সায়ক ঘোষ চৌধুরী
তৃণমূলে কি গৃহযুদ্ধ বেধেছে? এটা কি প্রজন্মের লড়াই? বর্তমান রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ তৃণমূলের কোন ভবিষ্যতের দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে?
গত কয়েকদিন ধরে এই প্রশ্নগুলো পশ্চিমবঙ্গবাসীর মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। কামারহাটি-ডায়মন্ড হারবার সমেত একাধিক পুরসভায় আসন্ন ২৭ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্যে তৃণমূল কংগ্রেসের দুরকম প্রার্থী তালিকা বেরিয়েছে। বহু ক্ষেত্রে তৃণমূল ভবন থেকে প্রচারিত তালিকার সঙ্গে তৃণমূলের ওয়েবসাইটে, সোশাল মিডিয়ায় প্রচারিত প্রার্থী তালিকা মিলছে না। এবং কী আশ্চর্য (তৃণমূলের ক্ষেত্রে অবশ্য অতটা আশ্চর্য নয়), দুই তালিকার প্রার্থীই মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় অ্যানেক্সার-২ ফর্ম পেয়েছেন। অবশ্য পরবর্তীকালে বেশিরভাগ জায়গায় ওয়েবসাইটে নাম থাকা ব্যক্তিই প্রার্থী হয়েছেন। অনেক জায়গায় আবার তৃণমূল ভবন থেকে ঘোষিত প্রার্থী দড়ি টানাটানিতে জিতে গেছেন।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
সমস্যার সূত্রপাত কোথায়? ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পরে তৃণমূলে অভিষেক যুগের সূচনা হল বলে মনে করা হচ্ছিল। অভিষেক ব্যানার্জি, প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর সংস্থা আইপ্যাককে সঙ্গে নিয়ে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহকে হারানোর অসাধ্য সাধন করেছেন বলে মনে করা হচ্ছিল। এমনকি তৃণমূলের বিজ্ঞাপনে তো বটেই, প্রত্যেকটা সরকারি বিজ্ঞাপনেও মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে ভাইপো অভিষেকের ছবি ছাপা হতে শুরু করেছিল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে জিতে যেতেই দলের ‘মমতা অনুগামী’ প্রবীণ অংশ নিজেদের গুরুত্ব হারানোর ভয়ে অভিষেকের সেই উত্থান আটকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ২০২১ কলকাতা পুরসভা নির্বাচন থেকে এই যুদ্ধের সূত্রপাত। অভিষেক এবং প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক মিলে কলকাতা পুরসভার জন্যে যে প্রার্থী তালিকা তৈরি করেছিল তার ৭০% নাম কেটে দেয় সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমের ‘স্ক্রিনিং কমিটি’। অভিষেকের তালিকায় ৮২ নং ওয়ার্ডে ফিরহাদ হাকিমের নাম কেটে তাঁর কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিমের নাম ঢোকানো হয়েছিল বলে জল্পনা। অভিষেকের পছন্দের মেয়র পদপ্রার্থী ছিলেন নারী এবং শিশুকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মমতার মধ্যস্থতায় ‘অভিষেক ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূলের অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রজন্ম বাদ পড়ে। ফিরহাদ হাকিম, মালা রায়, দেবাশীষ কুমার, অতীন ঘোষ, পরেশ পালের মতো বিধায়ক, সাংসদরা টিকিট পান। শশী পাঁজা টিকিট পাননি, তার বদলে কলকাতা কর্পোরেশনের ওয়ার্ড নং ৮ থেকে তাঁর কন্যা পূজা পাঁজাকে টিকিট দেওয়া হয়। পুরোপুরি বাদ পড়ে সঞ্জয় বক্সীর পরিবার — স্ত্রী স্মিতা এবং যুব তৃণমূল নেতা ‘অভিষেক ঘনিষ্ঠ’ সৌম্য বক্সী। তৃণমূল প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র সায়নদেব।
