উত্তর ইউরোপে ঘনিয়ে উঠছে সংকট। ইউক্রেনের পর রাশিয়ার পরবর্তী নিশানা কি ফিনল্যান্ড? ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হতে চাওয়ায় ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রবল অসন্তোষ। পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হয়ে উঠছে।

রাশিয়া আর ফিনল্যান্ড পাশাপাশি দেশ, ১৩০০ কিলোমিটারের মতো যৌথ সীমান্ত। রুশ-ফিন অশান্তি ঐতিহাসিকভাবেই প্রাচীন। দুই মহাযুদ্ধের মাঝের সময়কালে জার্মানি, নয়তো রুশ দেশ, কখনও বা ইঙ্গ-ফরাসি জোট সমানে সচেষ্ট থেকেছে ফিনল্যান্ডকে তাদের প্রভাব বলয়ে নিয়ে আসতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর্বে, ১৯৩৯-৪৪, এই পাঁচটা বছর ফিন রাষ্ট্র ব্যস্ত থেকেছে নিজেদের রক্ষায়। সেই ঝোড়ো সময়টার দিকে চোখ ফেরানো যাক।

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন

~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

জার্মানি তখনো রাশিয়া আক্রমণ করেনি, সোভিয়েতও মিত্রপক্ষে যোগ দেয়নি। ইঙ্গ-ফরাসি জোটের সঙ্গে ফিন সরকারের সুসম্পর্কে উদ্বিগ্ন ক্রেমলিন নিজেদের প্রতিরক্ষাকে আঁটসাঁট করতে, সেইসঙ্গে লেনিনগ্রাদকে সুরক্ষিত রাখতে ফিনিশ স্থলভাগের কিছু কিছু অংশ দাবি করে বসে। সেইসঙ্গে সামরিক ঘাঁটি তৈরির প্রয়োজনে ফিনল্যান্ডের খাঁড়ি অঞ্চলে একাধিক দ্বীপও চায়। ফিনল্যান্ড অস্বীকার করায় ৩০ নভেম্বর ১৯৩৯ সোভিয়েত ইউনিয়ন ফিনল্যান্ড আক্রমণ করে। ইতিহাসের পাতায় এই যুদ্ধের অভিধা: শীতকালীন যুদ্ধ (Winter War)। এর আগে, ১৯৩২ সালে, দুদেশের মধ্যে অনাক্রমণ চুক্তি হয়েছিল, যার মেয়াদ ছিল ১৯৪৫ সাল অবধি। কিন্তু আক্রমণের দুদিন আগে সোভিয়েত একতরফা সেই চুক্তি বাতিল করে দেয়। লালফৌজের ১০ লক্ষ সেনা, তাদের গোলন্দাজ বাহিনী আর ৮০০ যুদ্ধবিমানের হানায় ফিনল্যান্ড ছারখার হয়। অবশ্য প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে ফিন বাহিনী কড়া প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।

এর মাত্র মাস তিনেক আগেই স্বাক্ষরিত হয় মলোটভ-রিবেনট্রপ চুক্তি, সোজা কথায় রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি। এর ঠিক পরপরই দু পক্ষ ব্যস্ত হয়ে পড়ে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে, বাফার রাষ্ট্রবলয় গঠনে। ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরে দিন কয়েকের মধ্যেই দেখা গেল, জার্মান ও রুশ বাহিনী পোল্যান্ড আধাআধি দখল করে নিয়েছে। এরপর ডেনমার্ক, নরওয়ে, হল্যান্ড, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, চেকোস্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, যুগোস্লোভিয়া চলে গেল জার্মানির অধিকারে। অন্য দিকে এস্তোনিয়া, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, বেসারাবিয়া এল রাশিয়ার কব্জায়। বেজে উঠল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা।

সমাজতান্ত্রিক রুশদেশের এই ফিনল্যান্ড আক্রমণ পৃথিবীর নানা প্রান্তে বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়ে। লিগ অব নেশনস থেকে নিষ্ক্রান্ত হতে হয় সোভিয়েত ইউনিয়নকে। সোভিয়েত রাষ্ট্রচরিত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনের মধ্যেও মতাদর্শগত বিতর্ক দেখা দেয়, বাঙালির রাজনৈতিক পরিমণ্ডলও যার ব্যতিক্রম নয়। এই ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে বাঙালি মনীষার কিঞ্চিৎ সংযোগই এই প্রবন্ধের মূল আলোচ্য।

