শীতের পেলবতা মেখে উৎসবের আবহ আসতে কিছুটা দেরি থাকলেও এই গ্রহের দুটো ‘গ্রেটেস্ট স্পোর্টিং শো’-এর একটা দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়ায় এ দেশে এখন অকাল উৎসবের হাওয়া। এক মাস ধরে চলতে থাকা বিশ্বকাপ ফুটবল উৎসবপ্রিয় আমজনতার কাছে নিখুঁত কার্টেন রেজার। ২০২২ সালের বিশ্বকাপ বেশ কয়েকটা দিক দিয়ে অনন্য। অসময়ে হওয়া ছাড়াও কাতারে বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়ে বেঁধেছে নানাবিধ বিতর্ক – অনৈতিক উপায়ে আয়োজনের অধিকার পাইয়ে দেওয়া, স্টেডিয়াম নির্মাণে নিযুক্ত শ্রমিকদের সঙ্গে মনুষ্যেতর ব্যবহার ইত্যাদি খবর থেকে থেকেই ভেসে উঠেছে। এর পাশাপাশি ঘটেছে মাঠের বাইরের রাজনীতির গতিপ্রকৃতির জন্য মাঠের ভিতরের খেলোয়াড়দের নির্বাসন দেওয়ার মত ঘটনা। ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে যোগ্যতার্জন পর্ব থেকেই নির্বাসন দেওয়া হয়েছে রাশিয়াকে। এ কথা কারও অজানা নয় যে এর পিছনে আছে পশ্চিম ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশগুলির চাপ। তথাকথিত উদারবাদী গণতান্ত্রিক পরিসরে যতই শোনা যাক না কেন “খেলাধুলোর সঙ্গে রাজনীতিকে জড়িয়ে ফেলা উচিত নয়”, রাশিয়ার ফুটবল দলের ক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টোটাই।
বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে এরকম ঘটনা অভূতপূর্ব মনে হচ্ছে? ইতিহাস কিন্তু তা বলে না। একই ঘটনা ঘটেছিল ঠিক ৪৯ বছর আগের এক নভেম্বরে। সেবারও ছিল বিশ্বকাপের যোগ্যতার্জন পর্বের খেলা, সেবারও ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বর্তমান রাশিয়ার পূর্বসূরী সোভিয়েত ইউনিয়ন। সেবারও আন্তর্জাতিক রাজনীতির শিকার হয়ে ১৯৭৪ বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ হারিয়েছিল সোভিয়েতরা। কলঙ্কজনক এই ঘটনায় ইউক্রেনের জায়গা নিয়েছিল লাতিন আমেরিকার দেশ চিলে।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে দুই মেরুতে বিভক্ত বিশ্বে মার্কিন নেতৃত্বে ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলো, আর সোভিয়েত নেতৃত্বে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধের ইতিহাস সবার জানা। গত শতকের ছয়ের দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার তাঁবে থাকা পশ্চিমী দেশগুলোর কাছে লাল সোভিয়েতের প্রভাব ক্রমাগত ভীতি সঞ্চার করছিল। আফ্রিকা, এশিয়া, লাতিন আমেরিকা হয়ে বিক্ষোভ ক্রমশ পুঞ্জীভূত হচ্ছিল এমনকি ইউরোপেও। লাতিন আমেরিকা, যাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একরকম উপনিবেশ হিসাবে ব্যবহার করে এসেছে, সেখানে লাল বিপ্লবের ভূত দেখা শুরু হল কিউবা বিপ্লবের পর থেকে। ১৯৬৭ সালে বলিভিয়ায় চে গুয়েভারা নিহত হলেও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে মার্কিন মদতপুষ্ট শাসকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে জিতে চিলের রাষ্ট্রপতি হলেন সমাজতন্ত্রী সালভাদোর আয়েন্দে। আয়েন্দের নির্বাচিত হওয়া চিলেসহ গোটা লাতিন আমেরিকার গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের মধ্যে খুশির জোয়ার আনল। এদিকে প্রমাদ গুনল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মদতপুষ্ট লাতিন আমেরিকার অভিজাত সম্প্রদায়। ক্ষমতায় এসেই শিল্পের জাতীয়করণ, সবার জন্য শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা করার মত পদক্ষেপ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরে বাইরে ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেল আয়েন্দে সরকারের বিরুদ্ধে। আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে চিলের অর্থনীতিকে দমবন্ধ করে মেরে ফেলার পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক বিক্ষোভকে মদত দেওয়ার কাজে নামল আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশগুলো।
লাতিন আমেরিকায় ফুটবল নিছক খেলা নয় – রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ, জাতীয় আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। চিলের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা আলাদা নয়। দল হিসাবে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ের কৌলীন্য না থাকলেও ছয়ের দশকে চিলে যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় আকাঙ্ক্ষার প্রতীক চিলে দলকে স্বাভাবিকভাবেই আয়েন্দে আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রপতি ভবনে। দলের অধিনায়ক লিওনার্দো ভেলিজ এবং তারকা স্ট্রাইকার কার্লোস কাজেলি তখন ফুটবল বিশ্বে পরিচিত নাম। চিলের ‘অরাজনৈতিক’ ফুটবল জগতে এঁরা দুজন ভীষণ রাজনৈতিক, বামপন্থী দর্শনে বিশ্বাসী এবং আয়েন্দের সোচ্চার সমর্থক – তাঁদের ভাষায় ফুটবলারদের মধ্যে ‘কুলাঙ্গার’। আয়েন্দের সমাজতান্ত্রিক সংস্কার তাঁদের কতটা প্রভাবিত করেছিল তা বোঝাতে গিয়ে ভেলিজ উল্লেখ করেন আয়েন্দের সঙ্গে চিলে দলের ছবি তোলার ঘটনা। “ গোটা দল যখন রাষ্ট্রপতির মুখোমুখি, ছবি তোলার জন্য জায়গা নিচ্ছে, আমি তখন ইন্টারভিউ দিচ্ছিলাম। কোনোমতে শেষ করে দৌড়লাম যাতে আয়েন্দের বাঁ পাশে কেউ দাঁড়াতে না পারে। জীবনে এত জোরে কখনও দৌড়ইনি।”
১৯৬২ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক চিলে ১৯৭০ বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। আয়েন্দের নতুন চিলেতে ফুটবল দলও নতুন করে আশায় বুক বাঁধে, ১৯৭৪ বিশ্বকাপের যোগ্যতার্জন হয়ে ওঠে পাখির চোখ। ১৯৭৩ সালের ৫ আগস্ট পেরুকে হারিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা (CONMEBOL) অঞ্চলের তৃতীয় দল হিসাবে আন্তর্মহাদেশীয় প্লে অফ খেলার সুযোগ পায় চিলে, প্রতিপক্ষ সোভিয়েত ইউনিয়ন। হাতে প্রস্তুতির জন্য সময় সাত সপ্তাহ।
