আমার বাল্য। আমার কৈশোর। পঞ্চাশ বছরেরও আগের কথা। মাসে একবার অন্তত শনিবারের দুপুরটা বয়ে নিয়ে আসত অভিযানের রোমাঞ্চ। কোথায় যাওয়া? না টালিগঞ্জ! তখন মামার বাড়ি ছিল ওখানে। মা আমাদের, মানে দিদি আর আমাকে নিয়ে যেতেন। ট্রাম বা বাস, যে-ভাবে হোক এসপ্ল্যানেড অব্দি পৌঁছনো, তারপর ২৯ নং ট্রামে চড়ে টালিগঞ্জ। চৌরঙ্গী দিয়ে সিধে ভবানীপুর হয়ে রাসবিহারী, আনোয়ার শাহ্-র মোড় ছাড়িয়ে শেষে টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপোয় যাত্রা শেষ। তেমন বেশি সময় লাগত না। কারণ গোটা পথেই ট্রামের জন্যে আলাদা কজ্ওয়ে। বাধাহীন গতিময় দৌড়। বিড়লা তারাঘর পর্যন্ত তো পশ্চিম দিক ঘেঁষে ময়দানের বনবীথি ছুঁয়ে মনোরম এক যাত্রা!

‘৭০-এর দশকে পাতাল রেলের কাজকম্ম শুরু হতে না-হতেই সব লন্ডভন্ড! বন্ধ হল এই রুট। চৌরঙ্গীতে মেট্রোর কাজ শেষ হওয়ার পরেও আর ফিরল না। টুকরো এক অংশে এসপ্ল্যানেড থেকে বিড়লা তারাঘর পর্যন্ত কিছুদিন টিমটিম করে চ’লে এই রুটের পরিসমাপ্তি। চৌরঙ্গী সম্পূর্ণত ট্রাম-মুক্ত। বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জের নয়া ট্রাম-রুট হল হেস্টিংস-মাঝেরহাট ব্রিজ-জাজেস কোর্ট রোড-হাজরা-রাসবিহারীর মোড় হয়ে। যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ, দীর্ঘ, ক্লান্তিকর সেই জার্নি। হাতে গোনা যাত্রী। ফলে আর টানা গেল না। এরপর জোকা মেট্রোর কাজে বেহালা, জোকার রুট বন্ধ। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ে নতুন ‘জয় হিন্দ্ সেতু’ মাথা তুলল। এতে কোনও ট্রামলাইন নেই। অতএব বেহালা, জোকার ট্রামপথে পূর্ণচ্ছেদ।

‘জুপিটার ও থেটিস’ গল্পে সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় আমাদের জন্ম-মৃত্যু আর দৈনন্দিন রক্তক্ষরণের সঙ্গে ওতপ্রোত করে দিয়েছেন কলকাতার ট্রামকে। তীর্থতরুণ নন্দী, ডাকনাম এঁড়ু— লেখকের বাল্যবন্ধু, ট্রামের ড্রাইভার। “তখন বেলা ৪টে হবে।…একজন ট্রাফিক পুলিস তখন পয়সা নিয়ে লরি-ড্রাইভারের সঙ্গে দরাদরি করছে। এতে এঁড়ুর ট্রাম অনেকক্ষণ আটকে থাকে। সে পুলিসকে তাড়াতাড়ি ট্রাম ছেড়ে দিতে বলেছিল। হ্যাঁ, একটু গলা চড়িয়েই।…প্রথমে সার্জেন্ট তারপর পুলিসরা সমবেত ভাবে তাকে পেটানো শুরু করল। ঘাড় ধরে মারতে মারতে তাকে কেবিনে তুলে দেওয়া হয়। তখন ওর মুখ রক্তে ভেসে যাচ্ছে। কাটা ঠোঁট ঝুলে রয়েছে।…আমি ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী।…কলকাতার ৩০০ বছর উপলক্ষে এই ঘটনাটি নিয়ে আমি একটি পেইন্টিং করব ঠিক করেছি।”
এই অবসরে গল্পকার কলকাতার ট্রামের সঙ্গে জন্মাবধি নিজের সম্পৃক্তি জানিয়েছেন। “ছোটবেলা থেকে ট্রামে চেপেছি, এটা এমনিতে বলার মতো কোনও ঘটনা নয়।…‘ছোটবেলা থেকে’ বলতে, আমি মীন করছি, আমার যখন ৭ দিন বয়স, সেই তখন থেকে।… কারমাইকেল থেকে ট্রামে চেপে হেদুয়া। তারপর…ট্রাম-স্টপ থেকে বাড়ি পর্যন্ত মা হেঁটে এসেছিলেন। বাবার কোলে মুড়িঝুরি দিয়ে আমি, নবপ্রজন্মের প্রথম পুত্রসন্তান।” হুবহু একই অনুষঙ্গে সন্দীপনের আরেকটি গল্প ‘আমার বন্ধু হানিফ’। “একজন সার্জেন্ট মোটর সাইকেল ছেড়ে ট্রামের কন্ডাক্টরকে কেবিন থেকে নামিয়ে প্রচণ্ড মারছে।” নিশ্চয়ই চোখে-দেখা কোনও বাস্তব ঘটনার অভিঘাত লেখকের কলমে ফিরে-ফিরে আসে!

