যুক্তি-তক্কো আর গপ্পো ছবির শেষ দৃশ্যে নকশালপন্থী যুবকদের সঙ্গে আলাপে বিভিন্ন পথের ও মতের দাদাদের মত, তাঁর কথাও শুনতে বলেছিলেন ঋত্বিককুমার ঘটক। অবশ্য সেই দেড়েল এত মিহি ভাষায় কথা বলতেন না। পার্টি অফিস থেকে এসি খুলে নিয়ে যাওয়া ছাত্রনেতা, বিলাসবহুল গাড়ি কিনে কমিউনিস্ট পার্টির সদর দপ্তরে বসে সে বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করা যুবনেতা, রাতারাতি বিজেপিবিরোধী থেকে হয়ে নরেন্দ্র মোদীর গুণগ্রাহী হয়ে ওঠা প্রাক্তন যুবনেত্রীদের প্রজন্মকে দেখলে হয়ত তিনি অপভাষার প্রয়োগ ও প্রভাব সম্পর্কে খানিক সন্দিহান হতেন। সম্প্রতি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী এবং একদা বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মী শেহলা রশিদ স্মিতা প্রকাশকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর মোদীবিরোধী থেকে মোদীভক্ত হয়ে ওঠার আখ্যান শুনিয়েছেন। তা নিয়ে ফেবুপাড়ার বামমহলে হইচই পড়ে গেছে। কিন্তু এতে বিস্মিত হওয়ার কারণই বোধগম্য নয়। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কিছু শিক্ষার্থী ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদে হামলায় দোষী সাব্যস্ত আফজল গুরু এবং কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী মকবুল ভাটের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজকরা ছিলেন ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (ডিএসইউ) সাবেক সদস্য। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) সদস্যদের প্রতিবাদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনুষ্ঠানটি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে অনুমতি প্রত্যাহার করে নিলেও আয়োজকরা পিছপা হননি। পরবর্তীকালে জি নিউজ চ্যানেল একটি ভিডিও প্রচার করে, যেখানে দেখা যায় ছাত্রদের একটি ছোট দল ‘ভারত-বিরোধী’ স্লোগান দিচ্ছে। এরা পরবর্তীকালের তদন্তে মুখোশ পরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাগত বলে সাব্যস্ত হয়। হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির ঝান্ডাধারীরা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেএনইউ সহ বিভিন্ন প্রথম সারির ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বামপন্থী দেশদ্রোহীদের আঁতুড়ঘর হিসাবে চিহ্নিত করা শুরু করে। সেই সময়েই সংবাদ শিরোনামে আসে কয়েকটি নাম – শেহলা রশিদ, কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ। অন্যত্র জিগনেশ মেওয়ানি, হার্দিক প্যাটেল। কেউ বিহারের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে এসেছেন সামাজিক সংঘর্ষের ফসল হিসাবে, কেউ প্রখর নারীবাদী ও নকশালপন্থী, কেউ আদিবাসীদের অধিকার রক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন, কেউ বা খোদ মোদী-শাহের রাজ্যে দলিত আন্দোলনে যুক্ত। সত্তরের দশক-পরবর্তী স্বপ্নভঙ্গের শরিক মার্কস ও কোকাকোলার সন্তানেরা এদের নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করলেন। এই স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হয়ে নেমে এল নয়া উদারবাদী মধ্যবিত্তের মুখপাত্র ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপ।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
