কয়েক বছর হল খুব ঢাকঢোল পিটিয়ে ‘যোগ দিবস’ পালন করা হয়। এবছর সম্মিলিত জাতিপুঞ্জে আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (২১ জুন) পালন করলেন এবং বললেন ‘য়োগা’ পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। যদিও কীভাবে করবে তা উনি বলেননি। ঠিক যেমন বলেছিলেন বিমুদ্রাকরণের ফলে সমস্ত কালো টাকা ধরা পড়বে, কিন্তু কীভাবে তা বলেননি। এই যোগ দিবস পালন করতে সেদিন কারা উপস্থিত ছিলেন? সারা বিশ্বের বেশকিছু অতি ধনী এবং ক্ষমতাবান ব্যক্তি, যাদের দেখলেই কবি সুকান্তের সেই বিখ্যাত লাইনটা মনে পড়ে যায় “সবচেয়ে ভালো খেতে গরীবের রক্ত”। তারা ‘য়োগা’ করে পৃথিবীতে শান্তি স্থাপন করতে পারলে আর আলাদা করে কালো টাকার মালিক থাকবে না এ তো অতি সত্য কথা। এইভাবে ‘য়োগা’ দিবসের সাথে বিমুদ্রাকরণের যোগসূত্র স্থাপন করা সম্ভব। ঘোষক তো একই লোক।

আমরা আগে যাকে যোগব্যায়াম বলতাম এখন সেটা ‘য়োগা’ বা ‘যোগা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিবর্তন খুব সুচিন্তিত। ব্যায়াম কথাটা তুলে দিয়ে একে শুধু শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় কসরতের থেকে বিচ্ছিন্ন করে জুতে দেওয়া হল ধর্মের সঙ্গে, অবৈজ্ঞানিক চিন্তার সঙ্গে। তা না হলে সাধারণ ব্যায়াম পদ্ধতি নিয়ে কিছু লেখার দরকার পড়ে না, সে কাজের জন্য শারীরশিক্ষা বিশারদরা আছেন। কিন্তু এটা আর শারীরশিক্ষার বিষয় হয়ে নেই। কারণ আমাদের জনপ্রিয় ও ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর দলের অতি শক্তিশালী প্রচারমাধ্যম যেভাবে ‘য়োগা’-র সঙ্গে হিন্দুত্ব মিশিয়ে প্রচারে নেমেছে, তাতে ছোটবেলায় খোখো, কবাডি ও গাঁদি খেলার সুবাদে আমারও ‘য়োগা’ নিয়ে লেখার অধিকার জন্মেছে। শুধু তাই নয়, লিখতেই হবে কারণ নতুন শিক্ষানীতিতে ‘য়োগা’-কে যেভাবে ‘স্কিল’ হিসাবে স্নাতক স্তরের ক্রেডিট রেটিংয়ের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে সার্বিকভাবে ক্রীড়া শিক্ষা বা শারীরশিক্ষার কথা চিন্তা করা হয়নি। বরং এটা করা হয়েছে তথাকথিত প্রাচীন হিন্দু ভারতের গৌরবগাথা শেখানোর নামে উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদকে উস্কে দেওয়ার জন্য। তা না হলে য়োগার বদলে ফুটবল, ক্রিকেট বা আদ্যোপান্ত ভারতীয় খেলা খো খো, কবাডি বা ভারতীয় মার্শাল আর্ট কালারিপাত্তু থাকতে পারত। কিন্তু নেই। সেই কারণেই ‘য়োগা’ আর শারীরশিক্ষার বিষয় নয়। তাই বিশদে আলোচনা করা দরকার এর সঙ্গে প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের গৌরবগাথা কীভাবে কতটুকু জড়িয়ে আছে।

