একদম ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ দিয়েই শুরু করা যাক। আমার বেড়ে ওঠা যে বাড়িতে, তার বাইরের ঘরে একটি সাদাকালো ছবি ঝুলত। বছর ছাব্বিশের এক যুবকের ছবি। সম্পর্কে আমার মামা। প্রতি বছর ২৯ জানুয়ারি সেই ছবিতে মালা পড়ত। দুদিন পর ৩১ জানুয়ারি পাড়ার আরও অনেকের সঙ্গে আমার বৃদ্ধা দিদিমাও যেতেন শহীদ পার্কে। শহীদ বেদিতে দু নম্বরে মামার নাম। তার আগে পরে আরও জনা ছয়েক। কলকাতা থেকে বক্তারা আসতেন। শহীদ দিবসের কয়েকদিন আগে থেকে দেওয়ালে লেখা হত “আধা ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে নিহত শহীদ… লাল সেলাম।”
তখন ছোট ছিলাম, তাই ফ্যাসিবাদ কাকে বলে ঠিক বুঝতাম না। আধা বা গোটা — কোনও ফ্যাসিবাদ নিয়েই তেমন ধারণা ছিল না। শুনেছিলাম, ১৯৭১ সালে “আধা ফ্যাসিবাদী” গুণ্ডারা আমার মামার শরীরটাকে টুকরো টুকরো করে কেটেছিল। সবগুলো টুকরো এক জায়গায় ছিল না। কুড়িয়ে আনতে হয়েছিল। পরে ভেবেছি, আধখানা ফ্যাসিবাদই যদি এমন হয়, পুরো ফ্যাসিবাদ না জানি কত ভয়ঙ্কর হবে!
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

এখন হয়ত খানিকটা বুঝতে পারছি। তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি নিশ্চয় পুরো না হোক, অর্ধেকের বেশি ফ্যাসিবাদী শক্তি। তাই তাদের পরাজিত করতে এক সময়ের আধা ফ্যাসিবাদী কংগ্রেসের হাত ধরা যায়। অথবা সময়ের পলি জমতে জমতে হয়ত কংগ্রেসের আধা ফ্যাসিবাদী চরিত্র আর নেই। তার যাবতীয় নির্যাস শুষে নিয়ে বিজেপি, এবং এই রাজ্যে তৃণমূল, হয়ে উঠেছে খানিকটা বেশি ফ্যাসিবাদী।
তবে মুশকিল হল, নির্বাচনী পাটিগণিত দিয়েই তো কেবল রাজনীতি নয়। তার বাইরেও অনেকখানি জমি থেকে যায়। একটা বামপন্থী রাজনৈতিক দল কত শতাংশ ভোট পেল বা পেল না, সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তেমনই ঠিক ততটাই বা তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ সে তার নিজের অতীতের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে কিনা, মতাদর্শের প্রশ্নে আপোস করছে কিনা, কেবলমাত্র আশু লাভ ক্ষতির হিসাব কষে শহীদ কমরেডদের অপমান করে ফেলছে কিনা — সেই আলোচনা। তাই মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি একের পর এক নির্বাচনী বিপর্যয়ের পর আবারও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবে কিনা, সেই আলোচনার চেয়ে কোনও অংশে কম গুরুত্বপূর্ণ নয় সাঁইবাড়ি এবং আহ্লাদিপুরের ইতিহাসের সামনে তার বিব্রত বোধ করার কারণ খোঁজা। এই অস্বস্তি, এই দ্বিধা, দু নৌকোয় পা রেখে চলতে চাওয়ার প্রবণতাকে এড়িয়ে গিয়ে সিপিআই (এম) এবং কংগ্রেসের সম্পর্ক নিয়ে কোনও আলোচনা হতে পারে না। হ্যাঁ, আমি জানি কমরেড মাও কুয়োমিংটাংয়ের সঙ্গে ঐক্য গড়েছিলেন, ১৯৬৬ সালে খাদ্য আন্দোলনে গুলি চালানো প্রফুল্ল সেনের সঙ্গে ঠিক ন বছর পরে মিছিলে হেঁটেছিলেন জ্যোতি বসু। কিন্তু তাঁরা ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে তোতলাননি, বিব্রত হননি। বিতর্ক এড়াতে শহীদদের অপমান করতে হয়নি তাঁদের৷ দুটি পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক শক্তি সময়ের প্রয়োজনে একে অন্যের হাত ধরতেই পারে। প্রশ্ন হল, তারা নিজেদের অতীতকে অস্বীকার করছে কিনা, ইতিহাসের সামনে বুক টান করে দাঁড়াতে পারছে কিনা।
