অর্পিতা সেনগুপ্ত
সাম্প্রতিক কর্মচারী আন্দোলন সাধারণ মানুষের মধ্যে অভূতপূর্ব সাড়া ফেলেছে। কর্মচারী আন্দোলন নিয়ে জনগণের এতটা আগ্রহ অতীতে দেখা যায়নি। এমন নয় যে ইতিপূর্বে এ রাজ্যে কর্মচারী আন্দোলন হয়নি। বরং তথ্য বলছে এর চেয়েও বড় বড় কর্মচারী আন্দোলনের সাক্ষী পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু এবারের আন্দোলন প্রধানত সংবাদমাধ্যমের প্রচারের সুবাদে জনমানসে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে সরকার এবং সরকারি দল তাদের আপাত উদাসীনতা ভঙ্গ করে আন্দোলনের বিরোধিতায় ময়দানে নামতে বাধ্য হয়েছে।
বর্তমান কর্মচারী আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনা করার আগে অতি সংক্ষেপে এ রাজ্যের কর্মচারী আন্দোলনের প্রেক্ষাপট জানানো দরকার। ১৯৫৬ সালে মূলত বামপন্থী কর্মীদের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের সমন্বয়ে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠিত হয়। তারপর থেকেই রাজ্যের কর্মচারী আন্দোলন জোরদার হয়। কো-অর্ডিনেশন কমিটি তখন বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। ফলে সেই সংগঠনে অংশ নিয়েছিল দলমত নির্বিশেষে প্রায় সমস্ত কর্মচারী। সেই সময় কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতৃত্বে আন্দোলনের মাধ্যমে কর্মচারীদের এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ দাবি অর্জিত হয়েছিল যা সারা ভারতের ক্ষেত্রে ছিল উজ্জ্বল দৃষ্টান্তস্বরূপ। পরবর্তীকালে দুটি ঘটনা রাজ্যের কর্মচারী আন্দোলনকে বিপথগামী করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রাখে। এক, কো-অর্ডিনেশন কমিটি ভেঙে কংগ্রেসের নেতৃত্বে পার্টিভিত্তিক সংগঠন ফেডারেশনের জন্ম। দুই, কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতৃত্বকারী একাংশের সংগঠনটিকে দখল করে সংকীর্ণ দলীয় রাজনীতির স্বার্থে তাকে পরিচালনা। আরও পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের অনুগামী কর্মচারী সংগঠন তৈরীর মাধ্যমে কর্মচারী সমাজকে দলীয় রাজনীতির ভিত্তিতে বিভাজিত করে। এমনকি যখন বামফ্রন্টে সামিল সিপিআই, ফরোয়ার্ড ব্লক, আরএসপির মতো দলগুলো সরকার চালানোয় এক হাঁড়ি, তখনো তাদের অনুসারী শ্রমিক-কর্মচারী-শিক্ষকরা পৃথগন্ন। বলা বাহুল্য, এভাবে শ্রমিক-কর্মচারীদের শ্রেণি ঐক্য ভাঙার অন্যতম কারণ ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী লড়াইয়ে তাদের ব্যবহার করা। সে কারণেই ১৯৬৭ সালে এ রাজ্যে যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠিত হওয়ার পরে কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে স্লোগান দেওয়া হয়, যুক্তফ্রন্ট সরকার সংগ্রামের হাতিয়ার। যদিও এর বিরুদ্ধে সংগঠনের অভ্যন্তরেই চূড়ান্ত মতবিরোধ ছিল।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার পর পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হয়ে ওঠে। সরকারের বৃহত্তম দলের অনুগামী হয়ে সংগঠনটি কার্যত সরকারের উপাঙ্গে পরিণত হয়। সংগঠনের অভ্যন্তরে সমস্ত বিরোধিতাকে কঠোরভাবে দমন করে সরকার তথা নিয়োগকর্তার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে। মতাদর্শগত আক্রমণ অব্যাহত রাখার মাধ্যমে সংগ্রামী চেতনাকে পরাস্ত করে শ্রেণি সমঝোতার লাইনকেই জয়যুক্ত করা হয়। আমরা জানি, শারীরিক আক্রমণের চেয়ে মতাদর্শগত আক্রমণের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। তাই, ‘বন্ধু সরকার’ তত্ত্বের মাধ্যমে লড়াই সংগ্রামকে কবরে পাঠিয়ে দেওয়ার যে প্রক্রিয়া বামফ্রন্ট আমলে চলেছিল, সেটাই বর্তমানে এ রাজ্যের কর্মচারী আন্দোলনের দুরবস্থার প্রধান কারণ।
এর প্রতিক্রিয়ায় আটের দশক থেকে কর্মচারী আন্দোলনে তৃতীয় ধারার একাধিক সংগঠন গড়ে উঠতে শুরু করে। বিশেষত ২০০৬ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রাজ্যের কর্মচারীরা নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও যৌথ আন্দোলন গড়ে তোলেন। মহাকরণ সংগ্রাম কমিটি এবং যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের নেতৃত্বে কর্মচারীরা কর্মবিরতি থেকে ধর্মঘট পর্যন্ত সফলভাবে পালন করেন, ফলে তদানীন্তন বামফ্রন্ট সরকার নজিরবিহীনভাবে ছয় মাসের মধ্যেই বেতন কমিশনের সুপারিশ প্রকাশ করে তা কার্যকর করতে বাধ্য হয়। সরকার পরিবর্তনের পরে আবার কর্মচারীদের মধ্যে আগেকার অবস্থাই ফিরে আসে। পূর্বতন সরকার বান্ধবদের অধিকাংশ নতুন সরকারের বন্ধুতে পরিণত হয়।
