শেষপর্যন্ত যা আশঙ্কা করা হচ্ছিল তাই হল। নির্বাচনের আগে থেকে ব্রাজিলের দক্ষিণপন্থীরা যে হিংসাত্মক কার্যকলাপ শুরু করেছিল তার স্বাভাবিক পরিণতি হিসাবেই ব্রাজিলে ৯ জানুয়ারি লুলা দ্য সিলভার গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করা হল; কংগ্রেস, রাষ্ট্রপতি ভবন এবং সুপ্রিম কোর্ট আক্রমণ করা হল – এমন বললে খুব ভুল হবে না। ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট এই অভ্যুত্থানে মদত দেওয়ার অভিযোগে ব্রাসিলিয়ার গভর্নর ইবানেস রোচাকে ৯০ দিনের জন্য বরখাস্ত করেছে। সদ্য ক্ষমতায় আসা লুলা ব্রাসিলিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন, এখন পর্যন্ত ৩০০ জন গ্রেফতার হয়েছে বলে খবর, হবে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত।
সুতরাং দক্ষিণপন্থী প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জেয়ার বলসোনারোর ভক্তরা এখন ভয়ানক চাপের মুখোমুখি। প্রশ্ন উঠছে জানুয়ারিতে অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা মাথায় রেখেই কি পরিকল্পনা মাফিক সমর্থকদের ফেলে রেখে নিজের পিঠ বাঁচাতে ৩০ ডিসেম্বর মার্কিন দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন বলসোনারো? যদিও সমর্থকদের অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টাকে গণতান্ত্রিক অধিকার বলে দাবি করে টুইট করেছেন তিনি। ১০ তারিখ বলসোনারো দুখী চেহারায় হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে ছবিও পোস্ট করেছেন। তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলের কভার ফটোতে এখনো ২০২২ সালের নির্বাচনী প্রচারের ব্যানার ঝুলছে। বোঝাই যাচ্ছে নির্বাচনে হারের বেদনা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নিয়ম হল ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে জয়ী হওয়া যায় না। গত ২ অক্টোবরের নির্বাচনের ফলাফলে ৪৮.৪৩% ভোট পান লুলা, অন্যদিকে বলসোনারো পান ৪৩.২%। ফলে দ্বিতীয় রাউন্ড নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া এই দুই প্রার্থীর মধ্যে। ৩০ অক্টোবরের দ্বিতীয় দফার ভোটের ফলে দেখা যায় লুলা ৫০.৯% এবং বলসোনারো ৪৯.১% ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ প্রথম রাউন্ডেই বলসোনারোর হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, ভারতের নিয়মে নির্বাচন হলে আর দ্বিতীয় রাউন্ড হত না। দ্বিতীয় রাউন্ডে লুলার জয় অপ্রত্যাশিত নয়। তীব্র মেরুকরণের ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এই ফলাফলকে লুলার যেনতেনপ্রকারেণ জয় হিসাবে ব্যাখ্যা করা একমাত্র নাছোড় বলসোনারোপ্রেমীদের পক্ষেই সম্ভব।
নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিদায়ী রাষ্ট্রপতির উপস্থিত থাকা ব্রাজিলের রাজনৈতিক পরম্পরা। কিন্তু গোঁসা করে দেশ ছেড়ে আমেরিকার ফ্লোরিডাতে গিয়ে থাকতে শুরু করেছেন বলসোনারো। এই ফ্লোরিডা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শ্রীযুক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশের বাড়ি। ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি আমেরিকার সংসদ ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকরা নির্বাচনে হেরে যাওয়া মেনে না নিয়ে যে তাণ্ডব করেছিল তার সঙ্গে বলসোনারোর সমর্থকদের তাণ্ডবের তুলনা করছেন অনেকে। মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএনে টেক্সাসের ডেমোক্র্যাট নেতা জোয়াকিন কাস্ত্রো হোয়াইট হাউস এবং ফ্লোরিডার আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন বলসোনারোকে বিপজ্জনক চিহ্নিত করে ব্রাজিল সরকারের হাতে প্রত্যর্পণ করতে। শুধু কাস্ত্রো নয়, বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট রিপাবলিকানও মনে করে করেন, বলসোনারো ট্রাম্পের দ্বারা অনুপ্রাণিত একজন সন্ত্রাসবাদী। যদিও একটা বিষয়ে মমতা ব্যানার্জির অনুপ্রেরণা থাকলেও পারে বলে দুষ্টু লোকেরা মনে করতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে মমতা ব্যানার্জি হাতে ফুটবল নিয়ে “খেলা হবে” বলেছিলেন। তারপর নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচন পরবর্তীকালে দিদির ভাইদের খেলা আমরা দেখেছি। ব্রাজিলের রাজধানীতে তাণ্ডবরত বলসোনারোদার ভাইদের গায়ে ছিল ব্রাজিলের ফুটবল দলের জার্সি। এবারের নির্বাচনে ব্রাজিলের ফুটবল দলের জার্সিকে নিজেদের প্রতীক বানিয়ে ফেলেছিলেন বলসোনারো। অনেকটা যৌন আবেদনময় কয়েক লক্ষ লাইক, ফলোওয়ালা সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের নাম বদলে রাতারাতি নরেন্দ্র মোদী ফ্যান ক্লাব বা উগ্র হিন্দুত্ববাদ প্রচারের অ্যাকাউন্ট হয়ে যাওয়ার মত ব্যাপার। যদিও ব্রাজিলের জাতীয় ফুটবল দল শেষপর্যন্ত তাদের জার্সির রাজনৈতিক ব্যবহারের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছে ফুটবল দলের জার্সি “আনন্দ এবং ঐক্যের প্রতীক, একে বিভেদ সৃষ্টির কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়।”
কিন্তু এই অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা কি স্রেফ হতাশ বলসোনারো বা তাঁর সমর্থকদের গোঁয়ার্তুমি? নাকি এর পিছনে ভূ-রাজনৈতিক খেলাও জড়িয়ে আছে? লাতিন আমেরিকার রক্তাক্ত ইতিহাস জানলে এ প্রশ্ন খুব স্বাভাবিক। সাধারণ নির্বাচনের পরাজয় মেনে নিতে নারাজ বলসোনারোর সমর্থকরা। নির্বাচনের আগে ও পরে ব্যাপক হিংসা ছাড়াও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন সেনা ব্যারাকের সামনে জমায়েত করে সশস্ত্র অভ্যুত্থানের আবদার করে প্রচার চালিয়েছে তারা। প্রশাসনের এক অংশের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে মদত দেওয়ার অভিযোগ থাকলেও সেনাবাহিনীকে কিন্তু এবার এই প্রয়াসে দেখা যায়নি। যদিও লাতিন আমেরিকা প্রবলভাবে সেনা অভ্যুত্থানপ্রবণ অঞ্চল।
ট্রাইকন্টিনেন্টাল ইন্সটিটিউট ফর সোশাল রিসার্চের ব্রাজিলিয় গবেষক মার্কো ফার্নান্ডেজ গত ৩০ ডিসেম্বর সাংবাদিক লি জিংজিংকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন ব্রাজিলের এক মার্কিন দূতের কথা, যিনি নাকি মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইয়ের প্রাক্তন এজেন্ট। ব্যঙ্গের সুরে মার্কো বলেছিলেন “তাহলে বুঝতেই পারছেন তিনি কতটা বন্ধুত্বপূর্ণ।”
৪ মে ২০২২ টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে লুলার মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন “আমরা রাজনীতিবিদরা যা বপন করি তাই ফলে। আমি যদি ভ্রাতৃত্ব, সংহতি, সম্প্রীতি বপন করি, তাহলে ভাল ফল পাব। যদি বিভেদ বপন করি, আমি ঝামেলা পাকাব। পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণ করা উচিত হয়নি। তবে শুধু পুতিনই দোষী নন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও দোষী। ইউক্রেন আক্রমণের কারণ কী ছিল? ন্যাটো? তারপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বলা উচিত ছিল, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগদান করবে না। তাতেই সমস্যার সমাধান হয়ে যেত… আমি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে চিনি না। কিন্তু তার আচরণ একটু অদ্ভুত লাগে…তিনি সকাল, দুপুর, রাত টেলিভিশনে থাকেন। তিনি যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে, জার্মান পার্লামেন্টে, ফরাসি পার্লামেন্টে, ইতালির পার্লামেন্টে। যেন রাজনৈতিক প্রচারে বেরিয়েছেন। তাঁর তো (রাশিয়ার সাথে) আলোচনার টেবিলে থাকা উচিত।”
ওই সাক্ষাৎকারেই লুলা বলেন “আমি নিশ্চিত যে আমি ব্রাজিলের সমস্যা সমাধান করতে পারব। আমি নিশ্চিত যে সমস্যার তখনই সমাধান হয় যখন দরিদ্র মানুষ সক্রিয়ভাবে অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ করে, দরিদ্র মানুষ যখন বাজেট তৈরিতে অংশগ্রহণ করে, যখন দরিদ্র মানুষ কাজ করে, যখন দরিদ্র মানুষ খেতে পায়। এটা তখনই সম্ভব হয় যখন এমন একটা সরকার পাওয়া যায় যে দরিদ্র মানুষের কাজে নিয়োজিত।”
আরো পড়ুন শুধু ব্রাজিল নয়, গোটা পৃথিবীর সামনে আশার আলো লুলা
