শুদ্ধায়ন চট্টোপাধ্যায়

ঝড়ের পূর্বাভাস সকলের কাছেই ছিল। দেশের সমস্ত মানুষ নিজ নিজ পদ্ধতিতে সতর্কীকরণ চালিয়েছিলেন এতদিন। কিন্তু ২৫ জানুয়ারি যখন ঝড় আছড়ে পড়ল দেশের বুকে, তখন আর কিছুই কারোর নিয়ন্ত্রণে নেই। সব ওলটপালট হতে শুরু করেছে ততক্ষণে। সবে তো সপ্তাহখানেক। একমাসের মধ্যে এই ঝড় থামবে কিনা সে আশ্বাসও দিতে পারছে না বক্স অফিস। কারণ পাঠান নামক ঘূর্ণিটি এবার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এবং সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে তৈরি করছে নতুন ইতিহাস। শুধু কত কোটি টাকার ব্যবসা করল তা দিয়েই তো আর ইতিহাস সৃষ্টি হয় না, বিগত কয়েক বছর ধরে গোটা বলিউডের যে অধোগতি, তার ওপর ‘বয়কট বলিউড’ এবং ‘বয়কট পাঠান-এর যে দক্ষিণপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল খেলা চলছে গোটা দেশ জুড়ে – তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পাঠানের সাফল্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত।

ছবির ট্রেলার ও গান মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্রের শাসক দল ও তার মদতপুষ্ট অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো, যেমন বজরং দল, অভিনেতা শাহরুখ খান ও অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনকে কেন্দ্র করে বিদ্বেষ ছড়াতে শুরু করে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। একটি গানের দৃশ্যে গেরুয়া বিকিনি পরিহিত দীপিকাই তাদের আক্রমণের মূল লক্ষ্য হয়ে ওঠে। তাদের হাস্যকর দাবি এই, যে গেরুয়া রং সনাতন ধর্মের প্রতীক, আর সেই রঙের বিকিনি পরে দীপিকা তো বটেই, শাহরুখসহ গোটা ছবির ইউনিট ভারতীয় সংস্কৃতির অবমাননা করেছে। কিন্তু অক্ষয় কুমার ভুলভুলাইয়া ছবিতে নামাবলী পরে বিদেশী সঙ্গীতের অনুকরণে ‘হরে কৃষ্ণ হরে নাম’ গানে নাচতেই পারেন। এমনকি তাঁর পিছনে স্বল্পবসনা বিদেশিনীরাও নামাবলী গায়ে নাচলে এই হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীকে এত সোচ্চার হতে দেখা যায়নি।

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন

~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

তাছাড়া উত্তরপ্রদেশ, বিহারের মত হিন্দিভাষী রাজ্যগুলোতে বিপুল জনপ্রিয় হিন্দি ও ভোজপুরী ভাষার বি গ্রেড ছবিগুলিতে গেরুয়া বস্ত্র পরিহিত অভিনেতা, অভিনেত্রীদের ঘনিষ্ঠ দৃশ্য কখনো এই সনাতন হিন্দু ধর্মকে এতটা কলুষিত করতে পারেনি যতটা পাঠান ছবির ‘বেশরম রং’ করতে সক্ষম হয়েছে।

