দোষ কি গুণ বলব না, বলব স্বভাব।

এ আমাদের একান্ত স্বভাব। সারাক্ষণই খুঁজে চলেছি একটা সুযোগ, একটা অবকাশ। কিছু না কিছু নিয়ে মেতে ওঠবার অবকাশ চাই আমাদের। মন্দির হোক, বা বালাকোট, কিংবা নেহাতই কাকলি ফার্নিচার!

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন

~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

এমনকি কোনও কোনও মৃত্যুও কখনো সখনো তেমন সুযোগ এনে দেয়। এবার আনল এক মৃত্যুর শেষে মৃতের দাদার লেখা এক শোক আখ্যান। সে লেখার সামনে স্তব্ধ হয়ে বসে থাকতে হয় দীর্ঘক্ষণ — এমনই স্পর্শকাতর। কিন্তু মেতে ওঠবার এতই উদগ্র বাসনা আমাদের, পারলাম না স্তব্ধ থাকতে।

একটি মৃত্যু থেকে বহু দূরে, এমনকি শোক আখ্যানটিরও চৌহদ্দি ছাপিয়ে আমরা প্রসারিত হয়ে পড়লাম এক জটিল তর্কে। হ্যাঁ, তর্কই বটে!

মহানগর বনাম মফস্‌সল!

বনাম?

এ দুইয়ের সম্পর্ক দ্বান্দ্বিক বটে। কিন্তু বনাম? এরা কি সত্যিই যুযুধান? মহানগর ও মফস্‌সল কি দুটো পক্ষ যারা পরস্পরের সাথে প্রতিযোগিতায় রত?

ফি বছর মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোলে, এমন একটা বনাম দেখা যায় চ্যানেলে চ্যানেলেও। জেলা বনাম শহর। কলকাতার ছেলেমেয়েরা ভাল রেজাল্ট করল নাকি জেলার ছাত্রছাত্রীরা — এটা দেখার জন্য বেশ মুখিয়েই থাকতাম আমরাও একসময়। বড় ক্লাসের দাদারা (আমাদের ছিল ছেলেদের স্কুল) কেউ রাজ্যে স্ট্যাণ্ড ট্যাণ্ড করলে ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে রিপোর্টাররা আসত স্কুলে। দাদাদের সাক্ষাৎকার নিত, স্যারেদেরও। মুখ দেখানোর জন্য আমরাও দাঁড়িয়ে যেতাম পিছনে।

পরে, আরও খানিকটা পরে, যখন নিজেরা মাধ্যমিক দিচ্ছি তখন বুঝতে পারলাম, এই জেলা বনাম শহর খেলাটা আসলে ঠিক জেলা বনাম শহর নয়। জেলার ভাল রেজাল্ট করা ছেলেমেয়েদের সাথে শহরের ভাল রেজাল্ট করা ছেলেমেয়েদের প্রতিযোগিতা মাত্র। বাজে মার্কশিট যাদের ঝোলায় কিংবা আমাদের মতো নিতান্তই মধ্যমেধার যারা, তাদের স্থান মাঠের বাইরেই। গ্যালারিতে। ফলাফল অনুযায়ী হাততালি দেওয়া বা হতাশ হওয়াটুকুই আমাদের ভূমিকা এ প্রতিদ্বন্দ্বে।

তা বলে কি বলা যায়, এই যে প্রতিযোগিতা দেখানো হয়ে থাকে তা সম্পূর্ণ অমূলক? কোন ভিত্তি নেই? আলবাত আছে।

ক্লাস টেনে পড়া কলকাতার একটা ছেলে নিজের মেধার বিকাশ ঘটানোর যতটা অনুকূল পরিবেশ পায় যত সহজে, রায়গঞ্জের একটা মেয়ে ঠিক তত সহজে তেমন সুযোগ পায় না। তারতম্য আছে, এ কথা কে অস্বীকার করতে পারবে?

কিন্তু তা বলে সমীকরণটা খুব সহজ নয়। সুযোগের এই তারতম্য কেবল শিয়ালদা-হাওড়া স্টেশনের এপারে ওপারেই নেই। খোদ কলকাতার ভিতরেও রয়েছে। ডাক্তার দম্পতির সন্তানের সাথে রিক্সাওয়ালার সন্ততির। আবার জেলার ভিতরেও, অবশ্যই রয়েছে। গ্রামে আর টাউনে। টাউনের ভিতরেও শ্রেণি ভেদে, জাত ভেদে, লিঙ্গ ভেদে।

স্বভাবতই বড্ড ফ্যাসাদে পড়েছি। বনাম শব্দটা কাদের কাদের মাঝে বসাব এখন?

