“আশ্বিনের ‘পরিচয়’ খুলে দেখলুম রুদ্রমশাই আবার আমার পিছনে লেগেছেন।” বাংলা ভাষায় সিনেমা সমালোচনা সাহিত্যের ইতিহাসে এই নয় শব্দের বাক্যবন্ধটিকে সবচাইতে বিখ্যাত, আলোচিত এবং বহুপঠিত লাইন বললে সম্ভবত অত্যুক্তি করা হবে না। একথা সুবিদিত যে ১৯৬৪ সালে পরিচয় পত্রিকায় ‘চারুলতা প্রসঙ্গে’ নামক যে দীর্ঘ প্রবন্ধের অবতারণা করেন চারুলতা ছবির পরিচালক সত্যজিৎ রায়, এটি ছিল তার প্রথম লাইন। অথবা অন্যভাবে বলা যায়, প্রথম অনুচ্ছেদের একমাত্র লাইন। তাঁর খোলাখুলি আক্রমণের লক্ষ্য ছিলেন পণ্ডিত ও সুলেখক অশোক রুদ্র, যিনি চারুলতা মুক্তি পাওয়ার পর বেশ কিছু অকরুণ সমালোচনায় সত্যজিৎকে বারবার বিদ্ধ করেছিলেন। উত্যক্ত সত্যজিৎ এরপর কলম ধরেন এবং রীতিমত কঠিন ভাষায় সেই সমালোচনার জবাব দেন। একেবারে শুরুতেই বলে দেন, “রুদ্রমশাই সাহিত্য বোঝেন কিনা জানি না; সিনেমা তিনি একেবারেই বোঝেন না। শুধু বোঝেন না নয়, বোঝালেও বোঝেন না। যাকে বলে একেবারে বিয়ন্ড রিডেম্পশন্।”
যাক সে কথা। অতি পরিচিত এই প্রবন্ধ যুদ্ধ নিয়ে বিস্তারিত বলার প্রয়োজন নেই। তবে পাশাপাশি একটা কথা অবশ্যই বলা যায়, বাংলা ভাষায় সিনেমা সমালোচকদের মধ্যে অশোকবাবুই একমাত্র ব্যক্তি নন, যিনি সত্যজিতের বিরক্তির কারণ হয়েছিলেন। এই বিশেষ সমালোচনাটির আগে এবং পরে, বহু ক্ষেত্রেই দেখা গেছে বাংলা পত্রপত্রিকায় তাঁর ছবিগুলির যে সমস্ত সমালোচনা প্রকাশিত হয়েছে, তার অনেকগুলিই সত্যজিৎবাবুকে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ করেছে, এবং সেকথা তিনি নির্দ্বিধায় বলতেও কসুর করেননি। সত্যজিৎ রায়ের সবচেয়ে বড় গুণ ছিল, ছবি এবং তৎসংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে তিনি তাঁর মনের কথা স্পষ্ট ভাষায় সোজাসুজি বলতে কখনও দ্বিধা বোধ করতেন না; নিছক ভদ্রতার খাতিরে চুপ করে থাকা তাঁর ধাতে ছিল না, আবার ব্যক্তিগত আক্রমণও পারতপক্ষে এড়িয়ে চলতেন। তবে একথা অনস্বীকার্য, সামগ্রিকভাবে বাংলা ভাষায় সিনেমা সমালোচনার মান সম্বন্ধে তাঁর খুব একটা উচ্চ ধারণা ছিল না। কথাটা তিনি তাঁর ৭২ বছর বয়সের জীবনে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বহুবার খোলাখুলি জানিয়েছেন।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
আমরা দেখতে পাই ১৯৬৯-৭০ সালে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে সত্যজিৎ দেশীয় সমালোচকদের নিয়ে মন্তব্য করছেন, “আমার বহু ছবিতে নানারকম ইন্টারেস্টিং জিনিস আছে, যেগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো যায় ও অ্যানালাইজ করা যায় – আজ পর্যন্ত কেউ করেনি। (অথচ) কোনো- কোনো ক্ষেত্রে অসুবিধে থাকলেও বোঝার ব্যাপারে পশ্চিমী সমালোচকদের পেনিট্রেশন অনেক বেশি – যা বলতে চাই তা হঠাৎ কেমন করে (ওরা) বুঝে ফেলে।”