তারা ভারতবাসীর উদ্ধারকর্তা হিসাবে নিয়মিত দেখাতে থাকল এদের মুখ। এক সময় এমন হল, যে অভিজাত সাহিত্য উৎসবগুলোতে আবশ্যিক হয়ে গেল কানহাইয়াদের উপস্থিতি।
সেসময়ের উত্তপ্ত আবহাওয়া যাঁদের মনে আছে, তাঁরা জানবেন যে সেইসময় খোলা আকাশের নিচে জাতীয়তাবাদ বিষয়ক ক্লাসরুম খুলেছিলেন জেএনইউয়ের প্রণম্য শিক্ষকরা। সেই বক্তৃতাগুলি পরবর্তীকালে সংকলিত হয় হোয়াট দ্য নেশন রিয়েলি নিডস টু নো: দ্য জেএনইউ ন্যাশনালিজম লেকচার্স নামে। আগ্রহী পাঠক, এই বক্তৃতা সমাহার থেকে রোমিলা থাপার আর হরবংশ মুখিয়ার আলাপ দুটি অতি অবশ্যই পড়বেন। যা-ই হোক, এই সংকলনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল বহুবাচনিকতা, এমনকি বিপক্ষ স্বরকেও ঠাঁই দেওয়া। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গায়ে ইতিমধ্যেই লেগে গিয়েছে মতাদর্শগত একচোখামির অভিযোগ, তাদের শিক্ষক সংগঠন সম্পাদিত এই বইতে উঠে এল জেএনইউয়ের ভিতরেই থাকা এক অন্য স্বর। ইংরেজির অধ্যাপক মকরন্দ পরাঞ্জপে। তার বক্তব্যের শীর্ষক ছিল ‘ইন্ডিয়া’জ আনসিভিল ওয়ার্স: টেগোর, গান্ধী…জেএনইউ…অ্যান্ড হোয়াট’স লেফট’।
মকরন্দ যে সঙ্ঘঘনিষ্ঠ, তা তখনই অনেকে জানতেন। পরবর্তীকালে ভারতীয় বিচার মঞ্চের সভায় মোহন ভাগবতের সঙ্গে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি উপর্যুক্ত বিষয়ে তাঁর মতামতকে আরও একবার পুনর্পাঠের ইশারা দেয়। অধ্যাপক পরাঞ্জপেকে ছাত্রছাত্রীরা একাধিকবার ঘেরাও করেছিল। তাঁর কিছুতেই পছন্দ হচ্ছিল না ক্যাম্পাসের এই বিদ্রোহী অবয়ব। তাঁর বক্তব্যের মূল নির্যাস তিনটি। প্রথমত, তিনি মনে করেন ভাবনা ধার করা যায় প্রয়োজনমত সকলের থেকেই, সে অতিবামই হোক বা অতি রক্ষণশীল, মতাদর্শগত কাঠামো গুরুত্বপূর্ণ নয়। আদর্শ ‘পোস্টইডিওলজি’ আর কি।
দ্বিতীয়ত, তিনি মধ্যপন্থার পক্ষে। বৌদ্ধ দার্শনিক নাগার্জুনের মাধ্যমিক দর্শন ও ইউরোপীয় হারমেনিউটিক ভাবকাঠামোর মিলিত আদলে তিনি চান দুই বিপরীতের আদানপ্রদান।
তৃতীয়ত, সমস্ত জ্ঞানতাত্ত্বিক আলোচনা থেকে তিনি ‘রাজনীতি’ ছেঁটে ফেলতে চান। শ্রেণিবৈষম্য ও জাতপাতের বিভীষিকার মধ্যে গড়ে ওঠা এদেশের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে থেকে তিনি বিভেদের প্রতিস্পর্ধী স্বরকে নৈরাজ্যবাদী বলে মনে করেন। একই সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীর ইউরোপিয় জাতিরাষ্ট্রের প্রতি বীতরাগকে সঙ্গতভাবেই গৌরবান্বিত করেন। আবার নিজের ভারতীয় নাগরিক হওয়া নিয়ে গর্বিতও হন। সম্প্রতি প্রকাশিত তাঁর জেএনইউ বিষয়ক বইতে তিনি লিখেছেন, এখনকার ক্যাম্পাসনির্ভর ‘পরজীবী’ বামপন্থী ছাত্রছাত্রীদের কোনো পড়াশোনাই নেই। তারা নাকি একদা বিশ্বজোড়া বামপন্থী আন্দোলনের আইকন, পুঁজিবাদী পণ্যপ্রিয়তা ও বিজ্ঞাপন জগৎ কর্তৃক নির্মিত ‘একমাত্রিক মানব’ ধারণার সমালোচক, চিন্তক হারবার্ট মার্কুসের নাম পর্যন্ত জানে না।
