সেপ্টেম্বর মাসের চার তারিখ ভারতীয় ফুটবলের একটি স্মরণীয় অথচ বিস্মৃতপ্রায় দিন। আজ থেকে ঠিক ষাট বছর আগে এমনই এক দিনে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা শহরে ফুটবলে এশিয়া মহাদেশের সেরার মুকুট মাথায় উঠেছিল ভারতের। যে প্রবল রাজনৈতিক টানাপোড়েন, অশান্তি ও বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে সেদিন এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ের স্বপ্নকে সফল করে ঘরে ফিরেছিলেন অধিনায়ক চুনী গোস্বামী ও তাঁর ১৫ জন সতীর্থ, তা আজ এতবছর বাদে রীতিমত রূপকথার গল্পের মত মনে হয়।
১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের বিভিন্ন বাজারদরের দিকে চোখ রাখলে অনেকেই হয়ত পরশুরামের ‘বিরিঞ্চিবাবা’ গল্পের মত সেই সময়টায় ফিরে যেতে চাইবেন। ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৬২, অর্থাৎ যেদিন প্রায় লাখখানেক চরম বৈরী মনোভাবাপন্ন দর্শকের উপস্থিতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলতে নেমেছিল ভারতীয় দল, সেদিন এদেশে সোনার বাজার দর ছিল ভরিতে ১২৭.৩৫ টাকা। অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতি শব্দটা তখনো বর্তমান সময়ের মত গলার ফাঁস হয়ে দেখা দেয়নি; স্বাধীনতার ১৫ বছর অতিক্রান্ত, দেশ সুখ ও সমৃদ্ধির দিকে শনৈঃ শনৈঃ এগিয়ে চলেছে, একথা বিশ্বাস করেন এমন নাগরিকের সংখ্যা তখনো ক্রমহ্রাসমান নয়।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি তখন মোটেই অতটা উজ্জ্বল নয়। কিংবদন্তি কোচ রহিম সাহেব যখন তাঁর ম্যানেজারবিহীন ১৬ জনের দল নিয়ে অগাস্টের তৃতীয় সপ্তাহে জাকার্তার উদ্দেশে রওনা দিলেন, তখন দেশের ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা ক্রমবর্ধমান। ভারত-চীন একদা মধুর সম্পর্ক তখন বেশ তিক্ত, যার শেষ অবধি পরিণতি অক্টোবর-নভেম্বর মাসের সীমান্ত সংঘর্ষে। সারা দেশ জুড়ে তখন কমিউনিস্টদের প্রতি অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে, যার প্রত্যক্ষ প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায় এশিয়ান গেমস চলাকালীন জাকার্তার মাটিতেও। ভারতবিরোধী আন্দোলনে তখন উত্তাল সমগ্র ইন্দোনেশিয়া। উন্মত্ত জনতা ভারতীয় দূতাবাসে ঢুকে পড়ে যথেচ্ছ ভাঙচুর চালাচ্ছে, ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা কোনো পদক জিতলেই দর্শকরা তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছেন। ভারতের অনেক নেতাই তখন প্রকাশ্যে অভিযোগ করছেন যে এই হঠাৎ ভারতবিদ্বেষের পিছনে আদতে রয়েছে লাল চীনের হাত। তারাই নাকি ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় ফ্রন্ট সরকারকে পিছন থেকে উসকে দিচ্ছে। চুনী-পিকে-বলরামরা সেদিন এই প্রবল বিক্ষোভ, গালাগালি, ইঁট পাটকেলের তোয়াক্কা না করে যেভাবে বুক চিতিয়ে লড়াই করে স্বর্ণপদক নিয়ে ঘরে ফিরেছিলেন, তার তুলনা স্বাধীনতার পরে ভারতীয় ক্রীড়া ইতিহাসে আর দ্বিতীয় নেই। কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয়, সেদিন মধ্যবিত্ত অথবা নিম্নমধ্যবিত্ত ঘর থেকে উঠে আসা একদল চাকুরীজীবী ফুটবলার, যাঁদের গড় বয়স ছিল মাত্র ২৬ বছর, এক অচেনা পরিবেশে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে যে পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন, তার সঠিক মূল্যায়ন আজও হল না।
