ফ্যান্টাসি লিগের জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে গেমিং আর জুয়ার প্রভেদ ঝাপসা হয়ে চলেছে, বিশেষ করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি স্তরে আইনি জটিলতার কারণে। এদিকে এই “দক্ষতার খেলা”-য় অংশ নিয়ে বিপুল দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচিত হচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। এ বিষয়ে তৎসৎ ক্রনিকল ওয়েবসাইটে ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত এই প্রবন্ধ সম্পাদকের অনুমতিক্রমে পুনঃপ্রকাশিত হল
গত ১৬ অক্টোবর অন্ধ্রপ্রদেশের একজন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র মাত্র একুশ বছর বয়সে দেনার দায়ে আত্মহত্যা করেছে। দেনার পরিমাণ ছিল ৮০,০০০ টাকা এবং কারণ ছিল অনলাইন গেমের নেশা। তামিলনাড়ুতে বছরখানেকের মধ্যে অনলাইন গেমের নেশায় ঋণের ফাঁদে পড়ে আত্মহত্যার সংখ্যা ৩০। গত তিন বছরে সারা ভারতে ক্রিকেট বেটিং, ফ্যান্টাসি লিগ ও অন্যান্য অনলাইন গেমের সঙ্গে জড়িয়ে প্রায় ৬৮ জন আত্মহত্যা করেছেন আর্থিক সংকটের কারণে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন রাজ্যে সমস্তরকম অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করেছেন অক্টোবর মাসে।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
গতবছর জুলাই মাসে রাজস্থান হাইকোর্টের এক রায়ে ড্রিম ইলেভেন নামক ফ্যান্টাসি লিগ প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে বলা হয়, এ ধরনের প্ল্যাটফর্মে খেলার জন্য বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন, সুতরাং নিছক জুয়া একে বলা যায় না। সুপ্রিম কোর্টও এই রায়ে সায় দেয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লীর কংগ্রেসি লোকসভা সদস্য সুব্বুরামন থিরুনাভুক্কারাসার, অনলাইন গেমের চক্করে আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে বৈদ্যুতিন এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের কাছে জবাবদিহি চান। কিন্তু উক্ত মন্ত্রকের তরফে সঞ্জয় ধোতরে তাঁর জবাবে মূল সমস্যা এড়িয়ে গিয়ে অনলাইন গেমিং এবং জুয়ার উপর নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য রাজ্য প্রশাসনকেই দায়ী করে বলেন “সংবিধানের সপ্তম তফসিল অনুযায়ী বাজি ধরা (বা বেটিং) এবং জুয়া খেলার (বা গ্যাম্বলিং) বিষয়টি রাজ্যের আওতায় পড়ে। বিভিন্ন রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন করেছে। পুলিস এবং আইনশৃঙ্খলাও রাজ্যের বিষয়। সুতরাং প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ এবং তদন্তের দায়ও রাজ্য প্রশাসনের উপরেই বর্তায়। সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবার দায় আইন বলবৎকারী সংস্থাগুলোর। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এ ব্যাপারে অবগত নয়।”
কিন্তু অনলাইন এবং অফলাইন জুয়ার মধ্যে প্রযুক্তিগত তফাতের কারণে যে জটিলতা, সেই বিষয়টি এই জবাবে সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাওয়া হয়। অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মের হোস্ট সার্ভারগুলো বেশিরভাগই বিদেশি, কিন্তু বিভিন্ন মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার ভারতীয় নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই সেগুলো দেশের মধ্যে ব্যবহৃত হয়। সুতরাং কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রভেদ এখানে ঝাপসা। তদুপরি এই সমস্ত প্ল্যাটফর্মে ক্রিকেটের উপর বেটিংয়ের জন্য যে সরাসরি সম্প্রচার ব্যবহার করা হয় তা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন, কারণ ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইন এবং ২০২১ সালের ডিজিটাল মাধ্যম বিষয়ক নির্দেশিকা অনুযায়ী সম্প্রচার সংক্রান্ত নীতি নির্ধারিত হয়। কাজেই রাজ্য সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না।
