গত পর্বের পরে

১৬।
বিশ্বফুটবলে একুশ শতকের গোড়া থেকেই একঝাঁক পরিবর্তন ঘটে যাবে। ইংলিশ ক্লাব ফুটবলের দুই কিংবদন্তি স্যার আলেক্স ফার্গুসন ও আর্সেন ওয়েঙ্গারের দ্বৈরথকে চ্যালেঞ্জ জানাতে কিছুদিনের মধ্যেই বিশ্বমঞ্চে উঠে আসবেন জোসে মোরিনহো। পর্তুগালের এফসি পোর্তোকে ২০০৪ সালে তিনি এনে দেবেন ইউরোপ সেরার শিরোপা। এর পরে চেলসির হয়ে সাফল্য আর সাফল্য! যে কোনও ভাবে দলকে সাফল্য এনে দেওয়ার বীজমন্ত্র ছড়িয়ে দেবেন ফুটবল দুনিয়ায়। অন্যদিকে আর্সেন ওয়েঙ্গারের ইংলিশ ফুটবলে “ইনভিন্সিবল সিজন” এক দুরন্ত রেকর্ড হয়ে থাকবে, তবে ধীরে ধীরে তাঁর সুন্দর ফুটবলের দর্শন যেন কিছুটা থমকে যাবে বাস্তববাদী ফুটবলের দুনিয়ায়। ২০০১-এ স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেমিফাইনাল খেলা লিডস ইউনাইটেড ২০০৪-এ প্রিমিয়ার লিগ থেকে নেমে যাবে পরের ধাপে। অন্যদিকে রিয়েল মাদ্রিদ ‘গ্যালাকটিকোস’ ও বার্সেলোনা আশানুরূপ ফল না পেলেও পাবলো আইমারদের দল ভ্যালেন্সিয়া বেশ ধারাবাহিক ভাল ফুটবল উপহার দেবে রাফা বেনিতেজের হাত ধরে। আনসেলোত্তি এসি মিলানে নতুন ধরনের ফুটবল আনবেন। এই সময়েই উঠে আসবেন ভবিষ্যত ফুটবল দুনিয়াকে দুই ভাগ করে দেওয়া দুই বিস্ময়প্রতিভা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং বিয়েলসারই দেশের লিওনেল মেসি। ইউরোপের ফুটবল আরও কয়েক যোজন এগিয়ে যাবে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের তুলনায়। ট্যাকটিক্সের দুনিয়ায় একাধিক পরিবর্তন চলে আসবে, বিভিন্ন কোচের প্রশিক্ষণে বিভিন্ন ধরনের স্পেশালাইজড রোলের উদ্ভব হবে ফুটবলে।
১৭।
২০০৬। রোমায় থাকাকালীন বাতিস্তুতার সেই সতীর্থ যিনি কোচিং সম্বন্ধে কিছু জানতে চাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বাতিস্তুতাকে তাঁর ফুটবলার জীবন কার্যত শেষের পথে। ফিরে এসেছেন স্পেনে। এবার পাড়ি দিলেন ৫০০০ মাইল দূরে সুদূর আর্জেন্টিনার রোসারিও শহরের উদ্দেশে। সেই লোকটার সঙ্গে দেখা করতে হবে যে!
সঙ্গী হলেন স্পেনের চিত্রপরিচালক ও ঔপন্যাসিক ডেভিড ট্রুয়েবা।
বিয়েলসার ঘরে আয়োজন হয়েছে এক বার্বিকিউয়ের। লোকটা প্রথম ১ ঘন্টা আলোচনা করে গেল ট্রুয়েবার সঙ্গে। ফিল্ম নিয়ে লোকটার অবসেশন ভয়ঙ্কর। এবং জ্ঞানও কিছু কম নয়।
ঘন্টাখানেক পরে ট্রুয়েবার হুঁশ ফিরল। তিনি বিয়েলসাকে জানালেন স্পেন থেকে একজন এসেছেন ফুটবল কোচিং সম্বন্ধে জানতে।
এরপরে সম্ভবত আরও ১০ ঘন্টা কথা হয়েছিল। যার অধিকাংশটাই ছিল ফুটবল নিয়ে। দর্শন থেকে ট্যাকটিক্স যাবতীয় আলোচনা চলেছিল। কখনও কখনও ট্রুয়েবাকে চেয়ারসুদ্ধু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়েও খেলোয়াড়ের পজিশন, স্পেস এই সমস্ত বোঝানো হয়েছিল!
হ্যাঁ ‘এল লোকো’ এমনই। খ্যাপাটে, ফুটবল পাগল। স্পেন থেকে কোচিং দর্শন সম্বন্ধে জানতে আসা আগন্তুককে লোকটা বলেছিল, কোনওদিন কোনও মিডিয়াকে আলাদা ভাবে সে ব্যক্তিগত ইন্টারভিউ দেয়নি। কেন?
