দুর্নীতি বোধহয় পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে সবথেকে বড় রাজনৈতিক প্রশ্ন। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আর একটি কৌতূহলোদ্দীপক ব্যাপার। হাইকোর্টের এক বিচারপতির অধুনা সমাজসংস্কারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়াকে ঘিরে বাম মহলের আভ্যন্তরীণ কোন্দল। বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির সাম্প্রতিক ৩৬,০০০ (পরে রায় বদলে ৩২,০০০) প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি কেড়ে নেওয়ার পক্ষে বিপক্ষে শুরু হয়েছে তুমুল তর্ক বিতর্ক। এক পক্ষের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির ফলে যোগ্য লোকেরা শিক্ষকের চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং অযোগ্য লোকেরা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছে। সুতরাং বিচারপতি গাঙ্গুলির বিচার সঠিক। এঁদের অধিকাংশের কাছেই বিচারপতি গাঙ্গুলি সমাজসংস্কারকের স্তরে উন্নীত হয়েছেন। অন্য পক্ষের বক্তব্য, কোনো যুক্তিতেই চাকরি কাড়া অমানবিক কাজ। একসাথে ৩২,০০০ মানুষের চাকরি কেড়ে নেওয়া এক সামাজিক সঙ্কট সৃষ্টি করবে। তাই এই রায় পক্ষপাতদুষ্ট এবং অমানবিক।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে চিরকাল এই বৈশিষ্ট্য ছিল কিনা তা এক গবেষণার বিষয়, কিন্তু বর্তমানে এটা খুব স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, সব রাজনৈতিক বিতর্কই চলে পক্ষ বেছে নেওয়ার উপর নির্ভর করে। আগে একটা পক্ষ বেছে নাও এবং শত্রু বেছে নাও, তারপর যে কোনো বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়ো, যা বললে নিজপক্ষের স্বার্থ হাসিল হয় এবং শত্রুপক্ষ ঘায়েল হয় তা-ই বলতে থাকো। কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা তা চুলোয় যাক। নিজে তাই করো এবং অন্যকেও তাই করতে বাধ্য করো। এই হল বিতর্কের পদ্ধতি এবং চিন্তার পদ্ধতি। মার্কস বহুকাল আগে এই রোগটিকে চিহ্নিত করেছিলেন বুর্জোয়া চিন্তাপদ্ধতির বৈশিষ্ট্য বলে। অধুনা দেখা যাচ্ছে বাম, ডান, বুর্জোয়া কমিউনিস্ট – সকলেই এই একই পদ্ধতির নির্বিচার ব্যবহারের পক্ষে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক চিন্তা ও বিতর্ক যে এত অগভীর ও কুৎসিত হতে পেরেছে তার পিছনে রয়েছে এই বিকৃত পার্টিজান পদ্ধতি।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
বিচারপতি গাঙ্গুলি তাঁর ১৭ পাতার রায়ে একটা কথা বলেছেন, যে পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে এত বড় মাপের দুর্নীতি আগে কখনো দেখা যায়নি। কথাটা সম্পূর্ণ সত্য নয়, আংশিক সত্য। আর আমরা কমিউনিস্টরা যাকে ঐতিহাসিক বস্তুবাদ বলি, সেই দৃষ্টিভঙ্গীতে কথাটা একেবারেই ভুল। কেন? আগে সেই কথাটা সেরে নিই। দুর্নীতি হল পুঁজিবাদী অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি, সংস্কৃতি – এই সবকিছুর অনিবার্য উপাদান এবং অনিবার্য ফলাফল। যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাটাই দাঁড়িয়ে রয়েছে শ্রমিক তথা উৎপাদকের শ্রমফল আত্মসাতের উপর, তাতে এটাই স্বাভাবিক। গোটা ব্যবস্থাটাই দুর্নীতিগ্রস্ত, সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত। দুর্নীতি ছাড়া পুঁজিবাদ চলতে পারে না, পুঁজিবাদী চলতে পারে না, পুঁজিবাদী রাজনৈতিক দলও চলতে পারে না। এটা প্রথমেই বুঝে নেওয়া দরকার। এই প্রশ্নে যাঁর বিভ্রান্তি আছে, তিনি দুর্নীতির প্রশ্নে কোনোদিন কোনো সঠিক রাজনৈতিক অবস্থান নিতে পারবেন না।