“এই খেলায় আর্থিক ঝুঁকি আছে এবং আসক্তি তৈরি হতে পারে। সতর্কভাবে নিজ দায়িত্বে খেলুন।” এই মর্মে একেবারে ছোট ছোট অক্ষরে যে বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ লেখা হয় ফ্যান্টাসি লিগের বিজ্ঞাপন সম্প্রচারের সময়ে, তা চোখে না পড়াই স্বাভাবিক। কাজেই এই জাতীয় বিজ্ঞাপন গেমিংয়ের সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে দর্শককে যথাযথভাবে অবগত করে না। বিশিষ্ট আইনজীবী বিদুষ্পতি সিংঘানিয়ার মতে “গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলোর সম্প্রচারের উপর বিধিনিষেধ থাকা উচিত। প্ল্যাটফর্মগুলোরও উচিত একজন ব্যক্তি কতটা বাজি ধরতে পারবেন তার ঊর্ধ্বসীমা দিয়ে দেওয়া এবং অংশগ্রহণকারীদের আর্থিক সঙ্গতি সম্বন্ধে পরিসংখ্যান নিয়ে তাদের অতিরিক্ত বাজি ধরা থেকে বিরত রাখা। যেমন, একজন অংশগ্রহণকারীর পরিবার থেকে যদি একটি গেমিং প্ল্যাটফর্মের কাছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সমন্ধে অভিযোগ আসে, তাহলে প্ল্যাটফর্মটির এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারা উচিত। জীবনহানি মেনে নেওয়া যায় না।” এই পরামর্শগুলো বাস্তবে প্রয়োগ করা কিন্তু ততটা সহজ নয়। জুয়া বা বাজিতে জড়িত ব্যক্তি অধিকাংশ সময়েই পরিবারের লোককে এ ব্যাপারে জানান না। তাছাড়া, অংশগ্রহণকারীদের প্রদত্ত সব তথ্য খুঁটিয়ে দেখা সবসময় সম্ভব না-ও হতে পারে।
২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটে অ্যানিমেশন, ভিজুয়াল এফেক্ট, গেমিং এবং কমিক সেক্টর (AVGC) বিষয়ক একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করার কথা বলা হয়েছে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে এই সেক্টরগুলোয় উন্নততর পরিষেবা প্রদানে তরুণ প্রজন্মকে সমর্থ করে তোলার জন্য নীতি নির্ধারণই হবে সেই টাস্ক ফোর্সের লক্ষ্য। তথ্যসম্প্রচার মন্ত্রকের তরফেও অনুরূপ একটি কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। এপ্রিল মাসে হিমাচল প্রদেশের ভারতীয় জনতা পার্টির লোকসভা সদস্য সুরেশ কুমার কাশ্যপ দেশি ও বিদেশি গেমগুলোর বিষয়ে সরকারি অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি তোলেন। উত্তরে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানান “অনলাইন গেমিংয়ের ক্ষেত্রটিতে দ্রুত প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ঘটছে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে স্টার্ট আপগুলোকে সাহায্য করতে ভারত সরকার বদ্ধপরিকর। বর্তমানে ভারতে ৭০,০০০ নতুন উদ্যোগ রয়েছে যার মধ্যে ৯৩টি বিশেষভাবে সফল। প্রায় ১০০০টি উদ্যোগ অনলাইন গেমিং সংক্রান্ত যারা, অনেক বিনিয়োগও পাচ্ছে।” সরকারি মতে ভারতের গেমিং ইন্ডাস্ট্রি এই মুহূর্তে ১.৫ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব উৎপাদন করতে সক্ষম, যা আগামী তিন বছরের মধ্যে পাঁচ বিলিয়নে পৌঁছতে পারে। ই-গেমিং ফেডারেশনের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, চলতি দশকের শেষে ভারতের অন্তত ৬০ কোটি মানুষ অনলাইন গেম খেলবে। ই-গেমিং ফেডারেশনের মুখ্য আধিকারিক সমীর বারদে জানান “স্টার্ট আপ ক্ষেত্রের অঙ্গ এবং আগামীদিনে আরও সম্প্রসারিত হতে চলেছে। জুয়া ভারতে বেআইনি, কিন্তু খেলা তো বেআইনি নয়। এ দুটি ক্ষেত্র ভিন্ন এবং ভিন্ন হারে জিএসটিও লাগু হয়।”
গেমিংয়ে জিএসটির হার ১৮% আর বাজি ও জুয়া, যা সম্ভাবনার খেলা বলে নথিভুক্ত, তার জিএসটির হার ২৮%। রাজ্যসভার সদস্য বিবেক তানখার প্রশ্নের উত্তরে এই জিএসটির হারে তফাতের বিষয়টি লোকসভায় তুলে ধরে অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন “করের আওতায় আসা যে কোনো কাজে যুক্ত ব্যক্তিমাত্রই নির্ধারিত হারে জিএসটি দিতে বাধ্য। কাজেই তারা (অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলো) নিজ নিজ মূল্যায়নের ভিত্তিতে জিএসটি দিতে এবং নিজেদের ক্রেতাদের উপরেও তা ধার্য করতে বাধ্য।” তিনি আরও জানান যে সংবিধানের সপ্তম তফসিলের দ্বিতীয় তালিকার যথাক্রমে ৩৪ এবং ৬২ নম্বরে বাজি ধরা ও জুয়ার বিষয়টি উল্লিখিত আছে। অধিকাংশ রাজ্য সরকার এই দুই বিষয়ে নিজস্ব আইন চালু করেছে ১৮৬৭ সালের পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্টের উপর ভিত্তি করে। কিছু কিছু রাজ্য তাদের নিজস্ব নীতিও প্রণয়ন করেছে। যা সিকিম অনলাইন গেমিং আইন ২০০৮, মেঘালয় গেমিং নিয়ন্ত্রণ আইন ২০২১, নাগাল্যান্ড অনলাইন