেতুক ধোঁয়াশা – পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এইটিই হল তৃণমূল শাসনের বিশেষ এবং একমাত্র সংযোজন। আর যা কিছু এই জমানায় দেখা যাচ্ছে তার অর্ধেক হল সেই ইতিহাসের অবদান, যার দিকে হাল আমলের প্রদেশ কংগ্রেস তাকাতে চায় না। বাকিটা স্রেফ দুর্নীতি।
আর কে না জানে দুর্নীতির সবচাইতে কাছের বন্ধুর নামই হল সার্বিক দুর্নীতি? অর্থাৎ আমি তো গুছিয়ে নিয়েছি, তুমিই বা বাকি থাকবে কেন? এই কারণেই গতবারের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধীমুক্ত পঞ্চায়েত প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছিল। তা না হলে যেখানে যেখানে তারা নির্বাচনে পরাজিত হত সেই জায়গাতেই তাদের সংগঠন ভেঙে পড়ত। ভারতের তথা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে তৃণমূল হল দ্বিতীয় রাজনৈতিক দল যারা একটিও ভোট নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহারের জন্য পায় না। প্রথমে কারা ভাবছেন? অবশ্যই বিজেপি।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
পশ্চিমবঙ্গে সিন্ডিকেট রাজ চলছে বলে কেউ কেউ ইদানীং বিশেষ দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন। পরিস্থিতি বুঝতে তাদের মত অতটা আশ্চর্য না হলেও চলে। তৃণমূল কংগ্রেস আদৌ সর্বত্র সিন্ডিকেট প্রতিষ্ঠা করেনি, এই দলের বুনিয়াদি রাজনীতিটাই সিন্ডিকেটপন্থী জাতীয়তাবাদ বা ওরকম একটা কিছু। লিবারাল ডেমোক্র্যাটরা হয়ত এসব আরও ভাল বলতে পারবেন। আমরা এদের সোজা কথায় কর্তৃত্বসর্বস্ব দুর্নীতিবাজ বলেই চিহ্নিত করতে পারি।
রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, সরকারি আমলা আর্থিক তছরুপের অভিযোগে অভিযুক্ত, কেউ কেউ জেলে। আবার কেউ জেল পর্ব কাটিয়ে বেরিয়ে এসে আগের চাইতে আরও বেশি জোরে এই সরকারের পক্ষে চিৎকার করছেন। সঠিক অর্থে নির্বাচন হলে এরা যে কোথাও ভোটে জিতবে না – একথা সবাই জানে। প্রশ্ন আদৌ সেটা নয়, প্রশ্ন হল এতকিছুর পরেও এরা ক্ষমতায় রয়েছে কি করে? এখানেই দুর্নীতির সামাজিকীকরণের প্রসঙ্গ উঠে আসে। একটি রাজনৈতিক দলের উপর থেকে নিচ অবধি যখন গ্রামে ঢুকে ক্ষতি কমাতে ব্যস্ত – বুঝতে হবে হাতি কাদায় পড়েছে। কেন্দ্রীয় আবাস যোজনার টাকাপয়সা তছরুপ (আসলে যে কথাটি বলার ইচ্ছা ছিল তা লেখার অযোগ্য) তো হাল আমলের ব্যাপার। মাটির উপরে সর্ষে ছড়িয়ে এসে একবছর বাদে ধান কেমন হয়েছে বলার দিনেই রাজ্যের মানুষ এদের দৌড় বুঝে নিয়েছে। তৃণমূলও ব্যাপারটা ভালই জানে, আর তাই যত দিন যাচ্ছে বাড়তি ন্যাকামি না করে তারা সরাসরি লোকজনকে হুমকি দিচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে। নিজেদের দলের সমর্থক, কর্মীদেরও বাদ দিচ্ছে না। এমনকি বিচারপতিরাও আক্রমণের মুখে পড়ছেন। মামলার রায় পছন্দ না হলে আদালত ব্যাপারটাকেই অস্বীকার করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। অবশ্য এমন চাহিদা আদৌ নতুন নয়। জরুরি অবস্থার ইতিহাস তো রয়েছেই। দ্বিতীয় ইন্দিরা হয়ে ওঠার একান্ত ইচ্ছা মমতা ব্যানার্জির প্রথম থেকেই ছিল। কংগ্রেস ভেঙে বেরিয়ে এসেছিলেন সেই পথে বাধা আসছিল বলেই। আমরা জানি তো।
