শাওন

১০৩তম সংবিধান সংশোধনীতে সিলমোহর দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর প্রভাব নিয়ে লেখার আজ দ্বিতীয় তথা শেষ পর্ব।

ভারতে কোন জাতি কোন পেশার সঙ্গে যুক্ত তা জানার জন্য যে জাতিভিত্তিক জনগণনা, তা শেষবার হয়েছিল ১৯৩১ সালে। ১৯৫১ সাল থেকেই এই জাতিভিত্তিক জনগণনা বন্ধ করে দেওয়া হয় (একমাত্র তফসিলি জাতি ও জনজাতি ছাড়া)। বহু আন্দোলনের পর শেষপর্যন্ত রাজনৈতিক চাপে ২০১১ সালে জাতিভিত্তিক জনগণনা হয়, কিন্তু তথ্যের ভ্রান্তির জন্য সেই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। জাতি-বর্ণগত নিপীড়ন অর্থনৈতিক অসাম্যের সঙ্গে কেমন ওতপ্রোতভাবে যুক্ত হয়ে আছে তা জানার জন্য জাতিভিত্তিক জনগণনা অপরিহার্য। অধ্যাপক জঁ দ্রেজের কথায়, জাতিভিত্তিক জনগণনা করতে না চাওয়া আসলে কোনো অসুস্থ রোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে না চাওয়ার সমতুল্য।

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন

~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

যেটুকু সংরক্ষণ আছে তারপরেও জাতিভিত্তিক শ্রম বিভাজন এখনো কত তীব্র হলে এবং উচ্চবর্ণের রাজনীতি কতটা শক্তিশালী হলে এই জাতিভিত্তিক জনগণনা করতে সমস্ত সরকার অস্বীকার করতে পারে, সেটা আন্দাজ করা খুব একটা শক্ত নয়। মন্ডল কমিশন হিন্দু ও অহিন্দু ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে প্রত্যেক রাজ্যের পশ্চাৎপর জাতির তালিকা নির্ধারণ করেছিল এবং মতামত দিয়েছিল, ভারতবর্ষে পশ্চাৎপর জাতির লোকেরাই মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫২%। কমিশন OBC-দের জন্য কমিশন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি চাকরিতে ২৭% আসন সংরক্ষিত করতে সুপারিশ করে, OBC ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, গ্রামীণ হস্তশিল্পীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও ভর্তুকিসহ ঋণ দেওয়া, সমস্ত রাজ্যে আমূল ভূমি সংস্কার এবং OBC-দের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে বিশেষ ব্যয়ভার বহন করতে সুপারিশ করেছিল।

বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংয়ের সরকার এই সুপারিশগুলোর মধ্যে মাত্র একটা সুপারিশ – কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তর ও কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলোতে OBC-দের জন্য ২৭% চাকরি সংরক্ষিত করার সুপারিশ কার্যকর করে। তাতেই উচ্চবর্ণের দাপটে দেশজোড়া গোলমাল শুরু হয়ে যায় এবং সেই সরকারের পতন ঘটে। সংরক্ষণের এই সিদ্ধান্তের জন্য ভিপি সিংয়ের সরকারের পতনের কারণ বুঝতে গেলে এটা বোঝা জরুরি যে ওই সিদ্ধান্ত পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য কয়েকটা চাকরি মাত্র ছিল না। ওই সিদ্ধান্ত ছিল জাতিভিত্তিক বংশানুক্রমিক শ্রম বিভাজনের উপর আঘাত। বালাজি মামলার রায়ে এবং মন্ডল রায়ে সুপ্রিম কোর্ট সংরক্ষণের উর্ধ্বসীমা ৫০%-এ বেঁধে দিয়েছিল। অনেক রাজনৈতিক সংগ্রামের পরে তামিলনাড়ু উচ্চশিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ৬৯% সংরক্ষণ বজায় রেখেছে। বিভিন্ন সময় পশ্চাৎপর শ্রেণির জন্য, OBC মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণের দাবি উঠলেও ৫০% সীমারেখার সিদ্ধান্ত থেকে সুপ্রিম কোর্টকে টলানো যায়নি। মন্ডল কমিশনের সুপারিশে ৫২% পশ্চাৎপর জাতির অস্তিত্ব স্বীকার করেও মাত্র ২৭% সংরক্ষণের সুপারিশ করা হয়েছিল বালাজি মামলার রায় মনে রেখেই। এক বছর আগে একই কারণ দেখিয়ে মারাঠাদের সংরক্ষণের দাবি খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। মাননীয় বিচারপতিরা সঙ্গতভাবেই মারাঠা জাতির পশ্চাৎপরতার প্রমাণ দাখিল করতে বলেছিলেন। অথচ কোনো জাদুমন্ত্রে ৫০% সীমারেখা অতিক্রম করে কোনোরকম তথ্যানুসন্ধান ছাড়া, হঠাৎ করে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক মাপকাঠিতে উচ্চবর্ণের জন্য ১০% সংরক্ষণের সিদ্ধান্তে সবুজ সংকেত দিয়ে দেওয়া হল।