শুধু জাকার্তায় পা দিয়ে নয়, যাবার আগেই ধাক্কা খেয়েছিল ফুটবল দল। সে দলে ছিলেন পিটার থঙ্গরাজ, জার্নাল সিং, অরুণ ঘোষ, প্রশান্ত সিংহ, ইউসুফ খান, প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, চুনী গোস্বামী, তুলসীদাস বলরামের মত তাবড় ফুটবলাররা। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল, যে মনে হচ্ছিল শেষ অবধি ফুটবল দলের জাকার্তা যাওয়া আটকে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকার জানাচ্ছেন তাঁদের ভাঁড়ে মা ভবানী, বৈদেশিক মুদ্রা বাড়ন্ত, সর্বোপরি ক্রীড়ামন্ত্রকের স্থির বিশ্বাস, ফুটবল দল এশিয়ান গেমসে গিয়ে একেবারেই সুবিধা করতে পারবে না। সব মিলিয়ে ৮১ জনের দল পাঠাবার কথা ঘোষণা করেছিল ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। সরকার বেশকিছু নাম তৎক্ষণাৎ বাদ দিয়ে দিল। তাঁদের বক্তব্য, এত কর্মকর্তার জাকার্তা যাবার কোনো প্রয়োজন নেই। ফুটবল দল পুরোটাই বাদ পড়ে যেত। শেষ অবধি তৎকালীন আইএফএ সভাপতি অতুল্য ঘোষ দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, অর্থমন্ত্রী মোরারজি দেশাই প্রমুখের কাছে দরবার করে চুনী গোস্বামীদের যাওয়া পাকা করলেন। তবে ম্যানেজারের বাদ পড়া আটকানো গেল না। শুধু কোচ সম্বল করে উড়ে গেল ভারতীয় দল, ম্যানেজার নুরুল আমিন যোগ দিলেন বেশ কদিন বাদে।
রেকর্ড বলছে জাকার্তা পৌঁছে প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে দু গোলে হেরে অভিযান শুরু করেছিল ভারত। কিন্তু তার চেয়েও অনেক বেশি দুর্ভোগ মাঠের বাইরে ভারতীয়দের জন্য অপেক্ষা করছিল। অন্যান্য অনেক গেমসের মতই সেবারও অ্যাথলিটদের পরিচয়পত্রই ছিল ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশের ভিসা। কিন্তু গেমস শুরু হবার আগে দেখা গেল পরিচয়পত্র পাননি তাইওয়ান ও ইজরায়েলের অ্যাথলিটরা। অর্থাৎ গেমসের দরজা তাঁদের কাছে কার্যত বন্ধ। ইজরায়েল তখনো এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করে। তারা এবং তাইওয়ান মিলে তীব্র প্রতিবাদ জানাল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছে। এশিয়া মহাদেশে অনেকে চুপ করে থাকলেও এই প্রতিবাদে গলা মেলালেন হাতে গোনা কয়েকজন, যাঁদের মধ্যে অন্যতম ভারতের গুরুদত্ত সোঁধি। তিনি এশিয়ান গেমসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং গেমস ফেডারেশনের সহসভাপতি। তাঁর বক্তব্য ছিল এশিয়ান গেমস রাজনীতির আখড়া নয়, তাইওয়ান ও ইজরায়েলকে অংশগ্রহণের সুযোগ না দিয়ে খেলোয়াড়ি মনোভাবের পরিচয় দেননি জাকার্তা গেমসের আয়োজকরা। প্রয়োজনে এই গেমসের নাম থেকে এশিয়ান শব্দটি বাদ দেওয়া হোক – এমন প্রস্তাব তিনি সভায় আনবেন বলে হুমকিও দিয়ে রাখলেন সোঁধি।