এমন পরিস্থিতিতেই ‘নাকি’ পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। আমরা নিশ্চিন্ত থাকতে পারি, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবার জল মেপে কাপড় গোটানোর রাজনীতি শুরু করবেন। তাঁকে ‘বিগ শট’ হিসাবে প্রচার করতে করতে সংবাদমাধ্যমের মুখে ফেনা উঠে আসছে, তবু প্রাক্তন যুবরাজ কিছুতেই একটা নির্দিষ্ট তারিখ বলতে পারছেন না ঠিক কবে ‘খেলা হবে’। এর থেকে বেশি কথার যোগ্য নয় রাজ্য বিজেপি। তাই তাদের প্রসঙ্গ এখানেই শেষ করছি।
নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস একটিও নতুন কথা বলবে না। তারা বুঝে নিয়েছে সরকারকে কথা নয়, কাজ অথবা অকাজের জোরে নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে হয়। কাজ যতটুকু যা হয়েছে তা এককথায় প্রকাশ করে দেওয়া যায় – পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির, মা মাটি এবং মানুষ উদ্ধার করে দেওয়া হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী শুনিয়েছিলেন ক্যাশলেস ধনতন্ত্রের কথা। দেশের মধ্যে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই প্রধানমন্ত্রীর সেই ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়েছে। তাই তো পার্থ চ্যাটার্জিরা জনসাধারণের হাতে টাকা পৌঁছতে দেননি, নিজেদের ফ্ল্যাটেই লুকিয়ে রেখেছিলেন। আজকের পশ্চিমবঙ্গে গ্রামের মানুষ টিভির সামনে বসে থাকতে কারোর চাইতে এতটুকু পিছিয়ে নেই। তারা দেখেছেন উন্নয়ন আর শুধু রাস্তায় দাঁড়িয়ে নেই – ঘরের দেওয়াল, ছাদ সর্বত্র জাল বিছিয়েছে।
ফলে এদের উন্নয়ন আসলে এক ফাঁপা ভরসা। সবাই মরলেও অন্তত আমি যদি কোনোভাবে বেঁচে যাই – খড়কুটোর জোরে জলে ডোবা থেকে বাঁচা সম্পর্কে আস্থার মতই।
ঠিক কেমন বুঝতে চাইছেন?
তথ্য, পরিসংখ্যান না দিলে যদি সম্পাদকমশাই এই প্রবন্ধ বাতিল করেন, সেই দুশ্চিন্তায় কিছু কথা বলতেই হচ্ছে। লকডাউনের আগে (২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের মার্চ অবধি) কাজে নিযুক্ত গড় শ্রমশক্তির হার (এলএফপিআর) সারা দেশে ছিল ৪১.৩%, পশ্চিমবঙ্গে ৪০%। কর্মরত মহিলাদের ক্ষেত্রে সেই হার ছিল আরও কম – দেশের ক্ষেত্রে ২৩.৫%, আমাদের রাজ্যে মাত্র ১৮%। ওই পর্বে পুরুষদের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের হার ছিল ৬২%, সারা দেশের গড় হার তখন ৫৮%। ওই সময়কালে আমাদের রাজ্যে ২০.৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ দৈনিক ১০০ টাকা অর্থাৎ মাসিক ৩০০০ টাকা বা আরও কম রোজগার করতেন, সারা দেশে সেই হার ছিল ১৪.৫%। পশ্চিমবঙ্গে কাজে নিযুক্ত শ্রমজীবীদের মধ্যে ১৩.৫% পুরুষ ও ৪৫.৫% মহিলার দৈনিক আয় ছিল ১০০ টাকা বা তারও কম। লকডাউনের আগে দৈনিক ২০০ টাকা বা তারও কম মজুরি পেতেন ৩৬% পুরুষ শ্রমিক, মহিলা শ্রমিকদের ক্ষেত্রে সেই হার ছিল প্রায় ৭১.৫%। মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ রোজগার নিশ্চয়তা প্রকল্পে দৈনিক মজুরি নির্ধারিত ছিল ২০২ টাকা। এর চাইতেও কম দৈনিক মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন যাঁরা, সেই তালিকায় সবার প্রথমে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ (৭২%), দ্বিতীয় স্থানে ঝাড়খণ্ড (৭১.৫%), তারপরেই পশ্চিমবঙ্গ (৭০%)। (সূত্র: জাতীয় নমুনা সমীক্ষা)
