“বউমা… সেলস গার্ল?
আমি অনেক ভেবে দেখেছি বাবা, আমার একার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না… চেঞ্জ আসে কতকগুলো নেসেসিটি থেকে…”
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
ছয়ের দশকের গোড়ার দিকের উন্নয়নশীল মহানগর – তারই কোনো মধ্যবিত্ত সংসারে বাবা আর ছেলের কথোপকথন। জুইগাটো ছবিটা দেখে এসে সত্যজিৎ রায়ের মহানগর ছবির এই সংলাপ দিয়ে লেখা শুরু করার কোনো তাৎপর্য নেই বলেই আপাতভাবে মনে হবে। অনলাইন খাবার কেনাবেচার প্ল্যাটফর্মের এক ডেলিভারি পার্টনারের জীবনযাপনের লড়াই নিয়ে ছবি জুইগাটো। ২০২৩ সালে এই গিগ অর্থনীতির নিম্নবিত্ত শ্রমিকের জীবন দেখতে গিয়ে খামোকা আমার গত শতকের পাঁচ-ছয়ের দশকের শিক্ষিত ছাপোষা কেরানির বউ চাকরি করতে যাবে কিনা – এই চিন্তা মাথায় এল কেন? অভয় দেন তো খানিক আলোচনার পর সেই কথায় আসছি।
ছবির ঘটনাস্থল ভুবনেশ্বর। সেখানে ঝাড়খন্ডের মানস মাহাতো জুইগাটো কোম্পানির হয়ে খাবার ডেলিভারি করে। কারখানার ফ্লোর ম্যানেজারের চাকরি খুইয়ে এখন এই অ্যাপনির্ভর ফিনটেক কম্পানির ডেলিভারি পার্টনার। মোদ্দাকথা অমুক খাবারের দোকান থেকে খাবার তুলে তমুকের বাড়ি পৌঁছে দেবে। এরকম দিনে যতবার করতে পারবে তত ভাল রেটিং পাবে আর তত ইনসেন্টিভ। তাই বাইক নিয়ে যত দৌড়তে পারবে তত তোমার আগের দৌড় সার্থক, তার সঙ্গে জীবনও সার্থক। যাঁরা কেন লোচের ২০১৯ সালে বানানো সরি উই মিসড ইউ ছবিটি দেখেছেন তাঁদের রিকের কথা মনে পড়তে পারে। প্রাথমিকভাবে দুজনের সঙ্কট এক হলেও সমাজ আলাদা। তাই দুজনের জটিলতা আলাদা।
জুইগাটো অ্যাপের ডেলিভারি পার্টনার মানস দৌড়তে দৌড়তে হাঁপিয়ে যায়। কারণ তার এখনো হাঁপ ধরার হলে হাঁপ ধরে, কোথাও অন্যায় দেখলে অন্যায় বলেই মনে হয়, মুসলমান বন্ধুকে অকারণে পুলিশ খুঁজছে শুনলে তাকে বাঁচাতে ইচ্ছে করে আর এইসব বিভ্রান্তির পর দিনের শেষে হতাশাও গ্রাস করতে থাকে। অস্থিরতা মাথায় এমন চেপে বসে, যে রাতে ঘুমের মধ্যে স্বপ্নেও তা কু ঝিকঝিক করতে থাকে। মানস দেখে সে ট্রেনের অসংরক্ষিত কামরায় বসে আছে, আর সংরক্ষিত কামরায় রয়েছে তার প্রেয়সী প্রতিমা। চলন্ত ট্রেনে প্রতিমার সঙ্গে সে বিপজ্জনকভাবে রেলিং ধরে ঝুঁকে দাঁড়াচ্ছে। মানসের ভাল লাগছে, আবার পরক্ষণেই ভয় চেপে বসছে। এই ভয় নিয়েই তার সকালে ঘুম ভাঙছে। ঘুমচোখ খুলে মানস দেখছে স্ত্রী প্রতিমা সেদিনের দৌড়ের জন্যে সংসারের চাকায় তেল লাগানোর চেষ্টায় নাজেহাল। মানসের চাকরির অনিশ্চয়তা দেখে প্রতিমা চাকরির চেষ্টা করে। ঠিক যেরকম মহানগরে আরতি করেছিল! একটা শপিং মলে বাথরুম সাফাইয়ের কাজ পেয়েও যায় প্রতিমা, কিন্তু মানসের তা মনঃপূত হয় না। সে নিরাপত্তাহীন অস্থায়ী শ্রমিক হতে পারে, আর্থিকভাবে তার দেয়ালে পিঠ ঠেকে যেতে পারে, কিন্তু সে দক্ষিণ এশিয়ার পুরুষমানুষ তো বটে। সে অপারগ বলে তার বউকে মাঝরাত অবধি ডিউটি করে বাড়ি ফিরতে হবে? বাড়িতে অসুস্থ মা রয়েছে, স্কুলে পড়া ছেলেমেয়ে রয়েছে। সংসারের সব দায়িত্ব সামলাবে কে? হতে পারে প্রতিমা সব গুছিয়েই কাজে বেরোচ্ছে, কিন্তু রাতে পরিবারের সকলের মুখের গোড়ায় খাবারের থালা ধরে দেওয়া, খাওয়ার শেষে এঁটো বাসন তোলা, রান্নাঘর গোছানো – এসব আনতাবড়ি কাজ কে করবে? আচ্ছা না হয় তাদের একটা ক্লাস সিক্স-সেভেনে পড়া মেয়ে আছে, যে মনোযোগী ছাত্রী হবার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির টুকটাক কাজও করতে শিখে গেছে। শিখবে না-ই বা কেন? মেয়ে বলে কথা। কিন্তু বউ ডিউটি করে রাত সাড়ে বারোটার পর বাড়ি ঢুকলে পাড়াপড়শি, পরিবার, সমাজ – এরা সব কী বলবে?
