সায়ক ঘোষ চৌধুরী

মদন মিত্রের নামে অন্য অনেক অভিযোগ থাকলেও, শত্রু-মিত্র সবাই মানবেন যে ওঁর মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যাপারে সাহায্য করার দীর্ঘ ইতিহাস আছে। প্রয়াত সিপিএম নেতা তথা বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর মতই উনি এই ব্যাপারে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সাহায্য করে এসেছেন। কিন্তু তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ এবার বোধহয় তাঁকেও ভাসিয়ে নিয়ে গেল। যাঁরা একটু-আধটু রাজনীতির খবর রাখেন, তাঁরা বেশ কয়েকদিন ধরেই লক্ষ করছেন যে, তৃণমূলে কেমন যেন অন্য স্রোত বইছে। আমরা তৃণমূল কংগ্রেস বলতে গত দু-তিন দশক ধরে যাঁদের বুঝতাম, বামেদের বিরুদ্ধে প্রথমে যুব কংগ্রেস এবং পরে তৃণমূল কংগ্রেস গড়ে আন্দোলনের মুখ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে যাঁরা মুখর থাকতেন, তাঁদের অধিকাংশের গলাতেই এখন অসন্তোষের সুর। কখনো সোনালী গুহ, কখনো কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কখনো তাপস রায়, কখনো সৌগত রায়, কখনো মদন মিত্র সোজাসুজি বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের বিরুদ্ধেই মুখ খুলছেন, যা ৩-৪ বছর আগেও অভাবনীয় ছিল। কখনো হাহাকার, কখনো কান্না, কখনো আর্তনাদ, কখনো হুমকি, কখনো উদাস ভঙ্গিতে ক্ষোভ মূর্ত হচ্ছে। এবং অনেক সময়েই স্মৃতিচারণার ভঙ্গিতে এমন অনেক তথ্য সামনে আছে যা রীতিমত রোমহর্ষক। কুৎসা বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলেও তা থেকে শাসক দলের মধ্যেকার উত্তপ্ত লাভাস্রোতের গনগনে আঁচ পাওয়া যাচ্ছে।

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন

~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

মদনের ক্ষেত্রে উপলক্ষ্যটা ছোট। শুভজিৎ রায় (২৪) নামে এক ল্যাব টেকনিশিয়ান দুর্ঘটনায় আহত হওয়ায় মদন মিত্র তাঁকে একটা বেসরকারি হাসপাতালের ভেন্টিলেশন ইউনিট থেকে এনে শেঠ সুখলাল কারনানি মেমোরিয়াল হাসপাতাল, বা চলতি কথায় পিজি হাসপাতালে, ভর্তি করার চেষ্টা করেছিলেন। এমন তিনি অনেক রোগীর ক্ষেত্রে বহুবার করেছেন। বস্তুত একসময় তিনি এই বলেও আস্ফালন করেছেন যে “আমি বলছি মানে মমতা ব্যানার্জি বলছেন।” কিন্তু এবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেঁকে বসেন এবং সম্ভবত তৃণমূলের উপরতলার নির্দেশে মদনের হম্বিতম্বি সত্ত্বেও রোগী ভর্তি করেননি। এতদিন “এসএসকেএমের ব্যাপারে শেষ কথা” মদন এতে হতভম্ব হয়ে যান। কী করে তাঁর সাধের এসএসকেএম তাঁর কথা অমান্য করতে পারে? তিনি দাদাগিরি দেখাতে হাসপাতালে পৌঁছে যান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মদনের নামে গুন্ডামি করার অভিযোগে পুলিশের কাছে এফআইআর করে। অতঃপর কামারহাটির বিধায়কের নিজের দলের সরকারের বিরুদ্ধেই অগ্নিবর্ষণ এবং সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া, যে তিনি কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসে থাকতে শুরুর দিকে কী কী করেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুণাল ঘোষের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি সামলে নেওয়া গেছে এবং মদন “আমি অলজাইমার্সের রোগী”, “রাজনীতি থেকে অবসর নেব” ইত্যাদি বলে চলেছেন।

কিন্তু প্রশ্ন হল, তৃণমূলে হচ্ছেটা কী?

