২০২১ সালে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে দক্ষিণপন্থী ইতিহাসবিদ (অবশ্য যদি তাঁকে ইতিহাসবিদ বলা যায়) বিক্রম সম্পথ দাবি করেন, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বিনায়ক দামোদর সাভারকরের যোগাযোগ ছিল ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, রাসবিহারী বসু প্রভৃতি বিপ্লবীদের সঙ্গে। অবশ্য এই তথ্যের সপক্ষে তিনি কোন প্রমাণ দেননি। ২০২০ সালে অমিত শাহ এক বক্তৃতায় বলেন, বাল গঙ্গাধর তিলকই ছিলেন প্রথম ভারতীয় যিনি স্বাধীনতা সংগ্রামকে জনমুখী করেছিলেন। তাঁর দাবি, তিলকের রক্ষণশীল চিন্তাভাবনা মহাত্মা গান্ধী থেকে সাভারকর – সবাইকেই প্রভাবিত করেছিল। এমন সব বক্তব্যের মাধ্যমে আসলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) আমাদের দীর্ঘ, জটিল ও বহুমুখী স্বাধীনতা সংগ্রামের যে ধারাগুলো রয়েছে তাদের ইতিহাসকে এক ছাতার তলায় আনতে চেয়েছে বারবার। জাতীয় আন্দোলনের বিচিত্র ধারাগুলোর অস্তিত্বকে অস্বীকার করে আরএসএস ইতিহাসের বিকৃত এক বয়ান প্রস্তুত করতে চাইছে।
কার্ল মার্কস ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম মুক্তি আন্দোলন হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন। ব্রিটিশ আধিপত্যের সুফলভোগী নবজাত মধ্যবিত্ত শ্রেণি অবশ্য সেই বিদ্রোহকে সমর্থন করতে নারাজ ছিল। পাশ্চাত্য আধুনিক শিক্ষা, দর্শন, সাহিত্য, যুক্তি, বিজ্ঞানকে হাতিয়ার করে এই শ্রেণির বিশিষ্ট মানুষজন সমাজ সংস্কারের কাজে নিয়োজিত হলেন। ক্রমেই সমাজ সংস্কার, ব্যবসা বাণিজ্যের স্বার্থের সঙ্গে ব্রিটিশ স্বার্থের সংঘাত দেখা দিল। তখন মধ্যবিত্ত শ্রেণি নিজেদের নেতৃত্বে এক আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদী দেশ গঠন করতে চেয়ে এক আন্দোলন সংগঠিত করার প্রচেষ্টায় মনোনিবেশ করে। ফলস্বরূপ ১৮৮৫ সালে তৈরি হল জাতীয় কংগ্রেস। জাতীয় কংগ্রেসের ইতিহাস সরল নয়। তীব্র বিবাদ বিসম্বাদের মধ্যে দিয়ে তাদের রাজনীতির এবং রাজনৈতিক পন্থার বিবর্তন হয়েছিল। অবশেষে নরমপন্থা ও চরমপন্থার বিতর্কে ইতি টেনে গান্ধী জাতীয় আন্দোলনের দ্বার বৃহত্তর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করলেন। সর্বোপরি গান্ধী জনমনের গণতন্ত্রীকরণেও সফল হলেন। বিংশ শতকে কমিউনিস্টরা জাতীয় আন্দোলনের কেন্দ্রে নিয়ে এলেন কৃষক ও শ্রমিকদের। তাঁদের আন্দোলন মূলত ছিল জমিদার, আড়তদার এবং পুঁজিপতিদের বিরুদ্ধে। একই সময়ে ভীমরাও আম্বেদকর দলিতদের সংগঠিত করেন। উঠে এল ভোটাধিকার, ভূমি সংস্কার এবং দলিত শ্রেণীর প্রতিনিধিত্বের প্রশ্ন।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