সুতরাং একা মমতা বা তৃণমূল নয়, এই পুঁজিবাদী ব্যবস্থার সাথে জড়িয়ে রয়েছে যে মূলধারার পার্টিগুলো, তারা সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত। বিজেপির দুর্নীতির ধারেকাছে কি আসতে পারবে তৃণমূল কংগ্রেস? কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সম্প্রতি বলেছেন, বিজেপি ২০২১ সালে গাড়ি ভর্তি টাকা নিয়ে বাংলায় গিয়েছিল। এই টাকার উৎস কী? আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী কর্পোরেটের কাছ থেকে প্রকাশ্যে, কিন্তু কোনো তথ্য না দিয়ে পিএম কেয়ার্স ফান্ডের নামে টাকা নিচ্ছেন। এমন ঘটনা কি আগে ঘটেছে? বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোর অবস্থা তো আরও ভয়ানক। মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম কেলেঙ্কারি এবং ব্যাপম হত্যাকাণ্ড তো কুখ্যাত ঘটনা। পশ্চিমবঙ্গে তো এখনো দুর্নীতির সাক্ষী এবং হুইসল ব্লোয়ারদের পাইকারি হারে রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেনি। মধ্যপ্রদেশে বিজেপি সেটা করে দেখিয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের দুর্নীতি তো পাহাড়প্রমাণ। গত বাহাত্তর বছরে তার কত শত অভিযোগ রয়েছে, তা কি আমরা ভুলে গিয়েছি? আঞ্চলিক দলগুলোর সরকার যে যে রাজ্যে ছিল এবং আছে তাদেরও ভয়াবহ অবস্থা। সেখানে নির্লজ্জতার চরম সীমা প্রতিদিনই ভাঙার রেকর্ড গড়া হয়। আমাদের মনে আছে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি নিয়ে যখন মিডিয়া উত্তাল, তখন লালুপ্রসাদ যাদব এক সাংবাদিককে যা বলেছিলেন তার সারমর্ম হল, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি নিয়ে যখন পশুরা কিছু বলছে না, তখন তোমরা এত পিছনে লাগছ কেন? হাস্যরসের আড়ালে লুকিয়ে থাকা এই মন্তব্যের নির্লজ্জতা সেদিন কারোর দৃষ্টি এড়ায়নি।
এসবের থেকে পশ্চিমবঙ্গ আলাদা হবে কীভাবে এবং কোন মন্ত্রবলে? আজকাল লোকে কংগ্রেস আমলের কথা অনেকটাই ভুলে গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কালোবাজারি, পরীক্ষার হলে গণটোকাটুকি – এসব কি সরকারি মদত ছাড়া চলেছিল, নাকি চলতে পারত? সরকার নিষ্ক্রিয় আর সরকারি পার্টির নেতাদের নিয়মিত কাটমানি প্রদানের ওপর ভর করেই তো চলতে পেরেছিল কালোবাজারি। আমরা কি ভুলে গেছি? নইলে কালোবাজারি রুখতে জনগণ কেনই বা নিজের হাতে আইন তুলে নেবে? চালু হবে গণপিটুনি, যা নাম হয়ে গিয়েছিল দমদম দাওয়াই? তারপরের ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনেও দুর্নীতি কম ছিল না। তবে সিপিএম তথা বামপন্থী দলগুলোর একটা বৈশিষ্ট্য ছিল। তাঁদের একটা কমিউনিস্ট অতীত ও ঐতিহ্য ছিল, যার ফলে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে লালবাড়ি পর্যন্ত গোটা সরকারি মহলের দুর্নীতিতে একটা নজরদারি ব্যবস্থা সর্বদা কাজ করে যেত। এই পার্টিগুলোর সর্বোচ্চ নেতারা রাজনীতিতে এসেছিলেন ব্যক্তিগত আখের গোছাতে নয়। মত পথ নিয়ে হাজারো বিতর্ক থাকতে পারে, কিন্তু এই সত্য অনস্বীকার্য। তাই বামফ্রন্টের সময়ে লাগামছাড়া দুর্নীতি দেখা যায়নি। কিন্তু নিচুতলায় দুর্নীতি কিছু কম ছিল না।
আরো পড়ুন বস্তাবন্দি টাকা আর নষ্ট যৌবন: আন্দোলনকারীর বয়ান
সেটা আজকের মত বড় ছিল কি? নিশ্চয়ই নয়। তার অন্যতম কারণ এই, যে সময়টা ছিল আলাদা। দুর্নীতি যদি পুঁজিবাদের যমজ ভাই (বা বোন) হয় তাহলে এটা মানতে হবে, যে পুঁজি যত বিকশিত হতে থাকে (বিশেষ করে আমাদের মত গণতন্ত্রের আধাখ্যাঁচড়া বিকাশের দেশে), যত উৎপাদিকা শক্তি বেড়ে ওঠে, যত শ্রমশোষণের হার বৃদ্ধি পায়, যত মুনাফা আকাশছোঁয়া হয়, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ব্যবসাবাণিজ্য বৃদ্ধি পায়, ততই দুর্নীতিও পাল্লা দিয়ে বিরাট আকার ধারণ করতে থাকে। সাদা টাকার অর্থনীতি যত বড় হয়, ততই তার যমজ কালো টাকার দুর্নীতিও একইরকম বড় হয়ে ওঠে। সুতরাং ঐতিহাসিক বিচারে অতীতের দুর্নীতি সেইসময়ের অনুপাতে বড় ছিল, আজকের দুর্নীতি আজকের সময় অনুযায়ী বড়। এই সোজা কথাটা সোজাভাবে বুঝে রাখা উচিত। গোটা ব্যবস্থাটা একই রেখে শুধু সরকারটাকে পালটে এই দুর্নীতির মোকাবিলা করা যাবে – এমন যাঁরা মনে করছেন তাঁরা পুঁজিবাদের গত ৩০০ বছরের ইতিহাস থেকে কতটা শিখেছেন তা নিয়ে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ থাকছে।