এর এক কথায় উত্তর, মুখ্যমন্ত্রী ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জির উত্থান এবং আঞ্চলিক দলের চিরন্তন ধারা মেনে মমতার পুরনো সঙ্গীসাথীদের গুরুত্ব হ্রাস, অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের প্রতিষ্ঠাকেই নস্যাৎ করে দেওয়া।

সোনালী গুহদের মতো যাঁরা অভিষেককে ছোট থেকে বড় হতে দেখেছেন, তাঁরা হয়ত ভেবেছিলেন অভিষেকের উত্থান অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু একথা ভাবেননি যে কোনোদিন তাঁদের প্রিয় নেত্রী অভিষেকের এত কাছের হয়ে যাবেন যে অন্য সবাইকে দূরে ঠেলে দেবেন। এত দূরে যে মমতার সঙ্গে কথা বলতে গেলেও তাঁদের একজন সুব্রত বক্সী বা কুণাল ঘোষ লাগবে। সোজাসুজি কথা বলা যাবে না।

মদন বা তাপস রায় হয়ত এখনো তৃণমূলে টিকে আছেন তৃণমূল শাসক দল এবং নিজেরা বিধায়ক বলে। সোনালী অভিযোগ করে চলেছেন আর কোনোদিন তৃণমূলে ফিরতে পারবেন না বুঝে। কল্যাণ মাঝেমধ্যেই বিদ্রোহী হয়ে উঠছেন কারণ তিনি তৃণমূলে থাকলেও ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুরের টিকিট পাওয়া নিয়ে নিশ্চিত নয়। কিন্তু সারসত্যটা হল, তৃণমূলে কেউই সুখে নেই। অভিষেক শুধু তৃণমূলে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেই সন্তুষ্ট নন, পুরো দলটারই দখল নিতে চাইছেন উল্কার গতিতে।

এখন এতে মমতার ইচ্ছা কতটা আর ইডি-সিবিআইয়ের তদন্তের চাপ কতখানি, তা মমতাই বলতে পারবেন। কিন্তু লক্ষণীয়, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে প্রশান্ত কিশোর-অভিষেকের প্রার্থী তালিকা বাতিল হওয়ার পরেই হঠাৎ করে তৃণমূলের এহেন ভোলবদল বড় বেশি করে চোখে পড়ছে। সেই ঘটনার কুশীলব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলের মধ্যেই কোণঠাসা করার চেষ্টা হল। এঁদের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জেলে পাঠানো হল। পরে সঙ্গী হলেন পার্থ এবং অনুব্রত। পৌর দুর্নীতি নিয়েও একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে এল। বদলে মহাভারতের মুষলপর্বের মতো ফেঁসে গেলেন অভিষেক-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিতি কুন্তল ঘোষ, সুজয় ভদ্র, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়রাও। তৃণমূলের মধ্যেই খবর ছড়াল, যে অভিষেক ইডি-সিবিআইয়ের হাত থেকে নিজে বাঁচতে তৃণমূলের ভিতরের বিভিন্ন দুর্নীতি ফাঁস করে দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সামনে। বিশেষ করে টার্গেট করেছেন মমতা-ঘনিষ্ঠ লোকেদের। অন্যদিকে পার্থ, মানিক ভট্টাচার্যরাও নাকি বলে দিচ্ছেন শিক্ষা দুর্নীতিতে যুক্ত অভিষেক-ঘনিষ্ঠদের নাম।

