ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত। নরেন্দ্রনাথ দত্ত ওরফে স্বামী বিবেকানন্দের ভাই। এটুকুর বেশি তাঁকে মনে রাখার চেষ্টা করে না আত্মবিস্মৃত বাঙালি। তথাকথিত ইতিহাস-সচেতন বামপন্থীরাও তাঁকে কতটা স্মরণ করেন, তাঁকে নিয়ে চর্চা করেন, সন্দেহ আছে। অথচ এই মানুষটি দেশের শ্রমিক, কৃষকসহ সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করেছেন, সেজন্য নিজের জীবন বিপন্ন করে দেশে বিদেশে ঘুরে বেরিয়েছেন।
১৮৮০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর কলকাতার সিমলার বিখ্যাত দত্তবাড়িতে ভূপেন্দ্রনাথের জন্ম। বিশ্বনাথ দত্ত ও ভুবনেশ্বরী দেবীর ছোট ছেলেটি কলকাতা মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউশন থেকে এন্ট্রান্স পাশ করেন। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে চলে যাওয়ার ঠিক আগে ব্রাহ্মধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং শিবনাথ শাস্ত্রীর সঙ্গে পরিচয়ের পর হিন্দু সমাজের ভেদাভেদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। আরও পরে ১৯০২ সালে তিনি সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে ইংরেজদের দেশ থেকে তাড়ানোর জন্য ব্যারিস্টার প্রমথ মিত্রের নিখিল-বঙ্গ বৈপ্লবিক সমিতিতে যোগ দেন। এখানে তিনি যতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, ভগিনী নিবেদিতা, অরবিন্দ ঘোষ প্রমুখের সংস্পর্শে আসেন। এই সময় ইতালীয় বিপ্লবী ম্যাৎসিনি ও গ্যারিবল্ডির আদর্শ তাঁকে অনুপ্রাণিত করে। সে যুগের অধিকাংশ বিপ্লবীর মতো তিনিও তাঁর অগ্রজ স্বামী বিবেকানন্দের রচনার দ্বারা বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ হন।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
বিপ্লবী দলের আদর্শ ও কর্মপন্থা নিয়ে পি মিত্রের দলের সঙ্গে তাঁর মতান্তর হত প্রায়শই। তবু বিপ্লবী দলের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য তিনি তেমনভাবে সরব হতেন না। এই সময় তিনি অরবিন্দ ঘোষের সহায়তায় ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে বিপ্লবীদের পত্রিকা সাপ্তাহিক যুগান্তর সম্পাদনার দায়িত্ব নেন। বৈপ্লবিক আদর্শ প্রচারের জন্য তিনি সেইসময় গ্রামবাংলার নানা জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছেন। তাঁর লেখা ভারতের দ্বিতীয় স্বাধীনতার সংগ্রাম বইটিতে এই সময়কার বিপ্লবী কার্যকলাপের অনুপুঙ্খ বিবরণ পাওয়া যায়। ১৯০৭ সালে সোনার বাংলা নামক এক বেআইনি ইস্তাহার প্রকাশের জন্য তাঁর এক বছরের কারাদণ্ড হয়।
কারামুক্তির পর বিপ্লবী সতীর্থদের পরামর্শে ভূপেন্দ্রনাথ আমেরিকা যাত্রা করেন। সেখানে তিনি ইন্ডিয়া হাউসে আশ্রয় নেন এবং ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের কাজ চালিয়ে যান। একই সঙ্গে প্রথাগত শিক্ষা গ্রহণ করতে থাকেন। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
আমেরিকাবাসের সময়েই তাঁর জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁক বদল ঘটে। এখানে গদর পার্টি ও সোশালিস্ট ক্লাবের সংস্পর্শে এসে তিনি সমাজতন্ত্রে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। আগেই বলেছি, মাৎসিনি, বিবেকানন্দ ও নিবেদিতার শিক্ষা ছিল তাঁর জীবনের আদর্শ। এই সময় থেকে মার্কসীয় দর্শন হয়ে ওঠে তাঁর জীবনবেদ। মার্কসীয় আদর্শের আলোকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিচার করতে শুরু করেন। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে বিপ্লবী আন্দোলনকে জোরদার করতে তিনি অন্য ভারতীয় বিপ্লবীদের মত বার্লিনে চলে যান। ১৯১৬ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত ঐতিহাসিক বার্লিন কমিটির সম্পাদক ছিলেন ভূপেন্দ্রনাথ। ১৯১৫ সালে তিনি ছদ্মবেশে দক্ষিণ ইউরোপে চলে যান। বার্লিন কমিটির অনুরোধে জার্মান সরকার তাঁকে গ্রীস থেকে বার্লিনে নিয়ে আসে। তাঁর নেতৃত্বে বার্লিন কমিটি নিজেদের কর্মক্ষেত্র পশ্চিম এশিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। এই সময়ে নানা বিপদের মধ্যে চূড়ান্ত ঝুঁকি নিয়ে কেমন করে বহু ভারতীয় বিপ্লবের কাজ করেছেন এবং প্রাণ দিয়েছেন তা নিজের অপ্রকাশিত রাজনৈতিক ইতিহাস গ্রন্থে তুলে ধরেছেন ভূপেন্দ্রনাথ। এই বইটি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস জানার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
এই সময়েও ভূপেন্দ্র পড়াশোনার চর্চা ছাড়েননি। ১৯২০ সালে তিনি জার্মান অ্যানথ্রোপলজিক্যাল সোসাইটি এবং ১৯২৪ সালে জার্মান এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য হন। সমাজতত্ত্ব এবং নৃতত্ত্বের গবেষণা চালিয়ে তিনি হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৩ সালে ডক্টরেট উপাধি লাভ করেন।
১৯১৭ সালে রাশিয়ায় ঘটে গেল নভেম্বর বিপ্লব, বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠিত হল। সমাজতন্ত্রে আগ্রহী তথা বিশ্বাসী ভূপেন্দ্র ১৯২১ সালে রাশিয়ার মস্কোয় গেলেন তৃতীয় আন্তর্জাতিকের ডাকে। সেখানে তখন উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত বিপ্লবী নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, যাঁকে সারা পৃথিবী চেনে মানবেন্দ্রনাথ রায় (এমএন রায়) নামে। মানবেন্দ্রনাথের সঙ্গে ভূপেন্দ্রের কিছু মতানৈক্য ঘটে, কারণ এমএন রায় ভারতের জাতীয়তাবাদী নেতাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন না। তিনি তাঁদের বুর্জোয়া শ্রেণিস্বার্থের পক্ষপাতী ভাবতেন। অন্যদিকে ভূপেন্দ্রনাথ মনে করতেন ভারতে শক্তিশালী গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হলে জাতীয়তাবাদী নেতাদের সাহায্য অপরিহার্য। ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে তাঁর নিজস্ব মতামত তিনি তুলে দেন লেনিনের হাতে। ২৬ আগস্ট ১৯২১ তারিখে লেনিন সেই চিঠির উত্তর দেন। The Complete Works of Lenin বইয়ের ৪৫তম খণ্ডে সেই চিঠি সংকলিত আছে।
দীর্ঘ ১৬ বছরের প্রবাস ঘুচিয়ে ভূপেন্দ্রনাথ দেশে ফিরলেন ১৯২৪ (মতান্তরে ১৯২৫) সালে, যোগদান করলেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসে। ভারতের কৃষক-শ্রমিক আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি। দুবার অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি এবং একবার বঙ্গীয় কৃষক সভার সভাপতি হন। এই সময়েই ভারতে বামপন্থী আন্দোলন গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন। তখন নিষিদ্ধ কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া, ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি নামে কাজ করত। তিনি এই দলের সঙ্গে যুক্ত হন। অসংখ্য বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠনেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কংগ্রেসের মঞ্চে বারবার শ্রমিক ও কৃষকদের দাবী তুলে ধরেছেন ভূপেন্দ্র। তবে ঘনিষ্ঠতা থাকলেও সিপিআই দলের সদস্যপদ নেননি। সরোজ মুখার্জি, বিনয় চৌধুরীর মত অনেক বিখ্যাত কমিউনিস্ট নেতাকেই নিজের হাতে গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তীকালে ভিন্ন রাজনীতির স্রোতে চলে গেলেও অতুল্য ঘোষ একসময় বহুদিন তাঁর সংস্পর্শে ছিলেন। অনুশীলন, যুগান্তর, বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সসহ বিভিন্ন বিপ্লবী গোষ্ঠীর সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল ভূপেন্দ্রনাথের।
