ধরুন সত্যজিৎ রায়ের ‘বঙ্কুবাবুর বন্ধু’ গল্পের মত একটা ইউ এফ ও-তে চেপে মানুষের চেয়েও উন্নত কিছু জীব পশ্চিমবঙ্গের কোনো গ্রামে বাঁশবনের মধ্যে এখনো প্রোমোটারদের চোখে না পড়া একটা ডোবার উপর এসে নামল। ধরা যাক তাদের গ্রহে গণতন্ত্র চালু আছে, তারা জানতে আগ্রহী এখানে কী ধরনের শাসনব্যবস্থা চলছে। মানুষের চেয়েও বেশি বুদ্ধিমান এই জীবগুলোর জেনে নিতে বেশি সময় লাগবে না যে এখানেও গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাই চালু আছে। আশা করা যায় সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলও তারা কিছুক্ষণের মধ্যেই জেনে ফেলবে। তারপর পশ্চিমবঙ্গ পরিক্রমায় বেরোলেই কিন্তু আক্কেল গুড়ুম হবে। কারণ তাদের গ্রহ ব্রহ্মাণ্ডের যে চুলোতেই থাক না কেন, গণতন্ত্র আছে মানেই সেখানে বিরোধী দল আছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গের তত্ত্ব তালাশ করলে বেচারি অ্যাংরা বিরোধী দল খুঁজেই পাবে না। তখন তাদের ধারণা হতে পারে, নির্বাচন কমিশন বুঝি বিধানসভা নির্বাচনের ভুল ফলাফল বার করেছে।
সেরকম ভাবলে অ্যাংদের দোষ দেওয়া যাবে না। নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দলের নাম ভারতীয় জনতা পার্টি। অথচ নির্বাচনের পরে এক বছর হতে চলল, তাদের কোনো ইস্যুতে কোনো আন্দোলন করতে দেখা যায় না। ভোটের সময়ে প্রচারের অঙ্গ হিসাবে বিভিন্ন মন্দিরে যাওয়া এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা ছাড়া বিজেপির অস্তিত্ব বিশেষ টের পাওয়া যায় না। প্রথম দিকে শুভেন্দু অধিকারীকে কিছু মুসলমান বিদ্বেষী মন্তব্য করতে দেখা যেত, ইদানীং বোধহয় কাজ হচ্ছে না বুঝে রণে ভঙ্গ দিয়েছেন। সোশাল মিডিয়ায় তথাগত রায় অনবরত অকথা কুকথা বলে মহান বিরোধিতার দায়িত্ব পালন করছেন বলে ভাবছেন। যখন দিলীপ ঘোষ রাজ্য বিজেপির মাথায় ছিলেন, তখন নিয়মিত ব্যবধানে অবৈজ্ঞানিক অথবা অশালীন মন্তব্য করে অন্তত বিজেপিকে খবরের শিরোনামে রাখতেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত সুকান্ত মজুমদার তা-ও করে উঠতে পারছেন না। রাজ্যপাল আর মুখ্যমন্ত্রীর খুনসুটিতে জগদীপ ধনখড়ের পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দেওয়া ছাড়া বিজেপির কোনো বিরোধীসুলভ কার্যকলাপ মনে করতে গেলে সোনার কেল্লা-র মুকুলের মত জাতিস্মর হতে হবে।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
তবে কোনোদিনই সাধারণ মানুষের কোনো ইস্যু নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি দারুণ লড়াই করেছে — এমন অভিযোগ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও করবেন না। তাছাড়া নির্বাচনের আগে বিজেপিকে যে বেশ লড়াকু দল বলে মনে হচ্ছিল, তার বড় কারণ সারা রাজ্যের তৃণমূল নেতারা দলে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না বলে বিজেপিতে ভিড় জমিয়েছিলেন। ফল বেরোবার পর তাঁরা প্রায় সকলেই বুঝতে পেরেছেন যে দলে থেকেও কাজ করা যায়। তাই দলে, অর্থাৎ তৃণমূলে, ফিরে গেছেন। টিভির চ্যানেল বদলালেই আঁচ পাওয়া যায় আরও কে কে যাবেন বলে পা বাড়িয়ে আছেন। যে নেতা, কর্মীরা কখনো তৃণমূলে ছিলেন না তাঁদের অনেকেরও বিজেপিতে থেকে নিশ্চয়ই অনুপ্রেরণার অভাব হচ্ছে। ফলে আগামীদিনে তাঁরাও শাসক দলে যোগ দিতেই পারেন। তাছাড়া সবসময় যোগ দিতেই বা হবে কেন? মুকুল রায় তো দেখিয়েই দিয়েছেন, বিরোধী হয়েও শাসক হওয়া যায়।
