“সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আর সাংবাদিকের স্বাধীনতা সমার্থক নয়। কোন দেশেই নয়। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কিংবা যাকে বলা হয় মুদ্রাযন্ত্রের স্বাধীনতা তার জন্য লড়াইটা এযাবৎ প্রধানত চলেছে রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে, স্বৈরতান্ত্রিক শাসন-নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে। এ লড়ায়ের মোটামুটি মানে, স্বাধীনভাবে মতামত এবং সমকালীন ঘটনাবলীর বিবরণ প্রকাশের অধিকার দাবি করেছে খবরের কাগজ। সে অধিকার মোটের উপর স্বীকৃত হয়েছে অনেক দেশে। কিন্তু খবরের কাগজের স্বাধীনতা মানে, সাংবাদিকের, এমন কী সম্পাদকেরও স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার নয়, এই সোজা কথাটা পরিষ্কারভাবে না বোঝার ফলে অনেক ক্ষোভ এবং অভিযোগ জমে উঠেছে। ক্ষোভ সাংবাদিকের মনে, অভিযোগ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।”

‘সাংবাদিকতা ও কিংবদন্তী’ প্রবন্ধে কথাগুলো লিখেছিলেন অধুনালুপ্ত ‘হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ড’ কাগজের একদা অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর সরোজ আচার্য। হকি খেলায় যেমন সবুজ কার্ড দেখিয়ে খানিকক্ষণের জন্য কোন কোন খেলোয়াড়কে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, তেমনভাবে ইন্ডিয়া টুডে কর্তৃপক্ষ অভিজ্ঞ সাংবাদিক রাজদীপ সরদেশাইকে দু সপ্তাহের জন্য চ্যানেল থেকে নির্বাসন দিয়েছেন, উপরন্তু তাঁর মাইনে কেটে নিয়েছেন। এই ঘটনা নিয়ে ভাবতে গিয়ে সরোজ আচার্যের এই প্রবন্ধের কথা মনে পড়ল। সরোজবাবুর জীবদ্দশায় এ দেশে নিউজ চ্যানেল বলে কোন বস্তু ছিল না, কিন্তু এখানে সংবাদপত্রের জায়গায় অনায়াসে সংবাদমাধ্যম শব্দটা বসিয়ে নেওয়া যায়। তাতে অর্থের হেরফের হবে না, আমাদের কাজও হয়ে যাবে। জানি না রাজদীপবাবু বাংলা পড়তে পারেন কিনা, পারলেও সরোজবাবুর লেখা চোখে পড়ার সম্ভাবনা কম। কারণ ইনি পশ্চিমবঙ্গেই অধুনা বিস্মৃত একজন লেখক-সাংবাদিক। বাংলার দিকপাল সাংবাদিকরাই কজন এঁর নাম জানেন সন্দেহ আছে। কিন্তু ভারতীয় সাংবাদিকতার বর্তমান অবস্থা যাঁদের হতাশ করেছে এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে যাঁরা চিন্তিত, তাঁদের জন্য এই প্রবন্ধ চিন্তার খোরাক হতে পারে।

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন

~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

রাজদীপবাবুর ট্র্যাজেডি হল, তিনি অর্ণব গোস্বামী ও সম্প্রদায়ের মত দেশপ্রেমের দোহাই দিয়ে সরাসরি সরকারি দলের মুখপাত্র হয়ে উঠতে পারেননি। আবার রানা আয়ুব বা সিদ্ধার্থ বরদারাজনের মত বিজেপিকে প্রকাশ্যে দেশের শত্রু আখ্যা দিয়ে প্রতিষ্ঠানবিরোধী সাংবাদিকতা করার সাহস দেখাতে পারেননি। ফলে অর্ণববাবু যেখানে টাইমস গ্রুপের মত বিরাট কর্পোরেট সংস্থার চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজের মালিকানায় চ্যানেল খোলার রেস্ত পেয়ে গেছেন; সিদ্ধার্থবাবু যেখানে ওয়েব মাধ্যমে চলে গিয়ে মূলত পাঠকের অনুদানের উপর ভিত্তি করে সরকারি আক্রমণের মুখে দাঁড়িয়েও নিজে সাংবাদিকতা বলতে যা বোঝেন তা চালিয়ে যাচ্ছেন; সেখানে রাজদীপবাবুকে নিজের হাতে তৈরি চ্যানেল সস্ত্রীক ছেড়ে আসতে হয়েছে কয়েক বছর আগে। ২০০২-এর গুজরাট দাঙ্গা যেভাবে রিপোর্ট করেছিলেন, তার জন্য বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে নিত্য গাল পাড়ে, বাগে পেয়ে আমেরিকার রাস্তায় কয়েক ঘা বসিয়েও দিয়েছিল। অথচ এখন রাহুল কাঁওয়াল, গৌরব সাওয়ান্তের মত ব্যাজহীন বিজেপি মুখপাত্রের সাথে বসে সাংবাদিকতার ভান করতে হয়। আর সেজন্যে এমনকি বিজেপি বিরোধী সাধারণ মানুষও রাজদীপবাবুর উপর রুষ্ট। প্রবীণ সাংবাদিকের লাঞ্ছনার দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নিন্দা করার বদলে অনেকেই বলছেন, যে জন আছে মাঝখানে, তার ঠাঁই নাই কোনখানে — একথা রাজদীপবাবুকে বুঝতে হবে।

