অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য হতে চলেছেন, এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। গত বছর ডিসেম্বরেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। এবার মন্ত্রিসভাতেও সর্বসম্মতিক্রমে এই প্রস্তাব পাস হওয়ার পর বিধানসভার আসন্ন মৌসুমি অধিবেশনে এই সংক্রান্ত বিল পেশ করা হবে।
তবে উচ্চশিক্ষার পরিকাঠামোগত ও গুণগত মানোন্নয়নের আলোচনা এবং বিতর্ক এখন বহু যোজন দূরে। বিদ্যালয়-বিশ্ববিদ্যালয়ের শূন্যপদ, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে যখন কলকাতা হাইকোর্টের একের পর এক রায়ে রাজ্য সরকার খানিকটা ব্যাকফুটে, ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য হচ্ছেন। এর প্রতিবাদ করতে নেমেছেন অনেকে। এমনকি সারা বাংলা সেভ এডুকেশন কমিটি নামে এক সংগঠন আগামী ১৩ জুন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সভাও আহ্বান করেছে। তাদের দাবি শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাধিকার।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
সরকারে আসীন তৃণমূল কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের সঙ্গে অসযোগিতা করে থাকেন। তাই হয়ত রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করলে প্রশাসনিক সুবিধার কথা ভাবা হয়েছে। এ কথা সত্যি, যে বর্তমান রাজ্যপাল বারংবার রাজ্য সরকারের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছেন; কেবল শিক্ষাক্ষেত্র নয়, নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারেই।
মুখ্যমন্ত্রীকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য করার পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিদর্শকের ভূমিকা শিক্ষামন্ত্রীকে দেওয়ার জন্যও আইন তৈরি হতে চলেছে। এই কাজটাও এই মুহূর্তে রাজ্যপালের হাতেই রয়েছে। প্রধানত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান করার জন্যই পরিদর্শকের অনুমতি প্রয়োজন হয়। তাছাড়া পরিদর্শক হিসাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য যাচাই করার অধিকার এবং তদন্তের স্বার্থে পরিদর্শক দল পাঠানোর ক্ষমতাও আছে রাজ্যপালের। এই ক্ষমতাবলেই তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান এবং উপাচার্যদের সাথে বৈঠক করারও কথা বলেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন হল, রাজ্যপাল অভিযোগ করছেন উপাচার্যরা তাঁকে এড়িয়ে চলেন, সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পর্যন্ত আচার্যকে ডাকা হয় না। মুখ্যমন্ত্রী আচার্য হলে কি এই সংঘাতের অবসান হবে? হলে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকরা কি লাভবান হবে? নাকি সত্যিই স্বাধিকার ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে? এইসব প্রশ্ন নিয়ে নাগরিক ডট নেট কয়েকজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীর কাছে গিয়েছিল। এই প্রতিবেদনে রইল তাঁদের সুচিন্তিত মতামত।
সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী বললেন “আমি নিজে মনে করি আমাদের যিনি রাজ্যপাল আছেন, তিনি রাজ্যপালের ভূমিকা পালন করেন না। রাজ্য সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্চ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তিনজনের মধ্যে প্রথম জনকে উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা রাজ্যপালের কাজ। এটা একটি রুটিন কাজ, করতেই হয়। হঠাৎ তাঁর মনে হচ্ছে তাঁর নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আছে, এটা ঠিক নয়। এইভাবে রাজ্য সরকারের সাথে বারবার সংঘাতে জড়িয়ে গেলে কী করে কাজ হবে, রাজ্যটা চলবে কীভাবে? প্রশাসনের সব লোককে তিনি ডেকে পাঠাবেন এটা হয় নাকি? বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালরা রাজ্য সরকারের কাজে নাক গলান না। সই সাবুদেরই তো ব্যাপার শুধু।”
তিনি দেশের রাষ্ট্রপতির উদাহরণ টেনে বলেন “রাষ্ট্রপতি কি ভারত সরকারের কোন ব্যাপারে নাক গলান? চিফ অফ আর্মি স্টাফ কে হবে তা সরকার আগে থেকেই ঠিক করে দেয়, তিনি শুধু সই করেন। এই ব্যাপারে নাক গলান না। রাষ্ট্রপতি কোনোকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন না। কিন্তু এখানে রাজ্যপাল সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন। এটা হতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আচার্য হওয়ার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পাবার কোন সম্ভাবনা নেই। “আগে থেকেই সরকারের যথেষ্ট কর্তৃত্ব আছে। সরকার তেমন কিছু করবে মনে করলে আগেই করে ফেলতে পারে। কারণ উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি তৈরি করে রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তর। সেই সার্চ কমিটিতে থাকেন পণ্ডিত মানুষেরা। তাঁরা ঠিক করেন এক নম্বর, দু নম্বর, তিন নম্বর নাম। রাজ্য সরকার নিজেদের মর্জি অনুযায়ী কিছু করতে চাইলে তো সেখানেই করে দিতে পারে। এই ব্যবস্থা তো ১৯৪৭ সাল থেকেই চলে আসছে। নতুন করে কর্তৃত্ব স্থাপন করার কী আছে?”