কলকাতা পুরসভার প্রার্থী তালিকায় নিজের এই গুরুত্ব হ্রাস দেখে অভিষেক তৃণমূলের মধ্যে “এক ব্যক্তি, এক পদ” নীতি চালু করার দাবি তোলেন। কারণ তাঁর মনে হয়েছিল, তাঁর গোষ্ঠী তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় জায়গা করে উঠতে পারবে না এবং তৃণমূলের পরিচালনার ভার ফিরহাদ, পার্থ, সুব্রত বক্সীর মত ৩-৪ জনের হাত থেকে সরানো যাবে না। প্রশান্ত কিশোর এই সময়ে মমতা ব্যানার্জীকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। যেহেতু বিজেপি জানে তাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস এবং কংগ্রেসের সহযোগী দলগুলো, তাই অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মমতা, আসাদউদ্দিন ওয়াইসির পার্টি রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে কংগ্রেসের ভোটে ভাগ বসালে বিজেপির সুবিধাই হয়। মমতাকে প্রধানমন্ত্রী পদের মুখ করে তুললে অভিষেককে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্যে ভাবা যেতেই পারে। অতীতে এভাবে ছেলে অখিলেশের হাতে উত্তরপ্রদেশ ছেড়ে দিয়ে লোকসভার সাংসদ হয়ে দিল্লির রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন মুলায়ম সিং যাদব।
মোটামুটিভাবে তেমন পরিকল্পনায় সায়ও দিচ্ছিলেন। জীবনে প্রথমবার গান্ধী পরিবারকে ভয়ঙ্করভাবে আক্রমণ করে কংগ্রেসের বিরাগভাজন হন। কিন্তু ত্রিপুরার পুরসভা নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা খরচ করেও ৩৩৪টা আসনের মধ্যে মাত্র একটা আসন জেতা এবং তারপর গোয়া বিধানসভা নির্বাচন লড়তে গিয়ে বিপুল খরচ করেও এখন দেখা যাচ্ছে প্রায় সব আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে প্রশান্ত কিশোর সম্পর্কে মমতার মোহভঙ্গ হয়।
কলকাতা পুরসভার পরে যখন রাজ্যের অন্য ১০৮টা পুরসভার নির্বাচনের প্রার্থী ঠিক করার সময় আসে, প্রায় বিদ্রোহ করে বসেন অভিষেক ও প্রশান্ত কিশোর। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ২২টা আসনে নেমে আসার পরে প্রশান্ত কিশোরকে দায়িত্ব দেওয়া এবং তারপরে তৃণমূলের পরিচালন ক্ষমতা মমতা ঘনিষ্ঠ প্রবীণদের থেকে নিজের দিকে নিয়ে আসার পুরো প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছিলেন অভিষেকই। তাঁরই ইচ্ছায় প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের সাথে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ পর্যন্ত করা হয়।
অভিষেক আর প্রশান্ত কিশোরের আশা ছিল, মমতা তাঁদের দাবিকেই স্বীকৃতি দেবেন। কিন্তু মমতাকে ফিরহাদ, পার্থ, সুব্রত বক্সীরা বোঝাতে সক্ষম হন, যে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উত্থানের আর কোনো সম্ভাবনা নেই। অতএব যে ‘সাংগঠনিক সংস্কার’ অভিষেক প্রশান্ত কিশোরকে দিয়ে করাতে চাইছেন, তার কোনো দরকার নেই। মমতারও নিশ্চয়ই ধারণা হয়েছিল, অতি সংস্কারে তৃণমূলের রাশ তাঁর হাত থেকে বেরিয়ে যাবে। অভিষেকের শ্বশুরবাড়ির কিছু অংশ (নারুলা-গম্ভীর পরিবার) ইতিমধ্যে কয়লা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে। তার আঁচ সিবিআই, ইডির মাধ্যমে তৃণমূলের গায়ে এসে লাগছে।
এই পিসি-ভাইপো লড়াইতে মমতার পরিবারের সমর্থন অভিষেকের দিকেই ছিল। কারণ ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের সময় আকাশ ব্যানার্জি, অদিতি গায়েন সমেত মমতার পরিবারের অনেকেই আইপ্যাকের সঙ্গে কাজ করেছিল। ফলে অনেকেরই রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খা তৈরি হয়েছে। অভিষেক তাঁদের তৃণমূল সংগঠনে পদপ্রাপ্তির আশ্বাসও দিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। কিন্তু কল্যাণ ব্যানার্জি সহ তৃণমূলের একাধিক প্রবীণ নেতা এতে গুরুত্ব হারানোর আশংকায় বারবার অভিষেক-বিরোধী মন্তব্য করেছেন। মোটামুটিভাবে নেতৃত্বের প্রশ্নে তৃণমূল দু ভাগ হয়ে পড়েছে।
এই নাটকের যবনিকাপাত হল ১২ ফেব্রুয়ারি। মমতা দলের সব পদের অবলুপ্তি ঘটালেন এবং অভিষেককে “পুনর্মূষিক ভব” বলে একটা অকেজো কমিটির ২০ জনের একজন করে দিলেন।
কিন্তু এতে কি তৃণমূলের সমস্যার সমাধান হল?