ব্যাস, অগ্নিতে ঘৃতাহুতি ঘটল সমগ্র ইন্দোনেশিয়া জুড়ে। সোঁধি যেহেতু ভারতীয়, তাই স্থানীয় জনতা যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দেওয়া শুরু করল ভারতের অ্যাথলিটদের বিরুদ্ধে। অবস্থা এমন দাঁড়াল যে ভারতীয় অ্যাথলিটদের যাতায়াতের জন্য বাসগুলিতে ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা লাগানো বন্ধ করে দিতে হল। জার্নালের মত ফুটবলার, যাঁকে তাঁর দীর্ঘ বেণীর জন্য সহজেই ভারতীয় বলে চেনা যায়, তাঁকে মাঠে যাবার সময় জনতার চোখে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বাসের মধ্যে লুকিয়ে বসে থাকতে হত। সবমিলিয়ে অসহ্য মানসিক চাপের মধ্যে পড়ে গেলেন ভারতীয়রা সবাই।
এর উপর গেমস চলাকালীন ইন্দোনেশীয় সরকারের একপেশে মনোভাব পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলল। ভারত সরকার ইতিমধ্যেই পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন, এশিয়ান গেমসের রাজনীতি এবং তাইওয়ান ও ইজরায়েলের অনুপস্থিতি নিয়ে সোঁধি যা বক্তব্য রেখেছেন, তা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত মত, এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু রাষ্ট্রপতি সুকর্ণর অধীনে ইন্দোনেশিয়ার তৃতীয় কার্যনির্বাহী ক্যাবিনেট সেকথা শুনতে একেবারেই নারাজ। সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তো বলেই ফেললেন, তিনি নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সঙ্গে আর কোনো প্রকার বাণিজ্যিক আদানপ্রদান যেন না হয়। এই ঘোষণার পর রীতিমত স্তম্ভিত ভারত সরকার। এদেশে কিছু মানুষ তখনই বলতে শুরু করেছেন, ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় ফ্রন্টের ভিতর থেকে বামপন্থীরা এই ভারতবিরোধী কুৎসায় নেতৃত্ব দিচ্ছে।
সমগ্র ইন্দোনেশিয়া জুড়ে তখন ভারতবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে, জাকার্তা শহরের প্রধান সড়কগুলির প্রতিটি মোড়ে ভারতকে এশিয়ান গেমসের শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করে লিফলেট বিলি হচ্ছে। অথচ তারই মধ্যে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে রহিম সাহেবের ভারত। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে পরাজিত হবার পর ঘুরে দাঁড়াবার লড়াই শুরু করলেন চুনী গোস্বামীরা। দ্বিতীয় ম্যাচে ৪-১ গোলে উড়ে গেল থাইল্যান্ড, চব্বিশ ঘণ্টা কাটবার আগেই শক্তিশালী জাপানকে দু গোলে হারিয়ে দিল ভারত। সেমিফাইনালে দক্ষিণ ভিয়েতনাম প্রচন্ড লড়াই দিল। কিন্তু থাইল্যান্ড ম্যাচে গুরুতর চোট পাওয়া জার্নাল মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে ফরোয়ার্ড লাইনে নেমে অসাধারণ ফুটবল খেললেন, ৩-২ গোলে জিতে ফাইনালে চলে গেল ভারত।
আরো পড়ুন নীরব প্রতিবাদী বলরাম
৪ সেপ্টেম্বর ফাইনাল খেলতে নামার ঠিক আগের দিন সবচেয়ে বড় আঘাত নেমে এল ভারতের ওপর। সোঁধির বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রায় হাজার কুড়ি মানুষের একটি মিছিল প্রতিবাদপত্র দেবার নাম করে ভারতীয় দূতাবাসে ঢুকে যথেচ্ছ ভাঙচুর চালিয়ে গেল। জানলা, দরজা, আসবাবপত্র ইত্যাদি তো নষ্ট করা হলই, বেশ কিছু দামী শিল্পকর্ম চুরি হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ জানালেন দূতাবাসের কর্মীরা। একদল বিক্ষোভকারী ভারতের পতাকা নামিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার উপক্রম করছিল, সৌভাগ্যবশত ইন্দোনেশিয় পুলিশ তাদের আটকে দেয়। ভারতীয় রাজদূত এবি পন্থ তখন দূতাবাসে ছিলেন না। তিনি পরে সরকারিভাবে প্রতিবাদ জানালেন, ইন্দোনেশীয় সরকার দুঃখপ্রকাশও করল। কিন্তু পারস্পরিক কূটনৈতিক অবিশ্বাস তখন চরমে।
