যাদবেন্দ্র পাঁজা
কংগ্রেস করতেন, বিধানচন্দ্র রায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। শঙ্খ ঘোষ এই মানুষটিকে প্রথম দেখার অভিজ্ঞতা লিখে রেখেছেন। বাঘা যতীনের শিষ্য, স্বাধীনতা সংগ্রামী কিরণচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ১৯৫০ সালে থাকতেন কলেজ স্ট্রিটে ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটের পিছনে এক গলিতে এক অকিঞ্চিৎকর বাড়ির দোতলা কি তেতলার একটি ঘরে। সে ঘরের বর্ণনা এরকম “এক প্রান্তে একটা শতরঞ্চি বিছানো, অন্য প্রান্তে আরেকখানা। শতরঞ্চির ওপর অল্পস্বল্প শয্যাসম্বল আর পাশে একখানা টিনের সুটকেস, দু-প্রান্তেই।” একদিকে বসে কিরণচন্দ্র অন্য দিকে শুয়ে থাকা একজনকে হেঁকে বলেন “সময় হয়নি? যেতে হবে না?” সেই মানুষটি উঠলেন, ব্র্যাকেটে ঝোলানো একখানা আধময়লা পাঞ্জাবি পরে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন। শঙ্খ ঘোষ তাঁকে চিনতেন না। কিরণচন্দ্রের মুখে পরিচয় শুনে বিস্মিত হলেন। তারপর:
যাদবেন্দ্র পাঁজা? মন্ত্রী?
আমার চোখে বিস্ময় লক্ষ করে কিরণদা বলেন: ‘মন্ত্রী তো কী হলো, সেটা কোনো কথা নয়, ও হলো যাদবেন্দ্র পাঁজা। এখন বেরিয়ে গিয়ে রাইটার্সে যাবে, হয়তো হেঁটে হেঁটেই।’
সুবোধ ব্যানার্জি
প্রথম যুক্তফ্রন্ট সরকারের শ্রমমন্ত্রী। এঁর বিষয়ে ১৯৯৭ সালে লিখেছিলেন বিখ্যাত আমলা দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সুবোধবাবু যখন মৃত্যুশয্যায়, তখন কংগ্রেস সরকারের শ্রমমন্ত্রী গোপাল দাস নাগের মহানুভবতায় বিদেশ থেকে একটি অত্যন্ত দামি এবং এ দেশে পাওয়াই যায় না এমন ওষুধ আনানো হয়েছিল। ডাক্তারদের মতে সেই ওষুধের কয়েকটা ডোজ নিতে পারলে সুবোধবাবুর আয়ু খানিকটা বেড়ে যেতে পারত। কিন্তু বাণিজ্যিক সংস্থার আনুকূল্যে আনানো সেই ওষুধ ফিরিয়ে দেন মৃত্যুপথযাত্রী মানুষটি, তাঁর স্ত্রী এবং কন্যা।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যে বিনয় চৌধুরী বা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জীবনযাত্রার সারল্য, সততা নিয়ে আজ অবধি মুখে মুখে ফেরে। জ্যোতি বসু স্কচ খেতে ভালবাসতেন, অভিজাত ক্লাবের সদস্য ছিলেন, প্রাসাদোপম সরকারি বাড়িতে থাকতেন। তাঁর ছেলে পিতৃপরিচয় ব্যবহার করে শিল্পপতি হয়েছেন কিনা তা নিয়ে বিস্তর নিউজপ্রিন্ট খরচ হয়েছে একসময়, কিন্তু জ্যোতিবাবুর বিরুদ্ধেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠেনি। বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে একমাত্র প্রফুল্ল সেনের বিরুদ্ধেই বিরোধীরা (বামপন্থীরা) দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে প্রমাণিত হয়েছে, সে অভিযোগও মিথ্যা।