যাঁরা বলছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির ফলে যোগ্য লোকেরা বঞ্চিত হয়েছেন, অযোগ্য লোকেরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের ‘যোগ্য’ এবং ‘অযোগ্য’ মাপকাঠির সঙ্গে আমি একমত নই। তাঁদের মানদন্ড অনুযায়ী বহু ‘যোগ্য’ লোক আমরা দেখেছি যাদের শিক্ষক হবার সামান্য যোগ্যতাও নেই। লক্ষ লক্ষ এমন ‘যোগ্য’ উচ্চ ডিগ্রিধারী লোক আমরা দেখেছি যাদের নিজেদেরই কোনো শিক্ষা নেই। তারা যেনতেনপ্রকারেণ পয়সা কামানোর একটা হাতিয়ার ছাড়া শিক্ষাকে অন্য কোনো দৃষ্টিতে কখনো দেখেননি। এমন লোক যত কম শিক্ষাদান করে সমাজের পক্ষে ততই মঙ্গল। সুতরাং, এই যোগ্য-অযোগ্য যুক্তি প্রতিষ্ঠানের যুক্তি। মিথ্যার যুক্তি।
কিন্তু এর মানে কি এই যে, পার্টির নেতাদের টাকা খাইয়ে যে কেউ চাকরি বাগিয়ে নেবে আর তার বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না? যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁরা যে যোগ্য তার প্রমাণই বা কী? তাঁদের অন্যায় তো পর্বতপ্রমাণ। প্রথম কথা, তারা একটা চুক্তি ভেঙেছেন। চাকরির পরীক্ষায় প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন চাকরি পাওয়ার বর্তমান পদ্ধতিকে স্বীকার করে। এরপর সেই পদ্ধতিতেই যখন পিছিয়ে পড়লেন, তখন নেতাদের ঘুষ খাওয়ালেন। নেতারাও ঘুষ খেয়ে চাকরি দেওয়ার একটা সমান্তরাল পদ্ধতি বানিয়ে রেখেছেন এঁদের আকর্ষণ করতে। এভাবে বর্তমান পদ্ধতি মেনে, স্বীকার করে যাঁরা পরীক্ষা দিলেন তাঁদের মধ্যে একদল পিছনের সারির লোক, যাঁদের অনেকেই আবার নেতা-মন্ত্রীদের আত্মীয় অথবা দলের লোক, তাঁরা টাকা খাইয়ে সরকারি চাকরি পেয়ে গেলেন। এভাবে বর্তমান পদ্ধতিতে সামনের সারিতে যাঁরা ছিলেন তাঁদের বঞ্চিত করলেন। এটা এঁদের দ্বিতীয় অপরাধ।
এখানে কে প্রকৃত যোগ্য আর কে অযোগ্য সে বিচার হচ্ছে না। যে পদ্ধতিটা তুমি মেনে নিয়েছ সেটাই তুমি টাকার জোরে তছনছ করে দিচ্ছ। এখন বলছ তোমার গায়ে নাকি হাত দেওয়া যাবে না! এখন যখন তাদের সেই চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠল, আদালতে একটা রায় বেরোল, তখন কোনো কোনো বামপন্থী আবার বলতে শুরু করেছে, বিরাট সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি হয়ে যাবে। আশ্চর্য! আরে বাবা, ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা, পাওয়া এবং পাইয়ে দেওয়ার একটা সুসংগঠিত পদ্ধতির নির্মাণ নিজেই তো একটা সামাজিক সংকট। এর গায়ে হাত দেওয়া যাবে না? একমাত্র বুদ্ধিসুদ্ধি সব গুলিয়ে গেলেই এমন যুক্তি দেওয়া যেতে পারে।
বিচারপতি গাঙ্গুলি বর্তমান সমাজব্যবস্থায় একজন বিচারকমাত্র। তাঁর কাজ বর্তমান পদ্ধতিকে রক্ষা করা। তিনি সে কাজই করছেন। তিনি চালু ব্যবস্থাটার একজন রক্ষক, তার সংস্কারক নন, বিপ্লবীও নন। যে বামপন্থীরা তাঁকে জনতার সুখদুঃখের মসীহা ভেবে নিয়েছেন তাঁদের ভাবনাচিন্তাও সমান গোলানো। মার্কসবাদীরা সমস্ত পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির কাজের অধিকারকে স্বীকার করে, প্রত্যেকের মর্যাদা সহকারে বেঁচে থাকার অধিকারকে স্বীকার করে। তার জন্যে লড়াই করে। কিন্তু এই অধিকার, এই নয়া বাস্তবতা লড়াইয়ের দ্বারা অর্জিত বিষয়, টিক্রমবাজির বিষয় নয়। নৈরাজ্যের বিষয় নয়। দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যক্তিগত বোঝাবুঝির বিষয় তো নয়ই। সমাজজুড়ে যখন এসব চলতে থাকে তখন গোটা ব্যবস্থাটাই একটা সামাজিক সঙ্কটে পরিণত হয়। এর বিরুদ্ধে সার্বিক লড়াইয়ের কথা বলাই মার্কসবাদীদের কাজ। সেই লক্ষ্যে লড়াই গড়ে তোলাই মার্কসবাদী তথা বামপন্থীদের কাজ। জনপ্রিয় রাজনীতির চোরাবালিতে ক্রমশ তলিয়ে যাওয়া বামপন্থীদের মধ্যে থেকে এসব প্রাথমিক বোধ বোধহয় একেবারেই হারিয়ে গেছে।
