মোবাইল ও কম্পিউটারের সুবাদে দেয়ালে ঝোলানো ক্যালেন্ডারের আগের মতন প্রয়োজনীয়তা আজ নেই। তবু প্রতি ঘরে অন্তত একটা না থাকলে কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। পুরোনো অভ্যাস বলেই হয়ত। বেশ মনে আছে, ছোটবেলায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকতাম বাবার অফিস, বাজার দোকান, বা অন্য কোথাও থেকে কোনো ক্যালেন্ডার এল কিনা। বেশ একটা উৎকণ্ঠা নিয়েই তড়িঘড়ি সেই রোল করা বস্তুটির সুতলি দড়ি বা রাবার বন্ধনী খুলতাম কী ছবি আছে দেখতে! সাধারণত থাকত ঠাকুর দেবতাদের ছবি, মহাপুরুষদের ছবি (নেতাজি, গান্ধীজি প্রমুখ), প্রাকৃতিক দৃশ্য ইত্যাদি। বাবা যেহেতু আই আই টি খড়গপুরে অধ্যাপনা করতেন, তাই ওই ইনস্টিটিউটের ছবিও কখনো সখনো স্থান পেত।
মূল বক্তব্যের সাথে উপর্যুক্ত দুটি বিষয় যুক্ত: ক্যালেন্ডার এবং আই আই টি খড়গপুর। ক্যাম্পাসে বড় হবার সুবাদে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উচ্চশিক্ষার সেই পীঠস্থান নিয়ে বরাবরই আমার একটা গর্ব ছিল বৈকি। এমনকি, যখন ডাক্তারি পড়ি কলকাতায়, তখনও বোধহয় নিজের কলেজের চাইতে বেশি অহংকার অনুভব করতাম আই আই টি প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে যখন বেলুড়ে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরে পড়ি, জায়গার নাম দিয়ে পরপস্পরকে ডাকার ট্র্যাডিশন অনুযায়ী বন্ধুরা ‘আই আই টি’ বলে সম্বোধন করত। ব্যাপারটা আমার বেশ ভালই লাগত।
বলা বাহুল্য, অনেককিছুর মত আই আই টি নিয়েও সেই গদগদ ভাব ফিকে হতে শুরু করেছে বেশ কিছুদিন হল। কলকাতায় বেশি সময় কাটানো এবং সেখানেই মা-বাবার অবসর পরবর্তী জীবনযাপন তার অন্যতম কারণ নিশ্চয়ই। অন্যান্য কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতই আই আই টি খড়গপুরের কেন্দ্রীয় সরকারের মুখপাত্র হয়ে দাঁড়ানোটা নাহয় “প্রভুর আদেশ শিরোধার্য”, ইউ পি এ আমলেও একটু আধটু ছিল — এসব ভেবে ক্ষমাঘেন্না করে ফেলা যেত। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে আই আই টি খড়্গপুর থেকে প্রকাশিত ক্যালেন্ডারটি দেখার পর আর কোনোভাবেই গর্বিত হওয়া যাচ্ছে না। প্রথম প্রথম সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপারটা দেখে নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম, হয়ত সামান্য কারণে আই আই টি-কে ট্রোল করা হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত, অস্বীকার করার উপায় নেই যে ব্যাপারটা সত্যিই যথেষ্ট নিন্দার যোগ্য। ওই ক্যালেন্ডার প্রত্যেক মাসের পৃষ্ঠার বিপরীতে বিভিন্ন “তথ্য” সহযোগে সোচ্চারে জানান দিচ্ছে ভারতীয়, থুড়ি আর্য, থুড়ি বৈদিক সংস্কৃতি, বিদ্যাবুদ্ধি জগতে শ্রেষ্ঠ।
কভার পেজে এই কৌতূহল উদ্রেককারী থিম দেখে সাগ্রহে ভার্চুয়াল পৃষ্ঠা ওল্টানো শুরু করেই পরিষ্কার হয়ে গেল, আপাতভাবে যাকে তথ্য বলা হয়েছে তা দার্শনিকতা ও আধ্যাত্মিকতার মুখোশের আড়ালে মানুষকে বিভ্রান্ত করার হাস্যকর প্রচেষ্টা। তার সঙ্গে আছে সহজ ভুলত্রুটির ছড়াছড়ি। কথা না বাড়িয়ে আই আই টি খড়গপুরের উর্বর মস্তিষ্কপ্রসূত এই আজব ক্যালেন্ডারে তথ্যপ্রমাণ দেবার নামে যে অগণিত অসঙ্গতি, অসত্য, অর্ধসত্য একত্রিত করা হয়েছে, তার কিছু নিদর্শন তুলে ধরছি।
১। ক্যালেন্ডারের প্রতিটি পাতা শেষ করা হয়েছে এরকম একটা বাক্য দিয়ে “এতদ্বারা প্রমাণিত হইল যে আর্যদের ভারতবর্ষ আক্রমণের তত্ত্ব সর্বৈব মিথ্যা এবং একটি গভীর পশ্চিমি ষড়যন্ত্র।” এই দাবির বৈজ্ঞানিক মূল্যের প্রসঙ্গে পরে আসছি। মজার ব্যাপার হচ্ছে একই পাতায় এমন কিছু কথা লেখা আছে, যা পড়লে মনে হবে আর্যদের ভারত আক্রমণের তত্ত্ব ক্যালেন্ডার প্রণেতারাই স্বীকার করছেন। যেমন জানুয়ারির পাতায় এক জায়গায় বলা হচ্ছে
“…Also, the Eastern Sanpo Valley is the seat of pre-historic availability of proto-Paleolithic Riwoche horses found in India before the Aryan invasion (Time, Vol 146, No 22; and Down to Earth, 15 February 1996).”
