আদালত নিয়ে এ দেশের মানুষের মনে একটা বিভীষিকা তৈরি হয়েছে – আজ নয়, সেই কোম্পানির আমল থেকেই। আদালত মানেই এক দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া, যার আদি আছে, অথচ তার অন্ত নাই গো নাই, পথের শেষ কোথায় কেউ জানে না। সবচাইতে বড় কথা, শেষ অবধি সুবিচার পাওয়া যাবে, এমন ভরসাও খুব বেশি নেই, বিচারশালার খেলাঘরে ‘মিসক্যারেজ অফ জাস্টিস’ এক নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তবু মাঝে মাঝে দু-একটি ঘটনা আমাদের অবাক করে, আদালতের সদর্থক ভূমিকা আমাদের আশায় বুক বাঁধতে উদ্বুদ্ধ করে। ঠিক তেমনই একটি ঘটনা ঘটে গেছে চলতি সপ্তাহে, দিল্লির সুপ্রিম কোর্টে। মাত্র ঘন্টা দেড়েক শুনানির পরেই সরাসরি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ, নির্দ্বিধায় গদিচ্যুত করেছেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি প্রফুল প্যাটেল ও তাঁর পুরো কমিটিকে।
এখানেই থেমে থাকেননি তিন বিচারক। আগামী বেশ কিছুদিন ফেডারেশন চালানোর দায়িত্ব ন্যস্ত করেছেন তিনজনকে নিয়ে তৈরি এক প্রশাসকমণ্ডলীর ওপর, যাঁদের এককথায় বলা হয় কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা সিওএ। লিখিত আদেশে সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত কাজকর্ম এই মুহূর্তে সিওএ-কে বুঝিয়ে দিতে বলেছেন এবং স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, যে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত সিওএ-ই ফেডারেশন চালাবে। প্রফুলের কমিটিকে সিওএ-র সঙ্গে সমস্তরকম সহযোগিতা করতে হবে। ফেডারেশনের আইনজীবীদের মনে সম্ভবত মামলাটিকে আরও কয়েকদিন টেনে নিয়ে যাবার সুপ্ত আশা ছিল, সেই মর্মে সওয়াল করতেও শুরু করেছিলেন তাঁরা, কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ সেসব কথায় কান দেননি।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
এই রায় দানের পর দেখা যাচ্ছে অনেকেই বলছেন, সর্বোচ্চ আদালত ক্রীড়াক্ষেত্রে একটি চমৎকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন, দ্রুত সুবিচার পেলেন ফুটবলের সঙ্গে জড়িত মানুষ। তাঁদের এই পর্যবেক্ষণের সঙ্গে সর্বাঙ্গীণ সহমত হয়েও একটা কথা এখানে বলা প্রয়োজন – আদতে এই মামলাটি ছিল নেহাতই সহজ, ইংরেজিতে যাকে বলা হয় “ওপেন অ্যান্ড শাট কেস”। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কর্তারা বছর দেড়েক ধরে এতটাই অন্যায়ভাবে ক্ষমতা দখল করে বসেছিলেন, যে ব্যাপারটা বুঝে নিতে বিন্দুমাত্র সময় লাগেনি বিচারকদের। সত্যি কথা বলতে কি, প্রফু্ল ও তাঁর দলবল যে এতদিন সম্পূর্ণ আইনবহির্ভূতভাবে ফুটবল ফেডারেশন চালাচ্ছিলেন, এবং কি সরকার, কি সংবাদমাধ্যম এই নিয়ে টুঁ শব্দ করেনি, এটাই আশ্চর্যের; এতবড় দিনে ডাকাতি ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে ইতিপূর্বে কোনোদিন ঘটেছে বলে মনে পড়ে না।