নৃসিংহবাবু আরও এক ধাপ এগিয়ে মনে করেন, রাজ্যপালের পদটাই অপ্রয়োজনীয়। তাঁর মতে, কে আচার্য হলেন তার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত ও গুণগত মানোন্নয়নের কোন সম্পর্ক নেই। রাজ্যপাল বা মুখ্যমন্ত্রীর বদলে কোনো শিক্ষাবিদকে আচার্য করা গেলে নিশ্চয়ই ভাল হয়, কিন্তু তেমন শিক্ষাবিদের এখন অভাব। “এখন কি সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মত কেউ আছেন, যাঁকে আচার্য বলে মেনে নেওয়া যায়? নেই। তাহলে মুখ্যমন্ত্রীই ভাল।”
কিন্তু সকলে বিষয়টাকে এত হালকাভাবে নিতে নারাজ। মুখ্যমন্ত্রীর আচার্য হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারবিরোধী বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনের নেতা পার্থপ্রতিম রায় বললেন “আমাদের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সংক্রান্ত বা অন্যান্য কোনো বিষয়েই আচার্যের বিন্দু মাত্র আগ্রহ থাকে না। তাঁকে কোনো আলোচনায় পাওয়া যায় না। সুতরাং আমরা মনে করি না এইভাবে আচার্য পদ থাকার কোনো যৌক্তিকতা আছে। যদি এই পদ রাখতেই হয়, তাহলে সে পদে কোনো শিক্ষাবিদকে রাখা উচিত, যিনি অন্তত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহ দেখাবেন, শিক্ষার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত মনে করবেন।”
পার্থবাবুর আরও আপত্তির কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। সেখানে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে প্রধান পদে আনা উচিত নয় বলে তাঁর মত। “এই পদে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থাকা মানেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার ভঙ্গ হবে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী, অথবা অন্য কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে দায়িত্ব দেওয়া হলে ক্রমেই শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব বৃদ্ধি পাবে।
এসএসসি বা টেট শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোকেও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের নজির হিসাবেই দেখতে পারেন। ফলে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বাড়লে দুর্নীতিও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। তাছাড়া জানেনই তো, এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো স্ট্যাটিউট নেই। পুরনো স্ট্যাটিউটের মেয়াদ ফুরোলেও নতুন স্ট্যাটিউট তৈরি করা হয়নি। ফলে আইনে থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত শিক্ষক বা ছাত্র প্রতিনিধিরা কোনো কমিটিতে থাকতে পারছেন না। মানে গণতান্ত্রিক কাঠামোটা ইতিমধ্যেই ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিটেফোঁটা স্বায়ত্তশাসনও বাকি থাকবে না।”
আরো পড়ুন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিগ্রহ অন্ধকারে আলো ফেলেছে
একটা বিষয়ে অবশ্য পার্থবাবু আর নৃসিংহবাবুর মত মিলে গেল। আচার্য নামক আনুষ্ঠানিক পদ নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চললেও, আচার্য বদল হলে শিক্ষাক্ষেত্রের মানোন্নয়নে যে খুব প্রভাব পড়বে তা পার্থবাবুও মনে করেন না। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাহরণ দিয়ে বললেন “বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর অবস্থা খুবই খারাপ, অথচ বাজেট কমিয়ে দিয়েছে সরকার। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্ষণাবেক্ষণ খাতে প্রতি বছর প্রায় ৫৫ কোটি টাকা মত খরচ হয়, অথচ সরকারি বাজেট অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছিল ৩২ কোটি টাকা। এবার আরও কমিয়ে ২৫ কোটি করা হয়েছে। তার মধ্যে প্রথম চার মাসে দেওয়া হয়েছে মাত্র ছ কোটি। এদিকে ক্লাসরুমের অবস্থা খারাপ, ল্যাবরেটরির ইন্সট্রুমেন্ট সারাতে পারছি না। এই দিকগুলোতে নজর না দিয়ে এই পদে কে বসলেন আর ওই পদে কে বসলেন তা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কী লাভ হবে?”