শীতকালীন যুদ্ধে শেষমেশ লালফৌজ তেমন সুবিধে করে উঠতে পারেনি। শেষে ১২ মার্চ ১৯৪০, মস্কোয় দু পক্ষের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, প্রধানত রুশ শর্তে। পরদিন সাড়ে তিনমাসব্যাপী এই যুদ্ধের ইতি ঘটে। এর পনেরো মাস বাদেই জার্মানির রাশিয়া আক্রমণ। তখন আবার ফিনল্যান্ড নিজেদের জল স্থল অন্তরীক্ষ জার্মান বাহিনীকে ব্যবহার করতে দেয় রাশিয়ায় আঘাত হানতে, সেইসঙ্গে হানাদারিতেও হাত মেলায়। এই ‘ফিরে-আসা যুদ্ধ’ (Continuation War) রুশ বিমান হানায়, বোমা বর্ষণে ফিনল্যান্ডকে ফের বিপর্যস্ত করে। তখন ফিনিশ প্রযুক্তিবিদরা উপলব্ধি করেছিলেন পাতাল নগরীর প্রয়োজনীয়তা। যুদ্ধান্তে গড়ে ওঠা হেলসিঙ্কির পাতাললোকে সুবিস্তৃত বাঙ্কার-নগরীতে সুরক্ষিত থাকতে পারেন প্রায় ন লক্ষ নাগরিক। এই পাতালপুরী অধুনা বহুল আলোচিত – সম্ভাব্য যুদ্ধের আবহে। যা-ই হোক, সেপ্টেম্বর ১৯৪৪-এ রুশ-ফিন অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে দুদেশের মধ্যে লাগাতার অশান্তির অবসান ঘটে।

তবে ১২ মার্চ ১৯৪০-এর মস্কো শান্তিচুক্তিতে কিন্তু ফিনল্যান্ডকে বেশ কিছু অঞ্চল রাশিয়ার হাতে তুলে দিতে হয়েছিল – যুদ্ধে রুশদের দখল করা অংশ, যুদ্ধের আগে দাবি করা কিছু অঞ্চল ইত্যাদি। সর্বমোট ৪১০০০ বর্গ কিমি। এর মধ্যে ছিল ফিনল্যান্ডের শিল্পাঞ্চল এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ভিপুরি (Viipuri) এবং পূর্ব কারেলিয়া প্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। সেইসঙ্গে হাঙ্গো (Hanko) উপদ্বীপ সোভিয়েতকে নৌঘাঁটি স্থাপনের জন্য লিজ দিয়ে দিতে হয়।

আরো পড়ুন সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর : এক রোম্যান্টিক বিপ্লবী

শীতকালীন যুদ্ধের একেবারে শুরুতেই, দখল করা ফিন এলাকার জন্য সোভিয়েত পক্ষ একটি প্রজাতন্ত্র গঠন করে দেয়, যার নাম ফিনিশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক। এটা আদতে সোভিয়েত ইউনিয়নের পুতুল রাষ্ট্র। এর মাথায় বসানো হয় কমিন্টার্নের অন্যতম সম্পাদক অটো কুজিনিনকে (১৮৮১-১৯৬৪)। তবে মস্কো শান্তিচুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই স্বল্পায়ু এই প্রজাতন্ত্রের বিলোপ ঘটে এবং সেখানকার ভূভাগ ও চুক্তি মোতাবেক প্রাপ্ত ফিন ভূখণ্ডের সঙ্গে সোভিয়েত কারেলিয়া-কে (Karelia ASSR) মিশিয়ে নতুন একটি প্রজাতন্ত্র গঠন করা হয় ৩১ মার্চ ১৯৪০ তারিখে। কারেলো-ফিনিশ্ সোভিয়েত সোশালিস্ট রিপাবলিক (K-FSSR) হল সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি প্রজাতন্ত্র। উল্লেখ্য, এখানেও প্রশাসনের শীর্ষে বসানো হয়েছিল অটো কুজিনিনকে। তিনি হন সেখানকার সুপ্রিম সোভিয়েতের প্রেসিডিয়ামের চেয়ারম্যান। প্রজাতন্ত্রের পত্তন (১৯৪০) থেকে বিলোপ (১৯৫৬) পর্যন্ত কুজিনিন এই পদে বহাল ছিলেন। ১৯৫৬ সালে সে দেশের মর্যাদাহানি ঘটে, রাশিয়ান সোভিয়েত ফেডারেশনের (Russian SFSR) অধীনে চলে আসে, নাম হয় কারেলিয়ান সোভিয়েত সোশালিস্ট রিপাবলিক (Karelian SSR), টিকেছিল ১৯৯১ অবধি। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর এর নাম হয় রিপাবলিক অব কারেলিয়া। এটা এখন রাশিয়ান ফেডারেশনের অন্তর্গত এক স্বশাসিত প্রজাতন্ত্র।