২০১৮-১৯ নাগাদ জনস্বাস্থ্য বাবদ যারা সর্বনিম্ন খরচ বরাদ্দ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সেই তালিকায় চার নম্বরে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনস্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু বার্ষিক বরাদ্দ ছিল মাত্র ৯৮৩ টাকা। তালিকায় আমাদের আগে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং সবার প্রথমে বিহার। মাথায় রাখতে হবে, রাজ্যগুলির নিজস্ব মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের মাথাপিছু পরিমাণের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান তালিকার শেষ দিক থেকে ১০ নম্বরে। অর্থাৎ একদিকে মাথাপিছু বরাদ্দ কম, আরেকদিকে মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের মাথাপিছু পরিমাণও তলানিতে। রাজনীতি পছন্দ করেন এমন বাঙালিদের একান্ত প্রিয় উদাহরণ বিহার পর্যন্ত আমাদের চাইতে ভাল অবস্থায় রয়েছে। আর কিছু না বললেও বোধহয় চলবে। যেমন চলছে আর কি। আজকাল তো তথ্যকে পাত্তা না দেওয়াই ফ্যাশন।
এখন বামেরা কী করবে সেটাই ভাবার বিষয়। বামেদের পোস্টার, ব্যানার, দেওয়াল লিখন (যদি তাঁরা আদৌ দেওয়ালটুকু লেখার মত গণতান্ত্রিক অধিকার পান) – সবেতেই চুরি, দুর্নীতির বিষয়টি উঠে আসছে। বিভিন্ন এলাকায় জনসভা করতে গিয়েও তাঁরা সেইসব কথা স্পষ্টই বলছেন, মানুষজন শুনছেন মন দিয়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের জোর যেখানটায়, ঠিক সেটাই বামপন্থীদের নিশানা।
নয়া উদারনীতি প্রতিষ্ঠার পরেও আমাদের রাজ্যের গ্রামাঞ্চল নিজেকে কিছুটা হলেও আগুনের আওতার বাইরে রাখতে পেরেছিল। কোনো কোনো পণ্ডিত বলেন জমি বিলি, অপারেশন বর্গা – এসবই নাকি দীর্ঘ বামফ্রন্ট শাসনের আসল কারণ। এগুলো গুরুত্বপূর্ণ নিশ্চয়ই, কিন্তু এগুলোই সব নয়। গ্রামবাংলার আসল বৈশিষ্ট্য হল ‘পঞ্চায়েতি রাজ’ বলে যে কথাটা বইতে লেখা আছে তাকেই মাটির উপর দাঁড় করিয়েছিল বামফ্রন্ট, তাদের রাজনীতি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার দিন থেকেই গ্রামের মানুষের স্বশাসনের অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছে, অনেকটা সফলও হয়েছে। গ্রামসভার সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে প্রশাসনিক ব্যক্তিদের দিয়ে (বিডিও, এসডিও, ডিএম; এমনকি পুলিশ অবধি বরাদ্দ নির্ধারণের কাজে মাথা গলিয়েছে) উন্নয়নের কাজ করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। তখন থেকেই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত বলে আদৌ আর কিছু নেই। বামেরা যেখানেই জিতবে, প্রায় নতুন করে সব শুরু করতে হবে। কংগ্রেসি আমলে গ্রামের জমিদার, জোতদার, বদবাবুদের বাড়ির ছেলেছোকরা, এমনকি মেয়েরাও এখন জামাকাপড় এবং দল পাল্টে অনুপ্রাণিত হয়ে পড়েছে। এদের বিরুদ্ধে গরীব মানুষের রাজনীতি একটাই – স্বশাসন প্রতিষ্ঠার লড়াই। বামেদের সেই লড়াইটাই লড়তে হয়, হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও হবে।
তৃণমূলের জোর হল, আজকের গ্রাম অনেকটাই নব্য ধনীদের দাপটে চলছে। বামেদের শক্তি আগেও যা ছিল আজও তাই – নব্য হোক বা বনেদি, ধনীরা সবসময়েই সংখ্যায় অল্প। তাদের কিছু পেটোয়া বাহিনী থাকেই। তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রাম সংগঠনের গোটাটাই তো সেই বাহিনী। ভোটের দিন ওই ভাড়াটে বাহিনীর মোকাবিলা করতে পারলে বাকিটা গরীব মানুষ নিজেরাই করে নেবেন।
আরো পড়ুন মৃত এই নগরীর রাজা হয়ে তুমি কী করবে, শাসক?
