রাকেশ টিকায়েত

এই ঐতিহাসিক দিনে ঠিক কী বলা উচিত, তা আমি জানি না। প্রথমেই শ্রদ্ধা জানাতে চাই সেইসব শহিদ কৃষককে, গত এক বছরে যাঁরা কালা কৃষি কানুন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করতে এসে প্রাণ ত্যাগ করেছেন। আজ, এই সাফল্যের দিনে তাঁদের কথাই প্রথমে মনে পড়ছে।

আমরা, আন্দোলনের নেতৃত্ব, সবসময় সচকিত থাকতাম, এই বুঝি আবার কোনো কৃষকের মৃত্যুসংবাদ এল। আসতও একটানা। কমবয়সী যুবক বা কিশোর থেকে শুরু করে প্রবীণ — অসংখ্য কৃষক শহীদ হয়েছেন। কেন মারা গেলেন তাঁরা? কেন ঘরবাড়ি ছেড়ে পড়ে থাকলেন রাস্তায়? তাঁরা এই দেশের কৃষিব্যবস্থাকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন। সে জন্য আত্মবলিদান দিয়েছেন।

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন

~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

প্রধানমন্ত্রী দেখলাম বলেছেন, আন্দোলন তুলে নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে। আমরা দুঃখিত, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আমরা আপনাকে বিশ্বাস করতে পারছি না। আপনার কথায় ভরসা করতে পারছি না। আপনি সংসদের অধিবেশনে আইন রদ করুন, তারপর আমরা রাস্তা ছাড়ব। এতদিন তো রাস্তায় থাকলাম, আরও কিছুদিন থাকব। জয় ছিনিয়ে এনে তবে ঘরে ফিরব।

এটা কৃষকদের আন্দোলন, কোনো রাজনৈতিক দলের আন্দোলন নয়। বামপন্থীরা এই আন্দোলনে আছেন, আবার মমতা দিদিও সমর্থন দিয়েছেন। অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব সমর্থন করেছেন। কংগ্রেস দল, রাহুল গান্ধী সমর্থন করেছেন। আমরা সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। দেশ তো সবার। সবাই মিলে দেশের কৃষিব্যবস্থাকে বাঁচাতে হবে।

আপনাদের রাজ্যে ভোটের প্রচারে আমরা গিয়েছিলাম। বলা ভালো, যেতে বাধ্য হয়েছিলাম। বিজেপি যা করেছে কৃষকদের সঙ্গে, তাতে ওদের হারানোর ডাক দিতেই হত। বাংলায় ওরা হেরেছে। বিহারে একটুর জন্য হারেনি। অন্য রাজ্যেও ওরা হারবে। কৃষকবিরোধী এই সরকারকে দেশের কৃষকরা চিনে নিয়েছে।

আগে শীতকালীন অধিবেশনে কৃষি আইন সব প্রত্যাহার হোক, সরকার এমএসপি সংক্রান্ত দাবি মানুক, তারপর যাঁরা এতদিন ধরে কৃষকদের এত অপমান করলেন তাঁরা ক্ষমা চান। অন্নদাতাদের যাঁরা অপমান করেন, অপবাদ দেন, তাঁরা দেশকে ভালবাসতে জানেন না।

~ এক বছরের উপর চলা কৃষক আন্দোলনের চাপে বাধ্য হয়ে কৃষি বিল প্রত্যাহারের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আন্দোলনের সব থেকে বড় সাফল্যের দিনে নাগরিক ডট নেটকে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানালেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতা ও কৃষক আন্দোলনের যৌথ নেতৃত্বর সর্বাধিক পরিচিতি মুখ রাকেশ টিকায়েত।
– অনুলিখন অর্ক।

নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.