উদাহরণের তালিকা আরও দীর্ঘ করা সম্ভব, কিন্তু নিষ্প্রয়োজন। কারণ এই নাতিদীর্ঘ তালিকাই এটুকু প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে প্রথম ক্ষমতাশালী রাজনীতিবিদ নন যিনি সততার পরাকাষ্ঠা বা সাদাসিধে জীবন কাটান। অথচ পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম গত এক দশকে তেমনটাই প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে গেছে ক্রমাগত। আজ যদি আপামর পশ্চিমবঙ্গবাসীর ধারণা হয়ে থাকে, তৃণমূল কংগ্রেসের আর সব নেতা দুর্নীতিগ্রস্ত হলেও দিদি সৎ — তার কৃতিত্ব মমতার চেয়েও এ রাজ্যের সংবাদমাধ্যমের বেশি। জাতীয় স্তরের বেশকিছু সংবাদমাধ্যম মোদী বন্দনার জন্য কুখ্যাত। তাদের প্রচারে তবু একটি সঙ্গতি আছে। তারা কেবল মোদীকে পুরুষোত্তম সত্য হিসাবে উপস্থিত করে না; অনুরাগ ঠাকুর, কিরেণ রিজিজু, স্মৃতি ইরানির মত চুনোপুঁটি বিজেপি নেতা নেত্রী থেকে শুরু করে হেভিওয়েট অমিত শাহ পর্যন্ত সকলকেই সকল গুণের আধার হিসাবে বর্ণনা করে। বাংলার সংবাদমাধ্যম কিন্তু তেমন নয়। অনুব্রত মণ্ডল যে প্রকৃতপক্ষে বাহুবলী, তা দেখাতে এখানকার খবরের চ্যানেলগুলোর আপত্তি নেই। নারদ স্টিং অপারেশনের সময়ে স্টুডিওতে সভা বসিয়ে ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়, শোভন চ্যাটার্জি, শুভেন্দু অধিকারীদেরও যথেষ্ট নিন্দা করা হয়েছে। গ্রেপ্তারির পর মদন মিত্রের নিন্দাও কাগজে বেরিয়েছে, কুণাল ঘোষ যে দুর্নীতিগ্রস্ত সে কথাও দিবারাত্র উচ্চারিত হয়েছিল যথাসময়ে। আর পার্থ চ্যাটার্জির বেলায়? ইংরেজিতে একটা কথা আছে – washing dirty linen in public। বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে ২২ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার পর থেকে তো আক্ষরিক অর্থেই পার্থবাবুর বিছানার চাদর, বালিশের ওয়াড়, অন্তর্বাস জনসমক্ষে ধোলাই করছে মিডিয়া। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর দলের আর সকলকে অসৎ বলতে বাংলার সংবাদমাধ্যম রাজি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সব সন্দেহের ঊর্ধ্বে। তিনি যেন পদ্মফুল – পাঁকে থাকেন কিন্তু গায়ে পাঁক লাগে না।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন রাজ্য উত্তাল, তখন সংবাদমাধ্যম নিয়ে এই আলোচনার কী দরকার? অভিযুক্ত তো রাজ্যের একজন মন্ত্রী এবং তাঁর বান্ধবী। মুখ্যমন্ত্রী তো নন, সংবাদমাধ্যমও নয়।
আরো পড়ুন সাংবাদিকতাকে বন্দী করেছে বিজ্ঞাপন
দরকার কারণ পশ্চিমবঙ্গ অনেকদিন হল কিছু মৌলিক গণতান্ত্রিক রীতিনীতির উল্টো দিকে হাঁটছে। যেমন গণতন্ত্রে সবাই সবার কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। কিন্তু এ রাজ্যে সংবাদমাধ্যম সবার (আক্ষরিক অর্থে নেবেন না) কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারলেও তার কার্যকলাপ নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলে না। প্রকাশ্য সভায় সাংবাদিকরা ভাতার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রীও বলেন সরকারি আধিকারিকরা নজর রাখবেন কে কীরকম খবর করছে। ‘ভাল’ খবর করলে সাহায্য পাওয়া যাবে। এতবড় অগণতান্ত্রিক কাণ্ড নিয়ে কোনো কাগজে কোনো সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয় না, কোনো চ্যানেলে সান্ধ্য বিতর্কসভা বসে না। বোঝাই যায়, মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনগুলো লাইভ দেখলে কেন শেক্সপিয়রের নাটকের মনোলগের দৃশ্য দেখছি মনে হয়।