তৃণমূলের ভরসা কী? তারা গ্রামের মানুষের যৌথ জীবনযাপনের সংস্কৃতি বেশ কিছুটা ধ্বংস করে ফেলেছে। এই সরকারের আমলে সার্বিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে গাঁয়ের মানুষও আজকাল নিজেরটুকু নিয়ে ব্যস্ত হতে বাধ্য হচ্ছেন। বামেদের কৌশল বলুন, রণকৌশল বলুন (তৃণমূল জমানায় যে কোনো নির্বাচনই রণকৌশলের বিষয়), কোনোটাই নতুন নয়। বরং সেই কারণেই বেশি কার্যকরী। সেই পথ কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টোর শেষ কথা – দুনিয়ার মজদুর এক হও। কৃষিজীবী মানুষ (চাষি, খেতমজুর – সবাই) আগাছ কীভাবে উপড়ে ফেলতে হয় ভালই জানেন। সেটা ঘটাতে যেটুকু ফাঁক থাকছে সেটাই এদেশে বামপন্থী আন্দোলনের ইতিহাসে ধ্রুবতারা। তার নাম সংগ্রাম। হ্যাঁ, তৃণমূল খুব বেশি হলে ভোট করবে, বামেরা সংগ্রাম।
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস যে কায়দায় ভোটে জিতছে সেটা নতুন কিছু নয়। যাঁকে দেখে তারা এসব শিখেছে, তিনিও ৭২ সালের নির্বাচন জিতেছিলেন। তারপরেই হেরে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। এই রাজ্যের ব্যাপকতম গরীব মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের নামই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই লড়াই বামপন্থীদের জন্য শরীরে রক্তের মতই জরুরি।
তৃণমূল কংগ্রেসের জন্যও এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন এক ভয়ংকর পরীক্ষা। ক্ষমতার যে দুর্গ তারা নির্মাণ করেছে তার জোর ততক্ষণই, যতক্ষণ না তার এতটুকু ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। ধাতুর শক্তি বোঝাতে কেউ কেউ লোহা কাটার জন্য ব্যবহার হওয়া লোহার ডাইসের উদাহরণ দেন। সেই ডাইস লোহা কেটে ফেলে তা যেমন ঠিক, তেমনই জেনে রাখা দরকার, হাত থেকে পড়লেই তা ভেঙে যায়। কেন? অতিরিক্ত ঘনত্বই এর কারণ। দুর্নীতিও একইরকম – যদি সবটা গিলে খেতে পারে তাহলে চলবে। কোথাও এতটুকু ফাঁকফোকর থাকলেই সেই আঘাতের কম্পনে চুরচুর করে ভেঙে পড়ে তার ইমারত। একটা জিনিসই দেখার, তা হল বামেরা এক ধাক্কায় কতটা ভাঙতে পারবে। ভাঙবে তো বটেই, তা নিয়ে আবার আলোচনা করতে হয় নাকি?
নিবন্ধকার সর্বক্ষণের রাজনৈতিক কর্মী। মতামত ব্যক্তিগত
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।