উচ্চবর্গীয় রাজনীতির দ্বিচারিতা এবং সুপ্রিম কোর্টের উদ্বেগজনক রায়

এ বছরের গোড়ার দিকে NEET পরীক্ষায় ২৭% OBC সংরক্ষণের বিরুদ্ধে একটা মামলা সুপ্রিম কোর্ট নাকচ করে দেয়। সেই ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির একজন ছিলেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ওই মামলার রায়ে তিনি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলেন, যা বর্তমান আলোচ্যের সঙ্গে যুক্ত। মামলাকারীদের পক্ষ থেকে চিরাচরিত মেধা বনাম সংরক্ষণের প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। চন্দ্রচূড় বলেন, মেধা একটি সামাজিক সম্পদ (social good)। কোনো সামাজিক সম্পদকে এমনভাবে ব্যবহার করা উচিত যা সামাজিক অসাম্য দূর করতে কাজে লাগে। এই অসাম্য দূরীকরণ শুধুমাত্র অর্থনৈতিক সুষম বন্টনের প্রশ্ন নয়, বরং সেটা অধিকতর সামাজিক ন্যায় ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার প্রশ্ন। উচ্চবর্ণের ছাত্রছাত্রীরা শুধুমাত্র টাকা খরচ করতে পারে বলে বেশি ভাল পড়াশোনা করার সুযোগ পায় তা নয়, বরং তাদের পারিবারিক সহায়তা, সাংস্কৃতিক পুঁজি এবং সামাজিক মর্যাদাও বাকিদের থেকে অনেক গুণ এগিয়ে দিয়েছে।

এই বক্তব্যে স্পষ্ট, সংরক্ষণের ধারণার সঙ্গে অর্থনৈতিক অসাম্য দূরীকরণের কোনো সম্পর্ক নেই। এর আগেও মন্ডল রায়ে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট রায় দিয়েছিল, যে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বিষয় কখনো একমাত্র বিচার্য বিষয় হতে পারে না। সামাজিক ও শিক্ষাগত পশ্চাৎপরতার সঙ্গে অর্থনৈতিক দিক যুক্ত হতে পারে, কিন্তু অর্থনৈতিক দিক কখনোই একমাত্র বিচার্য বিষয় হবে না। ওই রায়ে এ কথাও বলা হয়েছিল, যে বিশেষ ব্যতিক্রম ছাড়া ৫০% সংরক্ষণের ঊর্ধ্বসীমা কখনোই লঙ্ঘন করা যাবে না। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অংশের জন্য সংরক্ষণে কেন বিশেষ ব্যতিক্রম? এই ১০% সংখ্যাটাই বা কোন হিসাব করে পাওয়া গেল? কোন কমিশন বসল বা কোন ধরনের তথ্যানুসন্ধান হল – এসবের কোনো উত্তর নেই।