একেবারেই নয়। মমতা নবীন বনাম প্রবীণ লড়াইটা ভবিষ্যতের জন্য মুলতুবি রাখলেন। কিন্তু বহু সমস্যা আছে যেগুলোর সমাধান না খুঁজলেই নয়। শুধুমাত্র শক্তিশালী বিরোধী দলের অভাবে এখনো তৃণমূল নিশ্চিন্ত থাকত পারছে। কিন্তু কালের নিয়মে যখন শক্তিশালী বিরোধী তৈরি হবে (তৃণমূল ভেঙে কিম্বা কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী হয়ে উঠলে, অথবা মমতার বার্ধক্যের কারণে, বা হঠাৎ কোনো আন্দোলনের ফলে বাম দলগুলো হারানো শক্তি ফিরে পেলে), তখন সামাল দেওয়ার উপায় থাকবে না।
কী কী সমস্যা?
(১) দলটা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বড় হয়ে গেছে “১০০% আসনেই জিততে হবে” এই মানসিকতা নিয়ে চলতে গিয়ে। পরাজয় রাজনৈতিক দলকে জঞ্জালমুক্ত করে। কিন্তু গায়ের জোরে সব নির্বাচন জিতে গেলে দুর্নীতি দলকে গ্রাস করে। অকেজো লোকেদের তাড়ানো যায় না, শেষে বিস্ফোরণটা দলের ভিতরেই হয়। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিভাজিত হয়ে বিজেপির সুবিধা হয়েছিল। তেমন বিভাজন লোকসভা, বিধানসভা, পুরসভা, পঞ্চায়েত — প্রত্যেক নির্বাচনের আগে একবার করে হবে এবং প্রধান বিরোধী দল সুবিধা পাবে।
(২) বেশিদিন শাসক হয়ে থাকলে যে সমস্যাগুলো হয়, তৃণমূলের সেগুলোও হচ্ছে। দলের মধ্যে আন্দোলন করে নেতা হওয়া লোক নেই, যা একমাত্র বিরোধী দলের মধ্যে তৈরি হতে পারে। ফলে তৃণমূলে এমন একটা প্রজন্ম জোরদার হচ্ছে , যাদের কোনো আন্দোলনের অভিজ্ঞতা নেই।
(৩) তৃণমূলের দুর্নীতি এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে যে তৃণমূল প্রতিদিন বেশ কয়েকজন করে কোটিপতি তৈরি করছে। আর সেটা এমন সময়ে যখন কর্মসংস্থান ও আয় বৃদ্ধির প্রশ্নে মমতা ব্যানার্জীর তিনবারের সরকার উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু করে উঠতে পারেনি। ফলে জনতার মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। জায়গায় জায়গায় জনতার মারমুখী হয়ে ওঠা তার প্রমাণ।
(৪) মমতা দলের বিকেন্দ্রীকরণ করতে পারেননি। ক্ষমতা কয়েকজনের হাতে কুক্ষিগত এবং এই ক্ষমতাবান লোকগুলোর ভাবমূর্তি আদৌ উজ্জ্বল নয়। কেন কলকাতার মেয়র এবং পুর ও নগরোন্নয়ন/আবাসন মন্ত্রী বারবার একই ব্যক্তি হন? আর কেন জেলায় জেলায় তৃণমূলের নামে গীতাঞ্জলি আবাস যোজনার পুরো টাকা না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে? ফিরহাদ হাকিম কি মমতার টাকা তোলার হাত, যা আগে শোভন চট্টোপাধ্যায় ছিলেন? আর সেই কারণেই কি আজ অভিষেক-ফিরহাদ লড়াইতে মমতা ফিরহাদের পক্ষে? এসব প্রশ্ন উঠছে।
মমতার সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার তিনটে বৈশিষ্ট্য আছে — দুটো ভাল, একটা খারাপ।