পড়লে মনে হবে ক্যালেন্ডার একমত যে এই আক্রমণ ঘটেছিল। আবার এর দুই অনুচ্ছেদ পরেই বলা হচ্ছে: “The Colonial historians have repetitively avoided the East-West trajectory of Indian Civilization. They forged an Invasion Myth…”
টাইম ম্যাগাজিনের যে লেখা উদ্ধৃত করা হয়েছে, গুগলের সৌজন্যে তা খুঁজে পেলাম। ১৯৯৫ সালের ২৭ নভেম্বর প্রকাশিত সেই রিপোর্টের কিছু অংশ দেখে নেওয়া যাক:
“TREKKING THROUGH REMOTE Northeastern Tibet last September on a field study of the region’s distinctive wild horses, French anthropologist Michel Peissel and his colleagues were raked by icy winds and hailstorms as they followed precarious trails through the mountains. …In early October they reached the rim of a secluded, steep-sided valley.
There they saw, grazing between the trees, a herd of 20 to 25 horses like none Peissel, a leading expert in the species, had ever seen before. They bore a striking resemblance to the horses depicted in prehistoric cave drawings, which are thought to be extinct…. “The beige coat, black and bristly mane and the stripes on its back legs and back are similar to [features of] the most ancient breeds we know,” says Peissel. “The angular shape of the body, and the head in particular, is like that of the horses found in the Stone Age cave paintings.”…
Neither this isolation nor the unusual physical characteristics, however, definitively prove that the breed originated in ancient times. Stephen Harrison, a geneticist at Britain’s Royal Agricultural College who will perform the DNA testing on the Riwoche, cautions that any modern breed of horse if left in the wild for a few generations might revert back to the primitive coloring — the dark dorsal stripe and zebra pattern on the legs. He also points out that a number of known breeds resemble wild horses… “It would be premature to say these [Riwoche] horses are a new species,” Harrison says. “Without tests you cannot tell whether it’s a population of wild horses that have evolved in isolation or a feral population that was once domesticated and has gone wild. The Chinese, of course, were great horsemen even before we had horses in Europe.”
অর্থাৎ আই আই টি-র ক্যালেন্ডারে যাকে “found in India” বলা হয়েছে তা আসলে পাওয়া গেছে তিব্বতে। এ কথা ঠিক যে প্রাগৈতিহাসিক যুগের নিরিখে ইন্ডিয়া বা ভারত, আর তিব্বত — এরকম বিভাগ অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু তিব্বত যদি না বলা হয়, কায়দা করে ইন্ডিয়া বলাটাও কি সমীচীন?