মহানগর আর মফস্‌সলের বাইনারিটা তাহলে কী আদতে? ঠিক কী রকমের? আহা, কী চমৎকার বাইনারি শব্দটা ব্যবহৃত হল! এটা বেশ চলছে এখন বাজারে। যা-ই হোক, যে উত্তাল তর্ক শুরু হয়েছে, তা থেকে তফাতে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করি। কলকাতা মানে কী? কী মানে মফসসলের?

কলকাতা মানে স্মার্ট? চকচকে? অভিজাত? ইঁট-কাঠ-কংক্রিট? গতি, ভীষণ ব্যস্ততা? চওড়া রাস্তা, ফ্লাইওভার? আর সে উড়ালপুলের তলায় চাপ চাপ জমে থাকা আঁধার, সে-ও কি কলকাতা নয়? আঁধারে ন্যাংটো শিশুটি, মার কোল ঘেঁষে ঘুমিয়ে পড়েছে খোলা আকাশের নিচে, ফুটপাথে। কলকাতা নয়? কলকাতা একটেরে, একমাত্রিক নাকি?

আর মফস্‌সল? সেও কি একমাত্রিক নাকি? পুকুর পাড়, ধূ ধূ প্রান্তর, রাঙা মাটি পথ, পাশাপাশি সাইকেল হাঁটিয়ে কিশোর-কিশোরী চলে যায় দিগন্ত ফুঁড়ে, সরলতা, গ্রাম্যতা, ন্যালা ক্যাবলা, আনস্মার্ট, পেলব, আন্তরিক, সবাই মাটির মানুষ? মফস্‌সলেও কি সেই ক্রূরতা নেই? হিংস্রতা, মানুষকে পায়ে পিষে মারার জঘন্য প্রবৃত্তি? শোষণের ইতিহাস নেই, ঘটমান বর্তমান? নদীর পাশে বিঘের পর বিঘে জমি লুঠ হয়ে যাওয়া নেই? প্রোমোটারি, জবরদখল, দ্বেষ, ঘৃণা মানুষে মানুষে? ক্রমাগত চকচকে হয়ে ওঠবার প্রবণতা? অন্তঃসারশূন্য বিনোদনসর্বস্ব হয়ে উঠতে চাওয়া নেই?

মোদ্দা কথা এইটাই। এই যে দুটো পক্ষকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে, এর কোনটাই একশিলীভূত কিছু নয়। মহানগর ও মফস্‌সল দুইই বহুস্তরীয়, বিচিত্র।

এই তর্কে যাঁরা আজ মশগুল তাঁদের কারো কারো রেগে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়েই জানাব, আমি অলিগলি ঘুরে কলকাতাতেও হাজার মফস্‌সল দেখেছি। হ্যাঁ, সত্যিই! মধ্যরাতের মেডিকেল কলেজে দেখেছি, ভোরের শিশির মার্কেটে। দুপুরের ধর্মতলায়, আবার সন্ধের কালীঘাট ব্রিজে। ইউনিভার্সিটিতেও পেয়েছি মফস্‌সলের দেখা, আবার জানবাজারের বস্তিতেও। তেমনই উল্টোদিকে দেখেছি পুরুলিয়াও, বিশেষ করে শেষ কয়েক দশকে, কীরকম কলকাতা হয়ে উঠেছে। বহরমপুর-বর্ধমান-পলতা-ব্যাণ্ডেল-কল্যাণী-বাঁকুড়া বা আলিপুরদুয়ারেও দেখেছি বেপরোয়া ছুটে যাওয়া গাড়ি। সুটেড বুটেড স্মার্ট ও স্বার্থমগ্ন মানুষেরা হেঁটে যায় কাউকে পাত্তা না দিয়েই।

এ কথা অস্বীকার করব না, কলকাতায় দেখেছি মফস্‌সলের মানুষকে বেজায় অপমানিত হতে। আবার কলকাতারই কোন বন্ধু তার কাঁধ এগিয়ে দিয়েছে অপমানিত মুখটাকে এলিয়ে পড়তে। এ দৃশ্যও যে নিজের চোখে দেখেছি তা অস্বীকার করব কী করে? ফলে আমি, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় ও অনুভবে, অবস্থান নিতে অপারগ এমন তর্কে। কলকাতাবাসী বন্ধু একাধিক মফসস্‌লের লোকের দ্বারা প্রতারিত হয়েছে বলে আজ মফস্‌সলের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে — এমনটা মেনে নিতে বাধে। কিংবা মফসস্‌লের বন্ধুরা দিনের পর দিন কলকাতার লোকেদের হেনস্থার শিকার হয়েছে বলে আজ কলকাতার প্রতি ছুঁড়ে দেবে ঘৃণা — এ-ও কি কাজের কথা হল?