এখানেই থেমে থাকেননি সত্যজিৎ। এই একই সাক্ষাৎকারে যথেষ্ট ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, “কিন্তু আমাদের এখানে একটা বিশেষ সিচুয়েশন রয়েছে – এখানে আর কেউ নেই আমাকে সাপোর্ট করবার। এমন কোনো রিভিউ হবে না, যেখানে জিনিসটার মূল বিচার হবে ঠিকভাবে – যথাযথভাবে।”
সত্যি কি এতটাই নিকৃষ্ট ছিল বাংলা সিনেমা সমালোচনার মান, যে হতাশ সত্যজিৎ এইভাবে এক কথায় নাকচ করে দিয়েছেন যাবতীয় দেশীয় সমালোচককূলকে? পরবর্তীকালে কিন্তু একটা ব্যাপার যথেষ্ট লক্ষ্য করা গেছে। খ্যাতির শীর্ষে থাকা সত্যজিতের ছবির খুব বেশি বিরূপ সমালোচনা কিন্তু বাংলা পত্রপত্রিকার পাতায় তেমনভাবে নজরে পড়েনি। তাঁর প্রতিটি ছবিকেই যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিচার করেছে বাংলা সংবাদমাধ্যম এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছবিগুলি তাদের ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে। অনেক সময় তো এমন অভিযোগও উঠেছে, যে তেমন কিছু না বুঝেই সমালোচকরা সত্যজিতের ছবির বিষয়ে লিখতে গিয়ে “অসাধারণ”, “কালজয়ী”, ইত্যাদি বিশেষণ জুড়ে দেন, কারণ সেটাই হল সবচাইতে নিরাপদ পথ, এমনটা লিখলে অন্যরকম কোনো প্রশ্ন উঠবার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।
সন্দেহ নেই ছবি, সঙ্গীত, সাহিত্য, শিল্প ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়ে সত্যজিৎ স্রেফ নিজ গুণে তাঁর জীবনকালেই এমন একটা উচ্চতায় পৌঁছেছিলেন যে একটা সময় সাধারণের মনে হত তিনি এক পাহাড় সমান ব্যক্তিত্ব, যা ধরাছোঁয়ার বাইরে; তাঁর প্রয়াণের পরে যে ব্যাপারটা আরও বেশি প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। আবার পাশাপাশি একথাও ঠিক, তাঁর কেরিয়ারের একটা সময় ছিল, যখন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসাবে সত্যজিতের হিমালয়সম অস্তিত্ব অনুধাবন করবার মত প্রয়োজনীয় শিক্ষার অভাব ছিল তাঁর স্বদেশবাসীদের অনেকের মধ্যেই। ফলত যা হবার তাই হয়েছে, সত্যজিতের বহু চিরকালীন, মহান ছবিকে সহ্য করতে হয়েছে এমন কিছু লিখিত সমালোচনা, যা শুধু বিশ্রী এবং অবমাননাকর নয়, এককথায় মূর্খতার নামান্তর মাত্র। সত্যজিৎ যদি বিভিন্ন সময়ে এই সমালোচকদের প্রতি তাঁর তিক্ততা প্রকাশ করে থাকেন, তবে মোটেই তাঁকে দোষ দেওয়া যায় না; বরং লালমোহনবাবুর কথা একটু ঘুরিয়ে বলা যায়, এরপরেও যদি মেজাজ না হারাই, তবে মেজাজ জিনিসটা আছে কী করতে!
