তাহলে শেষমেশ ব্যাপারটা দাঁড়াল কী? এসআইআর প্রক্রিয়া ৪ ডিসেম্বর শেষ না করতে পারলে দুনিয়ার বৃহত্তম গণতন্ত্রের ভিত আলগা হয়ে যাবে বলে প্রচার করা হচ্ছিল, অথচ প্রচারকরাই এতদিনে বুঝলেন যে ব্যাপারটা আরও এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিলেও গণতন্ত্র ভেঙে পড়বে না। ইতিমধ্যে সারা দেশে বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) এবং সাধারণ মানুষের মৃত্যুমিছিল দীর্ঘতর। সংবাদমাধ্যমে পরিস্থিতি যতটা খারাপ দেখানো হচ্ছে, আসল অবস্থা তার থেকেও খারাপ। একদিকে আতঙ্ক, অন্যদিকে অমানবিক চাপ ও হুমকি। খেয়াল করে দেখা যেতে পারে, সাধারণভাবে বিএলওদের মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত শীতল। কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের প্রতিনিধিরা যখন কমিশনের নয়াদিল্লির অফিসে এইসব দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর পরিসংখ্যান পেশ করেন, কমিশনের কোনো কোনো কর্তা নাকি মিটিমিটি হেসেছেন – এমন খবর মূলধারার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত। বুঝে দেখতে হবে, কাকে আমরা রাজার পার্ট দিয়েছি। এটাও হিসাবে আনা সম্ভবত দরকার যে, এই মৃত্যুগুলোর বিষয়ে রাজ্যের বিরোধী দলের সবজান্তা অধিকারী মশাইও খুব সংবেদনশীল নন। ওই দলের প্রাক্তন বাচাল রাজ্য সভাপতি টিভি চ্যানেলে মৃত্যু নিয়ে আরও কদর্য মন্তব্য করেছেন আগেই। মনে থাকতে পারে, গত বিধানসভা নির্বাচনে (২০২১) তাঁদের তৎকালীন এক মাতব্বর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভোটারের বুক লক্ষ করে গুলি চালাতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসে কোচবিহারের শীতলকুচির এক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে একজনের প্রাণ যাওয়ার পরে। অবশ্য এদের থেকে এর বেশি কী-ই বা আশা করা যায়?

কিন্তু বিশেষ নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়ার প্রায় একমাস গড়িয়ে গেলেও, কমিশন এখনো তাঁদের বিরুদ্ধে তোলা মৌলিক প্রশ্নগুলোর জবাব দেয়নি। না সুপ্রিম কোর্টে, না জনপরিসরে। আসলে যা ছিল এই পুরো ব্যবস্থাটার ময়না তদন্তের মূল ছুরি কাঁচি। প্রথম সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে (১৯৫২) কোচবিহারের তৎকালীন জেলাশাসক নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, পুববাংলা থেকে আসা উদ্বাস্তুদের জন্য জনবিন্যাসের যে বদল হয়েছে, তার ভিত্তিতে তিনি ওপার থেকে আসা মানুষগুলোকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেবেন কিনা। কমিশন সুনির্দিষ্টভাবে তাঁর চিঠির জবাবে বলে দেয় – এইভাবে নাম বাদ দেওয়ার অধিকার জেলাশাসক বা কমিশনের নেই। নাগরিকতা নিয়ে বিবাদ থাকলে তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিবেচনা করবে। আটের দশকে আসামে ‘বিদেশি খেদা’ আন্দোলন এবং তার আগে বাংলাদেশ যুদ্ধের (১৯৭১) ফলে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন – বাংলাদেশ থেকে আগত মানুষের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেবেন। তখনো নির্বাচন কমিশন বাদ সাধে এবং স্পষ্টভাবে বলে দেয় – এই অজুহাতে নাম কাটা যায় না। এই আদেশ বা নির্দেশ যে সাংবিধানিক বিধি অনুযায়ী লাগু করা হয়েছিল, আজও তার কোনো পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু হালের কমিশন ওসব বিধির তোয়াক্কা করছে না।