বরং একবার মহানগর ও মফস্‌সলের সম্পর্কটাকে বোঝার চেষ্টা করা যাক। ব্যক্তি জীবনের অভিজ্ঞতার নিরিখে নয়, ইতিহাসের বড় ফ্রেমে। রাজনীতি দিয়ে।

ব্যক্তিগত স্মৃতি, যাপনের অভিজ্ঞতা সমূহের গুরুত্ব অবশ্যই রয়েছে। পদে পদে প্রতারিত হবার অভিজ্ঞতা, ঘাড় ধাক্কা-বাঁকা চোখ-কটু কথা শোনা, অপমান, বিচ্ছিন্নতা, ভিটেমাটি ছেড়ে আসা, উদ্বাস্তু জীবন, বিচ্ছেদ, বিরহ — রয়েছে তো, ভরপুর রয়েছে। স্মৃতিগুলো বাতিল করা যাবে না কিছুতেই। সেরকম কোনও চেষ্টাও এ লেখা করবে না। রাজনৈতিক কারণেই করবে না।

তবুও একবার, অন্তত একবারের জন্য, এই আলোচনায় টেনে আনতেই হবে, শহরের জন্মবৃত্তান্ত। মহানগরের, মফস্‌সলেরও।

নগর এখানে তাম্রলিপ্ত বা নবদ্বীপ তো নয়, খোদ কলকাতা। ইংরেজ ঔপনিবেশিক শক্তির ব্যবসায়িক ও প্রশাসনিক স্বার্থে বানানো নগর। আর যে মফস্‌সলের কথা আলোচিত হচ্ছে তাও সেই ঔপনিবেশিক কাঠামোর মধ্যেই গড়ে ওঠা শিল্পশহর, প্রশাসনিক জেলা সদর, ছোট ছোট টাউন বা আধা গ্রাম-আধা টাউনের সমাহারে এক বৃহৎ পরিসর।

কলকাতার ও মফস্‌সলের জন্ম ও বিকাশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটেই এদের সম্পর্ককে বোঝার চেষ্টা করা হোক — এটুকুই এই লেখার প্রস্তাব।

আমাদের দেশে উনিশ থেকে বিশ শতকের মধ্যাহ্ন অবধি শহরের বিকাশের মুখ্য বৈশিষ্ট্য ছিল শিল্প ও শিল্প পুঁজির সাথে তার অমোঘ সম্পর্ক। নগরায়নের প্রক্রিয়াটা ছিল মূলত গ্রামীণ কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি থেকে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির দিকে সরে আসা। সুতানুটিতে বাণিজ্যকুঠী স্থাপনের পিছনে ব্রিটিশ বণিকের যে অভিসন্ধি ছিল পরবর্তীতে তা-ই আরও পাকাপোক্ত হয়েছে। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পরে গ্রামবাংলার জমি থেকে আহরিত পুঁজি কেন্দ্রীভূত হয়েছে নগরে। পুঁজি। সে এক ভীষণ বস্তু।

পুঁজি একা কেন্দ্রীভূত হয় না কোথাও। রাজনৈতিক-প্রশাসনিক ক্ষমতাকেও কেন্দ্রীভূত করে। এমনকি সাংস্কৃতিক আধিপত্যকেও।

জেলাগুলোর রাজনৈতিক-প্রশাসনিক ক্ষমতাকেন্দ্র হিসাবে সদর শহরগুলো গড়ে উঠেছে। টাউন-সেমি টাউন-বিস্তৃত মফস্‌সল-বিশ্ব। গ্রামের মানুষ জমিজমা হারিয়ে মোকদ্দমা লড়তে আসেন টাউনে। আসেন চিকিৎসার জন্যও। জেলা পরিষদ অফিসে বা অন্যান্য দপ্তরে। কেনাকাটা, ব্যবসার জন্যেও। লেখাপড়া করতে আসে ঝুঁঝকার ছেলেমেয়েরা পুরুল্যার জগন্নাথ কিশোর কলেজে। গৌরাঙ্গী থেকে সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজে।