এমনই এক উদ্ভট সমালোচনার প্রকৃষ্ট নমুনা দেখা যায় তাঁর প্রথম এবং অনেকের মতে তাঁর শ্রেষ্ঠ ছবি পথের পাঁচালী নিয়ে কিছু লেখাতে। এখানে আলোচ্য দুটি সমালোচনাই প্রকাশিত হয়েছিল একটি অধুনালুপ্ত সর্বজনপ্রিয় বাংলা দৈনিকে। প্রথমটি ছাপা হয় এক ঐতিহাসিক দিনে — ১৯৫৫ সালের ২৬ আগস্ট, ওইদিন কলকাতায় মুক্তি পায় পথের পাঁচালী। পরেরটি প্রকাশিত হয় ওই বছরেরই সেপ্টেম্বর মাসের নয় তারিখ। সম্ভবত কালের বিচারে সমালোচনাগুলি গুরুত্বহীন এবং এগুলির ঐতিহাসিক মূল্য যৎসামান্য। তবুও এগুলি এতদিন বাদে নেড়েচেড়ে দেখবার কারণ একটাই — বুঝতে অসুবিধা হয় না নামবিহীন এই সমালোচক এক বিখ্যাত সংবাদপত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও আদতে তাঁর ফিল্ম সম্বন্ধীয় জ্ঞান ছিল নিতান্ত সীমিত। সত্যজিতের আবির্ভাব আসলে ভারতীয় ছবির জগতে কতটা যুগান্তকারী ঘটনা, সেই সম্বন্ধে সম্যক ধারণা করবার মত প্রয়োজনীয় ধ্যানধারণাও তাঁর ছিল না বলেই মনে হয়।
পথের পাঁচালী মুক্তির দিন অন্তত গোটা সাত-আট নতুন ছবি নিয়ে পাতা জুড়ে লিখেছেন সমালোচক মহাশয়। সেখানে সত্যজিতের ছবি সম্বন্ধে তাঁর বক্তব্য নেহাত দায়সারা। এতটাই উদাসীন যে ছোট দুর্গার চরিত্রে রুনকি বন্দোপাধ্যায়ের একটি ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে ছবিটি সত্য রায় পরিচালিত। বরং তপন সিংহ পরিচালিত উপহার ছবিটি নিয়ে সমালোচক নিতান্ত গদগদ। তাঁর কথায়, ছবির কাহিনীকার শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় নাকি বলবেন, “উপহার-এ আমি যা প্রকাশ করতে পারিনি, কানু বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ শিল্পীরা এবং পরিচালক তপন সিংহ সেই অসাধ্য সাধন করেছেন”। দেখা যাচ্ছে, ওই ছবির কানু বন্দোপাধ্যায় সমালোচক মহাশয়কে মুগ্ধ করলেও পথের পাঁচালী–র কানু বন্দোপাধ্যায় তাঁর মনে তেমন ছাপ ফেলতে পারেননি। ছোট্ট একটি অনুচ্ছেদের মধ্যে বলার মত একটি লাইনই লেখা হয়েছে। “ছবিটির সাফল্য সম্পর্কে এই কথা উল্লেখ করাই যথেষ্ট যে, নিউইয়র্কে ভারতীয় শিল্প প্রদর্শনীর উৎসবে এই চিত্র অনন্যসাধারণ শিল্পসৃষ্টি বলে আখ্যাত হয়েছে।” এই এক অনুচ্ছেদের সমালোচনার আর একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়, পরিচালকের নামের বানানটি ভুল লেখা হয়েছে।
দেখা যাচ্ছে সপ্তাহ দুয়েক বাদে, অর্থাৎ ৯ সেপ্টেম্বর সমালোচক পথের পাঁচালী নিয়ে আর ততটা উদাসীন নন। নাতিদীর্ঘ একটি সমালোচনা তিনি লিখলেও, লেখাটির ঠিক উপরে পাতার প্রধান ছবি হিসাবে ছাপা হয়েছে দস্যু মোহন ছবিতে দুই বিশিষ্ট চরিত্রে দীপক মুখার্জি ও প্রদীপকুমারের। সে যা-ই হোক, লেখাটির শুরুতে বলা হয়েছে, “চলচ্চিত্রায়ণে নতুন একটা দৃষ্টিভঙ্গী, বিশেষ একটা ধারা, একটা ভিন্ন জাতেরই ছবির চেহারা উপস্থিত করে দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত “পথের পাঁচালী” ছবিটির মাধ্যমে — সাধারণ প্রমোদ চিত্রের সঙ্গে যার কোনো তুলনাই চলে না। এ যেন কোনো দরদী খেয়ালী শিল্পীর আনমনে এঁকে যাওয়া মনোরম মাধুর্যময় করুণ এক পল্লীচিত্র — প্রকৃতি মানুষের রূপ-রস, আশা ও বেদনায় যা সকরুণ, স্বতঃস্ফূর্ত যার আবেদন শিল্পসচেতন মনে। পরিচালক নিজে ব্যক্তিগত জীবনে একজন কৃতী শিল্পী; তাই সম্ভব হয়েছে এমনই অভিনব একখানি ছবি, চিত্ররাজ্যে যাকে একখানি স্বতন্ত্র