তাই শুধুমাত্র পথে নেমে বয়কট অভিযানই নয়, বিজেপির আই টি সেলের কল্যাণে মানুষের এখনকার ছায়াসঙ্গী সোশাল মিডিয়া ছেয়ে যায় দীপিকার চরিত্র ও শরীর নিয়ে নানা অভব্য ও কুরুচিকর মন্তব্যে। হিন্দু হয়েও রেহাই নেই তাঁর। যদিও এরকম আক্রমণ তাঁর কাছে নতুন কিছু নয়। এমন ‘স্লাট শেমিং’ বা চরিত্র হননের মুখোমুখি এই অভিনেত্রীকে বেশ কয়েকবার হতে হয়েছে। বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ যখন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাতের অন্ধকারে হোস্টেলে অনুপ্রবেশ করে নিগ্রহ করে, তখন বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব সেই ঘটনার প্রতিবাদে তাদের পাশে এসে দাঁড়ান। ঘটনার বিরুদ্ধে অবস্থান চলাকালীন জেএনইউ ক্যাম্পাসে এক সন্ধ্যায় দীপিকাও প্রতিবাদসভায় গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই তাঁর বিরুদ্ধে দক্ষিণপন্থী আক্রমণ সবচেয়ে তীব্র হয়েছিল। তাঁর এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে বিপুল জল্পনা শুরু হয় মূলধারার সংবাদমাধ্যম ও সোশাল মিডিয়ায়। নানাভাবে অপদস্থ করা হয় তাঁকে এবং তাঁর সেই সময়ের ছবি ছপাক ছবির মুক্তি ও প্রদর্শনী ব্যাহত করার বহু চেষ্টা চালানো হয়। এমনকি এও বলা হয় যে দীপিকার জেএনইউতে যাওয়ার পিছনে সহমর্মিতা বা প্রতিবাদের মানসিকতা ছিল না। তা ছবির প্রচারের উদ্দেশ্যে ‘পাবলিসিটি স্টান্ট’। এসবের উত্তরে একটি নিউজ চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে দীপিকা বলেন, ২০১৮ সালে পদ্মাবত ছবিকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক ও ধ্বংসলীলা চলেছিল – সেই ছবিতে অভিনয় করার অপরাধে তাঁর মাথা কেটে নেওয়ার ফতোয়া পর্যন্ত জারি করেছিল হিন্দু উগ্রপন্থীরা – সেই আতঙ্ক ও ক্ষোভই তাঁকে বাধ্য করেছে শিক্ষার্থীদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে। তাও কি ঠেকানো গেছে দীপিকাকে? অভিনেত্রী বারবার রূপোলি পর্দা থেকে কানের রেড কার্পেটে মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন গোটা বিশ্বকে।

অথচ ধর্মের নামে এমন ভেদাভেদ কিন্তু বলিউডি ছবির দর্শকদের কাছে একেবারেই নতুন। জনপ্রিয় হিন্দি ছবির জন্মলগ্ন থেকেই এক বহুজাতিক, সার্বজনীন, অসাম্প্রদায়িক মনোভাব লক্ষ্য করা যায়। সাম্প্রদায়িকতা থাকলেও তা এখনকার দক্ষিণ ভারতীয় ছবিগুলির মত এত স্পষ্টভাবে কোনোদিন ধরা দেয়নি। ১৯৯১ সালে ভারতীয় অর্থনীতির দরজা খুলে যাওয়ার পর জনপ্রিয় হিন্দি ছবির ব্যবসায় বিদেশি পুঁজির অনুপ্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে বলিউডের চরিত্র বদলে যায়। বিনিয়োগ চিরকালই মুনাফামুখী, তাই বাজারের প্রসার ঘটাতে ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে প্রয়োজন পড়ে ক্রেতার। ১৯৯৮ সালে এনডিএ জোট প্রথমবার ভারতবর্ষে ক্ষমতায় আসে এবং কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলিউডকে একটি পূর্ণাঙ্গ, সফল চলচ্চিত্র শিল্পক্ষেত্রের স্বীকৃতি দিয়ে বিবৃতি দেন। বলিউডকে আমাদের দেশের জাতীয় সিনেমা শিল্পক্ষেত্রে বলা অনুচিত হলেও এটা বলতে কোনো দ্বিধা নেই যে বলিউডের প্রযোজিত ছবি সারা দেশে চলে এবং এক বড় অংশের মানুষের কাছে উপভোগ্য। এর মাধ্যমেই ভারতবর্ষের বুকে একের পর অসাম্প্রদায়িক আইকন উঠে এসেছেন। জনপ্রিয় হয়েছেন দিলীপকুমার (ইউসুফ খান), আমির খান, সলমন খান, সইফ আলী খানের মত নায়করা। সারা দেশের মানুষ তাঁদের জাতি, ধর্ম বিচার না করে ভালবেসেছে, জায়গা দিয়েছে মনের মণিকোঠায়। বীর-জারা ছবিতে যেমন শাহরুখ খান ৭৮৬ নম্বর কয়েদি হয়েছেন, তেমনই ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র ওই নম্বর কুলী ছবির অমিতাভ বচ্চনের হাতের তবকেও শোভা পেয়েছে। আবার এমনও নয় যে বলিউড জাতি ধর্ম বর্ণের বিভেদের বিরুদ্ধে নীরব দর্শক হয়ে শুধুই মানুষের মনোরঞ্জন করে গেছে। আমাদের উপহার দিয়েছে বোম্বে, ফিজা বা মিশন কাশ্মীর-এর মত একাধিক ছবি। হিন্দি ছবি সারা দেশের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে অমর আকবর অ্যান্থনি-র সম্প্রীতির সুর।