গেমিং নিয়ন্ত্রণ এবং জুয়া নিষিদ্ধকরণ আইন ২০১৫ ইত্যাদি থেকে বোঝা যায়। কিন্তু জিএসটি সর্বত্রই কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ভাগাভাগি হয়। এই নানারকম আইনি কচকচির সুযোগ নিয়ে বড় সংস্থাগুলো অনেকসময়ই বেটিংকে গেমিংয়ের নাম দিয়ে চালায়। ২০১৩ সালের আইপিএল ম্যাচ-ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে বাজি ও জুয়াকে আইনসম্মত করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইন কমিশনকে একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করার ভার দেয়। ২০১৮ সালের সেই রিপোর্টে আইন কমিশন বাজি ও জয়াকে আইনসম্মত করার বিরুদ্ধে এবং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার পক্ষে মত দিলেও কমিশনের তৎকালীন মুখ্য উপদেষ্টা জাস্টিস বলবীর সিং চৌহান বাজি ও জুয়া নিষিদ্ধকরণে রাজ্যগুলোর ব্যর্থতার নিরিখে এগুলোকে আইনসম্মত করার বিষয়টি লোকসভার উপর ছেড়ে দেন। শুধুমাত্র ভারতীয় সংস্থাগুলোকেই এ ধরনের ব্যবসার অনুমতি দেওয়া, সমস্ত আর্থিক আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে প্যান ও আধার সংযুক্তি বাধ্যতামূলক করা এবং বাজি ধরা অর্থের পরিমাণের উর্ধ্বসীমা এবং সময়সীমা নির্দিষ্ট করার সুপারিশও করা হয়।
অক্টোবরে তামিলনাড়ুতে অনলাইন গেমিং নিষিদ্ধ হওয়ার এক মাস আগেই ই-স্পোর্টস প্লেয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন রাজ্য সরকারকে অনলাইন গেমিংকে অপরাধ হিসাবে না দেখার অনুরোধ জানায়। তাদের যুক্তি ছিল, অনলাইন গেমিং দক্ষতাভিত্তিক খেলা এবং একে জুয়ার সঙ্গে এক করে দেখা ঠিক নয়। ওই অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক শিবানী ঝা এক সাক্ষাৎকারে টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে বলেন “অনলাইন গেমিংয়ের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যখন ভারত অংশ নিচ্ছে এবং নতুন নতুন গেম তৈরি করছে, প্রশাসনিকভাবে অনলাইন গেমিংয়ের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা উচিত। পেশাদার, অপেশাদার এবং অনিয়মিত – সব ধরনের অনলাইন গেমকেই জুয়া সংক্রান্ত আইনি বিধিনিষেধ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আমরা তামিলনাড়ু সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি।”
আরো পড়ুন শচীনের প্যান্ডোরার বাক্স অগণিত ভক্তের পক্ষে হৃদয়বিদারক
নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর ভারতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘ডিজাইন ইন ইন্ডিয়া’, ‘মেক ফর ইন্ডিয়া’, বা ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ ইত্যাদি নানা লেবেল লাগিয়ে অনলাইন গেমিংকে মদত দিচ্ছে ভারত সরকার। সম্প্রতি নীতি আয়োগ, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এবং অটল উদ্ভাবন অভিযান যৌথ উদ্যোগে ডিজিটাল ইন্ডিয়া আত্মনির্ভর ভারত অ্যাপ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ আয়োজিত করে জনপ্রিয় অ্যাপগুলোকে চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে। অ্যাপ ডেভেলপারদের জন্য আর্থিক পুরস্কার ছাড়াও নানারকম সুযোগসুবিধা দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে একটি ছিল ‘গেমস’ এবং এই বিভাগে বিজয়ীর শিরোপা পায় হিটউইকেট সুপারস্টার্স নামে একটি অ্যাপ।
এ থেকে স্পষ্টতই মনে হয় অনলাইন গেমিংকে ভারত সরকার একটি সোনার ডিম দেওয়া হাঁস হিসাবেই দেখছে এবং তরুণ প্রজন্মকে অর্থনৈতিক ঝুঁকি ও আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেওয়ার ব্যাপারে উটপাখির মত বালিতে মুখ গুঁজে থাকছে। একদিকে গেমিং ইন্ডাস্ট্রি ভারতকে এক বিশাল বাজার হিসাবে দেখছে, অন্যদিকে ভারতের আইন এই ক্ষেত্রের বিপদগুলোর মোকাবিলা করতে অক্ষম। বলা বাহুল্য, এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকির খেলা আর দক্ষতার খেলার মধ্যেকার সীমারেখা ক্রমশই ঝাপসা হতে থাকবে আর অনলাইন গেমিংয়ের দৌলতে দেউলিয়া হয়ে আত্মহত্যার সংখ্যা ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর পরিসংখ্যানে জায়গা করে নেবে।
মতামত ব্যক্তিগত
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।