বলা বাহুল্য, স্বাধীনতা সংগ্রামের কোনো মূল এবং একমাত্রিক ধারা ছিল না। প্রতিটি ধারার তাৎপর্য ছিল সমান গুরুত্বপূর্ণ। আরএসএস আজ যা-ই দাবি করুক, জাতীয় আন্দোলনের তাত্ত্বিক এবং প্রায়োগিক স্তরে তার কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল না। তাদের উগ্র অনাধুনিক জাতীয়তাবাদকে জনমানসে স্বীকৃতি দিতে জাতীয় আন্দোলনের বিচিত্র ধারাগুলোকে কোনো না কোনোভাবে তাদের নিজেদের ছাতার তলায় আনতে হচ্ছে। তারা এক বাক্যে গান্ধী এবং নাথুরাম গডসের নাম উচ্চারণ করতে সক্ষম। আবার সুভাষচন্দ্র বসু, ভগৎ সিং এবং আম্বেদকরকেও নিজেদের মতাদর্শের প্রতীক হিসাবে পেশ করতেও দ্বিধা বোধ করে না। বৌদ্ধিক স্তরে আরএসএসের সংগঠন হিসাবে সাফল্য নির্ভর করে স্বাধীনতা আন্দোলনের এই বহুমুখী দ্বান্দ্বিকতাগুলোকে নিজেদের স্বার্থে পরিচালনা করতে পারার বিশেষ দক্ষতার উপর। এই কাজে কিছুটা হলেও তাদের সাহায্য করে আই টি সেল রচিত কল্পকাহিনী। বাকিটা আসে রাষ্ট্র ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে। সম্প্রতি কর্ণাটকের স্কুলপাঠ্য বইয়ে লেখা হয়েছে, সাভারকর বুলবুল পাখির ডানায় চেপে জেল থেকে পালিয়ে মাতৃভূমি পরিদর্শনে বেরোতেন। এইসব কষ্টকল্পনা সংঘের বৃহত্তর হিন্দুত্ব প্রকল্পের অংশবিশেষ।
আমাদের জাতীয় আন্দোলনের মধ্যে রক্ষণশীল ধারা থাকলেও তার বিশেষত্ব ছিল এই, যে সেই ধারার মানুষও চেয়েছিলেন সমগ্র জাতীয় চেতনার আধুনিকীকরণ। তা কীভাবে করা হবে তা নিয়ে অবশ্যই মতভেদ ছিল। আরএসএস উগ্র জাতীয়তাবাদী এবং মতাদর্শগতভাবে পশ্চিমী আধুনিকতার বিরোধী। তারা জাতীয় আন্দোলনের উদারবাদী ধারণাকে মানতে না পেরে দেশের মধ্যেই শত্রু খোঁজার কাজ শুরু করেছিল। দেশের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কোনো বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ না করে তারা এমন এক জনগোষ্ঠীকে খুঁজে নিল, যাদের আপাতদৃষ্টিতে বহিরাগত বলা সম্ভব এবং দেশের রাজনৈতিক পরাধীনতার এবং সামাজিক অবক্ষয়ের দায় চাপানোও সম্ভব। এইরকম বিবেচনা স্বাভাবিকভাবেই ইউরোপীয় ফ্যাসিস্ট আন্দোলনগুলোর দ্বারা প্রভাবিত হয়।
আরএসএসের বিচার কখনোই জাতীয় আন্দোলনে প্রভাব ফেলতে পারেনি। তাদের ধারার ইতিহাসও কখনো মূলধারায় পাঠ্য ছিল না। সাতের দশকে জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলনের সময়ে আরএসএস কিছুটা মূলধারার জনআন্দোলনগুলোর সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছিল। রাম জন্মভূমি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তাদের উত্থান এবং পরবর্তীকালে ক্ষমতায় আসা তাদের জাতীয় স্তরে নিজেদের কল্পিত ভূমিকা জাহির করতে কিছুটা মাইলেজ দেয়। তাদের সামনে সবথেকে সহজ পথ ছিল নিজেদের জাতীয় আন্দোলনের প্রতিষ্ঠিত ধারাগুলোর যোগ্য উত্তরসূরী বলে দাবি করা।