এবার আমাদের প্রতিপাদ্যকে গুটিয়ে আনা যাক। সেদিনের ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভের কুশীলবরা আজ কোথায়? হার্দিক বিজেপিতে গিয়েছেন, লাভ জিহাদের কথা-টথা বলেন। কানহাইয়া, জিগনেশ জাতীয় কংগ্রেসের প্রধানতম যুব মুখ, দল বদল করেছেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইকে অন্য চোখে দেখছেন, অন্যভাবে বুঝছেন। শেহলা সম্ভবত, মকরন্দ প্রণীত ‘মাধ্যমিক’ দর্শনে মজে মধ্যস্থতার পথে পা বাড়িয়েছেন। একমাত্র উমর খালিদ নামের যুবক দেশদ্রোহের অপরাধে কারাবন্দি। সময়ের বিচারে হয়ত তাঁকে বোকাই বলতে হবে। তাঁর কমরেডরা কার্যত মনমোহন ও ম্যাকডোনাল্ডসের সন্তান। উমর বোকা, এখনো তিনি স্বপ্ন দেখেন পৃথিবীটা নতুন করে সাজাবার।
এখন প্রশ্ন এই, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ঘিরে গড়ে ওঠে স্বপ্নের বলয়, সেখানে এত স্বপ্ন ভাঙ্গার শব্দ কেন? এখনো কি যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি, জেএনইউ বামপন্থার অজেয় দুর্গ বলে মনে হয়? মনে হলে তা ঠিক নয়। কারণ, ইতিহাস সাক্ষী। যত বিপ্লবপ্রবণতার জন্ম হয়েছে এইসব প্রতিষ্ঠানে, ততোধিক রাষ্ট্রীয় আমলা, কর্পোরেট চাকুরেও প্রসব করেছে এই প্রতিষ্ঠানগুলি। মূলনিবাসী মানুষের জলের অধিকার কাড়তে, বাঁধ বসাতে যে প্ল্যান বানাচ্ছে সেও এই প্রতিষ্ঠানগুলির ফসল, যে বিপক্ষে দাঁড়িয়ে লড়াই দিচ্ছে সেও। আজ ভুলে গেলে চলবে না যে ভারতের বিদেশমন্ত্রক, অর্থমন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই মন্ত্রীই কিন্তু জেএনইউয়েরই প্রাক্তনী। বাকি রইলো মিডিয়ার আলোর বলয়। তা কখনোই দেখাবে না সিপিএমের ছাত্রযুবদের ইনসাফ যাত্রা, সিপিআইএমএল লিবারেশনের ছাত্রছাত্রীদের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মচারীদের দাবিদাওয়ার সংহতিতে আন্দোলন বা একাধিক বামপন্থী গোষ্ঠীর কলকাতার গিগ শ্রমিকদের জন্য লড়াইয়ের কথা। সে চাইবে তার্কিক, স্মার্ট চেহারা। তার শীতাতপনিয়ন্ত্রিত অফিসে ক্যামেরার সামনে মালিন্যের কোনো স্থান নেই।
আরো পড়ুন সংবাদমাধ্যমের মিথ্যা পুলিসের মিথ্যাচারকেও ছাপিয়ে যায়
তাহলে কি আমরা কি মৃতপ্রায় প্রতিষ্ঠানগুলিকে বাঁচানোর চেষ্টা করব না? অবশ্যই করব। ন্যূনতম অর্থের বিনিময়ে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে আসার সুযোগকে, আমাদের শিক্ষার অধিকারকে রক্ষা করার দীর্ঘ লড়াই লড়তে হবে। একই সঙ্গে এও মনে রাখতে হবে, আমাদের ‘শিক্ষার্থী’ নির্মাণের প্রক্রিয়াটি ইউরোপিয় ধর্মরাজ্য থেকে ধার করে আনা। দার্শনিক জন লক ১৬০০ খ্রিস্টাব্দের একেবারে শেষে যুক্তি দিয়েছিলেন যে ছাত্রদের স্বাভাবিক প্রবণতাগুলিকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা দরকার, যাতে তাদের আবেগকে ‘পুণ্যের দিকে’ পরিচালিত করা যায়। বিভিন্ন অভ্যাসের অনুশীলনের মাধ্যমে তাদের আবেগকে এমনভাবে রূপ দিতে হবে, যাতে ছাত্রদের কাছে প্রবর্তিত ধারণাগুলি তাদের সমাজে উৎপাদনশীল হতে সাহায্য করে। লক অনুমান করেছিলেন, শিক্ষার্থীদের মন আসলে ফাঁকা স্লেটের মত, তিনি বিশ্বাস করতেন যে যখন এটি অন্যদের সঙ্গে মিথষ্ক্রিয়ায় আসে, তখন শিক্ষকদের তাদের সন্তুষ্ট না করা শিখতে হবে। সেই থেকে শিক্ষার্থীদের সহজাত প্রবৃত্তিগুলিকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করার ‘বিজ্ঞানসম্মত’ প্রক্রিয়ার বার্তা রটে গেল ক্রমে। তাই প্রোটেস্ট্যান্ট দার্শনিক লক এবং ক্যাথলিক ধর্মযাজক রোলিন সম্মত হন যে শিক্ষার একটি প্রাথমিক লক্ষ্য হল আত্মস্বার্থের উপর জয়লাভ করা। মনের দ্বারা শরীরকে নিয়ন্ত্রণের করার জন্য পরিপূরক শিক্ষা লক তৈরি করতে চেয়েছিলেন। রোলিন ছাত্রদের বিলাসিতার সাধনা থেকে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন। যদিও পরবর্তীকালে আরেক শিক্ষাবিদ, মার্কিনি ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদের অন্যতম জনক র্যালফ এমার্সন, বিশ্বাস করতেন যে প্রকৃত শিক্ষা একজনকে সমাজের সঙ্গে একীভূত হতে বা নিজের পথ আবিষ্কার করতে শেখায়। জনতার ভিড় বা তার অগ্রগামী সেপাই ক্যারিশম্যাটিক নেতাকে অনুসরণ করতে নয়। ছাত্রদের তিনি উপদেশ দিয়েছিলেন খোলাবাজারে নিজের আত্মাকে না বেচতে, সেই ‘অশ্লীল’ সমৃদ্ধির সর্বদা বিরোধিতা করতে, যা বর্বরতার পথে যায়।
মনে রাখতে হবে, এদেশের জেএনইউ জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে মকরন্দ পরাঞ্জপেদের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। আজকের বামপন্থী ছাত্রছাত্রীরা মার্কুসের লেখা পড়ছে কিনা তা নিয়ে কোনো সমীক্ষার ফল আমার কাছে নেই। কিন্তু এটুকু জানি যে সংযোগবিদ্যা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিন্তক জুর্গেন হাবেরমাস নিজের আমলাতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী মনকে আর লুকোতে না পেরে প্রসব করেছিলেন একটি হযবরল ধারণা। ১৯৬৮ সালের ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন, এসব নাকি ‘লেফট-উইং ফ্যাসিজম’। এইসব বিদ্যায়তনিক ‘ফ্যাসিস্ট’ শঙ্করাচার্যদের হারাতে আমাদের হতে হবে অনুশীলনে রামানুজ অথবা মাধবের সমান। তারা যতবার বলবে জগৎ কেবলই মায়া, কেবলই এক বিবর্ত, আমরা বলব এক নয়, আছে বহু। অদ্বৈত শুষ্ক, দ্বৈততায় আছে প্রাণরস। আমাদের মনে রাখতে হবে ঋত্বিককুমার ঘটকের সেই সংলাপ “আমাদের এই ভারতবর্ষ, এই ভারতবর্ষের ইতিহাস কত হাজার বছরে কত উজ্জ্বল দার্শনিক চিন্তা এদেশে জন্মগ্রহণ করেছে। কাজেই সবচেয়ে বড় ফিচেল বদমাইশদের হাতে এদেশ প্রচুর হাতিয়ার তুলে দিয়েছে। এগুলো বদমাইশির অস্তর। কিন্তু, সেগুলোকে বুঝে জাপটে ধরে উপড়ে ফেলতে হবে। ওরা নেই বললেই চলে যাবে না।”
মতামত ব্যক্তিগত
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।