পুঁজিবাদী আনন্দবাজার গ্রুপের কাগজের সাংবাদিক অথচ মার্কসবাদী সরোজবাবু তাঁর প্রবন্ধে সারা পৃথিবীর একাধিক প্রবাদপ্রতিম সংবাদপত্র ও সম্পাদকের উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন “ব্যক্তিগতভাবে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ভীরুতা, কপটাচরণ, দাস-মনোভাব ইত্যাদির অভিযোগ আনবার কোনো অর্থই হয় না। অন্য সব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের যেমন তাদের কাজ সম্পর্কে কতকগুলি নির্দেশ মেনে চলতে হয় সাংবাদিকদেরও তেমনি। অন্য সব প্রতিষ্ঠানেও কাজের নীতি নির্ধারণ এবং দায়ভাগটা সাধারণ কর্মীর ইচ্ছা অনুযায়ী হয় না, হওয়া সম্ভব নয়। প্রতিষ্ঠানের কর্তৃত্ব গণতান্ত্রিক উপায়ে সমানভাবে ভাগ করে দেবার পদ্ধতি সোভিয়েট ইউনিয়নেও আবিষ্কৃত হয়নি। ‘কর্তার ইচ্ছায় কর্ম’ যেমন কলকারখানায়, তেমনই খবরের কাগজেও…”

এই কথাটা উপলব্ধি করতে পারলে রাজদীপবাবুর ত্রিশঙ্কু অবস্থা নিয়ে রাগ করা অযৌক্তিক হয়ে পড়ে। কিন্তু সেক্ষেত্রে সঙ্গতভাবেই এই প্রশ্ন আসে, যে একই যুক্তিতে রাহুল, গৌরব, হিন্দি চ্যানেলগুলোর আরো উগ্রভাষী রুবিকা লিয়াকত, রোহিত সারদানাদের বা বিভিন্ন কাগজের সম্পাদকদের ছাড় দেওয়া হবে না কেন? তাঁদেরও তো মালিকের মর্জি মেনে চলতে হয়। যদি রবীশ কুমার এনডিটিভি-তে চাকরি না করে রিপাবলিক টিভিতে চাকরি করতেন, তাহলে কি তাঁর পক্ষে এখনকার মত সাংবাদিকতা করা সম্ভব হত?

এতক্ষণ সরোজ আচার্যের প্রবন্ধের প্রাসঙ্গিকতা আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে গেলে অপ্রাসঙ্গিকতার দিকগুলো বুঝতে হবে। এর জন্য প্রবন্ধকার দায়ী নন, দায়ী সময়।