বিজেপির বিরোধিতা যে এরকমই হবে তাতে অবশ্য আশ্চর্যের কিছু নেই। বিজেপি এক অর্থে অত্যন্ত সৎ একটি দল। তারা কখনোই ভান করে না, যে চাকরি-বাকরি, শিক্ষা দীক্ষা, কৃষি-শিল্প — এসবের দুরবস্থা নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ আছে। তারা যেখানে ক্ষমতায় সেখানেও মন্দির-মসজিদ, চীন-পাকিস্তান, ঈদ-হোলি, বাংলাদেশি হিন্দু-কাশ্মীরি পণ্ডিত ইত্যাদি বড় বড় ব্যাপার নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আর যেখানে তারা বিরোধী সেখানে তো কথাই নেই। ফলে বিজেপিকে যাঁরা ভোট দিয়েছিলেন তাঁরা নিশ্চয়ই আশা করেননি পশ্চিমবঙ্গের কর্মসংস্থানের সমস্যা বা করোনা কমে গেল অথচ স্কুল খুলছে না কেন — তা নিয়ে বিজেপি আন্দোলন করবে। তা বলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো আন্দোলন হবে না? রাজ্যে কি আর কোনো দল নেই?
একজন বিধায়কের দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট আছে। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার সময়ে আব্বাস সিদ্দিকি উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন, পরে বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তাছাড়া ২০২১ সালের মে মাসের পর থেকে ওই দলটি মনে রাখার মত কী করেছে, সে উত্তর কোনো জাতিস্মরও দিতে পারবে কিনা সন্দেহ। এমনিতেও পশ্চিমবঙ্গের মাত্র কয়েকটা অঞ্চলে সীমিত শক্তির একটা দলের কাছ থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না। একই কারণে আশা করা উচিত নয় এস ইউ সি আই বা লিবারেশনের মত দল তৃণমূলের কপালে ভাঁজ ফেলে দেওয়ার মত আন্দোলন করবে। কিন্তু কোথায় গেল জাতীয় দল ভারতের জাতীয় কংগ্রেস? আর এক দশক আগেও পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকারের নেতৃত্বে থাকা সিপিএম? সাংগঠনিক শক্তির দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের অবস্থা যে আইএসএফের চেয়ে বহুগুণ ভাল, তা অবশ্য নয়। তাদের প্রভাবও কয়েকটা অঞ্চলে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। কিন্তু বিপুল শক্তিক্ষয়ের পরেও এখনো রাজ্যের বহু অঞ্চলেই সিপিএমের মোটামুটি সংগঠন রয়েছে (বামফ্রন্ট, তুমি আজিও আছ কি?)। কিন্তু আন্দোলন কোথায়?
সিপিএম কর্মী, সমর্থকদের এই প্রশ্ন করলে প্রায়শই যে উত্তরটা পাওয়া যায় সেটা বলিউডি ছবির ত্রিকোণ প্রেমে ছিটকে যাওয়া নায়ক-নায়িকাদের মুখে ভাল মানায়। “তুঝে ইয়াদ না মেরি আঈ, কিসি সে অব কেয়া কহনা?” মানে “ভোট দেওয়ার সময়ে তো আমাদের দেখলেন না, এখন কেন?” এঁরা বোধহয় মনে করেন, অভিমানও রাজনৈতিক হাতিয়ার হতে পারে। সত্যিই পারে কিনা সেটা আগামীদিনে বোঝা যাবে, তবে গত দশ বছরের অভিজ্ঞতা বলছে এ অত্যন্ত দুর্বল হাতিয়ার। কাউকেই ঘায়েল করতে পারছে না। প্রত্যাখ্যাত কাজলপ্রতিম সিপিএমের অভিমানকে শাহরুখপ্রতিম ভোটার মোটেই পাত্তা দিচ্ছেন না। এই অভিমান জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের সদস্য, সমর্থকদের মধ্যেও দেখা যায়। তাঁরা কিছুতেই মানতে চান না, বিজেপি যতই খারাপ হোক, ভোট পাওয়া