এমনি ভাবেই কলকাতার ট্রাম আমাদেরকে আক্রান্ত করে চলে অহরহ। রাত থাকতে ওঠা, ফার্স্ট ট্রাম (বোধহয় ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ছাড়ত) ধরা, লাইন দিতে যাওয়া। শম্ভু মিত্র কিংবা ফিল্ম ফেস্টিভাল, নয়তো গড়ের মাঠের। গোটা স্কুলজীবনে যাতায়াতে ট্রামই ছিল ভরসা। ভাড়া ছিল ১০ পয়সা ফার্স্ট ক্লাসে, সেকেন্ড-এ ৮, দু’ পয়সার ফারাক। স্টপেজে ট্রাম থামলে ওঠা নয়, চলতে শুরু করলে তবেই। এমনটাই শিখিয়েছিল সিনিয়র দাদারা। রপ্ত হয়েছিল রানিংয়ে ওঠানামা। ‘বড় হয়ে ওঠা’র প্রথম ধাপ! ট্রামের গড়ন তখন ছিল কিছুটা ভিন্ন। লম্বাটে ধরণের, ল্যাকপ্যাকে। ফার্স্ট ক্লাসে দরজা ছিল একেবারে শেষে; সেকেন্ড ক্লাসে দু’টো দরজা, সামনে-পিছনে। সেকেন্ড ক্লাসটাই স্কুলগামীদের টানত। দু’ প্রান্তে দু’টো গেট। এ-গেট ও-গেট করে, কন্ডাক্টরকে ফাঁকি দিয়ে ভাড়াটা এড়ানো যেত। চলতি কথায় ‘ট্রামবাজি’। ছাত্রদের কাছে এ-ও ছিল ‘অবশ্যপাঠ্য’। ভাড়া দিলেও দু’ পয়সা বাঁচানো যেত সেকেন্ড ক্লাসে। এটাও লোভনীয়। তখন দু’ পয়সায় আমাদের অনেক কিছু হত। মাঝেমধ্যে উঠতেন ইন্সপেক্টর। টিকিট-পরীক্ষক। টিকিটটি নিয়ে, দেখে একটি বিশেষ যন্ত্রে পাঞ্চ্ করে দিতেন। ট্রামের এখনকার যে-সুঠাম গড়ন, তা নির্মিত হতে থাকে ’৭০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে। উপাদানেও বদল আসে, কাঠের বদলে ইস্পাত। নতুন মডেলের নাম হল ‘সুন্দরী ট্রাম’। তো সেই সুন্দরীর আকর্ষণ ছিল বটে!
১৯০২-এ কলকাতায় বৈদ্যুতিক ট্রামের সূচনা। তখন থেকেই রক্ষণাবেক্ষণ এবং নির্মাণের কীর্তিকাহিনিতে ভরপুর নোনাপুকুর ওয়ার্কশপ। কলকাতার এক গর্বও বটে! এরই গা দিয়ে বেরিয়ে এসেছে বিজলি রোড, ট্রামলাইন-সমেত। শহরের নানাবিধ পরিবর্তনের পরেও এই একটি রাস্তাই ছিল কালো ব্লক-পাথর দিয়ে বাঁধানো। ‘পুরনো কলকাতা’র শুটিংয়ের জন্যে এই রাস্তা ছিল অবশ্যগন্তব্য। কিছুদিন আগে গিয়ে দেখলাম, সব ভোঁ-ভাঁ। অ্যাসফ্যাল্ট-মণ্ডিত হয়ে গিয়েছে এ-রাস্তা!