তিনি কেবল একজন বিপ্লবী কর্মী ও সংগঠক ছিলেন না। পাশাপাশি বিপ্লবী তত্ত্ব, ইতিহাস ও নৃতত্ত্বের একজন উৎসাহী ছাত্র ও গবেষকও ছিলেন। এই প্রবন্ধে তাঁর গবেষণা বা তাত্ত্বিক চিন্তাকে সামগ্রিকভাবে তুলে ধরা সম্ভব নয়, কিন্তু তাঁর চিন্তাধারার যে দিকগুলি আজকের দিনেও প্রাসঙ্গিক, সেগুলি সম্পর্কে আলোচনা না করলেই নয়।
“বার খেয়ে ক্ষুদিরাম” বাংলায় চালু কথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফাজলামির দিকটি বাদ দিলেও এ থেকে বিপ্লবী আন্দোলন সম্পর্কে অধিকাংশ বাঙালির মনোভাব আঁচ করা যায়। বাংলার বিপ্লবী আন্দোলন কিছু অল্পশিক্ষিত কিশোরের ভাবাবেগের ফসল – এমন একটা বিশ্লেষণ প্রচলিত আছে শিক্ষিত মহলে। কিন্তু দ্বন্দ্বমূলক ও ঐতিহাসিক বস্তুবাদের ছাত্র ভূপেন্দ্রনাথ তাঁর ভারতের দ্বিতীয় স্বাধীনতার সংগ্রাম বইতে মন্তব্য করেছেন, “বাঙলার বিপ্লবপন্থা জনকতক অশিক্ষিত বা অর্দ্ধশিক্ষিত যুবকদের হুজুগের দ্বারা সৃষ্টি হয় নাই। বিপ্লববাদের ইতিহাসের উৎপত্তির কথা জানিতে হইলে, বাঙলায় বিগত ৮০ বৎসরের ইতিহাসের চর্চা করিতে হইবে”। এরপর তিনি রাজা রামমোহন রায়, ইয়ং বেঙ্গল থেকে নবগোপাল মিত্র, হিন্দু মেলা হয়ে স্বামী বিবেকানন্দের ‘aggressive Hinduism’ পর্যন্ত বাংলার জাতীয়তাবাদী চেতনার ক্রমবিকাশকে তুলে ধরেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে দেখিয়েছেন, দেশে দেশে বিপ্লববাদের ক্রমবিকাশের একটি পর্যায়ে সন্ত্রাসবাদের উদ্ভব হয়,বাংলার বিপ্লবও ইতিহাসের সেই ক্রমবিকাশেরই ফসল।
তাই বলে বাংলার বিপ্লববাদের সীমাবদ্ধতাকেও তিনি উল্লেখ করতে ভোলেননি। বাংলার বিপ্লবচিন্তা ছিল প্রকৃতপক্ষে “খণ্ড-বিপ্লবী”, কেবল ইংরেজ তাড়ানোই ছিল তার উদ্দেশ্য। কিন্তু কেবল স্বাজাত্যবোধের ভিত্তিতে বিপ্লব হয় না, তাকে যথার্থ সমাজ পরিবর্তনের পথে, “পূর্ণ-বিপ্লবের” পথে চলতে হয়। ভূপেন্দ্র এটাকেই বাংলার বিপ্লবী আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ বলে চিহ্নিত করেছেন। উক্ত গ্রন্থেই তিনি বলেছেন, “ব্রাহ্মণ শূদ্রকে ঘৃণার চক্ষে দেখিবে; হিন্দু অহিন্দুকে ঘৃণা করিবে; জমিদার প্রজার রক্ত শোষণ করিবে; স্ত্রীলোকের উপর অত্যাচার ও অবিচার পূর্ববৎ থাকিবে বা চলিবে; শ্রেণী ও বর্ণব্যবস্থা পূর্বের ন্যায় থাকিবে; ব্রাহ্মণ্য গোঁড়ামির চূড়ান্তও থাকিবে; অথচ স্বজাতীয়তার নামে সকলে একীভূত হইয়া ইংরেজ তাড়াইবে ইহাই আমাদের বৈপ্লবিক দর্শনশাস্ত্র!” বাংলার বিপ্লববাদ যে ক্রমান্বয়ে ব্রাহ্মণ্যবাদে পর্যবসিত হয়েছিল, তাও তিনি তুলে ধরেছেন।
আরো পড়ুন সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর: এক রোম্যান্টিক বিপ্লবী
