ভারতে তিন বছরে এক লক্ষেরও বেশি দিনমজুর আত্মহত্যা করেছেন। সম্প্রতি সংসদে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যে উঠে এসেছে ভারতের ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’-এর এই চিত্র। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) রিপোর্ট উল্লেখ করে তিনি জানান, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সারা দেশে মোট ১,১২,০০০ হাজার জন দিনমজুর আত্মহত্যা করেছেন। অর্থাৎ দিনে গড়ে ১০২ জনের বেশি দিনমজুর আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হন। তার মধ্যে ২০২১ সালে দৈনিক গড়ে ১১৫ জন দিনমজুর আত্মহত্যা করেন। এই তিন বছরে আত্মহননকারী ছাত্রের সংখ্যা প্রায় ৩৬,০০০। এনসিআরবি রিপোর্ট জানাচ্ছে, বছর বছর আত্মহননকারী ভারতবাসীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
২০২১ সালে দেশে মোট আত্মহত্যার ঘটনা ১,৬৪,০৩৩। তার আগের বছর (২০২০) সংখ্যাটা ছিল, ১,৫৩,০৫২। বৃদ্ধির হার ৭.২%। ২০১৭ সালে ১,২৯,৮৮৭ জন আত্মহত্যা করেছিলেন। আপাতভাবে মনে হতে পারে, জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আত্মহত্যার ঘটনা বৃদ্ধি স্বাভাবিক। কিন্তু রিপোর্ট বলছে, জনসংখ্যার অনুপাতে আত্মহত্যার হার প্রতি বছর বেড়ে চলেছে। ২০১৭ সালে প্রতি এক লক্ষ ভারতবাসীর মধ্যে ৯.৯ জন আত্মহত্যা করেছিলেন, ২০২০ সালে এই হার ছিল ১১.৩ আর ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১২। গ্রামীণ ভারত থেকে মহানগর – একই চিত্র। ৫৩টি মহানগর বা মেগাসিটিতে (জনসংখ্যা ১০ লক্ষ বা তার বেশি) আত্মহত্যা বৃদ্ধির হার উদ্বেগজনক। ২০১৮ সালে যেখানে বৃদ্ধির হার (আগের বছরের তুলনায়) ছিল .৮%, সেখানে ২০২১ সালে হয় ৮.৫ %। সে বছর এই মেগাসিটিগুলোর মোট ২৫,৮৯১ জন আত্মহত্যা করেন।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে মহারাষ্ট্রে। ২০২১ সালে সারা দেশের মোট আত্মহত্যার মধ্যে ১৩.৫ % হয়েছিল এই রাজ্যে। সংখ্যায় ২২,২০৭ জন। বাংলার স্থান চতুর্থ (৮.২% বা ১৩,৫০০ জন)। দেশে মোট আত্মহত্যার অর্ধেকেরও বেশি হয় মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক – এই পাঁচটি রাজ্যে। বামশাসিত কেরলের অবস্থাও সন্তোষজনক নয়। প্রতি এক লক্ষ জনসংখ্যার নিরীখে আত্মহত্যার হারে কেরালা দেশের মধ্যে পঞ্চম।
মনে রাখতে হবে, সব আত্মহত্যার রিপোর্ট সরকারের কাছে থাকে না। রাজ্যগুলোও সঠিক তথ্য দেয় না। তাই বাস্তব অবস্থা এনসিআরবি রিপোর্টের থেকেও ভয়াবহ। আবার আত্মহত্যার কারণ বা আত্মহননকারীদের পেশার হিসাবেও অসম্পূর্ণতা থাকে। রিপোর্টই জানাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গসহ আটটি রাজ্য ও তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কৃষক বা কৃষি মজুরের আত্মহত্যার কোনো তথ্যই দেয়নি। এইসব রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোনো কৃষক বা কৃষিমজুর আত্মহত্যা করেননি – একথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকালেই সেটা বোঝা যায়। কৃষক আত্মহত্যার কথা তৃণমূল সরকার বেমালুম অস্বীকার করে। রাজ্যে নাকি কৃষক আত্মহত্যা ঘটে না। অথচ বাস্তবে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা রাজ্যে উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে।