অটো কুজিনিন
অটো কুজিনিন

এবার কুজিনিনকে নিয়ে একটু চর্চা করা যাক। ইনি জন্মসূত্রে ফিনিশ, সে দেশের সোশাল ডেমোক্র্যাটিক দলের নেতা। একসময় অধ্যাপনা করেছেন, ফিনল্যান্ডের কমিউনিস্ট পার্টিরও সংগঠক। গৃহযুদ্ধের সময়ে স্বল্পস্থায়ী রেড ফিনল্যান্ড সরকারে শিক্ষা বিভাগের গণ-কমিসার ছিলেন। সরকারের পতন ঘটলে সোভিয়েত রাশিয়ায় পালিয়ে যান। সোভিয়েত কমিউনিস্ট নেতা হিসাবেই তাঁর পরিচিতি। কমিন্টার্নর সম্পাদক, সিপিএসইউর কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক ও প্রেসিডিয়ামের সদস্য, এমনকি দলের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি পলিটব্যুরোর সদস্য। কোনো না কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে আমৃত্যু ছিলেন। স্তালিনের অতি বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ঠ সহকর্মী। আবার ক্রুশ্চেভ আমলেও তাঁর পদপ্রাপ্তি অব্যাহত থেকেছে, কিন্তু বাকি জীবন আর স্বদেশে ফিরতে পারেননি। এমনকি শেষ বয়সে নিছক ব্যক্তিগত সফরে জন্মভূমিতে যেতে চাইলেও ফিন সরকার তাঁর আবেদনে সাড়া না দিয়ে তাঁকে ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ বলে চিহ্নিত করে।। ফিনল্যান্ডে কুজিনিন এক বিতর্কিত চরিত্র, সচরাচর তাঁর নাম নেওয়া হয় না।

ভারতের তথা বঙ্গীয় কমিউনিস্ট আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ পর্বের সঙ্গে কুজিনিনের নাম জড়িয়ে আছে। তখন তৃতীয় আন্তর্জাতিকের যুগ। ১৯২৮ সাল, মস্কোয় কমিন্টার্নের ষষ্ঠ বিশ্ব কংগ্রেস। কমিন্টার্নের উপনিবেশ সংক্রান্ত বিভাগ ছিল কুজিনিনের দায়িত্বে। কংগ্রেসে ‘ঔপনিবেশিক ও আধা-ঔপনিবেশিক দেশগুলিতে বৈপ্লবিক আন্দোলন’ বিষয়ক থিসিস কমিন্টার্নের পক্ষে পেশ করেছিলেন কুজিনিনই। থিসিসের বেশ কয়েকটা প্রস্তাব, বিশেষ করে ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু প্রস্তাবের যুক্তিপূর্ণ সমালোচনা করেছিলেন শ্রমিক-কৃষক দলের (WPP) তরফে ভারতের প্রতিনিধি নারায়ণ। নারায়ণের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছিলেন ভারতের আরেক প্রতিনিধি ক্লেমেন্স দত্ত এবং কমিন্টার্নের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডেভিড পেত্রভস্কি। নারায়ণের সমালোচনার ফলে কুজিনিনের থিসিস কিছুটা সংশোধিত হয়ে গৃহীত হয়েছিল বলে মনে করা হয়।

এই নারায়ণ আর কেউ নন, ভারতের সাম্যবাদী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর। আত্মজীবনী যাত্রী-তে কুজিনিনকে তিনি “স্টালিনের অতি অনুগত চেলা” আখ্যা দিয়ে বলেছেন “ছোট্টখাট্টো মানুষটি বেশ ভালো করেই মকসো করে নিয়েছিলেন যখন যে-রকম রাজনৈতিক হাওয়া বইছে জীবনের পালে তখন সেই রকম বাতাস ভরে নিয়ে তরতরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কৌশল।” স্তালিন আমলের মতো ক্রুশ্চেভ জমানাতেও ক্ষমতার অলিন্দে কুজিনিনের সমান বিচরণ সৌম্যেন্দ্রনাথের উক্তির যথার্থতা প্রমাণ করে।