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন

~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

কমিশন উত্তর না দিলেও অবশ্য ব্যাপারটা বোঝা যায়। প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার একসময় নবীন চাওলা নির্দেশ দিয়েছিলেন – ভোটারের কাছে যদি ভোটার পরিচয়পত্র (এপিক কার্ড) না-ও, থাকে আরও দশটা নানারকমের সচিত্র পরিচয়পত্রের একটা দেখাতে পারলেও তাকে ভোট দিতে অনুমতি দেওয়া হবে। এই সমস্ত নির্দেশের মর্মবস্তু হল, দেশের মানুষের পক্ষে ভোট দেওয়াটাই রীতি। তাকে নানা কারণে আটকে রাখাই ব্যতিক্রম। এসআইআর নামক কর্মযজ্ঞে ঠিক এই ব্যাপারটাই উলটে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন এমন উলটপুরাণ? কমিশন সে বিষয়ে আজও ঝেড়ে কাশেনি। নীরবতা এখানে রহস্যের দ্যোতক।

মনকে চোখ ঠেরে লাভ নেই, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের অবস্থান এ বিষয়ে খুব পরিষ্কার নয়। বিহারে এসআইআর ঘোষণার পরে পরেই দেশজুড়ে নানা বিক্ষোভ দানা বাঁধে, যার ঢেউ গিয়ে পড়ে সুপ্রিম কোর্টের এজলাসেও। গোড়ার দিকে কিছু কিছু গোল গোল কথা বললেও, আদপে মূল বিরোধের কোনও নিষ্পত্তি সর্বোচ্চ আদালত করেনি। করতে চেয়েছে বলেও মনে হয়নি। বিহারে নতুন সরকার তৈরি হয়ে গেছে। এখন যদি তারা এই প্রক্রিয়ায় কোনো আইনি গলদ খুঁজেও পায়, তাতে আর কিছু হওয়ার নয়। সম্ভবত একথা বিচারপতিরা বোঝেন। পরের পর্বে তিন-চারটে রাজ্য থেকে বিশেষ নিবিড় সংশোধনী নিয়ে আদালতে আপত্তি তোলা হয়েছে। সমাজকর্মী যোগেন্দ্র যাদব নিজে সওয়াল করেছেন আদালতে, হুজুরদের সামনে পেশ করেছেন মৃত বলে ঘোষিত ভোটারদের।

নিছক ঘাড় নাড়া ছাড়া মহামান্য বিচারপতিরা আর কিছু করে উঠতে পারেননি। বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সাংবিধানিক প্রশ্নের বিচার এর আগে হয়নি তা কিন্তু নয়, এবারে হচ্ছে না। অথচ কী আশ্চর্য! নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে সাম্প্রতিককালে সবথেকে বেশি অসম্মান করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টকেই। সুপ্রিম কোর্ট চেয়েছিল, দেশের নির্বাচন কমিশনারদের নির্বাচন করুক এমন এক কমিটি, যাতে দেশের প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা থাকবেন। কারণ নির্বাচন কমিশনকে প্রশাসনের প্রভাবমুক্ত রাখাই দস্তুর। সুপ্রিম কোর্ট এই আদেশ দেওয়ার পরেই কেন্দ্রের শাসক দল সম্পূর্ণ পক্ষপাতমূলক একখানা আইন করে, যাতে বলা হয় – কমিশনার নির্বাচনের কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, তাঁর মনোনীত মন্ত্রিসভার এক সদস্য এবং বিরোধী দলনেতা। সংসদে কোনো আলোচনা না করে এবং সাংসদদের পাইকারি হারে সাসপেন্ড করে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সেই আইন পাশ করিয়ে নেওয়া হয়। কার্যত নির্বাচন কমিশনের গঙ্গাযাত্রা সেদিনই সুসম্পন্ন হয়ে যায়। কারণ এই ব্যবস্থা আসলে শোলে সিনেমার সেই মুদ্রার মত, যার দুদিকেই হেড। নির্বাচক কমিটিতে যে নামই প্রস্তাবিত হোক না কেন, প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের নামটাই গৃহীত হবে। এই প্রসঙ্গে এক ভদ্রলোকের নাম একটু মনে করা যেতে পারে – অশোক লাভাসা। এঁকে একদিনের মধ্যে চাকরি থেকে অবসর নেওয়া করিয়ে, সেদিনই পেনশন চালু করিয়ে পরদিন থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু এই ইনামে ঘাবড়ে না গিয়ে তিনি লোকসভা নির্বাচনে (২০১৯) প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে কড়া ভূমিকা নেন। ভোট মিটে যেতেই তাঁর বাড়িতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট হানা দেয় এবং অনেক বেআইনি নথি নাকি পাওয়া যায়। ভদ্রলোকের কেরিয়ারে গোবর জল পড়ে। তাঁর স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়েও আয়কর বিভাগ, ইডি টানাটানি করে। এ থেকে আন্দাজ করা যায় – ‘তেনারা’ কী চান। যা চান তাই করে নিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগের নিয়ম বদলে ফেলে। অথচ এমন চরম অপমানের পরেও সর্বোচ্চ আদালত নীরব। এ বড় সুখের সময় নয়।