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন

~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

‘য়োগা’-র প্রাচীনতার প্রমাণ হিসাবে পতঞ্জলির যোগসূত্র নিয়ে অনেকে আলোচনা করছেন, যদিও পতঞ্জলি যোগসূত্রের প্রথম লেখক নন। তার সঙ্গে আরও আগের লোক ব্যাসের নাম জড়িয়ে আছে। যা-ই হোক, পতঞ্জলির ভাষ্য অনুযায়ী যোগের লক্ষ্য হল “যোগ চিত্তবৃত্তি নিরোধঃ”। হিন্দু দার্শনিকদের কাছে যোগের গুরুত্ব ধ্যানের প্রণালী হিসাবে। অর্থাৎ যোগের লক্ষ্য সুস্থ, নীরোগ জীবন উপভোগ করা নয়; বৈরাগ্যসাধন। সেইজন্যই বর্তমান সরকারের আমলে সুচিন্তিতভাবে যোগব্যায়ামকে য়োগায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। যোগতত্ত্বের প্রাচীনতা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ শারীরিক কসরতের বিদ্যা থেকে অবৈজ্ঞানিক “চিত্তবৃত্তি নিরোধঃ” তত্ত্ব বাতিল করে যোগের বৈজ্ঞানিক শারীরিক কসরতের অংশটা গ্রহণ করবে – সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু উগ্র হিন্দুত্ববাদী আরএসএস-বিজেপির নীতিই হল বৈজ্ঞানিক যুক্তিবোধকে নাকচ করা। শারীরিক কসরতের উপর প্রাচীন গৌরবগাথার স্ট্যাম্প মেরে উগ্র জাতীয়তাবাদী উন্মাদনা তৈরি করা। সেইজন্যই ‘ভারতীয় জ্ঞান পদ্ধতি’ তথা ‘হিন্দু দর্শন’-এর অংশ হিসাবে একে দেখানোর চেষ্টা চলছে। কিন্ত সত্যিই কি প্রাচীন গৌরবগাথার অংশ হতে পারে যোগ?

যোগের লক্ষ্য সুস্থ, নীরোগ জীবন উপভোগ করা নয়; বৈরাগ্যসাধন। সেইজন্যই বর্তমান সরকারের আমলে সুচিন্তিতভাবে যোগব্যায়ামকে য়োগায় রূপান্তরিত করা হয়েছে।

একটু খুঁটিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, যোগ নামক শারীরিক কসরতে অঙ্গ সঞ্চালন থাকলেও শরীর সঞ্চালন, মানে দৌড়ঝাঁপ, বিশেষ নেই। সেখানেই যোগাসন খেলাধুলোর অংশ হিসাবে বিকশিত হতে না পেরে বিচ্ছিন্ন হয়। একে বরং ভারতীয় দুর্ভাগ্য বলে চিহ্নিত করা যেতে পারে।

এবার আসি যোগের আরও গুরুত্বপূর্ণ অংশে। পতঞ্জলির বা অন্যান্যদের যোগসূত্র বিকশিত হয় আজ থেকে দু-আড়াই হাজার বছর আগে। অদ্ভুত সমাপতন যে ভারতীয় উপমহাদেশে জন্মভিত্তিক বর্ণবাদ ওই সময় থেকেই গেড়ে বসে। বিভিন্ন বর্ণের মানুষের মধ্যে বিয়ে বন্ধ হয়ে যায় এবং যোগও ব্রাহ্মণদের হস্তগত হয়। কারণ যোগ চিত্তকে আত্মা থেকে বিচ্ছিন্ন করে আত্মার কাছে সমর্পণ করে। আত্মার স্বরূপ হচ্ছে “চিত্তবিকার নিরুদ্ধঃ”। যোগশাস্ত্রে বলা আছে দুঃখময় সংসার পরিত্যাজ্য। (সূত্র: যোগদর্শন)। স্বামী বিবেকানন্দও বলেছেন “আর এই জীবনে প্রকৃত ভোগসুখ হতেই পারে না। ভোগসুখের অন্বেষণ বৃথা, ইহাই জগতের প্রাচীন উপদেশ; কিন্তু মানুষের পক্ষে ইহা ধারণা করা অতি কঠিন। যখন সে ইহার ধারণা করিতে পারে, তখন সে জড় জগতের অতীত হয়ে যায়। যেগুলিকে সাধারণতঃ গুহ্যশক্তি বলে,… বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখিয়া পতঞ্জলি এই গুহ্যশক্তিলাভের সম্ভাবনা স্বীকার করিয়াছেন। কিন্তু এই সকল শক্তির প্রলোভন হইতে সাবধান করিয়া দিতেও তিনি ভুলেন নাই।” (পৃষ্ঠা ২১, ‘পাতঞ্জল যোগসূত্র’; স্বামী বিবেকানন্দ, স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা) তিনি এই প্রবন্ধে আরও লিখেছেন “… ইহার প্রণালী এই মনকেই ধ্যানের বিষয় কর, … যখনই মনে কোন চিন্তা আসবে , তাহা দমিত কর, মনের ভিতর কোন চিন্তা আসিতে না দিয়া উহাকে সম্পূর্ণরূপে শূন্য কর, যখনই আমরা যথার্থরূপে ইহা সাধন করিতে পারব, সেই মুহূর্তে আমরা মুক্তিলাভ করব” (পৃষ্ঠা ২২)। আর এই মুক্তির মানে বিবেকানন্দ বলছেন “… মনের ভিতর এমন কোন সংস্কারবীজ থাকে না, যাহা হইতে এই জীবন লতিকা পুনঃ পুনঃ উৎপন্ন হইতে পারে” (পাতা ২৩)। অর্থাৎ মোক্ষ, নির্বাণ।