কংগ্রেসের জন্মগত অধিকার নয়। ভোট পাওয়ার জন্য নিজেদের উদ্যোগ থাকতে হয়। বিশেষত স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন করতে হয়। শীর্ষ নেতৃত্ব বড় বড় ইস্যুতে জ্বালাময়ী বিবৃতি দেবেন, চমৎকার টুইট করবেন, ফেসবুক লাইভ করবেন আর মধ্যে মধ্যে স্পেন কি ইতালি চলে যাবেন ছুটি কাটাতে — এভাবে মানুষের সমর্থন পাওয়া যায় না। বিদেশে ছুটি কাটাতে যাওয়া বাদ দিলে কংগ্রেসের বাকি কার্যপদ্ধতির সাথে এ রাজ্যের সিপিএমের বিশেষ তফাত নেই।
পশ্চিমবঙ্গ সিপিএম আন্দোলনে নেই, একথা এতদিন শুধু সমালোচকরা বলতেন। এবার সিপিএমের পলিট ব্যুরোর সদস্য হান্নান মোল্লা বলেছেন। খবরে প্রকাশ, দলের হাওড়া জেলা সম্মেলনে তিনি রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের সামনেই বলেছেন “রাজ্যে দল এখন কর্মসূচির ভিত্তিতে চলছে। কোনো আন্দোলনে নেই।” আরও বলেছেন “আন্দোলনের মধ্যে না থাকলে মানুষ দলকে বিশ্বাস করবে না।”
আন্দোলনে না থাকার অভিযোগ যে কত বড় সত্যি, তা এ রাজ্যের গত এক দশকের ইতিহাস দেখলেই বোঝা যায়। তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা মানবেন না, কিন্তু ঘটনা হল আন্দোলন করার মত ইস্যুর কোনো অভাব এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে হয়নি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার অব্যবহিত পরেই চিটফান্ড কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছিল। অসংখ্য গরীব মানুষ, যাঁরা যৎসামান্য সঞ্চয় গচ্ছিত রেখেছিলেন ওই ফান্ডগুলোতে, তাঁরা সর্বস্বান্ত হয়েছিলেন। শাসক দলের একাধিক নেতার নাম জড়িয়ে গিয়েছিল, এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর দিকেও আঙুল তোলা হয়েছিল কোনো কোনো মহল থেকে। তখনো কিন্তু বিধানসভায় সিপিএম শূন্য হয়ে যায়নি। অথচ কোনো জোরদার রাজ্যব্যাপী আন্দোলন তারা গড়ে তুলতে পারেনি। একদিনের জন্যেও মহাকরণ বা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন অবরোধ হয়নি, কোনো অভিযুক্ত মন্ত্রীকে ঘেরাও করা হয়নি। মিছিলে মিছিলে জেলাগুলো দূরে থাক, কলকাতা পর্যন্ত ছয়লাপ হয়নি। বরং সম্প্রতি দেশ পত্রিকায় আত্মজীবনীমূলক ধারাবাহিক রচনায় অসীম চ্যাটার্জি অভিযোগ করেছেন, যে নাগরিক আন্দোলন গড়ে উঠছিল, বাম নেতৃত্ব সেই আন্দোলনকেই নিজেদের আন্দোলন করে তুলতে গিয়ে গুবলেট করেছেন। বাম আমলে এমন কেলেঙ্কারি সামনে এলে বিরোধী নেত্রী মমতা কেমন আন্দোলন করতেন কাউকে বুঝিয়ে বলার দরকার নেই।
চিটফান্ড কেলেঙ্কারির পিছু পিছু এসেছিল নারদ কেলেঙ্কারি। নারদের লুকনো ক্যামেরায় মন্ত্রী, নেতাদের ক্যামেরার সামনে ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছিল। সিপিএম নেতারা সেসবের প্রতিবাদেও একদিনের জন্য জনজীবন অচল করেননি। এমন সুবোধ বিরোধী শক্তি প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পর্যন্ত কোনো মুখ্যমন্ত্রীর কপালে জোটেনি। অনেক দেরিতে, যখন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী পরিসর ক্রমশ দখল করে ফেলছে বিজেপি, তখন কৃষকদের ইস্যুতে, কর্মসংস্থানের ইস্যুতে একাধিকবার নবান্ন অভিযান হয়েছে। কিন্তু লাগাতার আন্দোলন বলে কিছু হয়নি। অর্থাৎ হান্নানবাবু যা বলছেন — ওগুলো কর্মসূচি, আন্দোলন নয়। উনি যা বলেননি কিন্তু কোনো কোনো সিপিএম কর্মী যা একান্তে স্বীকার করেন, তা হল রেড ভলান্টিয়ার্স বা কমিউনিটি ক্যান্টিনও কর্মসূচি। জরুরি কর্মসূচি, কিন্তু আন্দোলন নয়।