সৃষ্টি বলেই অভিহিত করা যায়। গল্প নির্বাচন, অভিনয় ও আলোকচিত্র নিয়ন্ত্রণ, বিন্যাস ও সঙ্গীত পরিচালনা — প্রতিটি বিভাগে এমন একটা স্বাতন্ত্র্যের পরিচয় পাওয়া যায়, পৃথিবীর কোন বিশেষ একখানি পূর্ণাঙ্গ চিত্রেই যা ইতিপূর্বে এক সঙ্গে পাওয়া যায়নি। আর এই স্বাতন্ত্র্যের মধ্যে যা সব চাইতে দৃষ্টিতে পড়ে তা হচ্ছে সংযম। একটা অদ্ভুত, একটা বিস্ময়কর সংযমের পরিচয় রেখে দিয়েছেন এই শিল্পী-পরিচালক তাঁর প্রতিটি বিভাগের কার্য নিয়ন্ত্রণে।”
বলা বাহুল্য, সমালোচনার শুরুতে যা লেখা হয়েছে, তা যে কোন নবীন পরিচালকের পক্ষে নিঃসন্দেহে শ্লাঘার বিষয়। কিন্তু এই অবধি। এরপর ছবির ত্রুটিবিচ্যুতির কথা বলতে গিয়ে এমন কিছু কথা লেখা হয়েছে, যা পড়ে আজ ৬৬ বছর পরেও যে কোনো সিনেমা উৎসাহীর চক্ষু ছানাবড়া হতে বাধ্য।
ইন্দির ঠাকরুণের মৃত্যু দৃশ্য নিয়ে লিখতে গিয়ে সমালোচক জানাচ্ছেন, “কিন্তু তবুও যেভাবে সর্বজয়া এই অশীতিপর মৃত্যুমুখী বৃদ্ধাকে নিজহাতে জল গড়িয়ে নেবার প্রস্তাব জানালো – সর্বজয়ার পক্ষে শত ওকালতিতেও তার নিষ্ঠুরতা খন্ডন করা যাবে না। আর নিঝুম এক বাঁশবনে ক্ষণকাল পরেই পরিচালক এই বৃদ্ধার যে মৃত্যুকান্ড ঘটালেন, সেও এক হত্যাকান্ড বলে ধারণা হওয়া বিচিত্র নয়। ছবিটি যথাসম্ভব বিভূতিভূষণের রচনার বাস্তবতা রক্ষা করেই গৃহীত হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনা দুটি সেই বাস্তবতা রক্ষা করেছে কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহের কারণ আছে। আর তা যদি না হয় তবে এই দৃশ্য দুটিকে এই অনবদ্য চিত্রের এক অতি কলঙ্কজনক ঘটনা বলে চিহ্নিত করে দেওয়া বোধ করি অন্যায় হবে না।”
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন, কিন্তু এখানেই শেষ নয়। সমালোচক আরও বলেছেন, এই ছবির আর একটি অসুবিধা হল, “ছবিতে কোনো একটানা গল্প পাওয়া যায় না, যাও বা একটু দেখা যায়, তারও যোগসূত্র যেন বিচ্ছিন্ন।”
ষাটের দশকের মাঝামাঝি “পরিচালকের দৃষ্টিতে সমালোচক” নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন সত্যজিৎ। সেখানে তিনি বলছেন, “…কিন্তু সমালোচকের নিন্দা ও প্রশংসার পিছনে যদি যথার্থতার সিলমোহর না থাকে, তবে তা পরিচালকের বিরক্তি উৎপাদন করা ছাড়া আর কোনো কাজে আসে না।….উপন্যাস ও ছোটোগল্পকে চিত্ররূপ দিতে হলে শিল্পের খাতিরে যে পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়, তা বহুকাল থেকেই বিদেশে স্বীকৃত হয়ে এসেছে। কিন্তু আমাদের দেশের সমালোচক আজও এই পরিবর্তনের শিল্পগত প্রয়োজনটা মেনে নিতে পারেননি। অপু কাহিনীত্রয় বা রবীন্দ্রনাথের ছোটোগল্পের চিত্ররূপ দেবার পর আমাকে তাই প্রতিবারই সমালোচকের বিস্তারিত তিরস্কার সহ্য করতে হয়েছে এবং প্রতিবারই মনে হয়েছে যে, চোখের সামনে চিত্ররূপ এবং হাতের কাছে মূল গল্পটি থাকার দরুন দুই-এর বৈসাদৃশ্যের সহজ ফিরিস্তি দিয়ে সমালোচক তাঁর মূল দায়িত্বটুকু সম্পূর্ণ এড়িয়ে কতকগুলি অপ্রাসঙ্গিক আপাত সারগর্ভ কথার সাহায্যে কলাম ভরানোর কাজটি সেরে নিচ্ছেন।”
সরাসরি কারুর নাম না করলেও, সত্যজিৎ রায় কোন সমালোচকদের উদ্দেশ্য করে এই কথাগুলি লিখেছিলেন, বুঝতে অসুবিধা হয় না।
সত্যজিৎ রায় – পথের পাঁচালী ও জন্ম শতবর্ষ (ছবি Wikipediaথেকে)
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।