নতুন শিক্ষানীতিতে ‘য়োগা’-কে যেভাবে ‘স্কিল’ হিসাবে স্নাতক স্তরের ক্রেডিট রেটিংয়ের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে সার্বিকভাবে ক্রীড়া শিক্ষা বা শারীরশিক্ষার কথা চিন্তা করা হয়নি। বরং এটা করা হয়েছে তথাকথিত প্রাচীন হিন্দু ভারতের গৌরবগাথা শেখানোর নামে উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদকে উস্কে দেওয়ার জন্য।

সুতরাং শরীরের সুস্থতার সঙ্গে হিন্দু দর্শনে বর্ণিত যোগের যোগসূত্র খুবই সীমিত। জীবনকে সুস্থভাবে উপভোগ করার কোনো ব্যাপার তার মধ্যে নেই। উল্টে শরীর থেকে মনকে, চিত্তকে বিচ্ছিন্ন করে জগৎ মিথ্যা – এই তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করাই যোগদর্শনের লক্ষ্য, অর্থাৎ মোক্ষই লক্ষ্য। প্রাচীনকালে যাদের নিম্নস্তরের জ্ঞান তথা সাধারণ শিক্ষারই অধিকার ছিল না, সেই দলিত বা অব্রাহ্মণরা কী করে মোক্ষলাভ করতে পারে? ফলে যোগাভ্যাস সম্পূর্ণভাবে উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে বিযুক্ত তৎকালীন ব্রাহ্মণ মুনি ঋষিদের হাতে গিয়ে পড়ে। আমার সিদ্ধান্ত, এইজন্যই শরীর সঞ্চালন প্রক্রিয়ার কোনো বিকাশ যোগ বা য়োগায় দেখা যায় না। আবার হিন্দুদের মধ্যে শব পবিত্র বলে চিকিৎসাবিজ্ঞান শিক্ষায় শব ব্যবচ্ছেদ নিষিদ্ধ হয়। পাশাপাশি সেইসময়ের সীমিত বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের ফলে যোগশাস্ত্রে শারীরিক সুস্থতার চেয়ে মন বা চিত্তশুদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়। অথচ এই যোগই যখন ব্রাহ্মণদের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে জৈন ও বৌদ্ধদের মাধ্যমে তিব্বত, চীন, জাপানসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় যায়, তখন সেখানকার স্থানীয় মার্শাল আর্টের অঙ্গীভূত হয়ে সম্পূর্ণ অন্য পথে বিকশিত হয়। তা যে ধর্মীয় অনুষঙ্গমুক্ত ছিল তা নয়, কিন্তু ধর্মীয় দিকটাই প্রধান হয়ে দাঁড়ায়নি। ফলে অনেক মার্শাল আর্ট পরবর্তীকালে পুরোদস্তুর খেলা হিসাবে অলিম্পিক বা এশিয়ান গেমসে স্থান পেয়েছে। তাইকোন্ডো, জুডো, ক্যারাটে এর বিশেষ উদাহরণ। তেমন বিকাশ ভারতীয় উপমহাদেশে কেন দেখা যায়নি তা পেশাদার ঐতিহাসিকরা ব্যাখ্যা করতে পারবেন।

আরো পড়ুন হিন্দুরাষ্ট্র: বিজয়বর্গীয়ের প্রোপাগান্ডা সরিয়ে সাদা চোখে

তাহলে বলুন তো, এই তথাকথিত জ্ঞান, যা চিত্তবিকার ঘটায়, তা ক্রেডিট পয়েন্টের জন্য ছাত্রছাত্রীদের কেন পড়তে হবে? এ থেকে তারা কোন গৌরব অনুভব করবে? বরং এভাবে তাদের এক নিষ্ক্রিয়তার দর্শন শেখানো হবে।

অনেকে আবার যোগকে সর্বরোগহর বলে দাবি করেন। মানুষের দীর্ঘদিনের প্রায়োগিক জ্ঞানের মাধ্যমে জানা গেছে, সুস্থ শরীর ও জীবনের জন্য যোগের কিছু ভূমিকা নিশ্চয়ই আছে। বাকিটা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে হিন্দুত্ববাদী প্রচারমাত্র। যোগ সব চিকিৎসার বিকল্প হলে করোনার টিকা লাগত না আর যোগগুরুদের অ্যালোপ্যাথিক হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা বা অস্ত্রোপচার করাতে হত না। উপরন্তু, এ যুগের জনপ্রিয় যোগগুরুদের অনেকের বিরুদ্ধেই নানাবিধ বেআইনি কাজের অভিযোগ আছে। মহেশ যোগী, রজনীশ, ধীরেন ব্রক্ষ্মচারী থেকে বাবা রামদেব – কেউ বাদ নেই। সুতরাং ‘য়োগা’ করলে মোক্ষলাভের পথ প্রশস্ত হয় কিনা বা কোন ধরণের “চিত্তবৃত্তি নিরোধঃ” হয় তা পাঠক বিবেচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর ‘য়োগা’ প্রীতি কোন অনুপ্রেরণার ফসল তা জানি না।