এক বছর আগে অন্য এক আলোচনায় চীন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে লুলা বলেন “দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা আবার শিনোফোবিক আলোচনায় ঢুকে যাচ্ছি। আমরা চীন-আমেরিকা ঠান্ডা যুদ্ধে ফিরে যাচ্ছি। আমেরিকার বোঝা উচিত বিকাশের সমস্ত রকম অধিকার চীনের আছে। চীনের বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে বিকাশের অধিকার আছে, ব্রাজিলের নিজেকে বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিবর্তিত করার অধিকার আছে। আমেরিকা এই গ্রহের প্রভু হতে চায়, যা খুশি করতে চায়। আমি কিন্তু আমেরিকাকে সম্মান করি। তাদের সামরিক শক্তি, অর্থনৈতিক শক্তি, বৈজ্ঞানিক শক্তি, প্রযুক্তিগত শক্তি – এগুলোর সবাই প্রশংসা করে। কিন্তু আমেরিকাকেও বাকিদের সঙ্গে মিলে বাঁচতে শিখতে হবে। যখনই [লাতিন আমেরিকায়] একটা প্রগতিশীল সরকার আসে, তখনই অভ্যুত্থান ঘটাবার চেষ্টা হয়”।
বলসোনারো কিন্তু ২০১৮ সালে নির্বাচনে ব্যাপক চীনবিরোধী প্রচার চালান। তিনি দাবি করেন, ব্রাজিল চীনের উপনিবেশ হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বলসোনারোর বিদেশনীতি আমেরিকা, ইজরায়েলের সাথে আরও বেশি ঘনিষ্ঠতার। ইউনাইটেড নেশনসে বিভিন্ন ইস্যুতে নিয়মিত ইজরায়েলকে ভোট দিতেন বলসোনারোর প্রতিনিধিরা। তিনি মার্কিন নীল নকশায় দেশের অর্থনীতির নব্য উদারনৈতিক সংস্কারের সমর্থক। অবশ্য আমেরিকার ঘনিষ্ঠ হলেও চীনের সঙ্গে তিনি সম্পর্ক ছিন্ন করেননি। অন্যদিকে লুলা চীনসহ বাম শিবিরের ঘনিষ্ঠ এবং আমেরিকা ও পাশ্চাত্যের দেশগুলোর সমালোচক হলেও তাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী। ২০০৯ সালে লুলা ক্ষমতায় থাকাকালীন রাশিয়া, ভারত, চীনের সঙ্গে ব্রিক (BRIC) সম্মেলনে যোগদান করেন। পরবর্তীতে এই জোটে দক্ষিণ আফ্রিকা যোগদান করায় এই জোটার নাম হয় ব্রিকস (BRICS)। বিশ্লেষকদের অনেকে এই জোটকে মার্কিন আধিপত্য খর্ব করার চীনা প্রচেষ্টা হিসাবে দেখে থাকেন। অথচ বলসোনারো ব্রিকস থেকে বেরিয়ে আসার মত কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেননি।
২০২২ সালে ২৪ জানুয়ারি ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে পূর্বতন লুলা সরকারের বিদেশমন্ত্রী কেলসো আমোরিম বলেছিলেন, লুলা ক্ষমতায় ফিরলে চীনের সঙে ব্রাজিলের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। আমোরিম বলেন চীনের সাথে সম্পর্ক উন্নতি ঘটালেও আমেরিকা বা পাশ্চাত্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে লুলা সরকার। চীনের প্রতি এমন কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হবে না যাতে আমেরিকা বা পাশ্চাত্যের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। মতাদর্শ নয়, বাস্তববাদই বিদেশনীতির মূল উপাদান হবে।
কিউবা, ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনার মত বামপন্থী সরকার পরিচালিত দেশগুলো কড়া ভাষায় ব্রাজিলে ফ্যাসিস্ট অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টার নিন্দা করেছে। তুলনামূলকভাবে নরম সুরে হলেও এই প্রচেষ্টার নিন্দা করেছে আমেরিকাসহ পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোও।
মহাশক্তি হিসাবে সমাজতান্ত্রিক চীনের উত্থান হয়েছে। একদা মার্কিনিদের শক্ত ঘাঁটি কলম্বিয়াতে বাম নেতা গুস্তাভো পেত্রো, ব্রাজিলে লুলা সমেত গোটা দক্ষিণ আমেরিকায় বামপন্থীরা নির্বাচনে জিতে সরকারে এসেছে। আমেরিকার নেতৃত্বে চলা ইউরোপিয় সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর সাধের এক মেরু বিশ্বের জায়গায় বহু মেরু বিশ্ব বহুমুখী বাণিজ্য মানতে বাধ্য করছে – এমন মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে অন্য দেশে সরকার বদলানোয় কলকাঠি নাড়তে অভ্যস্ত মার্কিন সরকারের ইতিহাসের দিকে তাকালে।
২০২২ সালে অক্টোবরে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর চীন এবং আমেরিকা – দুই দেশই দ্রুত লুলাকে অভিনন্দন জানায়। লুলা শিগগির চীন এবং আমেরিকা সফরে যাবেন বলেও শোনা যাচ্ছে। ফলে নতুন বিশ্ব পরিস্থিতিকে তিনি ব্রাজিলের অর্থনৈতিক উন্নতিতে কাজে লাগাতে পারবেন বলে আশা করাই যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে প্রত্যক্ষ ঔপনিবেশিক যুগের অবসানের পর যে নব্য উপনিবেশবাদী যুগের সূচনা হয়েছিল তাও একুশ শতকের দুয়ের দশকে বিলুপ্ত হবে, নাকি দু কদম পিছিয়ে এসে সাম্রাজ্যবাদ ফের প্রত্যাঘাত করবে সেটাই এখন দেখার।
মতামত ব্যক্তিগত
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।