এতদিন কিছু ছবি বয়কট, ছবির গল্প বা কোনো দৃশ্য নিয়ে বিতর্ক বা নায়ক-নায়িকাদের পোশাক, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মিম বা ট্রোলিংয়ের মধ্যেই বিদ্বেষ ছড়ানো সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু সুশান্ত সিং রাজপুতের আকস্মিক মৃত্যুর পর থেকেই আসে নতুন মোড়। উগ্র জাতীয়তাবাদীরা সরাসরি আক্রমণ করতে শুরু করে বলিউডের তারকাদের। স্বজনপোষণের দায়ে একের পর এক তারকা-সন্তানকে আক্রমণ করা শুরু হয় মূলধারার সংবাদমাধ্যম ও সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে। এই হেনস্থার পিছনে যে ক্ষমতায় থাকা ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রচ্ছন্ন সায় ছিল, তা স্পষ্ট হল যখন শাহরুখ-পুত্র আরিয়ানকে ভুয়ো মাদক কাণ্ডে গ্রেপ্তার করার ঘটনা জনগণের সামনে আসে। এর ফলে দক্ষিণ ভারতীয়, বিশেষ করে তামিল ও তেলুগু ছবির সিনেমা হল ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আধিপত্য বিস্তার আরও স্বচ্ছন্দ ও সুনিশ্চিত হয়। এ কথা এখন কারোর অজানা নয়, কীভাবে একাধিক দক্ষিণ ভারতীয় ছবির মাধ্যমে সুপ্ত হিন্দুত্ববাদ দর্শকদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া কয়েক বছর ধরে বলিউডেও ইতিহাস বিকৃত করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে কাশ্মীর ফাইলস সহ একাধিক ছবিতে।

এবার আসি শাহরুখের কথায়। হাজার হাজার মানুষের স্বপ্নের নায়ককে ফিরে আসতেই হল এই কঠিন সময়ে। বয়সের প্রতিবন্ধকতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে ফৌজি-র শাহরুখ আবার অবতীর্ণ হলেন পাঠানের ভূমিকায়, দেশকে রক্ষা করতে। তাঁকে ঘিরে বিতর্ক তো নতুন কিছু নয়। বহুবার শাহরুখ ও তাঁর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ভক্তদের কোণঠাসা করার নানা প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। ছেলের হাজতবাস, মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি, এমনকি লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্যে তাঁর আচরণের বিকৃত ব্যাখ্যা করেও ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে। তাও কি দমিয়ে রাখা গেছে শাহরুখকে?

আসলে শাহরুখ ব্যক্তিত্বটিই হিন্দুত্ববাদীদের কাছে আতঙ্ক। কারণ শাহরুখ পৃথিবীর বিস্তীর্ণ অংশের মানুষের কাছে ভারতের সমার্থক। দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে ছবির রাজ বিদেশে বেড়ে ওঠা সত্ত্বেও দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আবার স্বদেশ ছবির মোহন ভার্গব নিজের গ্রামের মানুষের উন্নতিকে অগ্রাধিকার দিয়ে নাসার চাকরি ছেড়ে দিয়ে দেশে ফিরে আসে। আবার কখনো তিনি হার না মানা হকি প্রশিক্ষক কবীর খান। ব্যক্তিগত জীবনে শাহরুখ প্রকাশ্যে ইসলাম ধর্মের আচার পালন করলেও তাঁর হিন্দু স্ত্রী গৌরীর ধর্মান্তরের কোনো প্রয়োজন হয়নি। এরকম অসাম্প্রদায়িকতা ও উদারতার প্রতীককেই তো বারবার নিশানা করবে দক্ষিণপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি।