কিছুদিন হল রাজ্য সিপিএমের কার্যকলাপে আরেকটা নতুন ধারা লক্ষ করা যাচ্ছে — পার্টির কাজ গণসংগঠনকে দিয়ে করানো। গত বছর ১০ ফেব্রুয়ারি যে নবান্ন অভিযান হয়েছিল ক্যাম্পাসে গণতন্ত্র ফেরানো, কমর্সংস্থানের দাবি সহ একগুচ্ছ দাবিতে, যে অভিযানের উপর পুলিসি আক্রমণের ফলে মইদুল ইসলাম মিদ্যার প্রাণ গিয়েছিল বলে অভিযোগ, সেই অভিযান কিন্তু ছিল ছাত্র, যুব সংগঠনগুলোর ডাকে। পার্টির ডাকে নয়। রাজ্যে এসএসসি, টেট পরীক্ষা নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই, তা নিয়ে ধর্মতলায় টানা প্রায় একমাস অনশন করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। তাছাড়াও বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকারা, প্যারা টিচাররা বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে অনশন, অবস্থান ইত্যাদি করেছেন। কোনোটাতেই সিপিএম যুক্ত হয়নি। বিমান বসুকে ধর্মতলার অনশন স্থলে সমর্থন জ্ঞাপনার্থে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে কেবল। একথা ঠিক যে আন্দোলনকারীরা অনেক সময়ে বলেছেন তাঁরাই চান না আন্দোলনে কোনো রাজনৈতিক দলের যোগ থাক। কিন্তু প্রশ্ন হল, তাঁরা এমন বলেছেন কেন? আন্দোলনের বন্ধু হিসাবে সিপিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা কি কোথাও চিড় খেয়েছে? হান্নানবাবুর ইঙ্গিত কি তেমনই?
রাজ্যে স্কুল, কলেজ খোলার জন্য যে সাম্প্রতিক আন্দোলন, সিপিএমের দিক থেকে তা-ও করেছে দলের ছাত্র সংগঠন। কেন পার্টি নয়? কেন খোদ পার্টির রাজ্য কমিটি অভিভাবক, শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ টের পেয়েও এই ইস্যুতে নবান্ন অভিযানের মত কোনো ব্যাপক আন্দোলনের ডাক দেননি? এই প্রশ্ন করলে একটা উত্তর পাওয়া যাচ্ছে, তা হল, ইস্যুটা ছাত্র-যুবদের। তাই তারাই এই নিয়ে আন্দোলন করছে। পার্টি কেন করবে? এই প্রশ্ন থেকে কয়েকটা প্রশ্ন উঠে আসে।
প্রথমত, সিপিএম কি মনে করে স্কুল, কলেজ খোলার সাথে রাজ্যের বৃহত্তর ভালমন্দের কোনো সম্পর্ক নেই? দ্বিতীয়ত, সিপিএম কি কোনো পার্টি, না ডিপার্টমেন্টাল স্টোর? নাকি সরকারি অফিস, যে সকলেই নিজ নিজ ডিপার্টমেন্টের গন্ডির মধ্যে কাজ করেন? তাহলে কি কোথাও কৃষকসভার সদস্য অন্য দল বা পুলিশের হাতে আক্রান্ত হলে সিপিএম নেতৃত্ব বলবেন ছাত্র, যুব, সিটু কর্মীদের তার বিরুদ্ধে কোনো মিছিল, মিটিং করার দরকার নেই? তৃতীয়ত, যদি মেনে নেওয়া হয় এগুলো গণসংগঠনেরই কাজ, তাহলে পার্টির কাজ কী? কোন ইস্যু সব মানুষের ইস্যু, তাই পার্টির সকলের ইস্যু?
সংগঠনের গঠন নিয়েই এত সূক্ষ্ম বিচারে ব্যস্ত থাকে যে দল, সে দলের পক্ষে বিরোধী দল হয়ে ওঠা সত্যিই শক্ত। তাই দেউচা পাঁচামির মত ইস্যুতেও ধরি ধরি ধরতে নারি অবস্থা হবে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের বিরোধী সন্ধান চলতেই থাকবে। ইতিমধ্যে ক্রেনিয়াস গ্রহের বাসিন্দারা এসে পড়লে বেইজ্জত হতে হবে।
মতামত ব্যক্তিগত
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।
দারুন একটা বিশ্লেষণ।।