সেকেন্ড ক্লাসে নিত্যদিনের সওয়ার বিভিন্ন পেশার ‘খেটে-খাওয়া’ মানুষজন। মালপত্তরও উঠত যথেষ্ট। কোনও মুটে হয়তো কোথাও মাল নামিয়ে, খালি ঝাঁকা-টা নিয়ে উঠেছে। কোনও কারবারি পায়ের কাছে দু’টো ঠাসা থলে নিয়ে বসে। লোহালক্কড়, বস্তা, বাক্স— সব কিছুরই যেন অবাধ প্রবেশ এই সেকেন্ড ক্লাসে! মাথার ওপরে কিন্তু ঘুরন্ত পাখা ছিল না। অন্য দিকে, ফার্স্ট ক্লাসে ‘ভদ্রলোক’ ও ‘বাবু’ শ্রেণির প্রাধান্য। পাখা ঘুরত বনবন। যেন কমফোর্ট ক্লাস! তখনকার বিশিষ্টজনেরা অনেকেই ট্রামে-বাসে নিত্য যাতায়াত করতেন। উস্তাদ মুস্তাক আলি খাঁ সাহেবকে দেখেছি বেলগাছিয়া-কলেজ স্ট্রিট-এসপ্ল্যানেড পথের ১ নং ট্রামে— পাইকপাড়ায় নর্দার্ন অ্যাভিনিউয়ের ওখানটায় থাকতেন— দিনমানে কালচে কাচের চশমা— ড্রাইভের পিছনে বাঁ ধারে জানলার কোনও সিটে বসে। সেনিয়া ঘরানার ধারক ও বাহক, সেতার ও সুরবাহারের কিংবদন্তি শিল্পী ট্রামে চড়ে যাতায়াত করছেন! তখন ভিড়ও হত বটে! অফিস টাইমে তো দম-বন্ধ-করা ভিড়। মনে আছে এক সন্ধেয়, সালটা ১৯৮০, এসপ্ল্যানেডের গুমটি থেকে কলেজ স্ট্রিটের ট্রামে প্রথম কামরায় বসে আসছি। নিউ সিনেমার ওখান থেকে (এখন ওই ল্যান্ডমার্কটা অবলুপ্ত, ম্যাডান স্ট্রিট বললে ভালো) উঠলেন ড. প্রতাপচন্দ্র চন্দ্র। একাই। কালো ওয়েস্ট কোট, কালো প্যান্ট— আইন-জগতের পরিচ্ছদ। দরদর ঘামছেন। বেজায় ভিড় ট্রামে। মাসকয়েক আগেও ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। ভিড় ঠেলে কোনও ক্রমে কিছুটা ভিতরে এলেন। আমরা সিট ছেড়ে দিয়ে বসতে অনুরোধ করলাম। বললেন, এক্ষুনি তো নামব! দাঁড়িয়েই রইলেন। ওনাদের পৈতৃক নিবাসের ওখানে নেমে গেলেন। আজকের গ্রাফে এ-সব প্লট করা যাবে তো? রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত দীর্ঘকায়, ভিড়ের ট্রামে ভিতরে না-গিয়ে ফুটবোর্ডেই স্বচ্ছন্দ থাকতেন। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক দৌহিত্রকে মাঝেমধ্যে দেখতাম চালকের কেবিনে দাঁড়িয়ে যাতায়াত করতে— বোধহয় কোনও পরিচিতির সূত্রে।
এসপ্ল্যানেডের ট্রামগুমটি-র আকর্ষণ ছিল অন্য, বিশেষত সন্ধে নামলে। আঁধার ছেয়েছে, নির্জন হয়ে উঠছে চারপাশ— গাছগাছালি, বনবীথি সব যেন নিশ্চুপ, ভেসে আসছে হাসনুহানার গন্ধ— তারি মধ্যে আলোময় দ্বীপের মতো জেগে রয়েছে দোতলা ট্রামগুমটি তার নিজস্ব স্থাপত্যশৈলী নিয়ে, চুড়োর দিকে সেই চৌকোপানা ঘড়ি, শুভ্র আলোর উদ্ভাস তাতে— ট্রাম বাঁক নিচ্ছে, লাইন ও চাকার ঘর্ষণে রণিত হচ্ছে ষড়জের অদ্ভুত তারস্বর! কাচের বয়েম-হাতে লজেন্সবিক্রেতা অফিস-ফেরতা যাত্রীদের কাছে দিনের শেষ বিক্রিটুকু করে নিচ্ছেন। মায়াবী কলকাতার একটুকরো ছবি।