কারণ, সেক্ষেত্রে বড় খবর কাগজের লোকজন সবসময়ই সুবিধে নেবেন, আর ছোট ছোট নিউজপেপার ও মিডিয়ায় কাজ করা মানুষেরা বঞ্চিত হবেন। কিন্তু পেশাটা তো সবার এক। সেখানে এই বৈষম্য লোকটার অপছন্দের। তাই একমাত্র প্রেস কনফারেন্সের বাইরে আর কোনও ইন্টারভিউ নয়।
২০০২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে ইংল্যান্ডের ডেইলি স্টার প্রকাশ করেছিল বিয়েলসার ইন্টারভিউ। সবাই অবাক। বিশেষ করে আর্জেন্টিনার সাংবাদিকেরা খুবই হতাশ। দেশের সংবাদপত্রকে যিনি দিনের পর দিন কোনও ইন্টারভিউ দেননি তিনিই কি না ইংরেজদের ট্যাবলয়েডে ইন্টারভিউ দিলেন! তারপরে জানা গেল সে ইন্টারভিউ ভুয়ো, মনগড়া। আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ডের রাজনৈতিক ঝামেলা বহুদিনের, ফুটবলে দুই দেশ মুখোমুখি হলেই যেন নতুন করে আগুন জ্বলে। আর সেই আবহেই বিয়েলসার নকল “ইন্টারভিউ” ছাপানোর পরিকল্পনা নেয় ডেইলি স্টার।
যাই হোক, বিয়েলসার সমস্ত কথাই মুগ্ধ হয়ে সেদিন শুনেছিলেন আগন্তুক।
এর পরে ফুটবল সম্বন্ধে অনেক ভাবনা সঞ্চয় করে আগন্তুক দেশে ফিরে যাবেন। কোচিং শুরু করবেন। কাতালুনিয়ার বিখ্যাত ক্লাব বার্সেলোনাকে নিয়ে কয়েক বছরের মধ্যেই পৌঁছে যাবেন খ্যাতির শীর্ষে। আসবে একের পর এক ট্রফি। দৃষ্টিনন্দন, আক্রমণাত্মক ও পজেশনভিত্তিক ফুটবল বিশ্বে পরিচিতি পাবে “টিকিটাকা” নামে। আর তাঁর দলের অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠবেন বিয়েলসার শহরেই জন্ম নেওয়া লিওনেল মেসি।
স্পেনের সেই আগন্তুকের নাম আন্দাজ করার জন্য কোনও পুরস্কার নেই। পেপ গার্দিওলা।
১৮।
২০০৭ এ প্রফেশনাল কোচিং এ ফিরল লোকটা। এবার চিলির জাতীয় দলের দায়িত্বে। আবার চুলচেরা গবেষণা, আবার খেলোয়াড় খোঁজার পালা। যে চিলি ১৯৬২ সালের পরে বিশ্বকাপে কোনও ম্যাচ জিততে পারেনি তার সমর্থকদেরও আশাবাদী করে তুলল লোকটা। তার “প্রোটাগোনিজমো” বা আক্রমণাত্মক নেতৃত্বদানের সহজাত দর্শনের মধ্য দিয়ে। যেন পাল্টে গেল চিলির ফুটবল আবহাওয়া।
চিলির একঝাঁক তরুণ খেলোয়াড় আলেক্সিস স্যাঞ্চেজ, আর্তুরো ভিদাল, ক্লদিও ব্রাভো, ভালদিভিয়া, গ্যারি মেডেল, মার্ক গঞ্জালেজদের নিয়ে ফের ৩-৩-১-৩ এর গাড়ি ছুটল জোরে। যোগ্যতা অর্জন পর্বে ব্রাজিলের পরেই দ্বিতীয় হয়ে বিশ্বকাপে উঠল চিলি।
গ্রুপ পর্বে সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চিলি মুখোমুখি হল স্পেনের। স্পেন ততদিনে দুর্ধর্ষ দল, গার্দিওলার বার্সেলোনার টিকিটাকাকে
দেল বস্কও কাজে লাগাচ্ছেন। রুদ্ধশ্বাস খেলায় ২-১ এ জয়ী হল স্পেন। ম্যাচের ফলাফল যে কোনও দিকে যেতে পারত। তরুণ খেলোয়াড়দের অনভিজ্ঞতা একটা বড় কারণ ছিল সেদিন চিলির না জেতার ক্ষেত্রে।
তবে, ব্রাজিলের কাছে পরের রাউন্ডে ৩-০ গোলে পর্যুদস্ত হল চিলি। আর স্পেন সেবার জিতে নিল বিশ্বকাপ।
তবুও একজন বললেন, এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে সুন্দর ফুটবল খেলেছে মার্সেলো বিয়েলসার চিলি। বক্তা, আধুনিক ফুটবলের জনক জোহান ক্রুয়েফ।