টাইম পরিষ্কার বলেছে, যে সত্যিই এই ঘোড়া প্রাগৈতিহাসিক কিনা জানা যায়নি তখনো, যদিও তা সম্ভব। অর্থাৎ বিবর্তনের মত এক জটিল বিষয়ে চটজলদি উপসংহারে না পৌঁছনোই ভাল। পাশাপাশি “পশ্চিমি” বিজ্ঞানী এক্ষেত্রে খোলাখুলি বলেছেন যে ইউরোপের অনেক আগেই প্রাচ্যে ঘোড়সওয়ারি চালু ছিল। কাজেই “আমরাই সারা পৃথিবীকে সভ্য করিয়াছি” গোছের বক্তব্য সব পশ্চিমি পন্ডিতদের নয়। ‘সেভিয়ার কমপ্লেক্স’ অন্য প্রসঙ্গ এবং অবশ্যই একটি সমস্যা, কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যে এখন অনেক পশ্চিমিই এই মনোভাবের সবচেয়ে বড় সমালোচক। অন্যদিকে ভারতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে জ্ঞান দেবার নামে ইনিয়ে বিনিয়ে ক্যালেন্ডার প্রণেতারাই আর্যদের জয়গান গেয়েছেন।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
২। আর্যদের আক্রমণ বা পরিযান (migration) সম্পর্কে মানুষের মনে ধোঁয়াশা তৈরি করা বা তাকে একদম অস্বীকার করার পিছনে যে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক এজেন্ডা আছে তা অনেকেই জানেন। এখানে দেখা যাক বিজ্ঞান কী বলছে। যদিও হাজার হাজার বছর ধরে মানুষের পরিযানের সঠিক চিত্র পাওয়া দুষ্কর, জেনোমিক বিশ্লেষণ (genome-wide analysis) এক্ষেত্রে অনেকটাই সাহায্য করেছে। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল সাইন্স-এ ২০১৯ সালে প্রকাশিত একটি পেপার (Volume 365 | Issue 6457; 6 September 2019) অনুযায়ী১ এই পরিযান যথেষ্ট জটিল এবং প্রধানত দ্বিমুখী। ইউরেশিয়ার স্টেপ (steppe) অঞ্চল থেকে ইউরোপ অভিমুখে, আবার ওই অঞ্চল থেকেই দক্ষিণ এশিয়ার দিকেও। প্ৰসঙ্গত উল্লেখ্য, এই স্টেপ অঞ্চল মোটেই একটুখানি এলাকা নয়। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা অনুযায়ী প্রায় ৫০০০ মাইল বা ৮০০০ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই তৃণভূমি পশ্চিমে হাঙ্গেরি থেকে ইউক্রেন এবং মধ্য এশিয়া (প্রধানত ভূতপূর্ব সোভিয়েত রিপাবলিক — কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান ও তুর্কমেনিস্তান) হয়ে মাঞ্চুরিয়া, যা কিনা চীন দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে!
৩। “Cyclic Time & Reincarnation” শিরোনামে ফেব্রুয়ারি মাসের পাতায় আর্য ঋষিদের গভীর জ্ঞান, স্থান, কাল এবং তার সাথে পুনর্জন্ম মিশিয়ে খিচুড়ি পাকানো হয়েছে। শুরুটা এইরকম “The cyclic or non-linear patterns of SWASTIKA and arrow of TIME (Forward-future and Backward-past) of the Arya Rishis are also evident in Indus Valley seal…”
এখানে অনেক বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা রয়েছে। অরৈখিক আর চক্রাকার সমার্থক নয়। অরৈখিক সময়ের তীর (যা কিনা সরলরেখাকেই বোঝায়) হল সোনার পাথরবাটি। সর্বোপরি পদার্থবিদ্যা অনুসারে চক্রাকার আর সরলরৈখিক — দুটো সম্ভাবনা মাত্র।২ আবার অরৈখিক সময় নিয়ে ভাবনাচিন্তা অনেক জায়গাতেই হয়েছে সেই প্রাগৈতিহাসিক সময় থেকেই, যদিও তা সর্বদা পুনরাবৃত্তি বা পুনর্জন্ম আকারে নয়। ভারতীয় উপমহাদেশ ছাড়াও সেরকম দৃষ্টান্ত পাওয়া গেছে ব্যাবিলনে, প্রাচীন চীনা সভ্যতায়, মায়া সভ্যতায়, আরও অনেক নেটিভ আমেরিকান সমাজে। কাজেই “cyclic time” ও হিন্দু ধর্মের (বা বৈদিক কি আর্য) চিন্তাধারার অনন্য অবদান নয়।৩
তার থেকেও বড় কথা হল পুনর্জন্মবাদকে বিজ্ঞান (“The science of Palin-genesis”) দাবি করা হয় যে প্রবন্ধে, তাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা প্রায় অসম্ভব। খুব বেশি হলে জন্মান্তরবাদকে দর্শন বা বিশ্বাস বা তত্ত্ব বলা যায়। তা-ও জন্মান্তরবাদ বহু ধর্ম বা মতাদর্শেরই অঙ্গ, শুধু বৈদিক সভ্যতার নয়। ঠিক যেমন নোসিস (gnosis)-এর নিদর্শন আছে অন্যান্য সভ্যতাতেও।