কিন্তু বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর প্রথম পর্ব যখন প্রায় শেষ, তখন নির্বাচন কমিশনের গেমপ্ল্যান কী? এখন তো প্রায় পরিষ্কার যে এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে কমিশন এই সংশোধনের সঙ্গে নাগরিকত্বের প্রশ্ন জুড়ে নিয়েছে। অতীতে ভোটার তালিকার কোনো সংশোধনের সময়ে কাউকে ইনিউমারেশন ফর্ম জাতীয় কিছু ভরতে হয়নি। নতুন করে প্রোজেনি লিংকের কথা বলা হচ্ছে। তাও এক নতুন ধারণা। এতদিন ভোটার তালিকা তৈরি করার সময়ে ভোটার যেখানে থাকেন, সেখানে সাধারণভাবে বসবাস করেন কিনা (Ordinary Resident), তা বিবেচনা করা হত। এমনকি বসবাসের প্রমাণ হিসাবে বাড়িতে আসা ডাক বিভাগের যে কোনো চিঠিও গ্রাহ্য হয়ে এসেছে। এবারে সেসব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সবথেকে বেশি আপত্তিকর হল ভোটার কার্ড গ্রাহ্য না করা। ছবি দেওয়া ভোটার কার্ড চালু করার জন্য দীর্ঘদিন সরকারি অর্থ খরচ হয়েছে এবং এই মুহূর্তে দেশের অন্তত ৯৮% মানুষের কাছে ভোটার কার্ড আছে। আইনত ভোটার কার্ড পাওয়া ভোটার দেশের নাগরিক, কারণ এই দেশে নাগরিকত্বের জন্য চিহ্নিত অন্য কোনো পরিচয়পত্র নেই। তাহলে কেন ভোটার কার্ড গণ্য করা হবে না? এর কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ এখনো কমিশন দিতে পারেনি। এও এক রহস্য।

আরো পড়ুন এপিক জালিয়াতি, নাকি শুধুই ভুল?