এতদিন সংরক্ষণের বিরুদ্ধে উচ্চবর্ণের যুক্তি ছিল মূলত মেধার যুক্তি। অর্থাৎ সংরক্ষণ গুণমানের ক্ষতি করে দিচ্ছে, জাতীয় স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে। দেশজোড়া আন্দোলনের চাপে সংরক্ষণ মেনে নিতে বাধ্য হওয়ার পর তারা নিজেদের অলিখিত সামাজিক আধিপত্যকে আইনি বৈধতা দেওয়ার সংগ্রামে সামিল হয়েছিল। নিজেদের জন্য অলিখিত সংরক্ষণকে বৈধতা দেওয়ার দাবি করার সময় তাদের ঘুণাক্ষরেও মেধার যুক্তির কথা মনে পড়ল না কিন্তু। কোনো সন্দেহ নেই, পূর্বতন বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়ের তোয়াক্কা না করে, সর্বোপরি সংবিধান সভায় আলোচিত সংরক্ষণের মূল ধারণাকেই ধ্বংস করে উচ্চবর্ণের এই দ্বিচারিতাকে স্বীকৃতি দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

বিরোধী রাজনীতির দৈন্য

বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একমাত্র তামিলনাড়ুর ডিএমকে ছাড়া কেউই অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অংশের জন্য সংরক্ষণের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করেনি। বাকি বিরোধীরা যেমন হাস্যকর দারিদ্র্যের মাপকাঠি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, এই সংরক্ষণ উচ্চবর্ণ ছাড়া বাকিদের জন্যও প্রযোজ্য হওয়া উচিত বলেছেন অথবা ১০% সংখ্যাটা নিয়ে আপত্তি করেছেন। প্রত্যেকটা আপত্তিই সঠিক, কিন্তু এগুলোর কোনোটাই এই বিশেষ সংরক্ষণের মর্মবস্তুতে পৌঁছতে পারেনি। একটু খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, ওই ১০%-এর অর্ধেকও ওই অর্থনৈতিক মাপকাঠির উচ্চবর্ণের লোক দিয়ে পূরণ হতে পারবে না। আসলে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের মূল বিপদ দুটো — (১) এই রায় উচ্চবর্ণের আধিপত্যের বিরুদ্ধে এক দীর্ঘ লড়াইকে নস্যাৎ করে দিয়ে বর্ণবাদী আধিপত্যবাদকে আইনি বৈধতা দিল এবং (২) সংরক্ষণের ধারণার মধ্যে অর্থনৈতিক মাপকাঠি যুক্ত হওয়ার মত ভয়ংকর কাণ্ড ঘটে গেল, যা সংরক্ষণের মূল উদ্দেশ্যকেই বানচাল করে দিতে পারে।

দ্বিতীয় বিপদটা সবিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, কারণ পাঁচজন বিচারপতির মধ্যে দুজন অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অংশের মধ্যে SC, ST, OBC-দেরও অন্তর্ভুক্তির পক্ষে সওয়াল করেছেন। কোনো সন্দেহ নেই, এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবার মামলা হবে। কিন্তু এরপর SC, ST, OBC-দের জন্য চালু সংরক্ষণেও অর্থনৈতিক মাপকাঠির দাবি উঠলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। এটাই এই রায়ের আসল বিপদ। অর্থাৎ উচ্চবর্ণের আধিপত্যের বিরুদ্ধে যে দীর্ঘ সংগ্রাম, তাকে নস্যাৎ করে দিয়ে সমাজ পরিচালনার সমস্ত অংশে একচেটিয়া ব্রাহ্মণ্যবাদী শাসন কায়েম করার পরিকল্পনারই একটা অংশ এই ১০% সংরক্ষণ।

মার্কসবাদী-লেনিনবাদীদের মধ্যেও এই রায় নিয়ে প্রচুর বিভ্রান্তি দেখা যাচ্ছে। উদ্বৃত্ত মূল্য সৃষ্টি করার সবরকম প্রাক-পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটানো গণতান্ত্রিক বিপ্লবের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সংরক্ষণ এবং অন্যান্য উপায়ে শাসক শ্রেণির মধ্যে নিম্নবর্ণ ও পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষের জনসংখ্যার অনুপাতে উপস্থিতি এবং শোষিতদের মধ্যেও উচ্চবর্ণের মানুষের জনসংখ্যার অনুপাতে উপস্থিতি শ্রেণি বিভাজনকে সরল করবে।

অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া নিম্নবর্ণের অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রেও বর্ণবাদী শোষণ বিশাল বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পুলিসবাহিনী যদি শুধু উচ্চবর্ণের লোকের দ্বারাই পরিচালিত হয়, তাহলে পুলিসি নিপীড়নের সঙ্গে বর্ণবাদী শোষণও যুক্ত হয়ে যায়। বস্তুত, আমাদের দেশে পুলিসি হেফাজতে যারা মারা যায় তাদের অধিকাংশই দলিত, মুসলমান ও আদিবাসী। অনেক মার্কসবাদী অভিযোগ করেন, সংরক্ষণের ফলে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির যেসব মানুষের উত্তরণ ঘটে, তাঁরা সেই উত্তরণকে সমাজের সামগ্রিক উন্নতির কাজে লাগান না, শাসক শ্রেণির অংশ হয়ে যান। যদি ধরে নেওয়া যায় এই অভিযোগ ১০০% সত্যি, তাহলেও এটা বুঝতে হবে, যে শাসক শ্রেণির মধ্যে নিম্নবর্ণ ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির পর্যাপ্ত অন্তর্ভুক্তি হলে তা শ্রেণিশোষণ গুণগতভাবে কমাতে সক্ষম হবে। পুলিসবাহিনীতে নিম্নবর্ণের পর্যাপ্ত অন্তর্ভুক্তির অর্থ, পুলিসি নিপীড়নের সঙ্গে বর্ণবাদী শোষণের বিচ্ছেদ। যে কোনো দেশেই গণতান্ত্রিক বিপ্লব এই শ্রেণি বিভাজন সরল করার কাজটা করে থাকে। অর্থাৎ নিম্নবর্ণ ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মধ্যে থেকে শাসক শ্রেণিতে পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্বকে বিপ্লবের প্রয়োজনীয় স্তর হিসাবেই দেখতে হবে।

এর মানে এই নয়, যে কোনো দলিত নিপীড়ক পুলিশ ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তীব্রতা কম রাখতে হবে। দুটো সংগ্রামই একসাথে চালাতে হবে। এরা একে অপরের পরিপূরক। সামগ্রিকভাবে সর্বত্র শোষিতের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার যে মূল লক্ষ্য, শাসকশ্রেণির মধ্যে নিম্নবর্ণের অন্তর্ভুক্তি সেই লড়াইতে সহায়তা করবে। কোন লড়াইয়ে কখন কতটা জোর দিতে হবে তা নিশ্চয়ই ক্ষেত্রবিশেষে বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণের দাবি রাখে। একথাও উল্লেখ করা দরকার যে জাতিবর্ণ ব্যবস্থার বিলুপ্তি, যা কিনা গণতান্ত্রিক বিপ্লবের অপরিহার্য অঙ্গ, তা শুধুমাত্র সংরক্ষণ দিয়েই হবে এমন দাবি কেউ করেনি। যেমন সর্বজনীন শিক্ষার জন্য সংগ্রাম বর্ণব্যবস্থার উপর জোরালো আঘাত হানতে পারে। বর্ণব্যবস্থাকে দুর্বল করার জন্য সবরকম হাতিয়ারই প্রয়োগ করতে হবে।

সংরক্ষণ কোনো দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্প নয়। ভারতের সংখ্যাগুরু জনগণের উপর ঐতিহাসিক বঞ্চনার পরিপ্রেক্ষিতে সংরক্ষণ নিম্নবর্ণের ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির সামাজিক মর্যাদা অর্জনের এক হাতিয়ার, জাতি-বর্ণ ব্যবস্থার বিলোপের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। সংরক্ষণের অর্থনৈতিক মাপকাঠি স্থির করার অর্থই হল বর্ণবাদী শাসনকে পাকাপাকি বৈধতা দেওয়া। সুপ্রিম কোর্টের রায় সেই কাজটাই করেছে। গণআন্দোলনের নেতৃত্বকে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার উপায় ভাবতে হবে।

মতামত ব্যক্তিগত

প্রথম পর্ব পড়ুন এখানে

নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.