পশ্চিমবঙ্গে অল্টনিউজ বা নিউজলন্ড্রি নেই, সংবাদমাধ্যমের কভারেজের ভালমন্দ উচিত-অনুচিত নিয়ে কোনো মিডিয়া কাটাছেঁড়া করে না। ফলে সংবাদমাধ্যমের দিকে কোনো আঙুল ওঠে না, কিন্তু তারা নিশ্চিন্তে অন্যদের দিকে আঙুল তুলতে পারে। যেমন ২২ জুলাই টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে কুবেরের ধনের প্রথম কিস্তি আবিষ্কারের পর আটদিন পেরিয়ে গেল, এখনো জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখরা মুখ খুলছেন না বলে তাঁদের দিকে আঙুল তুলছে। সন্দেহ নেই সরকার ঘনিষ্ঠ এই বিখ্যাতরা, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কমিটিতে আসীন এই কৃতীরা, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের পক্ষে কথা বলা এই খ্যাতিমানরা এত বড় কাণ্ডে চুপ করে থাকলে এঁদের বিশ্বাসযোগ্যতাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু মজার কথা, বাংলার সংবাদমাধ্যম কেবল সেই বিখ্যাতদের দিকেই আঙুল তোলে যাঁরা সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য নন। দেব, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান বা সায়নী ঘোষের মত যে বিখ্যাতরা রীতিমত দলে যোগ দিয়েছেন, কেউ কেউ নির্বাচনে জিতে সাংবিধানিক পদ আলো করে আছেন, তাঁদের প্রতিক্রিয়া অগ্রাধিকার পায় না। বগটুই কাণ্ডের পর কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম কোন কোন বিখ্যাত মানুষ কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি তার আলাদা তালিকা পর্যন্ত প্রকাশ করেছিল। অথচ দেব, মিমি, নুসরতরা প্রতিক্রিয়া না দিলে কেন দিলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় না। অথচ তাঁরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, এসব নিয়ে কথা বলা তাঁদের সাংবিধানিক দায়।
দায়ের কথা বলতে গেলে এ কথাও বলতে হবে, দুর্নীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কথা তুলে ধরা সংবাদমাধ্যমের দায়। গত আটদিনে বাংলার সংবাদমাধ্যম সে দায় পালন করতে উৎসাহী হয়েছে। পার্থবাবুকে ফোন করে চাকরিপ্রার্থীদের যন্ত্রণা জানিয়ে বেকুব হয়েছিলেন – এরকম এক নীচু তলার তৃণমূল কর্মীর ফোনালাপের অডিও প্রকাশ্যে এনেছে একটি চ্যানেল। সেই কর্মীটিকে সাদরে স্টুডিওতে ডেকে এনে সান্ধ্য বিতর্কসভায় স্থানও দেওয়া হয়েছে একদিন। পাঁচশো তিন দিন ধরে যাঁরা রাস্তায় বসে আছেন তাঁদের কয়েকজনকেও এখন এ চ্যানেল সে চ্যানেলে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে। একটি চ্যানেলে তাঁদের কয়েকজনকে কান্নায় ভেঙে পড়তেও দেখা গেল। যৌবন চুরি হয়ে যাওয়া এই অসহায়, বিধ্বস্ত মানুষেরা এখন চ্যানেলগুলির হঠাৎ হাওয়ায় ভেসে আসা ধন হয়ে উঠেছেন। ঝকঝকে চেহারার অ্যাঙ্কররা যথাসম্ভব আবেগ সহকারে ভুরু কুঁচকে প্রশ্ন করছেন “আর কতদিন…?” কিন্তু এই চাকরিপ্রার্থীদের কেউ যদি আচমকা অ্যাঙ্করকে জিজ্ঞেস করে বসেন “আপনারা এতদিন কোথায় ছিলেন”, তাহলে পালাবার পথটা দেখে রাখা