কিন্তু বিগত এক দশক যাবৎ তৃণমূল সরকারের ডিএ বঞ্চনা নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছনোয় কর্মচারী সমাজে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সেইসঙ্গে হিমালয়প্রমাণ নিয়োগ দুর্নীতি ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। এই পর্বে কর্মচারীদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের চাহিদা গড়ে ওঠায় যৌথ আন্দোলন সহজেই কর্মচারী সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
বর্তমান আন্দোলনের দুই প্রধান অংশীদার হল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এবং যৌথ মঞ্চ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ গত বছর গড়ে উঠেছে প্রধানত রাজনৈতিক দলগুলোর সংশ্রবহীন বিভিন্ন শিক্ষক ও কর্মচারী সংগঠনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে, প্রাথমিকভাবে দুটো দাবিকে কেন্দ্র করে। এক, আদালতের রায়কে স্বীকৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় হারে AICPI অনুযায়ী ডিএ প্রদান। দুই, সরকারি দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমস্ত শূন্যপদে স্বচ্ছ ও স্থায়ী নিয়োগ। পরবর্তীকালে তৃতীয় দাবি হিসাবে অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করার দাবি যুক্ত হয়। যৌথ মঞ্চ প্রধানত কো-অর্ডিনেশন কমিটি সহ বামফ্রন্টের অনুসারী বিভিন্ন সংগঠনের জোট। তারা উপর্যুক্ত তিন দাবির পাশাপাশি রাজ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মত দাবিও যুক্ত করেছে। প্রথমে মঞ্চ দুটি আলাদা কর্মসূচি নিলেও একটি পর্বে এসে একসঙ্গে কর্মসূচি গ্রহণ করা শুরু করে। এর ফলশ্রুতিতে ১০ মার্চ সফল কর্মচারী ধর্মঘট করা সম্ভব হয়।
এ রাজ্যের কর্মচারীদের প্রাপ্য ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন নতুন নয়। কংগ্রেস আমল থেকে বামফ্রন্ট হয়ে তৃণমূল জমানা পর্যন্ত ডিএ বঞ্চনার ট্র্যাডিশন সমানে চলছে। তবে এই আমলে সেই বঞ্চনার পরিমাণ সীমাহীন। তাই ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন শিক্ষক-কর্মচারীদের যথেষ্ট আলোড়িত করেছে। ডিএ শুধু সরকারি কর্মচারীদেরই দাবি নয়, সংগঠিত ক্ষেত্রের অনেক শ্রমিক-কর্মচারীও ডিএ পেয়ে থাকেন। আবার সরকারি কর্মচারীদের যখন ডিএ বাড়ে, তখন এমনকি অসংগঠিত ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত দৈনিক মজুরির হারও বাড়ে। তাই সমাজের একটা বড় অংশের শ্রমজীবী মানুষের উপর ডিএ-র প্রভাব অস্বীকার করা যায় না। আজ যদি আদর্শ নিয়োগকর্তা হিসাবে সরকার ডিএ বঞ্চনার মাধ্যমে ব্যাপক মজুরি সঙ্কোচন করে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকরা তাদের শ্রমিক কর্মচারীদের উপরে বঞ্চনা কয়েক গুণ বৃদ্ধি করতে উৎসাহিত হবে। বিপরীতে সরকারি কর্মচারীরা আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের অনিচ্ছুক হাত থেকে হকের ডিএ আদায় করতে পারলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবি আদায়ের লড়াইও বেগবান হবে।
আন্দোলনের দ্বিতীয় দাবি সরকারি দপ্তরের এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত শূন্য পদে স্বচ্ছভাবে স্থায়ী নিয়োগ। রাজ্যের পাহাড়প্রমাণ নিয়োগ দুর্নীতির প্রেক্ষাপটে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবির যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করা বাহুল্য। শূন্য পদে স্থায়ী নিয়োগ প্রায় বন্ধ। এর মধ্যেও যেটুকু হচ্ছে, প্রায় সবটাই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। প্রশাসনের অনুমোদিত পদের দুই তৃতীয়াংশ বর্তমানে ফাঁকা পড়ে আছে। ভয়াবহ বেকার সমস্যার প্রেক্ষিতে লক্ষ লক্ষ পদে নিয়োগ না করে একদিকে যেমন রাজ্যের বেকারদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, তেমনি জনগণকে প্রাপ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। স্থায়ী নিয়োগের পরিবর্তে সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে অস্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হচ্ছে। ‘সিভিক’ শব্দটি আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর খুবই প্রিয়। সমগ্র প্রশাসনকেই তিনি সিভিক প্রশাসনে পরিণত করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এর বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ ক্রমবর্ধমান। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাবিগুলির সামাজিক গুরুত্ব কর্মচারীদের এই আন্দোলনকে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য করার অন্যতম কারণ।