পুরো ঘটনাটি একটু খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, ২০১৭ সালের পর থেকে ফুটবল ফেডারেশনের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের পিছনে একটাই উদ্দেশ্য ছিল — সমস্ত আইন তুচ্ছ করে যেনতেনপ্রকারেণ প্রফু্লকে সভাপতির আসনে রেখে দেওয়া, তাঁর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও। ২০১১ সালে সরকারের তৈরি জাতীয় ক্রীড়ানীতি বলছে, পরপর তিনবার অথবা ১২ বছরের বেশি কেউ কোনো জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি, সচিব অথবা কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হতে পারেন না। ফেডারেশনের সংবিধানও একই কথা বলছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসেই সভাপতি পদে টানা ১২ বছর পূর্ণ করে ফেলেছিলেন প্রফু্ল, সুতরাং নির্বাচন হবে এবং নতুন সভাপতি আসবেন, এমনটাই ছিল স্বাভাবিক।
কিন্তু দেওয়াল লিখন যাই হোক না কেন, তাকে পুরুষকার দিয়ে জয় করে নতুন করে লিখে ফেলাই ক্ষমতাবান মানুষের লক্ষণ। প্রফু্ল আদতে রাজনীতিবিদ। ক্ষমতা এবং বিত্ত, দুই-ই তাঁর করতলগত। তিনি দেওয়াল লিখন মুছে দেবার খেলাতেই নামলেন। তাঁকে মদত দিতে আসরে উত্তীর্ণ হলেন ফেডারেশনের আরও কয়েকজন কর্তাব্যক্তি। ঠিক হল, ঢাল হিসাবে ব্যবহৃত হবে ২০১৭ সালে ফেডারেশনের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাহুল মেহরা নামে এক আইনজীবীর একটি মামলা।
২
এবার বিচার করে দেখতে হবে রাহুল মেহরার দায়ের করা মামলাটির মূল বিষয়বস্তু কী ছিল? ২০১৭ সালে দিল্লি হাইকোর্টে মামলাটি করেন রাহুল। তিনি দাবি করেন, ২০১৬ সালে ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে, যাতে তৃতীয়বারের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হন প্রফু্ল, জাতীয় ক্রীড়ানীতি অনুসরণ করা হয়নি; সুতরাং এই নির্বাচন অসিদ্ধ। রাহুলের যুক্তিতে সায় দেয় হাইকোর্ট, অপসারিত করে প্রফু্লকে। পরদিন এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় ফেডারেশন।
সুপ্রিম কোর্ট সবকিছু দেখে শুনে হাইকোর্টের রায় খারিজ না করে দিলেও, রায়টির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে। স্বস্তি পান প্রফু্ল। তবে একই সঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত একটি দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয়, যে কমিটির কাজ হল ফেডারেশনের সংবিধান খুঁটিয়ে দেখে, তার ভিতরে জাতীয় ক্রীড়ানীতির প্রয়োজনীয় ধারাগুলি অন্তর্ভুক্ত করে একটি প্রস্তাবিত নতুন সংবিধান তৈরি করে আট সপ্তাহের মধ্যে আদালতের সামনে পেশ করা। কমিটির মাথায় বসেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি এবং প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়।
আরো পড়ুন এশিয়ান কাপ কেলেঙ্কারির তদন্ত হওয়া জরুরি
এরপরই শুরু হয় আসল খেলা। আট সপ্তাহ কেন, আট মাসেও প্রস্তাবিত নতুন সংবিধান তৈরি করে সুপ্রিম কোর্টের কাছে জমা দিতে পারেনি কুরেশির কমিটি। সব মিলিয়ে ২৭ মাস সময় নেয় তারা এবং জমা দেয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এর যাবতীয় সুবিধা নিতে কসুর করেনি ফুটবল ফেডারেশন।
দেখা যাচ্ছে নতুন সংবিধান এবং সেই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে বিন্দুমাত্র আগ্রহী ছিল না ফেডারেশন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। মুখে যাই বলুক, নির্বাচন যাতে না হয়, তার জন্যই তারা ছিল অধিক সচেষ্ট।
ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে গেল ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে, অর্থাৎ নির্বাচনের ঠিক মাস খানেক আগে। তিন বছর চুপ করে বসে থাকবার পর সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জমা দেয় ফেডারেশন। তাতে বলা হয়, যেহেতু আদালত অনুমোদিত নতুন সংবিধান এখনো তৈরি নয়, সেহেতু ফেডারেশনের নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে, তাই নিয়ে তাঁরা এক প্রবল দোলাচলের মধ্যে রয়েছেন। এই মুহূর্তে তাঁদের কী করণীয়, সেই বিষয়ে তাঁরা আদালতের নির্দেশ প্রার্থনা করছেন।
কৌশলটি চমৎকার। তিন বছর নীরব থাকার পর শেষ মুহূর্তে আদালতে যাবার প্রধান কারণ হল এই অজুহাতে নির্বাচনটা পিছিয়ে দেওয়া। আদালতের নির্দেশ যে এক মাসের মধ্যে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ তা ভারতীয় বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যাঁদের ন্যূনতম পরিচয় আছে, তাঁরাও জানেন। অতএব, সাত মণ তেলও পুড়বে না, রাধাও নাচবে না; নির্বাচন না হলে প্রবল অনিচ্ছা সত্ত্বেও সভাপতির পদে কাজ চালিয়ে যাবেন প্রফু্ল।
সবকিছু পরিকল্পনা মাফিকই এগলো। যাবতীয় রাজ্য সংস্থাকে চিঠি দিয়ে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে যাবার সিদ্ধান্ত জানানো হল। বেশ কিছু রাজ্য নির্বাচন পিছিয়ে দেবার সিদ্ধান্তে আপত্তি জানালেও ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বরে ডাকা বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রফু্ল জানালেন তিনি এই মুহূর্তে পদত্যাগ করতে প্রস্তুত; বাধা একটাই – তিনি চলে গেলে ফেডারেশন মুণ্ডহীন ধড়ের মত পড়ে থাকবে। ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির খাতিরে তা একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়। সুতরাং, আমি তো মক্কার দিকে এক পা বাড়িয়েই আছি, ভাই মোরাদ…।
এখানেই শেষ নয়। পদের মোহ তখন এতটাই গ্রাস করেছে প্রফুলকে, যে তিনি যাবতীয় রাজ্য সংস্থাকে ভরা আসরে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করলেন। ফেডারেশনের মিটিংয়ের মিনিটস জানাচ্ছে, প্রফু্ল সভ্যদের বলেন যে কুরেশির কমিটি এখনো প্রস্তাবিত নতুন সংবিধান আদালতে জমা দিতে পারেনি, তাই সদিচ্ছা থাকলেও নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না। এটি সরাসরি মিথ্যাচার, কারণ ডিসেম্বর মাসে এই কথা বলবার সময় প্রফু্ল জানতেন নতুন সংবিধান জমা পড়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে, যার কপি বেশ কয়েক মাস ধরে ফেডারেশনের কাছে রয়েছে।
৩
এই অবধি সবই ঠিক চলছিল। আদালতে বারবার দিন ধার্য হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবার বাতিল হয়ে যাচ্ছিল শুনানি, মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও দিব্যি সভাপতি হিসাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন প্রফু্ল। কিন্তু গোল বাধল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এসে, যখন তাঁর নিজের শহর মুম্বাইয়ের সমুদ্র উপকূলে একটি পাঁচতারা হোটেলে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হল। এই সভাতেই প্রকাশ্যে তাঁকে প্রশ্নের মুখে ফেললেন কর্ণাটক রাজ্য ফুটবল সংস্থার সভাপতি এন এ হ্যারিস। তাঁর বক্তব্য ছিল, এইভাবে বিনা নির্বাচনে এতদিন ফেডারেশন চালানো ঘোর অন্যায়, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যাতে কার্যভার গ্রহণ করতে পারেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার ব্যবস্থা করা উচিত। প্রফু্ল অবস্থা সামলে দেবার চেষ্টা করলেও হ্যারিস তাঁর দাবিতে এতটাই অনড় ছিলেন যে শেষ অবধি নির্বাচন নিয়ে যে আইনগত জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে, তা খুঁটিয়ে দেখবার জন্য প্রফুল একটি তিন সদস্যের কমিটি গড়তে বাধ্য হন। এই কমিটির সদস্য হন হ্যারিসও।