মতামত ব্যক্তিগত
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।
কমিউনিজমে কোনো corruption নেই?? Corruption কেবল capitalism র সঙ্গেই যুক্ত??? This type of explanation you can only get from non-sense ideologue…who never does ” বস্তুনিষ্ঠ” আলোচনা। তারা কেবল জানে marxist metaphysics. Karl Popper র বৈজ্ঞানিক তত্বের মূল কথাই হলো if any scientific theory claim to prove everything then that is not ” scientific” at all. By following this maxim, শঙ্করবাবুর কমিউনিজমের সর্বরোগহর তত্ত্ব খারিজ করছি।
From where Sankar babu did get ” বস্তুনিষ্ঠ” proof that communism is not susceptible to corruption. শঙ্করবাবু বলতে চাইছেন ” dicatorship of proletariet” এ কোনো corruption নেই। নাকি সেই corruption গুলো আদপে আলাদা জাতের corruption ??!! শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থে corruption বলে justify করা যাবে???
This type of extremely paranoid explanation can come from ideologue..who neither does love empirical support nor rational justification for their ” all-cure communist” hypotheses.??
কে আপনাকে বলেছে যে , শ্রমজীবী মানুষের উৎপাদন আত্মসাৎ করে capitalism. This theory may be the case when Karl Marx wrote and lived. But recent developement of Artifical Intelligence has demonstrated that there is no need for labour anymore…
This obsessive love for Marxist Metaphysics and hegelian dialectical and branding any deviation as ” revisionism” …is making Indian Left loosing its ground.
Please Communist Brothers and Sisters, stop this ideological loyalty. Developement Economist has demonstrated that it’s possible to met “Basic survival and thriving” need of all ( like food,education, health and house or ” capability ” in Amartya sen’s theory) with macro-capitalist system. But for that to realise Left political movements need to be built to create strong Welfare state within Constitutionalist Paradigm.
But indian communist brothers and sisters are so loyal to Marxist metaphysics and Lelinist praxis….they made ” communist” theories end -in-themselves… And any deviation from their Hegelian dialectics is termed as ” Revisionism”… Utterly misplaced moral-idealism with materialst metaphysics….Utter confusion of means and ends..
Within Constitutionalist framework… corruption can be managed to negligible level. But for that need leftist-progressive movement for building welfare state and strong institution and strong opposition parties..
Who gurantees that Marxist metaphysics can be salvo on every sort of wrong things in society…
Foe every problem শঙ্করবাবু communism র ভজনা করেন…এই রকম আত্মসমালোচনাবিমূখ faith in communism prove that communism is basically secular religion..সর্বরোগহর….
বামপন্থীরা আন্দোলন করুন universal qualitative education and Health system র জন্য। this type of DA and Teachers recruitment movements are utterly misplaced and miss wood for the trees
একই বিষয় নিয়ে ঘনঘন একগাদা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।এইটা স্প্যামিং এর পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।