কংগ্রেস কিন্তু পারছে। সাঁইবাড়ি বা আহ্লাদীপুর নিয়ে এই রাজ্যের কংগ্রেসিদের কোনও অস্বস্তি নেই। সিদ্ধার্থশংকর রায়ের জমানা নিয়েও তাঁরা দ্বিধাহীন। তাই বিকাশ ভট্টাচার্য যখন সাঁইবাড়ির ঘটনায় তাঁর দলের রাজনৈতিক অবস্থান সুস্পষ্টভাবে লেখেন, তাতে ক্ষুব্ধ হন কংগ্রেস নেতারা। সেই ক্ষোভ প্রকাশও করেন তাঁরা। সামাজিক মাধ্যমে, গণমাধ্যমে সর্বত্র। বিতর্ক এড়াতে চুপ করে থাকেন না। সিপিআইএম দলের নেতৃত্বের কাছে তাঁদের প্রতিবাদ পৌঁছে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রীতিমতো প্রদেশ কংগ্রেসের প্যাডে চিঠি লিখে দাবি করেছেন, বিকাশবাবু অসত্য বলছেন, ইতিহাসকে বিকৃত করছেন।
ঠিক এখানেই কংগ্রেস নেতৃত্ব সিপিএমের রাজ্য নেতাদের টেক্কা দিয়েছেন। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা বিতর্ক চান না। এই পুরনো ঘটনা এখন টেনে আনার কোনও অর্থ হয় না৷ ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি নিজের টুইটারে লিখেছেন, তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক প্রোফাইল পরিচালনা করেন একাধিক ব্যক্তি৷ তিনি কোনও “বিতর্কিত” বিষয় নিয়ে নিজে পোস্ট করেননি। বিকাশবাবু অবশ্য পোস্ট মুছে দেননি। জানিয়েছেন, সত্তর দশকের ইতিহাস ভুলতে তিনি রাজি নন।
প্রশ্ন হল, সূর্যকান্ত মিশ্র বা মীনাক্ষী মুখার্জি ঠিক কোন বিষয়টিকে “বিতর্কিত” বলছেন? তাঁরা কি মনে করেন সাঁইবাড়ির ঘটনা নিয়ে তাঁদের দলের অবস্থানে কোনও বিতর্কের অবকাশ রয়েছে? ১২ জুন আহ্লাদিপুর গ্রামে নব সাঁইয়ের নেতৃত্বে আক্রমণ কি হয়নি? মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সমর্থক ৭৫ বছরের বৃদ্ধ আনসার মির্জা, ৬৫ বছরের শরৎ দলুই খুন হননি? সৈয়দ মির্জা, শিবু রায়কে কংগ্রেস খুন করেনি ওই দিন? যদি সত্যিই আহ্লাদীপুরে একদিনে চারজনকে কংগ্রেসের হামলাকারীরা খুন করে থাকে, তাহলে এই ঘটনায় কি আদৌ বিতর্কের অবকাশ থাকছে, সূর্যবাবু? নাকি আপনি মনে করেন এই “পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে” অর্ধশতাব্দী আগের শহীদদের স্মরণ করার প্রয়োজন নেই?
সাঁইবাড়ির ঘটনায় দায় কাদের, সে আলোচনা করা এই প্রতিবেদকের উদ্দেশ্য নয়। আমার প্রশ্ন — মলয়,সাঁই, প্রণব সাঁই, জিতেন রায় এবং নব সাঁইকে “শহীদ” হিসাবে স্মরণ করতে কংগ্রেসের যদি কোনও সমস্যা না হয়, তাহলে আহ্লাদীপুরের ঘটনাকে কেন “বিতর্কিত” বলে মনে হচ্ছে সিপিএম নেতৃত্বের একাংশের? প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী শিবশঙ্কর চৌধুরী, উকিল ভবদীশ রায়, লক্ষ্মী নায়েকদের ভুলে যাওয়া কি জোটধর্ম পালন? ঠিক কোন বাধ্যবাধকতায় প্রদেশ কংগ্রেসকে পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে সিপিএমের রাজ্য কমিটি বলতে পারল না যে ইতিহাসকে ভুলে গিয়ে ফ্যাসিবাদ রোখা যায় না?