পাশাপাশি এই পরিস্থিতির কিছু নেতিবাচক দিক যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য, শুরু থেকেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ঘোষিত অবস্থান ছিল কোনো রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় না থাকা, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখা। মঞ্চের সর্ববৃহৎ শিক্ষক সংগঠনটিও নিজেদের অরাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে পরিচয় দিতেই পছন্দ করে। কিন্তু আন্দোলনের একটি পর্যায় থেকে তাদের নেতৃত্বের উদ্যোগেই নানা অছিলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মঞ্চে এনে তাঁদের বক্তব্য পেশের সুযোগ দেওয়া এবং তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন সুযোগসুবিধা নেওয়া শুরু হয়। এই পারস্পরিক দেওয়া নেওয়ার ফলে শাসক দলের পক্ষ থেকে এই মঞ্চ এবং তার নেতৃত্বে পরিচালিত আন্দোলনকে যেমন রাজনৈতিকভাবে দাগিয়ে দেওয়া শুরু হল, তেমনি অতীতের মত কর্মচারী আন্দোলনকে কর্মচারীদের স্বার্থ বর্জন করে সরকার ভাঙা গড়ার খেলায় ব্যবহারের আশঙ্কাও তৈরি হল।
বিশেষত, শ্রমিক-কৃষকের স্বার্থবিরোধী হিসাবে চিহ্নিত কেন্দ্রীয় শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মাত্রাতিরিক্ত গা ঘেঁষাঘেঁষি, মঞ্চে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে প্রাসঙ্গিক সমালোচনা পর্যন্ত করতে না দেওয়ায় মঞ্চের অভ্যন্তরেই এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গুরুতর অভিযোগ উঠেছে মঞ্চ পরিচালনার ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির অভাবকে কেন্দ্র করে, যৌথ নেতৃত্বের পরিবর্তে কয়েকজন ব্যক্তিকে ক্রমাগত সামনে নিয়ে আসার প্রশ্নে। অধিকাংশ সংগঠন লাগাতার অনশনের বিরুদ্ধে থাকলেও তাদের মতামত উপেক্ষা করে লাগাতার অনশনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দিশাহীনভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, বিপুল অঙ্কের অর্থ খরচ করে দিল্লির কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তা এবং সাফল্য নিয়েও।
আরো পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী চোর ডাকাত বললেও বাড়ছে আন্দোলনের পরিধি
এইসব কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় চার মাস যাবৎ লাগাতার আন্দোলন পরিচালনা করেও সরকারের কাছ থেকে ন্যূনতম দাবি আদায় সম্ভব হয়নি। এ কারণেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনে এই মুহূর্তে ভাঁটার টান। কিন্তু এইসব ত্রুটির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হল, মঞ্চের কার্যকরী নেতৃত্বে উক্ত নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য/সমর্থকদের প্রাধান্য তথা তাদের দলীয় স্বার্থবাহী কার্যকলাপ, যা ঘোষিত অবস্থান অনুযায়ী মঞ্চ পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধা।
উল্লেখ্য, বামফ্রন্ট নিয়ন্ত্রিত যৌথ মঞ্চের থেকে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের মৌলিক অবস্থানগত তফাৎ হল, এই মঞ্চের কোনো রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত না হওয়া। এটাই এই মঞ্চের জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতার অন্যতম প্রধান কারণ। যদি সেই অবস্থান পাল্টে যায় তাহলে তা রাজ্যের কর্মচারী আন্দোলনের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হবে। এর পাশাপাশি রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে কর্মচারীদের উপর আন্দোলন-পরবর্তী প্রতিহিংসামূলক আক্রমণের ঘটনা। ঘরে বাইরে এই দুই সাঁড়াশি আক্রমণের মোকাবিলা করে কর্মচারীদের স্বার্থে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এখন সকলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এই পরিস্থিতিতে মঞ্চে সামিল বিভিন্ন সংগ্রামী শক্তি নিজেদের কতটা সংহত করে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে পারবে, তার উপরেই নির্ভর করছে রাজ্যের কর্মচারী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ।
নিবন্ধকার আন্দোলনকারী। মতামত ব্যক্তিগত
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।