১৯।
২০১১-য় রাজনৈতিক কারণে অপসারণ করা হল চিলির ফুটবল কর্তাকে। দায়িত্ব ছাড়লেন বিয়েলসাও। এখানেও সেই অর্থে সাফল্য এল না। কিন্তু চিলির ফুটবল দল, যার ফুটবলের নিজস্ব ঘরানার পরিচিতি গড়ে ওঠেনি এর আগে, তারা নতুন ভাবে ফুটবলকে দেখতে শিখল। এর কিছু বছর পরে ২০১৪ সালে বিয়েলসার এক গুণমুগ্ধ আর্জেন্টাইন সাম্পাওলি চিলিকে নিয়ে ফের সুন্দর ফুটবল উপহার দেবেন, ২০১৫ ও ২০১৬-তে কোপা আমেরিকা জিতে নেবে চিলি, আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে। কিন্তু ভিত্তিটা তৈরি করে গেলেন বিয়েলসাই। এবং এটা অত্যুক্তি নয়।
চিলির তারকা ফুটবলার আলেক্সিস স্যাঞ্চেজের মতে, বিশ্বফুটবলে তাঁর এত খ্যাতি, জনপ্রিয়তা ও ফুটবলার হিসেবে উন্নতির পিছনে মার্সেলো বিয়েলসাই সব কৃতিত্বের দাবিদার।
এর বাইরেও একটা ব্যাপার হয়তো অলক্ষেই ঘটল। আল জাজিরার এক নিবন্ধে ডেভিড গোল্ডব্ল্যাট লিখলেন বিয়েলসার দলের আক্রমণাত্মক নীতির প্রতিফলন ঘটল চিলির সামাজিক এবং রাজনৈতিক জীবনে ও সংস্কৃতিতে। যেন একধরনের “সোশ্যাল প্রোটাগোনিজমো” জন্ম নিল। চিলির সমাজজীবন বহুবছর ধরেই কেমন নিস্তেজ ছিল, জমে থাকা রাজনৈতিক আশা আকাঙ্ক্ষার ফিসফাসগুলো ফাটল সুতীব্র চিৎকার হয়ে। কয়েক বছরের মধ্যেই চিলির রাস্তায় বহুবার নামল জনতার ঢল।
এও শোনা যায় যে, চিলির কোচ থাকাকালীন চিলির কিছু মানুষের উদ্যোগে গঠিত হয়েছিল বিয়েলসিস্তা রেভলিউশনরি পার্টি!
২০।
এবার বিয়েলসার গন্তব্য অ্যাথলেটিক বিলবাও। স্পেনের সীমানার অন্তর্গত বাস্ক প্রদেশের বর্ণময় ক্লাব। প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার তেলমো জারার ক্লাব। এই বিশ্বায়নের যুগেও তাদের এক অদ্ভুত নীতি। বাস্ক প্রদেশের ভূমিপুত্র এবং বাস্কের অন্তর্গত ক্লাবগুলোয় খেলা ও প্রশিক্ষণ নেওয়া খেলোয়াড়দের বাইরে থেকে কোনও ফুটবলার তাদের ক্লাবে খেলতে পারবে না! কাজেই প্রতিযোগিতার দৌড়ে তারা বহুদিনই কোণঠাসা। এরকম দলের জন্য যেন বিয়েলসাকেই দরকার ছিল।
লিগে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বিলবাও। বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, আতলেতিকো মাদ্রিদের মত দলের সঙ্গে পারা সম্ভব নয় স্বাভাবিক বুদ্ধিতে। তবু বিলবাও লিগের মাঝে বেশ কিছু মাস অপরাজিত রইল। তাদের দারুণ দৌড় শুরু হল কোপা দেল রে বা স্প্যানিশ কাপে। অন্যদিকে ইউরোপের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ক্লাব প্রতিযোগিতা উয়েফা ইউরোপা লিগে।