৪। জুন মাসের পাতায় “Rig Veda (1.163) forwards a direct reference of the evolution of the oscillating life current, Agni – the igneous principle, in the imagery of a Horse. Neuro-physiologically, it is the spinal chord, the inner trunk of Yoga shoots above the eyebrow…”। একে তো “spinal cord” কে বেমালুম “chord” বানিয়ে দিলে ভারী বেসুরো শোনায়। তদুপরি মেরুদণ্ডের আভ্যন্তরীণ কান্ড ঠিক কী, তা পরিষ্কার হল না। কিন্তু সবচাইতে যেটা পিলে চমকে দেবার মত খবর, তা হল মেরুদণ্ডের ভ্রু অতিক্রম করে যাওয়া। নিজেরই সব গুলিয়ে যাওয়া আটকাতে একবার যা জানতাম তা ঝালিয়ে নিলাম। American Association of Neurological Surgeons জানাচ্ছেন “Anatomically, the spinal cord runs from the top of the highest neck bone (the C1 vertebra) to approximately the level of the L1 vertebra, which is the highest bone of the lower back and is found just below the rib cage.” মানে মোটামুটি ঘাড়ের জায়গা থেকে শুরু হয়ে পিঠের নীচের দিক অব্দি। তবে ক্যালেন্ডার প্রণেতারা যদি মেরুদণ্ডের উপরে বা নীচে প্রলম্বিত হবার নিদর্শন জেনে থাকেন, পৃথিবীর সমস্ত অঙ্গব্যবচ্ছেদ বিশেষজ্ঞদের কাছেই তা হবে নতুন খবর।
আর্য বা বৈদিক জ্ঞান ও বিদ্যার প্রচারক হলেও এবং পশ্চিমি ধ্যানধারণার প্রতি তীব্র বিতৃষ্ণা থাকা সত্ত্বেও, ক্যালেন্ডারের গল্পকাররা সুবিধা মত নানান পশ্চিমি গবেষণা (অপ্রাসঙ্গিকভাবে হলেও) তুলে ধরেছেন।
যেমন জুলাই মাসের বিষয় ‘Column of Cosmic Light & Aeons of Time’-এর প্রথম অনুচ্ছেদ শেষ হচ্ছে এভাবে “The black (Krishna) and white (white) tradition of the Yadjur Veda provide two full chapters on the Shiva, the cosmic column of light and the rolls of time.”
দৃষ্টিগোচর মহাবিশ্বের যতটুকু আমরা জেনেছি তাতে “cosmic column of light and rolls of time” কতটা প্রাসঙ্গিক, সবিস্তারে দেখা যাক। নাসা বলছে এমন অনেক নীহারিকা বা নেবুলা রয়েছে, যার অভ্যন্তর “নক্ষত্র তৈরির কারখানা” (active star-forming region)। একে অনেকে “সৃষ্টির স্তম্ভ” (The Pillars of Creation) বলেন। সেই স্তম্ভ অবশ্য মহাজাগতিক ধুলিকণা এবং অক্সিজেন, সালফার, নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন বাষ্প দিয়ে তৈরী। নাসা আরও বলছে “The pillars are bathed in the scorching ultraviolet light from a cluster of young stars located just outside the frame. The winds from these stars are slowly eroding the towers of gas and dust.”
অর্থাৎ “মহাজাগতিক আলোর কিরণ” বলতে যদি ক্যালেন্ডার এরকম নেবুলাকেই বুঝিয়ে থাকে, নাসার বর্ণনা বলছে এ কোন প্রকান্ড ভাস্বর আলোর রোশনাই নয়, বরং তা নিজেই অন্যান্য নক্ষত্র দ্বারা প্রজ্জলিত। এটাও খেয়াল করা দরকার যে ওরকম কোনো একমেবাদ্বিতীয়ম আলোর স্তম্ভ আদৌ নেই। আমাদের মিল্কি ওয়ে ছায়াপথে কয়েক হাজার এবং বিভিন্ন রকমের নীহারিকা রয়েছে। তার মধ্যে কিছু কিছু আসলে মৃতপ্রায় নক্ষত্র। এখানে বলে রাখা ভাল যে ক্যালেন্ডার প্রণেতারা পরিষ্কার করে জানাননি মহাজাগতিক কোন বস্তুর কথা বলতে চেয়েছেন, কিন্তু অন্য কিছুর সঙ্গে ওঁদের বর্ণনা মেলানো আরও কঠিন।
আরও নানারকম গোলমেলে নিদর্শন আছে, সময় ও পরিসরের অভাবে মাত্র কয়েকটা উল্লেখ করলাম। আবোল তাবোলের তালিকা দীর্ঘতর না করে বলি, মেঘনাদ সাহাকে তাঁর গবেষণার বিষয়বস্তু শুনে যে লোকটি বলেছিল “সবই ব্যাদে আছে”, সে এখন দলে ভারী হয়েছে।
মতামত ব্যক্তিগত
২। https://www.forbes.com/sites/startswithabang/2019/06/07/does-time-have-a-beginning/?sh=57aeac16513b
৩। https://aeon.co/essays/is-time-a-linear-arrow-or-a-loopy-repeating-circle
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।