কী মুশকিল! এ তো অনেকটা মহানগরের সুব্রত মজুমদারের মত। ২০২৩ সালে ভুবনেশ্বরের নিম্নবিত্ত শ্রমিক কপিল শর্মার মুখে কেমন যেন পাঁচ-ছয়ের দশকের কলকাতার মধ্যবিত্ত অনিল চ্যাটার্জির ছায়া। ঘরের লক্ষ্মী আরতি যোগ্য সেলস গার্ল হয়ে উঠছে, তার কমিশনের টাকাতেই সংসারের দরকারি অদরকারি জিনিস কেনা হয়ে যাচ্ছে – এ বড় বালাই। এহেন মানসিকতার আর কারণ ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। বিশেষ করে সদ্য স্বাধীন হওয়া তৃতীয় দুনিয়ার আধা সামন্তবাদী দেশের মহানগরে পুরুষ অমনই হবে। কিন্তু এখনও এই আপত্তি! ২০২৩ সালের জম্বুদ্বীপ সেই একইরকম বিচিত্র রয়ে গেল, সেলুকাস? আমার রান্নার দিদির কাছে শুনেছি, অনেক কাকুতি মিনতি করে নিজের পয়সাতেও বাড়িতে একটা ফ্রিজ কিনতে পারেনি। পয়সা বা জায়গার অভাবে নয়। তার স্বামী আর ছেলেদের আশঙ্কা, ফ্রিজ এলেই আর টাটকা খাবার জুটবে না। বাড়ির বউরা সব সকালে রান্না করে ফ্রিজে রেখে কাজে বেরিয়ে যাবে। তখন বউকে পিটিয়েও তিনবেলা টাটকা, গরম ভাত হবে না। চার বাড়ি কাজ করে বাড়ি গিয়ে তাই একটু জিরোনোর উপায় দিদির নেই। আবার উনুন ধরাতে হবে। বাড়িতে প্রয়োজন তাই কাজে বেরোতে হয়েছে, তাই বলে সব নিজের সুবিধে মত হবে নাকি?
তবে মানস মাহাতো এত রূঢ় গৃহকর্তা নয়। সে স্ত্রীকে ভালবাসে। শত হতাশাতেও মদ, গাঁজা বা সিগারেট খায় না। বাইরের রাগ বাড়িতে উগরে দেয় না, সব থেকে বড় কথা বউকে পেটায় না। সে শুধু বিভ্রান্ত হয়ে দেখে, যা সে এতদিন উচিত বলে জেনে এসেছে সেই সততা, সহমর্মিতা ইত্যাদি হাবিজাবি নিয়ে চললে সব গোলমাল হয়ে যায়।
জুইগাটো ছবিটাকে ভাল লাগার কারণ এটাই, যে কোনো ভাল লাগার মুহূর্ত নেই। থাকার কথাও নয়। নেটফ্লিক্স দেখে অভ্যস্ত মাথা ধৈর্য হারিয়ে ফেলতে পারে। কই, কিছু তো ঘটছে না! মেয়ের স্কুলের প্রিন্সিপালের বাড়িতে বা হিন্দু মন্দিরে খাবার ডেলিভারি করতে গিয়ে, পেট্রল পাম্পে বাইকের তেল ভরাতে গিয়ে নাটকের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তেমন ঝাঁকিয়ে দেবার মত কোনো নাটুকেপনা হচ্ছে না। আমি তো বলব বেশ হচ্ছে। মধ্যবিত্তের অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণের দায় কোন প্রকৃত চলচ্চিত্র নির্মাতার হতে পারে না। এখানে পরিচালক নন্দিতা দাস আর চিত্রনাট্যকার সমীর পাটিলের পরিমিতিবোধে মুগ্ধ হতেই হয়। আজকের ভারতে নিম্নবিত্তের মধ্যেও যে কত শ্রেণিবিন্যাস থাকতে পারে, আর তাদের বিভিন্ন স্তরে সমাপতিত অসহায়তা থাকতে পারে, তা অত্যন্ত অনায়াসে আসা যাওয়া করেছে চিত্রনাট্যে। এত সাবলীল যে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, কিন্তু চোখে জল আনছে না, বরং মগজের কারফিউ ভেঙে ঢিল মারছে। তাই রীতিমত অস্বস্তি হবে। এরপর বেশ কিছুদিন সুইগি-জোম্যাটোর ডেলিভারি বয়দের কিছু অন্তত বখশিস না দিলে অপরাধবোধ হবে। কিংবা উবের, ওলা বাইক যদি ১০-২০ টাকা বেশি চায় তাহলে অন্যায্য মনে হবে না। শিল্পে সমাজ বাস্তবতা যদি দর্শকের মনে এমন অভিঘাত তৈরি করতে পারে, তাহলে শিল্পীদের কুর্নিশ করতেই হয়।