১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩। জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা চিলে ফুটবল ফেডারেশনের দপ্তরে এসেছেন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে প্রথম পর্বের খেলার জন্য জার্সির মাপ দিতে। সেখানে কানাঘুষো শুনলেন সামরিক ক্যু হয়েছে। প্রথমে বিশ্বাস না হলেও রাষ্ট্রপতি ভবন লে মনেদায় বোমা পড়তে দেখে তাঁরা বুঝতে পারলেন বড় মাপের গণ্ডগোল হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা সত্যি করে সিআইয়ের মদতে ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী। আয়েন্দে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে শেষ ভাষণ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন, নিজেকে নতুন রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করলেন সেনাপ্রধান অগাস্তো পিনোশে। পিনোশে ঘোষণা করলেন তাঁর আশু কর্তব্য – চিলেকে শয়তান মার্কসবাদীদের কবল থেকে মুক্ত করা। চিলের ইতিহাসে এক অন্ধকার সময়ের সূচনা হল।
আয়েন্দে অনুগামী বা বামপন্থী সন্দেহ হলেই ধরপাকড়, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি আর অত্যাচারের তাণ্ডব শুরু হল দেশজুড়ে। ইতিহাসের এমনই পরিহাস, যে ফুটবল ছিল চিলের মানুষের জীবনযুদ্ধের রসদ, তা হয়ে দাঁড়াল মৃত্যুর শমন। সান্তিয়াগোর এস্তাদিও নাশিওনাল বা ন্যাশনাল স্টেডিয়াম রূপান্তরিত হল বধ্যভূমিতে। রাষ্ট্রের চোখে সন্দেহজনক মনে হলেই গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা হত স্টেডিয়ামে এবং চলত অকথ্য অত্যাচার।
“বাড়িতে একাই ছিলাম। মিলিটারি ঢুকে অস্ত্রের খোঁজ করল, তল্লাসি করল। পেল শুধু কটা বই। সেই অপরাধে গ্রেফতার হলাম। ভ্যানে তুলে যখন নিয়ে যাচ্ছে, ভাবলাম কোন মাঠে নিয়ে গিয়ে গুলি করবে। ওমা! দেখি সোজা এস্তাদিও নাশিওনালে নিয়ে এল,” বলেছিলেন জুন্টার বধ্যভূমি থেকে বেঁচে ফেরা হর্হে মন্তেআলেগ্রে। ফুটবল স্টেডিয়ামকে কীভাবে কলঙ্কিত করা হত তার বর্ণনা দিয়েছেন ভ্লাদিমিরো মিমিকা। আয়েন্দের মৃত্যুর সময় তিনি রেডিও ম্যাগালেনেসের সাংবাদিক। রেডিও ম্যাগালেনেস আয়েন্দের শেষ ভাষণ সম্প্রচার করেছিল। খুব স্বাভাবিকভাবেই ওই রেডিও স্টেশন এবং তার কর্মীরা ছিলেন পিনোশের চক্ষুশূল। অচিরেই মিমিকাকে গ্রেপ্তার করে রাখা হল এস্তাদিও নাশিওনালের অস্থায়ী জেলখানায়। “ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে থাকতাম আমরা। ঠাণ্ডা আর খিদেয় কাতর থাকতাম। জেরা, অত্যাচার, নকল হত্যার মহড়া দিয়ে বন্দিদের মানসিকভাবে দুর্বল করে দিত। আর মাঝে মাঝে মাঠের সেন্টার সার্কেলে নিয়ে গিয়ে বন্দীদের খুন করত। লাউডস্পিকারে নাম ডাকত – কালো চাকতিতে রিপোর্ট করো। সেন্টার সার্কলের সাংকেতিক নাম ওটা। আমরা বুঝে যেতাম কার কার ভবলীলা সাঙ্গ হতে চলেছে।”
যে সেন্টার সার্কল চিলের মানুষের একঘেয়ে, অনিশ্চিত, স্যাঁতস্যাঁতে জীবনে একফালি রোদ এনে দিত, সেইখানেই চিরদিনের মত নিভে যেত তাদের চোখের আলো – ভালবাসার ফুটবলকে এইভাবে কলঙ্কিত করছিল মিলিটারি জুন্টা। আর খেলোয়াড়রা? তাঁরা কি এসব থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন? ভেলিজ আর কাজোলির কথা শুনলেই বোঝা যায় পরিস্থিতি কতটা খারাপ ছিল।
“ভয়ের বাতাবরণ চারিদিকে। সান্তিয়াগোর রাস্তাঘাট জনশূন্য। রাস্তায় থাকলেই যে গ্রেপ্তার হতে হবে।”
“প্লে অফ ম্যাচের জন্য অনুশীলন করা খুব মুশকিল হচ্ছিল। অনুশীলনের মাঠে যাবার পথে রোজ মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতাম।”