যেখানেই তারা ‘হিন্দু’ জাগরণের গন্ধ পেয়েছে, সেখানকার চরিত্রগুলোকেই নিজেদের চিন্তাধারার পূর্বসূরী বলে দাবি করেছে। এই তালিকায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং স্বামী বিবেকানন্দ দুটো উজ্জ্বল নাম। আরএসএসের সাথে সব থেকে জটিল সম্পর্ক গান্ধীর। সুপ্রিম কোর্ট বারবার আরএসএসের নেতাদের নির্দোষ বলে দাবি করলেও, গান্ধী হত্যার সাথে আরএসএসের যোগ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব নয়। এই বিষয়ে বহু প্রমাণ এজি নুরানি একত্রিত করেছিলেন। গান্ধী এবং আরএসএস কোনোদিন এক জায়গায় আসতে পারে না। গান্ধীর নিজের ভাবনায় যে ‘হিন্দু’ সত্তার ধারণা ফুটে ওঠে, তার সাথে আরএসএসের মতের মিল হবে না এটাই স্বাভাবিক। সবচেয়ে বড় কথা গান্ধী মনে করতেন, এই দেশের স্বাধীনতা আসতে পারে হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের মধ্যে দিয়ে। আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি পেতে আরএসএস মুখে গান্ধী বন্দনা করলেও কোনোদিন গান্ধীকে মেনে নিতে পারেনি। দীনদয়াল উপাধ্যায় গান্ধীকে জাতির জনক হিসাবে তাই দেখতে চাননি।
দেশভাগের জন্য আরএসএস গান্ধীর হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের ধারণাকেই দায়ী করে। জাতীয় আন্দোলনের সময়ে বহু রাজনীতিবিদ গান্ধী এবং কংগ্রেসের অহিংস পন্থার বিরোধিতা করেছিলেন। আরএসএস নিজেকে তাঁদের চিন্তাধারার যোগ্য উত্তরসূরী হিসাবে দেখাতে চায়। এই তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম হলেন ভগৎ সিং। তিনি কংগ্রেসকে সামন্ততান্ত্রিক শক্তি হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন। তিনি লেনিনের চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং সমাজতান্ত্রিক ভারতবর্ষের কথা বলতেন। এমন এক দেশ যেখানে জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ নির্বিশেষে শ্রমিক এবং কৃষক দেশের সম্পদের মালিকানা দখল করবে। কিন্তু তিনি যেহেতু গান্ধীর পন্থার বিরোধী ছিলেন, আরএসএস তাঁকেও নিজের বলে দাবি করতে পিছপা হয়নি। সুভাষচন্দ্রের কংগ্রেসি জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে গান্ধীর এবং গান্ধীবাদীদের বিরোধিতায়। আরএসএসের কাছে এর চাইতে লোভনীয় কিছু হতে পারে না। তাই তারা নিজেদের সুভাষচন্দ্রের উত্তরাধিকারী হিসাবে দাবি করে। অথচ তিনি ছিলেন একজন সমাজতন্ত্রী। আইএনএ-র মধ্যে তিনি মহিলা ব্যাটেলিয়ন তৈরি করেছিলেন এবং মার্শাল রেসের ধারণাকে খর্ব করেছিলেন। আরএসএসের কাছে নেতাজি আকর্ষণীয় হয়ে কারণ তিনি গান্ধীর বিরোধী এবং কঠোর সামরিক শৃঙ্খলার প্রতি তাঁর আকর্ষণ ছিল। এইভাবে আরএসএস বিশেষ কয়েকজন জাতীয় নেতার চরিত্রের বহু দিকের মধ্যে থেকে দু-একটা দিক নিজেদের সুবিধার্থে বেছে নেয়।
আরো পড়ুন ইতিহাস নিয়ে অমিত শাহের হুমকি ফাঁকা আওয়াজ নয়