যোগ্য সঙ্গত করেছে রঞ্জন পালিতের ক্যামেরা। কোন দ্যাখনাই নেই। প্রয়োজনে ক্যামেরা কাঁধে উঠেছে, কিন্তু তা নিয়ে অযথা কেরামতি নেই। রূঢ় বাস্তবের দৃশ্যায়ন ঠিক যেমনটা হওয়া উচিত, ক্যামেরায় তেমনই তথ্যচিত্রসুলভ নিষ্ঠা। অভিনয়ও যথাযথ। মূল চরিত্রে সাহানা গোস্বামী পরিচিত মুখ। তবে মুগ্ধ করেছেন কপিল শর্মা। বিশেষ করে আই ডি ব্লক হবার পর দিগ্বিদিকজ্ঞানশূন্য হয়ে ছেলের পড়ার টেবিলের অ্যালার্ম ঘড়িটা যেভাবে মাটিতে আছড়ে ফেললেন, তারপর বউ ছেলেমেয়ে ছুটে আসতে মুহূর্তে নিজের রাগ-হতাশা লুকিয়ে স্বাভাবিক হবার চেষ্টা করে বললেন ভুল করে হাত থেকে পড়ে গেছে। তার সঙ্গে ওই শূন্যদৃষ্টিতে ঘড়ির টুকরোগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকা! আমার ধারণা উনি অভিনয় করেননি। এরকম অভিজ্ঞতা ওঁর জীবনে হয়েছে নিশ্চয়ই। এখানে তার স্মৃতিচারণ করেছেন। নইলে এমন করা যায় না। এখানে আরও একবার পরিচালক ও লেখকের সমকালের বোধকে তারিফ করতে হয়। মানস যে শ্রেণির আর যে সময়ের মানুষ, তাকে বোধহয় অত সহজে বলা যায় না “কেননা তুমি তো ফেটে পড়ছ না রাগে, এখনো তোমার ভন্ডামি ভাল লাগে!” তাই ম্যানেজারকে রাগ দেখিয়ে কোম্পানির টি-শার্টটা ছুড়ে ফেলে দিয়েও মানস আবার তুলে নেয়। তারপর ফের গায়ে চড়িয়ে হাজার তিক্ততা নিয়ে বাইকে উঠে বসে। কারণ জুইগাটো অ্যাপের হাতে বন্দি মানস মাহাতোরা অ্যালবার্ট পিন্টোর মতো গুস্সা দেখাতে পারবে না। অ্যালবার্টের সময়টা আলাদা। সে আমলে পৃথিবীজুড়ে বামপন্থী চেতনার রমরমা ছিল। সেইসময়ের পুঁজি শ্রমিক ইউনিয়নকে অন্তত টিকতে দিত। এখনকার পুঁজিনিয়ন্ত্রিত দুনিয়ায় শ্রমিক সংগঠন ডাইনোসর হতে চলেছে। কাজেই রাগে ফেটে পড়লে মানসের চলবে না। আজ আর তার রাগকে বৈধতা দেবার জন্য কেউ বসে নেই।
আরও একটি কারণে আখ্যানকারকে সেলাম ঠুকতে চাই। এক জায়গায় মানস তার এক সহকর্মীর কাছে শোনে, সরকার একটা প্রকল্প চালু করেছে, যার নাম সুগম স্কিম। এই স্কিমে নিজের নাম নথিভুক্ত করে রাখলে নাকি সবাই চাকরি পাবে। দিনের শেষে কর্মক্লান্ত মানস একটা সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে খোঁজ নেবার চেষ্টা করে সুগম স্কিমের ব্যাপারে। ক্যাফেতে জড়ো হয়ে গুলতানি মারছিল যে ছেলেরা, তারাও এরকম চাকরি প্রকল্পের