এই পরিবেশে পরদিন চুনী-প্রদীপরা যখন জাকার্তা নগরীতে ফাইনাল খেলতে নামছেন, তখন দিল্লিতে লোকসভায় ইন্দোনেশিয়ার ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নেহরু। বিপক্ষ নেতা ইন্দ্রজিৎ গুপ্তের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি পরিষ্কার জানান, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রীড়া প্রশাসক হিসাবে সোঁধি তাইওয়ান ও ইজরায়েলের এশিয়ান গেমসে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে যা বলেছেন, তা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত মত। ভারত সরকার এর সঙ্গে একেবারেই জড়িত নেই।
কিন্তু কে শোনে কার কথা! বিকেলবেলা মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই সেনায়ান স্টেডিয়ামে উপস্থিত প্রায় লাখখানেক দর্শক অকথ্য ভাষায় আক্রমণ শুরু করলেন ভারতীয় দলকে। তাতে অবশ্য কোনো লাভ হয়নি। রহিম সাহেবের ছাত্ররা সেদিন ভারতের ক্রীড়া ইতিহাসে নিজেদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। এঁরা কেউ কোটি কোটি টাকার পেশাদার ফুটবলার ছিলেন না। কেউ ছিলেন ব্যাংককর্মী, কেউ রেলের চাকুরে, কেউ বা পুলিস অথবা সেনাবাহিনীতে সামান্য কর্মচারী। কিন্তু মনের দিক থেকে এঁরা ছিলেন পুরোদস্তুর পেশাদার। আঘাত এলে প্রত্যাঘাত করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা ছিল না। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ১৭ মিনিটের মধ্যে প্রদীপ বন্দোপাধ্যায় ১-০ গোলে এগিয়ে দিলেন ভারতকে, তিন মিনিট বাদেই জার্নালের দ্বিতীয় গোল। শেষ অবধি ২-১ গোলে জিতে, দ্বিতীয় এবং এখনও অবধি শেষবারের মত, ফুটবলে এশিয়ান গেমসের সোনার পদক গলায় পরে নিলেন ভারতের ছেলেরা।
এখানেই শেষ নয়। ম্যাচের পরেও গ্যালারির উত্তেজনা প্রশমিত হয়নি। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বাজবার সময় দাঁড়িয়ে উঠে সম্মান না জানানোর জন্য একদল স্থানীয় দর্শকের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন জনা দুয়েক ভারতীয় সেনা অফিসার। পুলিস এসে অনেক কষ্টে দুদলকে আলাদা করে দিল। এরই মধ্যে বলরাম ও ফ্রাঙ্কো, যাঁরা ছিলেন দলের মধ্যে হরিহর আত্মা এবং দুজনের চেহারার মিলের জন্য সতীর্থদের ঠাট্টার পাত্র, ঠিক করলেন টিম বাসে না উঠে গলায় সোনার মেডেল ঝুলিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেমস ভিলেজে ফিরবেন। যেমন কথা তেমনি কাজ। ফ্রাঙ্কো পরে জানিয়েছেন, রাস্তায় গালাগালি দেওয়া তো দূরের কথা, বেশ কিছু স্থানীয় মানুষ এগিয়ে এসে অভিনন্দন জানিয়েছেন, পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন।
সেদিনের জাকার্তা জয় করে আসা ১৬ জন বীর সন্তানকে আজ কজনই বা মনে রেখেছেন!
মতামত ব্যক্তিগত
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।