ভারতীয় উপমহাদেশের খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে প্রাচীন ভারতের গর্ব এই য়োগার কোনো যোগ ছিল না। এর কোনো জনপ্রিয়তা ছিল না। ব্যাপারটা এখনো একইরকম সত্য। আরও এক অপ্রিয় সত্য হল, প্রাচীন ভারতের যোগাভ্যাসে মহিলারা ব্রাত্য ছিল।

কোটি কোটি ভূমিহীন কৃষক, দিন আনি দিন খাই প্রবাসী শ্রমিকদের কাছে এই তথাকথিত যোগাভ্যাস বিলাসিতা। এসব করার সময়ই তাদের নেই। মোক্ষলাভের চেয়ে তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সন্তানের চিকিৎসা, পরের দিনের খাবারের বন্দোবস্ত করা। যে কৃষক রমণীকে সকালবেলা কোমর নিচু করে তিন-চার ঘন্টা ধান রোপণ করতে হয়, তারপর সংসারের কাজ করতে হয় বা যে দিনমজুরকে সকালবেলা রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে মজুর হিসাবে নিজেকে বিক্রি করতে হয়, তাকে দৈনিক ১২-১৩ ঘন্টা বাধ্যতামূলক দৈহিক শ্রম দিতে হয়। তাকে প্রশান্তি দিতে পারে ‘য়োগা’ নয়, পরিবারের জন্য প্রতিদিন পেটভরা পুষ্টিকর খাদ্য। তাই যোগব্যায়াম প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত উচ্চবিত্ত উচ্চকোটির মানুষ, যারা দৈহিক শ্রমের সঙ্গে যুক্ত নয়, তাদেরই সুস্থ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয়। মোক্ষলাভের পথ হলেও ক্ষতি নেই। সুস্থ জীবনের সঙ্গে মোক্ষ বিনামূল্যে।

যে দিনমজুরকে সকালবেলা রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে মজুর হিসাবে নিজেকে বিক্রি করতে হয়, তাকে দৈনিক ১২-১৩ ঘন্টা বাধ্যতামূলক দৈহিক শ্রম দিতে হয়। তাকে প্রশান্তি দিতে পারে ‘য়োগা’ নয়, পরিবারের জন্য প্রতিদিন পেটভরা পুষ্টিকর খাদ্য।

আমি যোগব্যায়ামের বিরোধী নই। অবশ্যই তাতে উপকার হয়। খেলাধুলো বা সুস্থ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কসরত হিসাবে তার প্রয়োজনীয়তা, ব্যবহারিক উপযোগিতা নিয়ে শারীরশিক্ষা বিশারদরা বলতে পারবেন। এ নিয়েও সন্দেহ নেই যে জিনিসটা প্রাথমিকভাবে এই ভারতীয় উপমহাদেশেই বিকশিত হয়েছিল। কিন্তু এর প্রয়োগ বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে করা উচিত, কোনো ধর্মীয় অনুষঙ্গ আজকের দিনে থাকতে পারে না। সবচেয়ে বড় কথা, কে কোন ব্যায়াম করবে তা মন্ত্রী বা রাজনৈতিক নেতা নয়, বিশেষজ্ঞদের বলার কথা।

~ মতামত ব্যক্তিগত

নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

1 মন্তব্য

  1. “সবচেয়ে বড় কথা, কে কোন ব্যায়াম করবে তা মন্ত্রী বা রাজনৈতিক নেতা নয়, বিশেষজ্ঞদের বলার কথা”। এটাই সঠিক বলেছেন। আপনার লেখাটাই তার বড় প্রমাণ। লেখাটার মধ্যে আপনার কাছে অনেক তথ্য আছে বলে মনে হয়েছে। মানে আপনি surface এই ঘোরাঘুরি করছেন আর সেটা করেই যাবেন আজীবন। কিন্তু এ ব্যাপারে আপনার নিজের কোনো অভিজ্ঞতা চর্চা বা অনুভব নেই। “বিশেষজ্ঞদের বলার কথা” মানে আমরা সধু সন্তদের কাছে শিখব যোগ, এ ব্যাপারে আপনারা মতামত দেওয়ার সত্যি কি যোগ্যতা রাখেন?

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.