পুরো বিষয়টায় বিজেপির জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। একনাথ শিন্ডে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াদের উদাহরণ তো চোখের সামনেই আছে। সেখানে বিজেপি শাসক দল ভাঙতে সক্ষম হয়েছে কখনো ইডি, সিবিআইয়ের জুজু দেখিয়ে, কখনো ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষায় হাওয়া দিয়ে। অভিষেকের ক্ষেত্রে কোনটা করা হচ্ছে তা অনুমানসাপেক্ষ। হয়ত বা দুটোই। কিন্তু এও যে দুর্গের মধ্যে থেকে দুর্গ দখলের প্রচেষ্টা নয়, তা জোর দিয়ে বলা যায় না। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়ে যখন তৃণমূলের ভোট ভাঙানো সম্ভব হল না, তখন বিজেপি অভিষেককে কয়লা, বালি, গরু পাচারের অভিযোগগুলো দিয়ে ঘিরল। অভিযোগের সত্যতা আদালতে প্রমাণসাপেক্ষ। কিন্তু তৃণমূলের মধ্যে এই প্রবীণ-নবীন সংঘাতের তীব্রতা অভিষেকের সিবিআই, ইডি জেরার উপর নির্ভরশীল। যতবার তাঁকে ইডি অথবা সিবিআই ডেকেছে, ততবার সেই জেরার পরেই মমতা-ঘনিষ্ঠ কোনো না কোনো তৃণমূল নেতার বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা হানা দিয়েছে। তাই জেরার চাপে অভিষেক কী বলে এসেছেন তা নিয়ে সন্দেহ তীব্রতর হয়েছে।

এখন দেখা যাক, তৃণমূলের মধ্যে কী কী পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

(১) প্রত্যেক জেলায় তথাকথিত মমতা গ্রুপের সঙ্গে অভিষেক গ্রুপের সংঘাত। অভিষেক গ্রুপ তুলনামূলকভাবে নতুন লোকদের নিয়ে গড়া, যাঁরা ২০১১ সালে তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখলের পরে প্রকট হয়েছেন। মদনের এসএসকেএম কাণ্ডে অভিষেক-ঘনিষ্ঠ ডাঃ শান্তনু সেনের ভূমিকা আন্দাজ করা যেতেই পারে। তেমনি অন্য অনেক ঘটনাতেই তৃণমূলের প্রবীণ নেতারা জায়গায় জায়গায় অভিষেক-ঘনিষ্ঠদের কাছে অপমানিত হচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

(২) যেহেতু দুর্নীতির অভিযোগ মমতার পরিবারের উপরেও এসে পড়েছে, এমনকি অভিষেকের শ্যালিকা মেঘনা গম্ভীর বা পত্নী রুজিরাও অভিযুক্তের তালিকায় আছেন, তাই তাপস, সৌগত রায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুদীপের মত অপেক্ষাকৃত কম অভিযুক্ত নেতারা দিদির দূত কর্মসূচীতে গিয়ে “চোর, চোর” স্লোগানের মধ্যে পড়ে ধৈর্য হারাচ্ছেন। অভিষেক সম্পর্কে অসন্তোষ বাড়ছে।

(৩) তৃণমূলের মধ্যে একটা ‘অভিষেক চ্যানেল’ তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে দিয়ে যে কেউ মমতা-ঘনিষ্ঠ পুরনো নেতাদের বিরোধিতা করে অভিষেক-ঘনিষ্ঠ নেতাদের ধরে অভিষেকের কাছে পৌঁছে যেতে পারছেন এবং ৯৯% ক্ষেত্রে পুরনো নেতাদের সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে যাচ্ছে। তাপস নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বরানগরেই এই পরিস্থিতি টের পাচ্ছেন। যখনই তিনি বিভিন্ন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে একটু কড়া ভাষায় ধমক দিতে যাচ্ছেন, সেই কাউন্সিলর অভিষেককে দেখিয়ে দিচ্ছেন। উত্তর ২৪ পরগণায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ডানা ছাঁটার পরে ওই জেলা যে তৃণমূলের কোন নেতা চালাচ্ছেন তা নিয়ে সবাই সংশয়ে। কেউ মনে করছেন খাদ্যমন্ত্রী এবং মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহল জানে, কাজটা করছেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তাঁর নামে একাধিক তোলাবাজি, চোরাচালানের অভিযোগ আছে এবং তিনি অভিষেক-ঘনিষ্ঠ। দমদম-ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে সাংসদ সৌগত প্রকৃতপক্ষে কোণঠাসা, নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে বলে খবর।

এমতাবস্থায় অভিষেক-ঘনিষ্ঠ শান্তনু, কুণাল, নারায়ণ, শওকত মোল্লাদের উত্থানে পুরনো তৃণমূল নেতাদের অনেকেই অবসর নিয়ে নিতে চাইছেন। তাঁদের বক্তব্য