আম্বেদকর বাংলার মাটিতে প্রভাবশালী না হলেও, উত্তর ভারতে যথেষ্ট প্রভাবশালী। উত্তর ভারতের জাতিভিত্তিক রাজনীতিতে পা রাখতে গেলে কমবেশি সবাইকেই আম্বেদকরের নাম নিতে হয়। আম্বেদকর এবং গান্ধীর দ্বন্দ্ব জ্ঞানতাত্ত্বিক। আম্বেদকর বলছেন যুক্তিভিত্তিক আধুনিক সভ্যতার কথা। গান্ধীর প্রতর্কটাই এই আধুনিক সভ্যতার বিরোধী। আরএসএসের অবশ্য এই জ্ঞানতাত্ত্বিক বিতর্ক নিয়ে কোনো বক্তব্য নেই। ১৯৪৬ সালে যখন দেশভাগের দাবি প্রকট হয়ে উঠল, আম্বেদকর দেশভাগকে সমর্থন করলেন। তিনি সংখ্যালঘুদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারে বিশ্বাস করতেন। তিনি মনে করতেন ভারতের মত দেশে, যেখানে সংখ্যাগুরু এত শক্তিশালী, সে দেশে সংখ্যালঘুর অধিকার অক্ষত থাকতে পারে না। যদিও তিনি হিন্দু এবং মুসলিম সাম্প্রদায়িক চিন্তাবিদদের সমানভাবে আক্রমণ করেছেন। উত্তর ভারতে বহু রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণ করতে, বিজেপি আম্বেদকরের সেই লেখাগুলোকে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করে। এভাবে তারা নিজেদের ভাষ্যকে এতটাই শক্তিশালী করে তুলেছে যে বহু আম্বেদকরপন্থীকে মনে হবে ইসলামবিদ্বেষী।
আরএসএসের এইরকম ইতিহাস বিকৃতি নিঃসন্দেহে বিপজ্জনক। তারা ভারতের স্বাধীনতার ধারণাকেই পালটে ফেলতে চায়। স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সকলকে সমান অধিকার দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল বলেই সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বৌদ্ধিক স্তরে ভারত বিশ্বের সামনে এক স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের উদাহরণ হয়ে উঠেছিল। আরএসএসের প্রকল্প যেহেতু এক দেশ এক জাতি, সেহেতু তারা ভারতীয় গণতন্ত্রের মূল নীতিগুলোকেই কঠিন পরীক্ষার সামনে ফেলে দিয়েছে। লিঙ্গ, জাতি এবং ধর্মীয় বৈষম্যকে বহু ক্ষেত্রে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে ঐক্যের ধারণার বিপরীতে। তাই আর এসএসকে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে শ্বদন্ত বের করা আক্রমণাত্মক সিংহ তৈরি করতেই হয়। তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহাসিক বহু স্বর থেকে শুরু করে বহু জাতি, বহু ধর্ম, বহু ভাষা। একমাত্রিক এবং পুরুষতান্ত্রিক ভারতবর্ষ নির্মাণই আরএসএসের প্রকল্প।
মতামত ব্যক্তিগত
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।
নিজের নাম ছাপার অক্ষরে দেখতে ভালোই লাগে। সাভারকর ও আরএসএস সম্বন্ধে যা লেখা হয়েছে, তার সঙ্গেও আমি মোটামুটি একমত।
তবু সবিনয়ে জানাই, এই লেখাটি আমার নয়।
কিভাবে আমার নাম ও পরিচয়ে নাগরিকত্ব লাভ করল তাও আমার অজানা।
আমি এর আগে nagorik.netএ একবারই মাত্র লিখেছি, সেটা ভারতবর্ষের করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে।
সম্পাদকমণ্ডলীকে অনুরোধ, এ ব্যাপারে একটু অনুসন্ধান করতে।
ডক্টর রাজর্ষি রায়চৌধুরী
ডাডলি
পশ্চিম মধ্যাঞ্চল
যুক্তরাজ্য।
প্রিয় ডক্টর রাজর্ষি রায়চৌধুরীবাবু,
বিষয়টি আমাদের নজরে আনার জন্যে ধন্যবাদ। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্যে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। লেখকের নাম আমরা সংশোধন করে নিয়েছি।
~ নাগরিক ডট নেট সম্পাদকমন্ডলী