ফিরে আসা যাক শীতকালীন যুদ্ধ প্রসঙ্গে। জার্মানির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফিনল্যান্ড তথা পূর্ব ইউরোপে সোভিয়েত আগ্রাসন সৌম্যেন্দ্রনাথ মেনে নিতে পারেননি। এই সম্প্রসারণবাদের সমালোচনা করে তিনি ১৯৪০ সালে ‘অন সেল্ফ ডিটারমিনেশন অব নেশনস’ শীর্ষক লেখা আলিপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে গোপনে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন দলীয় সহকর্মীদের কাছে; পুস্তিকা আকারে তা প্রকাশিতও হয়েছিল।

মস্কো ১৯৩০ ।। রবীন্দ্র-সৌম্যেন্দ্র
মস্কো ১৯৩০ ।। রবীন্দ্র-সৌম্যেন্দ্র

আর রবীন্দ্রনাথ? শীতকালীন যুদ্ধের মধ্যেই লিখেছিলেন ‘ফিনল্যান্ড’ প্রবন্ধ, ৯ জানুয়ারি ১৯৪০। সে দেশের ইতিহাস, ভূগোল, শিক্ষা, শিল্প, সমবায় উদ্যোগ, জনসমৃদ্ধি সব কিছু ঠাসা এই ছোট্ট লেখায়। গোড়াতেই সমকালীন রাজনীতি নিয়ে ঝাঁকুনি। “এতদিন পৃথিবীর কম-জানা দেশগুলির মধ্যে ফিনল্যান্ড ছিল একটি। আজ য়ুরোপে ইতিহাসের যে-সব অগ্ন্যুৎপাত দেখা দিল তার মধ্যে একটির প্রস্রবণ ঐ ছোটো দেশটিতে তার কেন্দ্র আশ্রয় করেছে। তারই দহনজ্বালায় বিশ্বসমক্ষে ফিনল্যান্ড আজ হঠাৎ উদ্ভাসিত।” প্রতিরক্ষা নিয়েও আছে কথা। “ইতিমধ্যে তার দ্বারে ধাক্কা দিল রাশিয়া। ফিনল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্ত রাশিয়ার লেনিনগ্রাদ থেকে পনেরো মাইলের মধ্যে। ফিনরা এই দিকটাতে খুব শক্ত কেল্লা বেঁধে রেখেছে। তার কামানের মুখগুলো রাশিয়ার পশ্চিম দুয়ারের দিকে উঁচিয়ে আছে। চল্লিশ লক্ষ মানুষ সতেরো কোটি মানুষের উপরে পাহারা দিচ্ছে।” এরপর বাল্টিক সাগরে ফিনিশ দ্বীপপুঞ্জের স্ট্র্যাটেজিক অবস্থান নিয়েও বলেছেন। প্রবন্ধের শেষ বাক্য: “…যুদ্ধের শেষ ফল কী হবে কিন্তু আজ পর্যন্ত ওরা রাশিয়ান দানবকে হিমসিম খাইয়ে দিচ্ছে— রাশিয়া এই অসমকক্ষ দ্বন্দ্বে জিতলেও তার লজ্জা ঘুচবে না।”

“তীর্থদর্শনের” দশম বছরে কবি “রাশিয়ান দানব” শব্দবন্ধটি প্রয়োগ করছেন। যুদ্ধ শেষের দুমাস বাদেও তাঁর কবিতার শেষ ছত্রে আচম্বিতে চলে আসে ফিনল্যান্ড আক্রমণের ভয়াবহতা। সানাই কাব্যগ্রন্থের কবিতা ‘অপঘাত’ (রচনা: কালিম্পঙ, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৭/১৫ মে ১৯৪০)। ‘সোভিয়েট’ শব্দটির সঙ্গে ‘বোমা’-র যুগলবন্দি। মৃত্যুর এক বছর আগেও এমন তীক্ষ্ণ প্রয়োগ! বিদ্ধ হই আমরা। আজও।

মতামত ব্যক্তিগত

নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.