জেলা কোর্টে যে মামলার নিষ্পত্তি হয়নি বা উচ্চ আদালতে ফের মামলা উঠেছে, তা লড়তে মফস্‌সল এসেছে নগরে। এই মহানগরেই। হাইকোর্ট চত্বর থেকে এগিয়ে আসুন মেডিকেল কলেজের দিকে। মফস্‌সলে চিকিৎসার সুযোগ মেলেনি বলে আসতে হয়েছে কলকাতায়। উচ্চশিক্ষার জন্য, গবেষণার জন্য। কিংবা নেহাত বইয়ের জন্যও মফস্‌সলকে মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় কলেজ স্ট্রিটের। চাকরির পরীক্ষা দিতে আসতে হয় রোজ। দোকানের মাল কিনতে বড়বাজার, কোলে মার্কেটে। সামান্য ট্রান্সফারের জন্য এসে হত্যে দিতে পড়ে থাকতে হয় জাঁদরেল বিকাশ ভবনে, রাইটার্সে। এইরকম নানাবিধ প্রয়োজনের প্রায় প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ক্ষমতার কেন্দ্র মানে কলকাতা, উপকেন্দ্র জেলার শহরগুলো।

কেন্দ্রের কাছে প্রান্তকে আসতে হয় মাথা নিচু করে, গুটিগুটি পায়ে। এমনই দস্তুর। কেন্দ্র, স্বভাবতই, নিজস্ব কেতায় দাপট দেখায়। ক্ষমতার স্বভাবই এমন!

ক্ষমতার ভাষায় কেন্দ্র শুধু কথাই বলে না, প্রান্তকে সে অহোরাত্র শেখাতে চায় এই ভাষা। তুমি যে ভাষায় কথা বলো, সেটা ভুল। আমি যে ভাষায় বই লিখে দিয়েছি, সেটাই সঠিক, সেটাই মান্য। মান্য রূপ মেনে বাক্যরচনা শেখে বানাবীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। টাউনের মাস্টার তার খাতা দেখে। ‘পেঁদা’ শব্দটা কেটে লাল কালি দিয়ে লিখে দেয় ‘মিথ্যে’। ‘দমে’ কেটে ‘খুব’। অনেক কিলোমিটার দূরে, তখন, পাঁচতারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোচবিহারের ছেলেটাও হারিয়ে ফেলতে থাকে তার ভাষা। ক্রমাগত কলকাতা হয়ে ওঠে। হেরে যেতে যেতে বিজয়ীকে নকল করতে থাকে। তারপর একদিন বেমক্কা তর্ক লাগলে, কেন্দ্রের ভাষা দিয়ে প্রান্তের যুক্তি সাজায়। আর হেরে যায়, আরও হেরে যায়।

বনাম শব্দটাতে তীব্র আপত্তি, কারণ এখানে প্রতিযোগিতা নেই কোনও। একতরফা হেরে যাওয়া আছে। একতরফা মার খাওয়া আছে শুধু। মার খেয়েও নতজানু হওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে চাবুক হাতে দাঁড়িয়ে থাকা দোর্দণ্ডপ্রতাপ ক্ষমতার কাছে।

বাধ্যবাধকতা — কেন না তাকে যে আসতেই হবে কেন্দ্রের কাছে। এত বড় অপারেশন, এই পরিকাঠামো এখানে হবে না। সদর হাসপাতালের ডাক্তার তাই রেফার করে দিয়েছে নগরে। দুপুরে রওয়ানা হয়ে রাত্রে পৌঁছই কলকাতা। মেডিকেল কলেজে। মধ্যরাতের মেডিকেল কলেজের চাতালে গাদাগাদি, দেখি জেগে থাকে লক্ষ মফস্‌সল। আপনজনের সুস্থতার কামনায়, আপনজনের মৃত্যুর অপেক্ষায়। একদিন মরে গেল মা-ও। মৃতদেহ নিয়ে এবার ফেরার পালা। হু হু গঙ্গা পেরিয়ে যায় শববাহী গাড়ি; কোনা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে মফস্‌সলের দিকে। ক্রোধ নয়, ঘৃণা নয়। শোক নিয়ে, শূন্যতা নিয়ে।

ক্রোধ নয়, ঘৃণা নয়। ইতিহাস আমাদের এই শোক, এই শূন্যতা উপহার দিয়েছে।

ইতিহাস পাল্টে ফেলতে হবে।

নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

1 মন্তব্য

  1. দৃঢ় লেখা। তারচেও বড় কথা পিছনের দিকে টেনে নিয়ে যাবার এমন সময়ে সামনের দিকে ঠেলছে লেখাটি। অভিনন্দন

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.