ভাল বৈশিষ্ট্য হল — (১) তিনি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন, (২) গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে ভাবেন। এখন যেমন উনি শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূলে ফেরানোর কথা ভাবতে পারেন।
খারাপ বৈশিষ্ট্য হল — (১) সব সিদ্ধান্তই স্বল্পমেয়াদি। ফলে সমস্যা ফুরিয়েও ফুরোয় না।
বিজেপি যতদিন কেন্দ্রে ক্ষমতায় আছে, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের তেমন কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৩০% সংখ্যালঘু ভোট সেক্ষেত্রে তৃণমূলের দিকেই যাওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী হয়ে উঠলে তৃণমূল ভাঙতে বাধ্য। কারণ নতুন প্রজন্মের কাছে সত্তরোর্ধ্ব মমতার আবেদন প্রতিদিনই কমবে। তৃণমূলের অপেক্ষাকৃত নবীন অংশ করে কম্মে খেতে না পারলে অন্য বিরোধী দলের দিকে ঝুঁকবে। বিধানসভা নির্বাচনে যেমন অনেক তৃণমূল নেতাকে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে পড়তে দেখা গেছিল, পুরসভা নির্বাচনে বেশ কয়েকজনকে কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়ে পড়তেও দেখা যাচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেদের হয়েও হয়ত তৃণমূলের অনেক নেতা, কর্মী দাঁড়িয়ে যেতে পারেন।
এমনিতে দক্ষিণপন্থী দলে একই পরিবারের দুটো আলাদা প্রজন্মের একসঙ্গে রাজনীতি করা সবসময়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্ম দেয়। কংগ্রেসের জি-২৩ -এর সমস্যা তৃণমূলেও দেখা দিয়েছে। প্রবীণরা অনেক ক্ষেত্রেই টেবিলে বসে রাজনীতি বেশি করেন এবং নবীনদের উত্থানে বাধা দেন। উল্টোদিকে প্রবীণদের অভিজ্ঞতা ও আনুগত্য বেশি থাকে। এই সমস্যা বামপন্থী দলেও দেখা দেয়, কারণ বুর্জোয়া গণতন্ত্রের প্রভাব সবার উপরেই পড়েছে।
কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের পার্থক্য হল, তৃণমূলের বিচারধারা সুস্পষ্ট নয়। অনেকটাই মমতার মতের উপরে নির্ভরশীল। ফলে তাঁর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার উপরেই দল নির্ভরশীল। সেই জনপ্রিয়তায় উত্থান-পতন রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে হার এই সত্য প্রমাণ করে, যে মমতাও অপরাজেয় নন।
পতনকালে সামনে বিজেপি থাকলে মুসলিম ভোটের ভরসায় তৃণমূল হয়ত বেঁচে যাবে। কিন্তু কংগ্রেস বা সিপিএমের নতুন প্রজন্ম শক্তিশালী হয়ে উঠলে তৃণমূলের পক্ষে সামাল দেওয়া মুশকিল হবে। অভিষেক অনভিজ্ঞ হতে পারেন , কিন্তু কিছু আধুনিক প্রজন্মমুখী সংস্কারের কথা চিন্তা করছিলেন। মমতা সেটাকে কালের গহ্বরে ঠেলে দিলেন।
মতামত ব্যক্তিগত
আরও পড়ুন: https://nagorik.net/politics/deucha-pachami-coal-mine/
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।
[…] আরো পড়ুন কালের গতি জোর করে আটকালেন মমতা […]