কৃষকদের ক্ষতি ও ঋণের বহর যে বছর বছর বাড়ছে, তা বুঝতে সমীক্ষার প্রয়োজন হয় না। চোখ কান খোলা রাখলেই মালুম হয়। কৃষকের আয় বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের ভণ্ডামির প্রতিযোগিতা সেই সত্য আড়াল করতে পারে না। পুলিশ রিপোর্ট করে মানসিক অবসাদ, পারিবারিক অশান্তি ইত্যাদি কারণে কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। এনসিআরবি রিপোর্টেও তার প্রতিফলন ঘটে। কারণ রাজ্যের রিপোর্টই তার ভরসা। অথচ অবসাদ, পারিবারিক অশান্তি ইত্যাদির প্রধান কারণ যে আর্থিক সঙ্কট ও দেনা, তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে দেশজোড়া বিতর্কে রাজ্য সরকারগুলোর তথ্য চেপে দেওয়া বা বিকৃত করার প্রবণতা বেড়েছে। কেন্দ্রেরও একই মানসিকতা। কৃষক আত্মহত্যা বা দেনার দায়ে আত্মহত্যার কথা চেপে দিতে পারলে রাষ্ট্রেরই স্বস্তি। ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ’ বা উন্নয়নের মিথ্যাচার আড়াল করা যায়।
এনসিআরবি রিপোর্টে তাই দেখানো হয়েছে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা ঘটেছে পারিবারিক কারণে (৩৩.২ %)। দারিদ্র্যের কারণে আত্মহত্যার ঘটনা নাকি অনেক কম (মাত্র ১.১ %)। পাশাপাশি আত্মহননকারীদের আর্থিক অবস্থা বিচার করলে রিপোর্টের অসঙ্গতি ধরা পড়ে। ২০২১ সালে আত্মহননকারীদের মধ্যে ৬৪.২ শতাংশের (১,০৫,২৪২ জন) বার্ষিক আয় ছিল এক লক্ষ টাকার কম। অর্থাৎ তাঁদের মাসিক রোজগার ৯,০০০ টাকারও কম। আত্মহননকারীদের মধ্যে মাত্র ৪.২ শতাংশের বার্ষিক উপার্জন ছিল বছরে পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি। গরিব, নিম্নবিত্তের মধ্যে পারিবারিক অশান্তির মূল কারণ যে অনটন, তা দুটো পরিসংখ্যান পাশাপাশি বিচার করলেই বোঝা যায়। রাষ্ট্র সরাসরি তা স্বীকার করতে ভয় পায়।
২০২১ সালে আত্মহননকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিলেন দিনমজুর। মোট আত্মহননকারীর প্রায় ২৬%। সংখ্যায় ৪২,০০৪ জন (দিনে গড়ে ১১৫ জনের বেশি)। আত্মহননকারীদের মধ্যে ১৪.১ % হলেন গৃহবধূ, সংখ্যায় ২৩,১৭৮ জন। এর প্রধান কারণ পণপ্রথা ও নির্যাতন। কৃষিক্ষেত্রে যুক্ত ১০,৮৮১ জন এই সময় আত্মহত্যা করেন। যার মধ্যে ৫,৫৬৩ জন কৃষিমজুর। আত্মহননকারীদের মধ্যে ১২.৩% হলেন স্বনির্ভর, ৮.৪% কর্মহীন।
আঠারো বছরের কম বয়সী ৫,৬৫৫ জন বালিকা আত্মহত্যা করেছেন। আঠারো বছরের কম বয়সী বালক-বালিকার সংখ্যা ১০,৭৩০ জন। আঠারো থেকে তিরিশ বছরের কম বয়সী ৫৬,৫২৯ জন যুবক-যুবতী আত্মহত্যা করেন। তিরিশ থেকে পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সের মধ্যে এই সংখ্যা ৫২,০৪৪ জন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৪৫ বছর বা তার কম বয়সের ১,১৯,০০০-এরও বেশি মানুষ ২০২১ সালে আত্মহত্যা করেছেন। মোট আত্মহননকারীদের ৭৩ শতাংশের বয়স পঁয়তাল্লিশ বছর বা তার কম।