(১) তৃণমূল দলটা মমতার নেতৃত্বে তাঁরা তৈরি করেছিলেন। অভিষেক-ঘনিষ্ঠ নেতারা তৃণমূলের ভাল সময়ে এসেছেন। অভিষেকের তেমন কোনো আত্মত্যাগ নেই। সবাই মমতাকে দেখেই দল করেন।

(২) মমতা অভিষেকের ইডি, সিবিআই জেরার পরে কোনো অজ্ঞাত কারণে (হয়ত পুরোপুরি অজ্ঞাত নয়, উপরে আলোচনা করা হয়েছে সে ব্যাপারে) গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার ভার অভিষেকের উপরে ছেড়ে দিচ্ছেন। বিশেষ করে পার্থ, অনুব্রত জেলে যাওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংগঠনের ব্যাপারে আরও বেশি করে অভিষেক-নির্ভর হয়ে পড়েছেন। এমতাবস্থায় তাঁর পুরনো সঙ্গীদের পক্ষ নিয়ে অভিষেক বা তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাদের কড়া করে ধমকও দিতে পারছেন না। ফলে পুরনো নেতাদের অপমানিত হয়েই যেতে হচ্ছে।

মদনের এসএসকেএম উষ্মা বা সোনালীর ক্রমাগত বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার বা ফিরহাদের রবীন্দ্রনাথ আবৃত্তি, তাপসের অবসরের ইচ্ছাপ্রকাশ, কল্যাণের আর নির্বাচনে না লড়ার স্বগতোক্তিকে তাই বিচ্ছিন্নভাবে দেখলে চলবে না।

আরো পড়ুন কালের গতি জোর করে আটকালেন মমতা

তৃণমূল ভিতরে ভিতরে বেশকিছু ভাগে ভেঙে গেছে। ফের সাগরদীঘির মত নির্বাচনী বিপর্যয়ের সম্মুখীন হলে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়তেই পারে। সাগরদীঘির প্রার্থী নির্বাচন থেকে প্রচার – সবকিছুর ভার অভিষেকের হাতে ছিল। প্রার্থী ছিলেন মমতার তুতো ভাই দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই উপনির্বাচনে বায়রন বিশ্বাসের কাছে গোহারান হারার পরে মমতা অভিষেকের প্রতি ক্ষমাসুন্দর থাকলেন, দোষ চাপিয়ে দিলেন মুর্শিদাবাদের দুই সাংসদ আবু তাহের খান এবং খলিলুর রহমানের উপর, সঙ্গে শক্তিমন্ত্রী তথা রঘুনাথগঞ্জের বিধায়ক আখরুজ্জামান। খলিলুর জেলা সভাপতিও বটে।

অশোক দেব অথবা তাপস মমতার সমসাময়িক তাঁর আগে থেকেই রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু তাঁরা ক্যাবিনেটে জায়গা পান না কেন? মনের মধ্যে জমিয়ে রাখা এই পুঞ্জীভূত ক্ষোভ উপযুক্ত পরিবেশ পেলে বেরিয়ে আসছে। মদন বিভিন্ন হাস্যকর ভিডিও বানিয়ে মনোরঞ্জন ও খবরে থাকার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু এক এসএসকেএম কাণ্ড রাজনৈতিক প্রভাব কমে যাওয়ায় তাঁর ধৈর্যচ্যুতি ঘটাল।

এমন করে যত জনগণের উষ্মা ও অসন্তোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তত তৃণমূলের মধ্যে ফাটল চওড়া হচ্ছে। কবে শেষের সেই ভয়ঙ্কর দিনটা আসবে, তা বাংলার মানুষের আশঙ্কার কারণ। কারণ মমতার মত আগুনে রাজনৈতিক নেতা নিজের পতনের আশঙ্কা দেখলেই তা হিংসা ও বিদ্বেষের আকারে সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

নিবন্ধকার রাজনৈতিক বিশ্লেষক, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। মতামত ব্যক্তিগত, তথ্য লেখকের

নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.