প্রথমত, সরোজবাবু যে সময়ের লোক, সেই সময়ের সংবাদমাধ্যমের মালিকরা যেরকম পুঁজির প্রতিভূ ছিলেন, তার সাথে আজকের পুঁজির চরিত্রগত ফারাক অনেক। সেই সময় আমাদের দেশের কাগজের মালিকরা, সে আনন্দবাজার পত্রিকার মালিক সরকারবাবুরাই হোন আর হিন্দুস্তান টাইমসের মালিক বিড়লা কিংবা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের গোয়েঙ্কা, ব্যবসায়িক স্বার্থে কাগজ চালিয়েও মনে করতেন কাগজের দায়িত্ব সাধারণ মানুষের কথা বলা, রাষ্ট্রশক্তির গলদ প্রকাশ করা। স্বাধীনতা আন্দোলনের উত্তরাধিকার এই চিন্তাভাবনার পিছনে অবশ্যই বড় কারণ ছিল। ১৯৯১ পরবর্তী নিও-লিবারাল পুঁজি কিন্তু লাভের কড়ি ছাড়া কিছু নিয়েই ভাবতে রাজি নয়। ফলে এখন তার স্বার্থ আর রাষ্ট্রশক্তির স্বার্থ অভিন্ন, কারণ কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা পরিত্যক্ত। রাষ্ট্রের উপর অতি ধনীদের নিয়ন্ত্রণ গত তিরিশ বছরে বাড়তে বাড়তে এখন চূড়ান্ত। অতএব আগে সংবাদমাধ্যমের মালিকরা অনেক বিষয়ে সম্পাদককে স্বাধীনতা দিতেন, এখন আর দেন না। সচেতন সাংবাদিক অস্বীকার করতে পারবেন না, যে এখন স্রেফ প্রতিষ্ঠানের নির্দেশ মেনে চলা মানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাংবাদিকতা বলতে যা বোঝায়, ঠিক তার উল্টোটা করা। এ অবস্থা সরোজ আচার্যের প্রবন্ধের কালে ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, ঘুষখোর সাংবাদিক চিরকাল ছিল। পি সাইনাথের পেইড নিউজ নিয়ে কাজ এবং কোবরাপোস্টের স্টিং অপারেশন দেখিয়ে দিয়েছে, এখন ঘুষ নেয় খোদ সংবাদমাধ্যম। অতএব এ যুগে সম্পাদক প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে চলাকেই যদি চূড়ান্ত মনে করেন, তাহলে স্বীকার করে নেওয়া ভাল যে তিনি সাংবাদিকতা করছেন না, মালিকের ব্যবসার প্রচারাভিযান চালাচ্ছেন।

দ্বিতীয়ত, বিংশ শতাব্দীতে স্বাধীন সাংবাদিকতা, ইংরেজিতে যাকে বলে ফ্রিলান্স জার্নালিজম, তার পরিসর ছিল নিতান্ত সংকীর্ণ। সঠিক অর্থে স্বাধীনতাও তাতে ছিল না। কারণ খবর প্রকাশের জন্য কোন না কোন সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ হতেই হত। অতএব বিবেক দংশন মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় কী? এখন ইন্টারনেট, সোশাল মিডিয়ার যুগ। নয় নয় করে কম সাংবাদিক ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে সাংবাদিকতা করছেন না। রোজগারের নিরিখে কর্পোরেট সংবাদমাধ্যমের চাকরির তুলনায় এখনো সেসব নগণ্য, কিন্তু কর্পোরেট যথার্থই বুঝেছে যা বলে দেওয়া হচ্ছে, হুবহু তাই লিখতে বা দেখাতে সাংবাদিকের দরকার হয় না। তাই ছাঁটাইয়ের হিড়িক পড়েছে। এমতাবস্থায় প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে সাংবাদিকতা করা না হয় না-ই গেল, নিজের চাকরিটা বাঁচানো যাবে কি? যাবে না। এখানে আমরা অবশ্যই সম্পাদক স্তরের সাংবাদিকদের কথা বলছি, কারণ যে সাংবাদিকরা কর্পোরেট মইয়ের নীচের দিকে আছেন, তাঁদের সামনে বিকল্প নেই। কোন পেশাতেই তাঁদের স্তরের লোকেরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্বে থাকেন না। কিন্তু উপরতলার লোকেরা স্রেফ চাকরি বাঁচানোর জন্য দিনকে রাত, রাতকে দিন করেন — এমন ছেঁদো যুক্তি আর হয় না। এ হেন সম্পাদকদের শরীরী ভাষাও প্রমাণ করে, তাঁরা যা করছেন সোৎসাহে করছেন। কথাটা যেমন টিভি সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে সত্যি, তেমন কাগজের সম্পাদকদের ক্ষেত্রেও সত্যি। কাগজের সম্পাদকদের পাঠক দেখতে পান না, এই যা।