আত্মহননকারীদের পেশা ও বয়সের বিন্যাস দেখলে আর্থসামাজিক পরিস্থিতির ভয়াবহ রূপ বোঝা যায়। দিনমজুর ও কৃষিমজুর মিলিয়ে আত্মহননকারীর সংখ্যা ৪৭ হাজারের বেশি। যাদের ন্যূনতম আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বাস্তবে নেই, তাঁদের সংখ্যাই ক্রমশ বাড়ছে। না আছে কাজের নিশ্চয়তা, না ন্যূনতম মজুরি। তাঁদের কাজের নির্দিষ্ট স্থানই নেই। রোজগারের জন্য স্রোতের মতো এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াতে হয়। কৃষি অর্থনীতিতে সঙ্কট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এঁদের পাড়ি জমাতে হয় শহরে, ভিন রাজ্যে বা দেশে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বাহারি নামের রকমারি প্রকল্প ঘোষণা করলেও খুব কমই উপকৃত হন। যেমন পশ্চিমবঙ্গে সামাজিক সুরক্ষার প্রকল্পগুলোর সুযোগ ধীরে ধীরে কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও যে গভীর সঙ্কটে রয়েছেন স্বনির্ভরদের তথ্য থেকে তা বোঝা যায়।
কিশোর-যুবকদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা কম উদ্বেগজনক নয়। আত্মহননকারীদের মধ্যে ৮% ছাত্রীছাত্র, যাঁদের জীবন নিয়ে স্বপ্ন দেখার কথা। যাঁরা এই সমাজকে ভবিষ্যতে অনেক কিছু দিতে পারতেন। তাঁরাও এত অল্প বয়সেই আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হলেন। আসলে এক অসুস্থ আর্থসামাজিক পরিবেশে বড় হয়ে উঠছি আমরা। যেখানে সহযোগিতা নয়, প্রতিযোগিতাই মূলমন্ত্র। সবাই মিলে বেঁচে থাকার, যৌথভাবে জীবনযাপন করার কথা ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ একা নয়, সবাই মিলে বাঁচা, দল বেঁধে থাকাই জীবজগতের বৈশিষ্ট্য। পারস্পরিক প্রতিযোগিতার আবহ গড়ে আরও আত্মকেন্দ্রিক হওয়ার বিষ আমাদের মগজে প্রতিনিয়ত প্রবেশ করানো হচ্ছে। শেখানো হচ্ছে ব্যক্তিই সব, সমষ্টি নয়। বাজার অর্থনীতির সংস্কৃতি নিজে বাঁচার কথা বলছে। অথচ বেঁচে থাকার আর্থসামাজিক পরিবেশ ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। বাড়ছে অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা, একাকিত্ব।
সংগঠিত শ্রমিকের সংখ্যা কমছে। আজকে শ্রমিকদের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ কমে আসছে। কাজের প্রকৃতি এবং শ্রম আইন শ্রমিকদের সংঘবদ্ধ হতে দিচ্ছে না। নতুন ধরনের শ্রম বাজারে শ্রমিকরাও যেন নিজেদের প্রতিযোগী; সংঘবদ্ধ হওয়ার সুযোগ নেই। দিনমজুর থেকে গিগ অর্থনীতির শ্রমিক, আই টি সেক্টর থেকে কর্পোরেট দুনিয়ার শ্রমিক – সকলেরই এই অবস্থা। কর্মপ্রার্থীর সংখ্যা বাড়বে, মজুরি কমবে। চাহিদা-জোগানের খেলায় শ্রমের বাজারে শ্রমশক্তির বিক্রেতা শ্রমিকরা অসহায়। ক্রেতা মালিকপক্ষের পিছনে আছে সরকার, আইন – গোটা রাষ্ট্রযন্ত্র। গায়ে গতরে খেটে বা মেধাশক্তি বিক্রি করে উপার্জন করা শ্রমিক আজ পুঁজির আধিপত্যে দিশাহীন। দিনমজুরের অনিশ্চয়তা বেশি। শ্রমের মূল্য কম বলে আর্থিক নিরাপত্তাও কম। সামাজিক অবস্থানেও তাঁরা পিছিয়ে। হীনমন্যতাবোধ, অভাবের থেকে পারিবারিক অশান্তি, অবসাদ। তাই দিনমজুর ও ক্ষেতমজুরদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। কিন্তু কোম্পানির চাকুরেদের মধ্যে আত্মহত্যার সংখ্যাও কম নয়। আত্মহননকারীদের প্রায় ১০% হয় কোনো স্বাধীন পেশার সঙ্গে যুক্ত, নয় বেতনভোগী কর্মচারী। তাঁদেরও রোজগারের অনিশ্চয়তা, কাজের চাপ বাড়ছে। সঙ্গে রয়েছে ভোগবাদের হাতছানি, বিলাসিতার প্রলোভন। সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে উপার্জনের নেশায় এক অসুস্থ জীবনযাপন। মানসিক চাপ, হতাশা ভাগ করার জন্য সমাজের কেউ নেই।
আরো পড়ুন অবসাদের গল্প: বিপন্ন বিস্ময়ের গল্পকার গৌতম
বাজারে নানা মানের পণ্য হাজির করে ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রচার চলে, আর সেই পণ্য কেনার জন্য সবাই প্রতিযোগিতায় মেতে উঠি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সব আজ বাজারি পণ্য। পণ্যমোহ তৈরি করাই রাষ্ট্রের কাজ। শিক্ষাব্যবস্থা, গণমাধ্যম, সোশাল মিডিয়ায় চলে তারই অনুশীলন। কেনার ক্ষমতা থাকলে কেনো, না হলে ব্যর্থতার দায় ব্যক্তির। সমাজের, রাষ্ট্রের কোনো দায় নেই। প্রাথমিক স্তর থেকে উন্নতমানের শিক্ষা না কিনতে পারার হীনমন্যতা নিয়ে বেড়ে ওঠা শিশুর সামনে কোনো স্বপ্ন থাকে না। কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে সে অসহায়। মাঝপথে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে দিনমজুর হলেও সেই হীনমন্যতা থেকে মুক্ত হওয়ার সু্যোগ কই? যুবতী-যুবকদের স্বপ্ন দেখার সুযোগ কোথায়? সামাজিকতা যত দুর্বল হচ্ছে, তত সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদের সম্ভাবনা কমছে। বিরাজনীতিকরণের রাজনীতি ভিত মজবুত করছে। তাই কিশোর-যুবকদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা বেড়ে চলেছে। নয়া উদারনীতি এভাবেই এক সভ্যতাবিরোধী, অমানবিক, যান্ত্রিক সমাজ গড়ে তুলছে।
প্রত্যেক নাগরিককে বেঁচে থাকার অধিকার দেওয়া রাষ্ট্রের কর্তব্য। আমাদের সংবিধানও সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় কর্তব্যের পাশাপাশি সমাজের দায়ও কম নয়। এই বিশ্বে একজন ব্যক্তি আত্মহত্যা করলেও তার দায় এড়ানো যায় না। ব্যক্তি মালিকানাধীন সমাজ সেই দায় বাস্তবে মানতে চায় না। নয়া উদারনীতি তো একেবারেই দায়মুক্ত। বাজার ছাড়া কিছু জানে না। অথচ সমাজটা বাজার, রাষ্ট্র বা কর্পোরেটের নয়। সকলের। সেই সমাজ বাঁচানোর রাজনৈতিক লড়াইয়ে নামার সময় এসেছে। সেই লড়াই সমাজ বদলের লড়াই। সেই লড়াই ছাড়া মানব সমাজকে সুস্থ, বাসযোগ্য করা সম্ভব নয়।
মতামত ব্যক্তিগত
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।