বস্তুত এই অস্বস্তির পিছনে কাজ করছে দীর্ঘ, শ্রমসাধ্য পথ হাঁটার বদলে শর্টকাটে গন্তব্যে পৌঁছতে চাওয়ার রাজনীতি। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ঠিক এই কারণেই। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে বঙ্গ সিপিএমের একাংশ স্লোগান তুলেছিলেন, তৃণমূল-বিরোধী সমস্ত শক্তিকে এক ছাতার তলায় আনতে হবে। আসন সমঝোতা হল। যদিও খাপছাড়া। পার্ক সার্কাস ময়দানে এক মালার নিচে দাঁড়ালেন রাহুল গান্ধী, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তারপর ভোটের ফল বেরোলে দেখা গেল সিপিএমের তুলনায় অনেক কম সাংগঠনিক শক্তি নিয়েও কংগ্রেস বেশি আসন পেয়েছে। জেলা ধরে ধরে হিসাব করলেই অঙ্কটা স্পষ্ট হয়। কংগ্রেসের ভোট বামেরা তেমন পাননি, কিন্তু বামেরা সাধ্যমত কংগ্রেসকে ভোট ট্রান্সফার করেছেন।
এরপর ২০১৯ সাল। কংগ্রেসের কাছে সিপিএমের আত্মসমর্পণের হাতে গরম উদাহরণ। কংগ্রেসের জেতা দুটি আসনে বামপন্থীরা প্রার্থী দিলেন না। কিন্তু কংগ্রেস বামেদের জেতা আসনে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দিল। বামেরা একটি আসনেও জিতলেন না, কংগ্রেস দুটি আসনে জিতল। রাজনৈতিক কৌশল বাদ দিন, ন্যূনতম আত্মমর্যাদা থাকলে এক গালে চড় খেয়ে আরেক গাল বাড়িয়ে দিতেন না সিপিএম নেতারা। এরপর এল ২০২১ সালের বহুচর্চিত বিধানসভা নির্বাচন। ততদিনে রাজ্যে বাম-কংগ্রেস একেবারেই প্রান্তিক শক্তি। তা সত্ত্বেও আব্বাস সিদ্দিকির দল আইএসএফকে নিয়ে প্রচারে ঝড় তুলল বামফ্রন্ট। ব্রিগেডের সভায় বক্তৃতা করলেন সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজার মত নেতা। কিন্তু রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরা কোথায়? তাঁরা তো অসম, কেরল নিয়ে ব্যস্ত। তৃণমূল, বিজেপির বিরুদ্ধে কোণঠাসা সংযুক্ত মোর্চা যখন লড়ছে, তখন রাহুল কার্যত এড়িয়ে গেলেন পশ্চিমবঙ্গকে। একদম শেষে বুড়ি ছুঁয়ে নাম কা ওয়াস্তে প্রচার।
সবমিলিয়ে এটা স্পষ্ট যে, বাম-কংগ্রেসের জোট এই রাজ্যে কংগ্রেসের কাছে বামপন্থীদের আত্মসমর্পণের উপর দাঁড়িয়ে গড়ে উঠেছে। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক ইস্যু তৈরি হয়েছে। কখনও বিষমদ, কখনও সারদা, কখনও সুদীপ্ত গুপ্ত খুন, কখনও নারদ। সেই সঙ্গে গণতন্ত্র ও জীবন-জীবিকার উপর ভয়াবহ আক্রমণ, নিয়োগ ও ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি৷ কিন্তু গত এক দশকে একটিও গণআন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি বামফ্রন্ট। মাঝেমধ্যে নবান্ন বা লালবাজার অভিযান, পুলিশি অত্যাচার এবং তারপর আবারও একটানা নিষ্ক্রিয়তা। এর মাঝে যখনই নির্বাচন এসেছে, তখনই শর্টকাটে, নির্বাচনী পাটিগণিতে তৃণমূলকে পরাস্ত করা চেষ্টা। তাই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট। কিন্তু নির্বাচনটা তো অঙ্ক নয়, রসায়ন। ২০১৬, ২০১৯ সালের ধাক্কার পর বাম নেতারা তা বোঝেননি। ২০২১ সালের পর কি বুঝবেন? সম্ভাবনা কম। কারণ জোটের রাজনীতি