নৃতত্ত্ববিদ ভূপেন্দ্রনাথ ভারতের জাত ও বর্ণব্যবস্থা নিয়ে বিশদে গবেষণা করেছিলেন। সেই গবেষণার ফলেই তিনি সিদ্ধান্তে আসেন যে ভারতবর্ষে জাত-পাত-বর্ণগত শোষণ, অর্থনৈতিক শোষণের মতই প্রাসঙ্গিক। তাই এদেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব যেমন হবে বুর্জোয়াদের বিরুদ্ধে, তেমনি হবে জাতিব্যবস্থার সমর্থকদেরও বিরুদ্ধে – এই ছিল তাঁর চিন্তাধারা। একই সঙ্গে তিনি লিঙ্গসাম্যের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিতেন। এখানেও তাঁর “পূর্ণ-বিপ্লবী” মনোভাব লক্ষ করা যায়। কিন্তু তাঁর এই মতামতের গুরুত্ব ভারতের কমিউনিস্টদের সিংহভাগ সেকালে কতটা বুঝতে পেরেছিলেন, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। আজও বুঝেছেন কি? বিশেষত, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অংশের জন্য সংরক্ষণ নিয়ে ভারতের বৃহত্তম কমিউনিস্ট দলের সাম্প্রতিক বক্তব্য দেখে তেমন ভরসা পাই না।
স্বামী বিবেকানন্দকে নতুন দৃষ্টিতে দেখতে শেখাতে চেয়েছেন ভূপেন্দ্রনাথ। একথা অস্বীকার করবার উপায় নেই যে স্বামীজি হিন্দু-পুনরুত্থানবাদী ছিলেন, ‘aggressive Hinduism’ মতবাদের দ্বারা হিন্দু ধর্মের রাজনীতিকরণও তাঁরই হাত ধরে ঘটেছে। কিন্তু সেকথা স্বীকার করেও ভূপেন্দ্রনাথ দেখিয়েছেন, বর্ণবাদী হিন্দুরা কখনোই স্বামীজিকে সহ্য করতে পারেননি, নির্যাতনও করেছেন। তিনি তাঁর Vivekananda the Socialist গ্রন্থে আরও দেখিয়েছেন, জীবনের শেষ পর্বে হিন্দু পুনরুত্থানবাদ নয়, বরং সমাজবাদ হয়ে ওঠে বিবেকানন্দের আদর্শ। বিবেকানন্দ নিজেকে নানা চিঠিতে এ সময় “সোশ্যালিস্ট” বলে পরিচয় দিতে থাকেন। সমাজতন্ত্রকে তিনি বলতেন “শূদ্র জাগরণ” বা “শূদ্র রাজত্ব”। তাঁর বিখ্যাত বর্তমান ভারত গ্রন্থেও আমরা দেখব এই শূদ্র জাগরণের কথা বারবার ফিরে এসেছে। এই বিবেকানন্দকে রামকৃষ্ণ মিশন চেনাবে এমন আশা করা বৃথা। বামপন্থীদের নিজেদেরই তাঁকে চিনে নিতে হত এবং অন্যদেরও চেনাতে হত। কিন্তু তাঁরা কেবল হিন্দু পুনরুত্থানবাদী বিবেকানন্দকেই চিনলেন, তাঁর শেষ জীবনের সমাজবাদী সত্তাকে জানলেন না। ফল? আজ বিবেকানন্দকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী শক্তি হাইজ্যাক করে নিয়েছে।
নিজের জন্মস্থান, কলকাতার সিমলার দত্তবাড়িতেই ১৯৬১ সালে প্রয়াত হন নৃতত্ত্ববিদ, চিন্তাবিদ ও সর্বোপরি বিপ্লবী ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত। দিনটা ছিল ২৫ ডিসেম্বর।
তথ্যসূত্র:
১। এই বাঙালিকে চিঠি লিখতেন লেনিন – অর্ক ভাদুড়ি (https://banglalive.com/bhupendranath-dutta-a-forgotten-bengali-revolutionary/)
২। স্বামীজির ‘বিপ্লবী’ ভাইয়ের রিসার্চ পেপার লেনিনের হাতে – ইন্দ্রনীল শুক্লা (https://eisamaygold.timesgroup.com/culture/swami-vivekananda-and-bhupendranath-datta/1663682439295)
৩। জার্মানি থেকে ভারতকে স্বাধীন করার স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বামীজির ‘বিস্মৃত’ ভাই – প্রহর ডেস্ক September 5, 2019 (https://www.prohor.in/bhupendranath-dutta-brother-of-swami-bibekananda)
৪। স্বামী বিবেকানন্দকে কিভাবে দেখি – ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত (https://cpimwb-org-in.cdn.ampproject.org/v/s/cpimwb.org.in/swami-vivekananda-vupendr-nath-dutta/?amp_js_v=a6&_gsa=1&=1&usqp=mq331AQKKAFQArABIIACAw%3D%3D#aoh=16715313072740&_ct=1671531322630&referrer=https%3A%2F%2Fwww.google.com&_tf=From%20%251%24s&share=https%3A%2F%2Fcpimwb.org.in%2Fswami-vivekananda-vupendr-nath-dutta%2F)
৫। ভারতের দ্বিতীয় স্বাধীনতার সংগ্রাম – ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত; ব়্যাডিকাল ইম্প্রেশন
৬। Bhupendranath Dutta: An Invisible Revolutionary (https://www.livehistoryindia.com/story/people/bhupendranath-datta)
মতামত ব্যক্তিগত
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।