এখনও মান্থলি কাটা হয়? এখনও অল ডে টিকিটের চাহিদা আছে? এখনও রাত্তির এগারোটার আশেপাশে শেষ গাড়ি বেরিয়ে যাবার সঙ্গে-সঙ্গে বিকট ঘড়ঘড় শব্দে ট্রাম ডিপোর সিংহদরজা বন্ধ হয়? এখনও কি প্রবীণ সেই সব মানুষ একটানা ট্রামযাত্রায় সান্ধ্য ভ্রমণে এসপ্ল্যানেড ঘুরে বাড়ি ফেরেন? বাগবাজারের টার্মিনাস থেকে হুগলি নদী আর সার্কুলার ক্যানালের সঙ্গম কি এখনও দৃশ্যমান? কলকাতার ট্রাম যেন উপনিবেশের উপজাতক! কলোনিয়াল যে-ক্রুশকাঠ আমরা বয়ে নিয়ে চলেছি, সেই যাত্রাপথে ট্রামগাড়ি আমাদের বিশ্বস্ত বাহন। এই মোতাবেক ‘ব্যবহারিক সভ্যতা’কে প্রাধান্য দিয়ে থাকে কলকাতার ট্রাম। বছর-তিরিশেক আগে অ-কুলীন প্যাসেঞ্জারদের দৌরাত্ম্যে দু’জনের সিটে সরে বসতে বলার রেওয়াজ শুরু হয়েছিল। অর্থাৎ ‘দু’টোকে তিনটে’। ট্রামের পোক্ত যাত্রীরা এই ‘অসভ্যতা’ বেশিদিন চলতে দেননি।
এখনকার অনেক রুটই কাটা (Truncated) রুট । আগে উত্তরের বাগবাজার বা বেলগাছিয়া থেকে সবচাইতে দক্ষিণের বালিগঞ্জ বা টালিগঞ্জ— প্রতিটি রুটই ছিল নিজেদের মধ্যে সংযুক্ত। প্রয়োজনে ট্রাম ঘুরিয়ে দেওয়া যেত অন্য রুট দিয়ে। এখন তা আর সম্ভব নয়। গড়িয়াহাট আর বালিগঞ্জের কোনও যোগ নেই এখন, ফ্লাইওভারের কারণে। বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে ট্রামলাইন লুপ্ত। গ্রে স্ট্রিট, চিৎপুর, বাগবাজারের গাড়ি চলে না। হাতিবাগান দিয়ে চিৎপুরের গাড়ি আর বাঁক নেয় না। হাওড়া ব্রিজের ট্রাম তো আজ ইতিহাস! ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কাজশেষে বি-বা-দী বাগে ট্রাম আর ফিরবে কিনা সন্দেহ। দু’টো রুটের মোড়ে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষায় হাজির লাইনম্যান লম্বাটে এক শাবল দিয়ে রুট ঘুরিয়ে দিতেন। কাটা রুটে বোধ করি তাদের আর প্রয়োজন নেই। একসময়ে সুন্দর এক ট্যাগলাইন ছিল : ‘Calcutta is CTCity’। এই বাক্যবন্ধ আজ অচল। CTC আর নেই, WBTC-র অঙ্গীভূত।

তবু এখনও এসপ্ল্যানেড-খিদিরপুর ট্রামপথটি যেন কলকাতার রত্নহার। হেস্টিংস পর্যন্ত তো বটেই! ময়দানের বুক চিরে, বনস্পতির ডালপালা ছুঁয়ে মেদুর এই বনপথ। হয়তো এই পথেই ঘটেছিল সেই ঘটনা! অনেক আগে পড়া একটি ছোটগল্প। লেখক কে, মনে নেই। মেয়েটির বিয়ে হয়েছে সম্প্রতি। ট্রামের যাত্রী। কানে আসে সহযাত্রী এক তরুণের গুনগুন। খেয়ালের একটি বন্দিশ। এই বন্দিশই আধখানা শেখা অবস্থায় বিয়ে হয়ে অন্যত্র চলে এসেছে সে। বাকি অংশের জন্যে ব্যাকুলতা। আজ সেই সুযোগ! মন চাইছে, ছেলেটির সঙ্গে আলাপ করতে। কিন্তু পারছে না।
১৪ অক্টোবর ১৯৫৪। রাসবিহারী অ্যাভিনিউ। ভরসন্ধ্যায় অপঘাতী ভূমিকায় কলকাতার ট্রাম। গুরুতর আহত জীবনানন্দ দাশ মারা গেলেন তার আট দিন বাদে, ২২ তারিখ। ট্রামের জন্য আলাদা কজ্ওয়ে সেখানে আর নেই, লাইন আজ রাস্তার সমতলে স্থিত। ও-পথে এখন দৌড়য় শুধুমাত্র বালিগঞ্জ-টালিগঞ্জ রুটের ট্রামগাড়ি।

নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
প্রিয় পাঠক,
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
রেজিস্টার করুন আমাদের ওয়েবসাইটে
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।
খুব ভালো লাগলো।