এই বিষয়ে পরের অধ্যায়গুলো কীভাবে লেখা হবে তার একটা মাস্টারপ্ল্যান অবশ্য কমিশনের হাতে আছে। খসড়া ভোটার তালিকায় যত বেশি নাম বাদ পড়বে, ততই কমিশনের উদ্দেশ্য সফল হবে। কারণ নিয়ম অনুযায়ী, বাদ পড়া ভোটারদের শুনানি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়সীমা মোটামুটি দেড় মাস। যাঁদের শুনানির নোটিস দেওয়া হবে, তাঁদের মধ্যে যাঁদের কাছে ‘দরকারি’ কাগজপত্র আছে তাঁরা শুনানিতে যাবেন। এঁরা মূলত শিক্ষিত, সচ্ছল মানুষ। যাঁরা যেতে পারবেন না তাঁদের হাতে কাগজ নেই, কিন্তু তার মানে তাঁরা মোটেই অবৈধ নাগরিক নন। তবু তাঁরা বাদ পড়বেন। যদি ধরেও নেওয়া যায় যে সবাই শুনানিতে উপস্থিত হবেন, তাহলেও এ রাজ্যের ২৯৪ বিধানসভা আসনের ২৯৪ জন ইআরও-র পক্ষে নিজেদের সব কাজকর্ম সামলে যথাযথভাবে শুনানির প্রতি সুবিচার করা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন যা-ই বোঝানোর চেষ্টা করুক। ফলে হয় তাড়াহুড়ো করে শুনানি হওয়ায় ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত করার প্রক্রিয়া ধাক্কা খাবে, অথবা যেনতেনপ্রকারেণ নাম বাদ দেওয়ার পাল্লাই থাকবে ভারি। তার মানে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে, হয় তাতে পুরনো ভুলগুলো থেকেই যাবে, নয় বাদ পড়বেন অনেক প্রান্তিক মানুষ। বিহারের অভিজ্ঞতা তাই বলে।

কিন্তু সবথেকে বড় কথা হল, চূড়ান্ত তালিকায় যাঁদের নাম বাদ পড়ল, তাঁদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কমিশন কোথাও রা কাড়ছে না। সবাই কি শুনানিতে গিয়ে নিজের কথা বলতে পারবেন? নিয়মকানুন বলছে, পারবেন। কিন্তু আসলে অনেকেই পারবেন না, কারণ সরকারি অফিসারের সামনে নিজের তথ্য তুলে ধরে সওয়াল করা আসলে একটা আধা-বিচার প্রক্রিয়া (quasi-judicial)। একেবারে সাধারণ মানুষ এটা পেরে উঠবেন না, যদি না রাজনৈতিক দলগুলো পাশে দাঁড়ায়। সাত নম্বর ফর্মের মাধ্যমে আপত্তি জানানোর কাজটাও মূলত রাজনৈতিক দলগুলোই করে থাকে। এত কম সময়ে তারাও পেরে উঠবে বলে মনে হয় না। বিশেষত কমিশনকে যারা পকেটে পুরে ফেলেছে, তারা তো নীতিগতভাবেই নাম বাদ দিতে চায়।

বিহারে যা হয়েছে তার সাফাই দিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন ঠিক এটাই বলেছে – কই, রাজনৈতিক দলগুলো তো আপত্তি করেনি! এই রাজ্যেও সে কাজ ১০০% করা যাবে না। ফলে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ভুলে ভরা থাকবেই, আর সেই ভুলগুলো নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়ার আগেই কমিশন সম্ভবত রাজ্যের নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশ করে দেবে ফেব্রুয়ারির শেষে বা মার্চের গোড়ায় (২০২১ সালে ভোট ঘোষণা হয়েছিল ৩ মার্চ)। ভোট ঘোষণা হয়ে গেলে সব রাজনৈতিক দলই ভোটের প্রচারে নামবে, ভোটার তালিকার বিষয়টা পিছনের সারিতে চলে যাবে।

এবার একটা প্রশ্ন উঠতেই পারে, কেন ব্যাপারটা এইভাবে করানো হচ্ছে? এর একটা সহজ জবাব আছে। গত লোকসভা নির্বাচনে ‘অব কি বার চারশো পার’ স্লোগান মুখ থুবড়ে পড়ায় কোনো এক ভদ্রলোক অতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন। কে বলতে পারে, পরের লোকসভায় বিরোধী স্বর আরও সুতীব্র হয়ে উঠে কোনো অঘটন ঘটাবে না? সে ঝামেলা এড়াতে মনোমত একটা ভোটার তালিকা করে নেওয়া গেলে ঝুঁকি অনেক কমে যায়। দেশের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেও তখতে থাকা যায়। তাই নিজের পছন্দসই নির্বাচন কমিশনার, পছন্দসই ভোটার তালিকা। টস করার কয়েন যেদিকেই পড়ুক, জিতবে হেড। মাভৈ!

মতামত ব্যক্তিগত

নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.