কথা শুনে মানসের সঙ্গে কম্পিউটারের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে। মজার কথা ওরা কেউ ‘স্কিম’ শব্দটা ইংরেজিতে ঠিক বানানে লিখে উঠতে পারে না। কারণ এই স্কিমে যারা চাকরি খুঁজবে তাদের বেশিরভাগই স্কিম বানান জেনে ফেলার মত ইংরিজি শিখতে পারেনি। তাদের এই না জানার খবর স্কিমটির পরিকল্পনাকারীরা কোনোদিন জানার চেষ্টা করেননি। অর্থাৎ এ জিনিস আসলে অধরাই থেকে যায়। সমাজ বাস্তব এতই রূঢ় যে তার স্বরূপ উদঘাটন করতে বসলে কেমন যেন মায়াময় ঠাহর হয়। এরকম মুহূর্ত ইদানীংকালে মূলধারার ভারতীয় ছবিতে দেখেছি বলে মনে হয় না।
আরো পড়ুন ইব আলে উউ: চাকরির সন্ধানে কয়েকটি চরিত্র
এতকিছুর পরেও বলতেই হয়, জুইগাটো ছবির আবহসঙ্গীত বেশ বিরক্তিকর। এত মনোরম হবার কোনো মানে নেই। বরং কোথাও কোথাও একেবারে না থাকলেই ভাল হত। যেভাবে ক্যামেরা বাস্তবের আনাচে কানাচে ঘুরে বেরিয়েছে তেমনি যিনি শব্দগ্রহণ করেছেন তিনিও চাইলে ওই জায়গাগুলো থেকে বাস্তবসম্মত শব্দ তুলে আনতে পারতেন। এরকম ছবিতে এভাবেই শব্দ পরিকল্পনা হওয়া উচিত নয় কি? অবশ্য নন্দিতা হয়ত ছবিটিকে হলমুখী দর্শকের থেকে ততটা দূরে সরিয়ে রাখতে চাননি। তাই টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভাল ঘুরে এলেও ছবিতে মূলধারার কিছু উপাদান বেশ স্পষ্ট।
পরিশেষে বলি, জুইগাটো ছবিটিতে মূল সুরের সঙ্গে এদিক সেদিক থেকে এসে মিশেছে আরও নানা সুরেলা অনুষঙ্গ। যা কিন্তু কোনোভাবে বেসুরো লাগেনি, বরং মূল আখ্যানকে আরও পোক্ত করেছে। তাই তো ফুড ডেলিভারি ম্যানের কর্মক্ষেত্রের হয়রানির ছবি দেখতে গিয়ে আমার মত অহেতুক আশাবাদী মানুষ অমন একটা ‘নেসেসারি চেঞ্জ’-এর খবর দিয়ে লেখাটা শুরু করেছি। ন্যুব্জ হয়ে পড়া স্বামীকে দেখে প্রতিমা যেদিন অবাধ্য হয়ে শপিং মলের কাজটা নেয়, সেদিন মানস প্রথমবার রাতে খাবার পর রান্নাঘর গুছিয়ে রাখে, এঁটো বাসনে জল দিয়ে রাখে। বাইক নিয়ে রাত বারোটার সময় বউকে আনতে যায়। প্যান্ট, শার্ট পরা ইউনিফর্মেই প্রতিমাকে বাইকে তুলে নেয়। শুধু তাই নয়, পোশাকের সুবিধা নিয়ে প্রতিমাকে সিটের দুদিকে পা দিয়ে বসতে বলে। তারপর এই দম্পতি ওদের পুরনো এক খেলায় মাতে, রেললাইনের সমান্তরালে বাইক ছুটিয়ে দেয় ট্রেনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। কী অপূর্ব খুশিতে হেসে ওঠে দুজনে! যে হাসিতে কোনো বৃথা আশার ভাঁওতাবাজি নেই, কিন্তু সবকিছুকে চ্যালেঞ্জ করে বেঁচে নেওয়ার আনন্দ আছে। তাই মহানগরের আরতি আর সুব্রতকে মনে পড়েছিল। বলতে পারেন জুইগাটো থেকে এটা আমার বাড়তি ‘টেকঅ্যাওয়ে’।

– মতামত ব্যক্তিগত
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।