প্লে অফের খেলাটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছিল। শোনা যায় পিনোশে মার্কসবাদী সোভিয়েতের বিরুদ্ধে খেলার বিরোধী ছিলেন। শেষে আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির খাতিরে রাজি হন।
২৬ সেপ্টেম্বর প্রথম পর্বের প্লে অফ ম্যাচের জন্য চিলে দল মস্কো রওনা হল। ক্যুয়ের পর এটাই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক উড়ান। একরাশ দুশ্চিন্তা এবং অনিশ্চয়তা নিয়ে মস্কোয় নেমে তাঁদের জুটল “হিমবাহসদৃশ শীতল অভ্যর্থনা”। মস্কো ততদিনে চিলের সামরিক সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। ফলে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনার জন্য চিলের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত কাজেলি এবং দলের আরেক সদস্য এলিয়াস ফিগুএরোকে ইমিগ্রেশনে আটকানো হয়।
“পাসপোর্টের ছবির সঙ্গে আমাদের চেহারা নাকি মিলছিল না। লম্বা চুলের এলিয়াসের পাসপোর্টে ছবি ছিল ছোট চুলওয়ালা লোকের। আমার পাসপোর্টের ছবিতে গোঁফ ছিল। এদিকে আমি তখন গোঁফ কামিয়ে ফেলেছি,” বলেছিলেন কাজোলি। খেলাও হল থমথমে পরিবেশে। দর্শকদের অনবরত টিটকিরির মধ্যে রক্ষণাত্মক খেলে ফলাফল গোলশূন্য রাখতে পারলেন চিলের ফুটবলাররা। দল হিসাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন তখন বেশ শক্তিশালী, ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে আগের বছরই রানার্স হয়েছে। তাদের ঘরের মাঠে না হারায় উচ্ছ্বাসে ভেসে গেল চিলের সরকার। মস্কোতেই খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানিয়ে টেলিগ্রাম পাঠালেন পিনোশে। স্প্যানিশ ভাষার সবচেয়ে পুরনো দৈনিক এল মারকুরিও শিরোনাম করল “এই ড্রয়ের মূল্য জয়ের সমান”।
আরো পড়ুন এখন চোখের জলেই মাপতে হবে মারাদোনাকে
দ্বিতীয় পর্বের খেলা হবে এস্তাদিও নাশিওনাল, সান্তিয়াগোতে, ২১ নভেম্বর। অক্টোবর মাসে সোভিয়েত ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান গ্রানাৎকিন বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির বৈঠকে জানালেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন চায় দ্বিতীয় পর্বের খেলা কোনো নিরপেক্ষ দেশে হোক। সান্তিয়াগোতে খেলার পরিবেশ নেই, স্টেডিয়ামে চলছে ডিটেনশন সেন্টার। নিরপরাধ মানুষের রক্তে রাঙানো স্টেডিয়ামে খেলতে যাওয়া সোভিয়েত মতাদর্শের বিরোধী। চিলের প্রতিনিধি প্রতিবাদ জানালেন। ঠিক হল ফিফার প্রতিনিধিদল এস্তাদিও নাশিওনালে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করবেন। সিদ্ধান্ত হবে তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতে।
তথ্যসূত্র
(১) গারেথ থমাস, দ্য ফুটবল হিস্ট্রি বয়েজ, সেপ্টেম্বর ২০২১
(২) পিট স্পেন্সার, footballpink.net, ফেব্রুয়ারি ২০২২
(৩) উলফগ্যাং ক্রাউশার, ইউরোজিন, অগস্ট ২০০৮
(৪) ফিলিপ বেকার, insidethegames.biz, মার্চ ২০২২
(৫) রবি দেব, medium.com, এপ্রিল ২০১৪
(৬) তথ্যচিত্র দি অপোজিশন, প্রযোজক: ইএসপিএন
(পরবর্তী অংশ আগামীকাল)
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।