আর কেবল “আদর্শগত সরণে” আটকে নেই, শহীদদের অস্বীকারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। একদিকে যখন আহ্লাদীপুরের রক্তে ভেজা মাটিকে “বিতর্কিত” বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন, ঠিক তখনই আক্রান্ত হচ্ছে ভাঙড়। কার্যত কোনও প্রতিরোধ নেই। বাম নেতাদের পোস্টে আছড়ে পড়ছে কর্মীদের ক্ষোভ। নেতারা বিরক্ত হচ্ছেন, বিরক্তি প্রকাশ করেও ফেলছেন। কেউ কেউ “সমাজসেবী” ইঁদুর নিয়েও সোশাল মিডিয়ায় লিখছেন, কিন্তু ভাঙড়ে যেতে পারছেন না।
শুরু করেছিলাম বাইরের ঘরে ঝুলতে থাকা সাদাকালো ছবির কথা দিয়ে। সেই বাড়িটা আর নেই, ছবিটাও হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও, এই চার শতাংশ হয়ে যাওয়ার পরেও শহীদবেদীতে ফুল দেওয়ার লোকের অভাব নেই। আপনাদের কাছে যদি পার্টি কমরেডের লাশ হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে “বিতর্কিত” বলে মনে হয়, তাহলে স্পষ্টভাবে বলুন। রাখঢাক করবেন না। শহীদবেদী রক্ষার দায়িত্ব তাহলে আপনাদের সাধারণ কর্মীরাই নেবেন।
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।
খুব ভালো বিশ্লেষণ। বাম সমর্থক এবং সামান্য মাপের হলেও কর্মী হয়েও আমি কখনই কংগ্রেসের সাথে জোট কে সমর্থন করতে পারিনি। বিশেষ করে জাতীয় কংগ্রেসের বাংলার প্রতি বৈমাত্রিয় সুলোভ আচরণ দেখে। এটা জোট হয়নি। হয়েছে বামপন্থীদের মাটি ছেড়ে দেওয়া এবং সেই ফাঁকা মাটির ওপর কংগ্রেসের বেড়ে ওঠা। আর এই সমীকরণ টা যে বামপন্থী ভোটাররা কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে এবং উল্টোটা হয়নি সেটা আমরা চোখের সামনে দেখেছি।
কফিনের শেষ পেরেক ছিল আইএসএফ এর সাথে জোট। আইএসএফ কোনো রাজনৈতিক দলই না। পরিযায়ী পাখির মত ভোটের দু মাস আগে এসেছে, এবং তারপর হাওয়া হয়ে গেছে। রেড ভলেন্টিয়ারদের পাশে ওরা এখন দাঁড়াচ্ছে না কেনো? আমাদের ছেলেরা আইএসএফ এর এজেন্ট হয়েছে, ওদের হয়ে মার খেয়েছে। এটা যদি জোট হয় তাহলে এখন আমরা একা কেনো? এই জোটের ফলে আরও ভরাডুবি হলো। কারন সংখ্যালঘু ভোট টানতে পারেনি জোট। আর যেই ফ্লোটিং ভোটার বেস ছিল, যারা তৃণমূলের দুর্নীতি এবং বিজেপির মেরুকরণে অতিষ্ঠ হয়ে একটা alternative খুঁজছিল, তাদের ভোটও ঝুলি তে ঢোকেনি। আমাদের টিকে থাকতে গেলে একাই থাকতে হবে। কারন জোট বেঁধে যে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হলো সেটার প্রমাণ আমরা ১লা মেই পেয়ে গেছি।
নিবন্ধটি খুবই ভালো হয়েছে, তার সঙ্গে আরও কিছু যোগ করতে চাই – জাতীয় কংগ্রেসের আমাদের সঙ্গে জোট হওয়ার কারণে হয়তো সাঁই বাড়ি, আনন্দমার্গী হত্যা, মরিচঝাঁপী প্রসঙ্গে মিথ্যা কুৎসা গুলো উল্লেখ করছেনা, এই কংগ্রেস থেকে বেড়িয়ে যাওয়া অংশ তৃনমুল বা বিজেপি যখন সিপিআই (এম) এর বিরুদ্ধে এই কুৎসা গুলো তুলে ধরে, তখন আমাদের সত্যগুলো তুলে ধরতে হবে, সেই সময়ের কালপ্রিট গুলো তৃনমুল, বিজেপি, কংগ্রেস দলগুলোতে ছড়িয়ে আছে, সত্যটা তুলে ধরতে অসুবিধার কি আছে।