অভিযোগ, এই কমিটি নিয়েও প্রচুর জলঘোলা করেছেন প্রফু্ল ও তাঁর দলবল। কমিটির রিপোর্ট নিয়ে নাকি রাজনীতি করা হয়েছে, এমনকি এই মিটিংয়ের মিনিটসও নাকি বদলে দেবার চেষ্টা করা হয়েছে। শেষ অবধি অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল যে হ্যারিস আলাদা করে একটি রিপোর্ট জমা দেন, যাতে তিনি জানান ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দেন, তাতে একবারও বলা নেই যে ফেডারেশন নির্বাচন করতে পারবে না। পুরো ব্যাপারটাই হ্যারিসের মতে ফেডারেশন কর্তাদের মস্তিষ্কপ্রসূত, ঘুরপথে প্রফু্লকে সভাপতি রেখে দেবার ছক মাত্র।
৪
তবে একটা কথা বলতেই হবে – হ্যারিস যতই শোরগোল ফেলে দিন, তা দিয়ে এই অচলায়তন ভেঙে ফেলা সম্ভব ছিল না। প্রফুলের পাশা যে হঠাৎ করে উল্টে গেল, তার পিছনে মূল কারণ দুটি। প্রথমত, ফেডারেশনের সাম্প্রতিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হল কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক এবং ফেডারেশনের বিরুদ্ধে দিল্লি ফুটবল ক্লাবের দায়ের করা মামলায় আসরে নামলেন নামী আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। দিন সাতেক আগে আদালত চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে প্রশান্ত ভূষণ অভিযোগ করেন, একজন লোক নিয়মবহির্ভূতভাবে পদ আঁকড়ে বসে আছে, অথচ আদালত শুনানির দিন ধার্য করছে না। প্রধান বিচারপতি তৎক্ষণাৎ বলেন তিনি ব্যাপারটা দেখবেন। কদিনের মধ্যেই মামলার শুনানির দিন ঘোষণা করে সর্বোচ্চ আদালত।
ততদিনে ক্রীড়ামন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, তারা মনে করে প্রফুলের সভাপতি থাকবার কোনো অধিকার নেই, কারণ তাঁর মেয়াদ ফুরিয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই। পাশাপাশি ক্রীড়ামন্ত্রক ফুটবল ফেডারেশনকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতেও ক্রমশ অস্বীকার করে; বার্ষিক তিরিশ কোটি টাকার সাহায্য এক ধাক্কায় নামিয়ে আনে পাঁচ কোটি টাকায়।
বেশ কিছুদিন ধরে চারিদিক থেকে দ্রুত কোণঠাসা হয়ে পড়ছিল ফুটবল ফেডারেশন। তারই ফলশ্রুতি আদালতের এই নির্দেশ, যাতে পরিষ্কার বলা আছে নতুন সংবিধান এনে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে এবং তার দায়িত্বে থাকবে সিওএ।
প্রফুলের শিবির থেকে এখন বলা হচ্ছে আদালতের এই নির্দেশ হয়ে উঠতে পারে ভারতীয় ফুটবলের মৃত্যুবাণ, কারণ আদালত নিযুক্ত কমিটি দিয়ে ফুটবল চালানোর অপরাধে ভারতকে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বহিষ্কার করতে পারে ফিফা। হয়ত ঠিকই বলা হচ্ছে, কিন্তু যে কথাটা প্রফুলপন্থীরা বলছেন না, তা হল ফিফার খাঁড়া যদি শেষ অবধি সত্যিই নেমে আসে, তাহলে তার জন্য প্রধানত দায়ী থাকবেন তাঁরাই। অপরিসীম লোভের বশবর্তী হয়ে গত দুবছর ধরে ফেডারেশনের যাবতীয় ঐতিহ্যকে তছনছ করে দেবার খেলায় মেতে উঠেছিলেন প্রফুল। দুঃখের বিষয় তার দায় চোকাতে হবে ভারতীয় ফুটবলকে।
মতামত ব্যক্তিগত
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।
[…] হয়েছিল কেন? সেসবের বিস্তারিত আলোচনা এখানে […]