প্রায় একই মতামত দিয়েছেন সারা বাংলা সেভ এডুকেশন কমিটির সম্পাদক অধ্যাপক তরুণকান্তি নস্কর।
তিনি বলেন “মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের পদে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের নিয়োগ করার দীর্ঘদিনের দাবিকে অস্বীকার করা হল। পঠনপাঠন ও জ্ঞানচর্চার মুক্ত বিকাশের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাধিকারের প্রয়োজন ও গুরুত্ব সর্বজনস্বীকৃত। কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা প্রশাসনিক প্রধান যদি সেই পদে আসীন হন তাহলে প্রতি মুহূর্তে শিক্ষায় রাজনৈতিক বা সরকারি হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা থেকে যাবে। তাতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হয়ত সাধিত হবে, কিন্তু অবাধ সারস্বত চর্চায় বাধা পড়বে। এই একই প্রবণতা কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-তেও লক্ষ করা গেছে।”
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক কাঠামো ইতিমধ্যেই যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
“আমাদের অভিজ্ঞতা হল, বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সংস্থাগুলো নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বদলে শাসকের মনোনীত সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে পরিদর্শক নিয়োগ করার সিদ্ধান্তও একই নীতির অনুসারী।
আমরা মনে করি, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল বা প্রধানমন্ত্রী (বিশ্বভারতীর মত প্রতিষ্ঠানে) যদি আচার্য থাকেন, তাহলে উপাচার্য থেকে শুরু করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাকর্মী দলমত নির্বিশেষে সকলেরই সরকারি কোনো নীতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার পরিপন্থী মনে হলে মতপ্রকাশের কোনো উপায় থাকবে না, ভিন্নমত হলেই শাসকের বিরাগভাজন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। সুতরাং আমরা রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছি এবং অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি করছি।”
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকারের কথায় “আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী এবং পরিদর্শক হবেন শিক্ষামন্ত্রী — এটা একেবারেই অনুচিত পদক্ষেপ। শিক্ষাকে রাজনৈতিক দলের অধীনে আনা হচ্ছে বলে আমার মনে হয়। এ ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর যদি সম্যক চেতনা থাকে তাহলে তাঁরও আপত্তি করা উচিত। এটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার রক্ষার প্রশ্ন। এখানে অন্য রাজ্য অমুক কাজ করেছে বলেই এই রাজ্যেও করতে হবে — এটা কোনো যুক্তি হতে পারে না।”
তিনি যোগ করেন “রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং চেয়েছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় যেন নেহরু দেখাশোনা করেন, তাই প্রধানমন্ত্রী সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সরকার নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়নি। এখানে কিন্তু সরকার চাপিয়ে দিচ্ছে। এতে সরকারের কী লাভ হবে আমি জানি না, শিক্ষার ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা হবে বলেও মনে করি না। এই সরকারের শিক্ষায় মনোযোগ থাকলে এত পদ খালি থাকত না, নিয়োগে এত দুর্নীতি হত না।”
পবিত্রবাবুও বলেন, আচার্য পদের বিশেষ প্রয়োজনীয়তা নেই। “এই পদে মুখ্যমন্ত্রী কেন, যদি কোনো শিক্ষাবিদও বসেন, তাতেও শিক্ষার উন্নয়ন বা লাভ কিছু হবে না। আসল কথা হল পুরোপুরি রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে।”
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।