এখানে থাকাকালীন বিয়েলসা নিজের প্রিয় ৩-৩-১-৩ সিস্টেমকে তো রাখলেনই। পাশাপাশি এক স্ট্রাইকার নিয়ে খেলা দলের বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরুতে ব্যবহার করলেন ৪-২-৩-১ শেপও। ফলে অনেক সময়ই বিপক্ষ দল বিভ্রান্ত হল। ব্যাপারটা দাঁড়াল এরকম। বিপক্ষের আক্রমণের সময় বল ছাড়া অবস্থায় বিলবাও-এর শেপ হবে ডিফেন্সিভ (৪ ব্যাক)। বল পায়ে এলে বা বল পায়ে আসার সম্ভাবনা তৈরি হলেই চোখের পলক পড়ার আগে দ্রুত ট্রানজিশন ঘটে যাবে। তখন ৩-৩-১-৩ কে কেন্দ্র করেই আক্রমণ করবে বিলবাও। এখানে বলে রাখা ভাল, বিয়েলসার মূল লক্ষ্য আক্রমণ, তাঁর স্টাইল প্রো-অ্যাকটিভ। আর তার জন্য তাঁর পছন্দের সিস্টেম ৩-৩-১-৩। আক্রমণের সময়ে এই ৩-৩-১-৩ এ ট্রানজিট করার লক্ষ্য স্থির। তাই জন্য ৩-৩-১-৩ এ দ্রুত পৌঁছতে যে নির্দিষ্ট শেপ তাঁর নির্দিষ্ট দলের পক্ষে কার্যকরী সেই শেপই বিয়েলসা প্রাথমিক ভাবে ব্যবহার করেন সর্বত্র, এস্প্যানিয়লে থাকাকালীন স্বল্প সংখ্যক ম্যাচেও দেখা গিয়েছিল এই বিষয়টা। ভবিষ্যতেও বারবার দেখা যাবে। এই ৩-৩-১-৩ এ ট্রানজিশনের সময়ে ‘ভার্টিক্যাল’ অক্ষ ব্যবহৃত হয়, সোজা কথায় ডিফেন্স থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আক্রমণভাগে বল নিয়ে পৌঁছনো যায়।
বিয়েলসার ট্রেনিং-এ হেরেরা, সুসায়েতার মত তরুণ খেলোয়াড়েরা ছুটল পাগলের মত, আদুরিজ, লোরেন্টের মত সিনিয়ররাও প্রথম মরসুমে অদ্ভুত ভাল খেললেন। হোল্ডিং/ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার জাভি মার্তিনেজকে দেখা গেল অধিকাংশ সময়েই ব্যাক থ্রি বা ফোর এর অংশ হিসেবে, আবার ফুটবলের পরিভাষায় ‘হোল’-এও মাঝেমধ্যে অপারেট করলেন তিনি। এর কারণ হল, ডিফেন্স থেকে খেলা তৈরির ক্ষেত্রে একজন মিডফিল্ডার দ্রুত ট্রানজিশন-এর অংশ হতে সক্ষম। এই ভূমিকাতেই মার্তিনেজকে পরবর্তীকালে পেপ গার্দিওলার প্রশিক্ষণাধীন বায়ার্ন মিউনিখেও খেলতে দেখা যাবে।
ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোয় ওল্ড ট্রাফোর্ডে গিয়ে বিলবাও জিতে এল ৩-২ গোলে, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এর বিপক্ষে। ৯০ মিনিট ধরে যে গতিতে ছুটলেন খেলোয়াড়েরা তা দেখে কার্যত চমকে গেলেন স্যার আলেক্স ফার্গুসনও। পরের ম্যাচে ঘরের মাঠে রেড ডেভিলসদের ফের নাজেহাল করে দিয়ে ২-১ এ ম্যাচ জিতে নিল বিলবাও। ইউরোপের বিভিন্ন সংবাদপত্রে লেখা হল, ম্যাচের ফল ৭-১ হলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। বিয়েলসা ও তাঁর দলের অকুণ্ঠ প্রশংসা করলেন কিংবদন্তি ফার্গুসন। তিনি বললেন, বিলবাওই এবার ইউরোপা লিগ জিতবে।
কিন্তু তেমনটা হল না। ফাইনালে ৩-০ গোলে হারতে হল বিয়েলসার দলকে। সারা বছর প্রচন্ড গতিতে প্রেস করা টিম কেমন যেন থমকে গেল সেই ম্যাচে। ট্রফি জিতে নিল আতলেতিকো মাদ্রিদ। যেই দলের দায়িত্বে বিয়েলসারই প্রাক্তন ছাত্র দিয়েগো সিমিওনে।
কোপা দেল রে-র ফাইনালেও একই ফলে হারল বিলবাও, এবার বার্সেলোনার কাছে।
পরের মরসুমে কিছু খেলোয়াড় বেরিয়ে গেলেন। বিয়েলসাও রাশ হারালেন। দায়িত্ব ছাড়তে হল তাঁকে। কিন্তু মন্ত্রমুগ্ধ সমর্থকেরা তাঁদের বাস্ক লেজেন্ডের অংশ করে নিল তাঁকে। কত বছর এরকম খেলা তারা দেখেনি!
এখানেও চূড়ান্ত সাফল্য এল না। এবার যাত্রা অন্য আর এক দেশে।
ছবি ঋণ – Wikimedia

নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.