আরো পড়ুন ৮৩: এই দ্বেষের মাঝে বসে ওই দেশের গল্প

শাহরুখের কিন্তু আর ছবিতে অভিনয় না করলেও চলত। এমনিতেই তিনি বিশ্বের দরবারে ভারতের অন্যতম বৃহত্তম ব্র্যান্ড। বলতে দ্বিধা নেই, বিগত দু দশক ধরে ভারতের নরম শক্তির প্রতীক তিনি। কিন্তু দিনের পর দিন বয়কট বলিউডের দৌরাত্ম্য আর সাম্প্রদায়িকতার জেরে যখন সারা দেশে একটা দমবন্ধ করা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তখনই পাঠান-ঝড় বয়ে আনল মুক্তির হাওয়া। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি নেতার নেতৃত্বে ছবির বিরুদ্ধে প্রচার থেকে শুরু করে আসামে পোস্টার ছিঁড়ে তাণ্ডব, ইন্দোরে হল ভাংচুর বা মিছিল – কিছুই টিকতে পারল না ঝড়ের মুখে। অতিমারীর প্রকোপে বন্ধ হয়ে যাওয়া বহু সিঙ্গল স্ক্রিন পাঠান ছবির মুক্তি উপলক্ষে খুলেছে। ছবি প্রযোজনা ও প্রদর্শনীর সঙ্গে যে অগুনতি মানুষের রুটি রুজি জড়িয়ে আছে, তাদের দায়িত্বও তো বাদশারই কাঁধে। গত দুবছর ধরে কিছু নির্দিষ্ট তারকাকে নিশানা করে চলতে থাকা ‘বয়কট বলিউড’ অভিযানের কারণে সেই তারকা বা নির্দেশক, প্রযোজকদের যত না ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে পর্দার পিছনে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের।

কিন্তু কতদিন চলতে পারে এ জিনিস? মানুষ কী খাবে, কী দেখবে, কী পরবে — সবই ঠিক করে দেবে শাসক? যখন বলিউডের ছোটবড় মহারথীরা বয়কট বাহিনীর সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছেন, তখনই ঘর সামলাতে রণাঙ্গনে অবতীর্ণ হয়েছেন বলিউডের সব থেকে বড় যোদ্ধা। তাঁর মুখ থেকে শোনা গেছে এই সংলাপ “পাঠানকে ঘরমে পার্টি রখোগে তো মেহমান নওয়াজি কে লিয়ে পাঠান তো আয়েগা, ঔর পটাখেঁ ভি লায়েগা”। এই পটকাতেই চুরমার হয়ে গেছে বয়কট বাহিনীর চোখরাঙানি।

তবে এমন মনে করার কোনো কারণ নেই, যে পাঠান ছবিটি ফ্যাসিবাদের উপর বিরাট আঘাত হেনেছে। কিন্তু একথা অনস্বীকার্য, দিনের পর দিন সোশাল মিডিয়ায় কোণঠাসা হয়ে যাওয়া মানুষ পাঠান এতদিনের ক্ষোভ, অভিমান সব উজাড় করে দিচ্ছেন।

পাঠানের এই সাফল্য আরেকটি বিখ্যাত স্পাই থ্রিলারের কথা মনে করিয়ে দেয়। স্টিভেন স্পিলবার্গ পরিচালিত ও টম হ্যাঙ্কস অভিনীত ব্রিজ অফ স্পাইজ ছবিতে গ্রেপ্তার হওয়া সোভিয়েত গুপ্তচর রুদলফ আবেল তার উকিল জেমস ডনভানকে একটি দৃশ্যে “স্তইকি মুজেক” নামে অভিহিত করে। যার অর্থ, যে মানুষ সবকিছু সহ্য করেও দাঁড়িয়ে থাকে। শাহরুখ হলেন সেই “স্তইকি মুজেক”। তা যেমন চক দে ইন্ডিয়া, বাজীগর, দিল সে বা চেন্নাই এক্সপ্রেস-এর মত ছবির পর্দায় সত্যি, তেমনই তার ব্যক্তিগত জীবনে। অনেককিছু মুখ বুজে সহ্য করেও তিনি নিজের জায়গাতেই দাঁড়িয়ে আছেন। শুধু সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করে গেছেন। সেই সময় যখন এসেছে, তখন চেনা নিয়মে অচেনা ছক ভাঙার খেলা খেলে চমকে দিয়েছেন গোটা বিশ্বকে। তাই তাঁর শত্রুরাও আজ সুর বদলাতে বাধ্য হয়েছে।

নিবন্ধকার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের গবেষক। মতামত ব্যক্তিগত

নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.