রাজদীপ সরদেশাই ঠিক এখানেই মার খেয়ে গেলেন। এনডিটিভি বা সিএনএন-আইবিএন আমলে যিনি ছিলেন পরিপাটি সাংবাদিক, ইন্ডিয়া টুডের বিভিন্ন শো-তে প্রায়শই তাঁকে অপটু জোকার বলে মনে হয়, কারণ রাহুল বা গৌরবের স্বতঃস্ফূর্ততা তাঁর মধ্যে থাকে না। স্টুডিওর অতিথিরাও লাইভ অনুষ্ঠানে তাঁকে বিজেপি বিরোধী বলে ঠেস দেন, আর তিনি প্রাণপণে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন তিনি নিরপেক্ষ। ভুল হোক আর ঠিক হোক, মানতেই হবে, সাংবাদিকতায় সারা পৃথিবীতেই দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত ধারণা ছিল, সাংবাদিকের একমাত্র দায়বদ্ধতা নিরপেক্ষতার প্রতি। কারণ মনে করা হত নিরপেক্ষ থাকলে তবেই সত্য উদ্ঘাটন করা যায়; পক্ষপাতিত্ব করলে মিথ্যা প্রশ্রয় পায়। উত্তরসত্য (post truth) আর ভুয়ো খবরের যুগে এই সহজ সমীকরণ যে বাতিল হয়ে গেছে, অনেককেই তা এখনো বোঝানো যায় না। রাজদীপবাবু তেমন লোকেদেরই একজন। এঁরা এখনো বোঝেননি, সাংবাদিকের একমাত্র দায়বদ্ধতা সত্যের কাছে, যা এখন অধিকাংশ সময়ে রাষ্ট্রের বিপক্ষে যাবে। কারণ মিথ্যা এখন তার অন্যতম হাতিয়ার। ফলে মতামতহীন সাংবাদিকতার এখন জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ।

লক্ষ করলে দেখা যাবে, রাজদীপ মতামতহীন হয়েই ডুবলেন। ২৬শে জানুয়ারি দিল্লির রাজপথে যে কৃষকের মৃত্যু হয়, তাঁর সম্বন্ধে নিজের চ্যানেলের ক্যামেরার সামনে উনি পুলিসের বক্তব্য (ট্র্যাক্টর উল্টে মৃত্যু) আর আন্দোলনকারী কৃষকদের বক্তব্য (পুলিশের গুলি ট্র্যাক্টর উল্টে যাওয়ার কারণ) — দুটোই বলেন। আসলে সাংবাদিকের ঠিক তাই করার কথা। কিন্তু তিনি বুঝতে পারেননি, তাঁর চ্যানেলের মালিক তা চাইছেন না। তিনি চাইছেন কেবল পুলিসের বক্তব্যটাই প্রচারিত হোক। দেরিতে উপলব্ধি করে রাজদীপ কৃষকদের বক্তব্য জানিয়ে যে টুইট করেছিলেন তা মুছে দেন এবং কারণ হিসাবে পুলিসের বক্তব্য লেখেন। তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। কেবল মালিক শাস্তি দিয়েছেন তা নয়, দুটো রাজ্য সরকার রাজদীপের বিরুদ্ধে (সঙ্গে আরো পাঁচজনের বিরুদ্ধে) রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে এফ আই আর করেছে। এর চেয়ে তিনি কেবল পুলিসের বক্তব্যই বলতে পারতেন।

নির্বাসন এবং মাইনে কাটা যাওয়ার পর, ২৯শে জানুয়ারি হিন্দুস্তান টাইমসে নিজের কলামে রাজদীপ ২৪ বছর বয়সী নবরীত সিং-এর মৃত্যুর জন্য ফের ট্র্যাক্টর উল্টে যাওয়াকেই দায়ী করেছেন। এই শুভ বুদ্ধির উদয়ে তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয় কিনা সেটাই এখন দেখার। ভবিষ্যতে তিনি সরোজ আচার্যের নিম্নলিখিত কথাগুলো মনে রেখে এগোলে হয়ত উভয়সঙ্কট এড়াতে পারতেন। অন্তত যে বাংলা জানা দর্শকরা রাজদীপের নিরপেক্ষতা নিয়ে রুষ্ট, তাঁরা পড়ুন। সমস্যাটা বুঝতে পারবেন। এই কথাগুলো আজও একইরকম সত্যি:

“খবরের কাগজ [পড়ুন সংবাদমাধ্যম] জনসাধারণের সেবক হোক বা না হোক, গোড়ার কথা হল খবরের কাগজ আর পাঁচ রকম জিনিসের মতই ‘প্রপার্টি’ অর্থাৎ সেই প্রপার্টির স্বত্ত্বাধিকার যতক্ষণ সব বিষয়ে শেষ কথা বলতে অধিকারী ততক্ষণ সংবাদপত্রের [সংবাদমাধ্যমের] স্বাধীনতা, জন স্বার্থরক্ষা ইত্যাদি বিষয় প্রপার্টির স্বার্থদ্বারা নিয়ন্ত্রিত।”

চিত্র ঋণ : রাজদীপ সরদেশাই এবং সর্বভারতীয় কৃষকসভার ফেসবুক পাতা।

নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

1 মন্তব্য

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.