ভাল। কারণ লেখাপড়া জানা ছেলেমেয়েরা, আমাদের ছেলেমেয়েদের হবু শিক্ষক-শিক্ষিকারা যে রাস্তায় বসে আছেন – এ দৃশ্য বাংলার চ্যানেলওয়ালা, কাগজওয়ালাদের গত আট দিনে চোখে পড়েছে। তার আগের ৪৯০-৯৫ দিন ক্যামেরা আর ল্যাপটপগুলো অন্য কোনো গুরুতর খবর নিয়ে ব্যস্ত ছিল। কোটি পঞ্চাশেক নগদ টাকা আর গয়নাগাঁটি উদ্ধার না হলে ৫০০ দিন পেরোলেও আন্দোলনকারীদের দিকে নজর পড়ত কিনা সন্দেহ আছে। চক্ষুলজ্জাই এ যাত্রায় ক্যামেরা এবং কম্পিউটারগুলোর মুখ আন্দোলনকারীদের দিকে ঘুরিয়ে দিল হয়ত। গত এগারো বছরে কলকাতার বুকে এসএসসি, টেট, মাদ্রাসা – নানারকম শিক্ষকদের একাধিক অবস্থান বিক্ষোভ হয়েছে, শিক্ষক-হবু শিক্ষকরা পুলিসের লাঠির বাড়ি খেয়েছেন, জলকামান দিয়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে। মারাও গেছেন বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী। সেসব আন্দোলনকে প্রধান খবরের মর্যাদা দেয়নি কোনো খবরের কাগজ বা চ্যানেল। প্রথম পাতার খবর হয়েছে, যখন দীর্ঘ আন্দোলন ভাঙতে মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে আন্দোলনকারীদের শুকনো আশ্বাস দিয়েছেন বা আদালত বলেছে, আপনার অমুক জায়গায় বসবেন না, তমুক জায়গায় বসুন। সাধারণ মানুষের অসুবিধা করে আন্দোলন করা চলবে না।
এখনো কভারেজের অনেকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে পার্থ-অর্পিতার সম্পর্কের রসাল খুঁটিনাটি। যে অধ্যবসায়ে কোন গাড়িতে লং ড্রাইভে যেতেন আর কোন বাগানবাড়িতে চেটেপুটে খিচুড়ি খেতেন তা রিপোর্ট করা চলছে, তাতে মনে হচ্ছে বাংলার মিডিয়া স্রেফ একটা সেক্স টেপের অপেক্ষায় আছে। সেটা পাওয়া গেলেই আন্দোলনকারীরা আবার অবজ্ঞার অন্ধকারে তলিয়ে যাবেন, দুর্নীতিও চাপা পড়ে যাবে। এই অধ্যবসায় ক্ষমতাকে প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে থাকলে, সত্য উদ্ঘাটন করার এই অদম্য উৎসাহ আগে দেখালে নিয়োগ দুর্নীতি প্রকাশ করতে আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হত না। কাজটা পশ্চিমবঙ্গের সদাজাগ্রত সংবাদমাধ্যমই করতে পারত।
‘বিশ্বাসে মিলায় সততা, তর্কে বহুদূর’ মন্ত্রে বিশ্বাসী মিডিয়া কিন্তু এখনো প্রশ্ন করছে না, মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো আন্দোলনকারীদের আশ্বাস দিতে পারেন কোন প্রশাসনিক অধিকারে? তিনি তো সরকারের কেউ নন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে কেন কথা বলছেন না? শুধু কথা বলে কী হবে, সে প্রশ্নও করছে না খুব বেশি মিডিয়া। গত কয়েক দিনে আবার কিছু বর্ষীয়ান সাংবাদিক সোশাল মিডিয়ায় বনলতা সেনগিরি করতে নেমেছেন। বাম আমলে কী হয়েছে, সব জানি। বেশি বাড়াবাড়ি করলে লিখে দেব – এই জাতীয় পোস্ট দেখা যাচ্ছে। এঁরা কি বুঝছেন না, এই উচ্চারণে মিডিয়ার কর্তব্যে অবহেলাই আরও পরিষ্কার হচ্ছে? বাম আমলের দুর্নীতির কথা জানা ছিল, অথচ রিপোর্ট করা হয়নি – এ যদি সত্যি হয়, সে দায় সংবাদমাধ্যম ছাড়া কার?
মতামত ব্যক্তিগত
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।