ক্ষমতার আস্ফালন না দেখালে স্বৈরাচারী শাসকের চলে না। নিয়ম, বিধি, রীতি, সমালোচনার তোয়াক্কা না করে নিজের পথে অটল থাকাই তাদের চারিত্র বৈশিষ্ট্য। যে যত বেপরোয়া তার তত দর। এলাকার দুষ্কৃতি থেকে শুরু করে রাষ্ট্রনায়ক – সকলের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। নিজেকে কীর্তিমান হিসেবে দেখিয়ে অমর থাকার নেশাও তাদের পেয়ে বসে। সেই কীর্তি যখন অপকীর্তি হয় এবং তার নেশায় স্বৈরাচারী শাসক মশগুল হন, তখন তাঁর পতন অনিবার্য।দেশের নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আচরণ সেই সার সত্যকেই আবার মনে করিয়ে দিচ্ছে।

আজ নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন হল। উদ্বোধন করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। এমন এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন রাষ্ট্রপতির হাত দিয়ে হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাঁর বদলে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধী দলগুলি এককাট্টা হয়ে এই অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আদর্শ একনায়কতন্ত্রী হিসেবে যথারীতি এরজন্য বিরোধীদেরই কটাক্ষ করেছেন। তার সঙ্গে জড়িয়ে দিয়েছেন, জাতীয়তাবাদের আবেগ।

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন

~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

কেবল রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ না জানানোই নয়, উদ্বোধনের দিনটি নিয়েও বিতর্ক চলছে। দিনটি হিন্দুত্ববাদীদের নায়ক বিনায়ক দামোদর সাভারকরের জন্মদিন। সাভারকরদের স্বপ্নের হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার পথে অবিচল বিজেপি। তাঁর জন্মদিনটিকে বেছে নিয়ে সেই বার্তাই তারা দিতে চায়। স্বপ্নের হিন্দু রাষ্ট্রে আজকের ভারতের সংবিধান অচল। তাই সংসদ ভবন উদ্বোধন রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে না করে কেন্দ্রীয় সরকার সেই বেপরোয়া মনোভাবই দেখাল।

সংবিধান অনুসারে, রাষ্ট্রপতি সংসদের অভিভাবক। সেই কারণে তাঁকে দিয়ে ভবনের উদ্বোধন করানোই যুক্তিযুক্ত। কিন্তু সংবিধান মানার মাথার দিব্যি কখনই বিজেপি তথা সংঘ পরিবার দেয়নি। বিজেপির নেতা, কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীমশাইরাও একাধিকবার সংবিধান বিরোধী কথা বলেছেন। সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা, সাম্যের অঙ্গীকার তাঁদের আদর্শ বিরোধী। সংবিধান প্রণয়নের সময় থেকেই আরএসএস এর বিরোধিতা করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নিজেদের মতো সংবিধান গড়ার ভিত তৈরি করছে। সংবিধান অমান্য করা বা তার রীতিনীতিকে লঙ্ঘন করা তারই অঙ্গ।

অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়েই নতুন করে সংবিধান রচনার ধুয়ো তোলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, সংবিধানে বহু সংশোধনী এসেছে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, সেই অজুহাতে সংবিধানের মূল বৈশিষ্ট্যগুলিই তাঁরা বদলে দিতে চেয়েছিলেন। ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের প্রবক্তাদের কাছে ভারতীয় সংবিধান যে কখনই গ্রহণীয় নয় তাও বলবার অপেক্ষা রাখে না। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থানের আদর্শে বিশ্বাসীরা বৈচিত্র্যকে সহ্য করতে অক্ষম। এমনও শোনা গিয়েছিল যে, ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার খোল নলচে বদলে রাষ্ট্রপতি প্রধান একনায়কের দেশ গঠন করাই ঠিক হবে। তাতে নাকি স্থায়ী সরকার হবে। বহুদলীয় গণতন্ত্র, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো হিন্দুত্ববাদীদের আদর্শ রাষ্ট্রের বিরোধী। মোদীও সেই পথেই চলেছেন।

প্রশ্ন উঠতে পারে বিজেপি যদি রাষ্ট্রপতি প্রধান শাসন ব্যবস্থা চায়, তাহলে রাষ্ট্রপতিকে উপেক্ষা করছে কেন? সংবিধানসম্মত প্রাপ্য মর্যাদা দিচ্ছে না কেন? আসলে পদ নয়, ব্যক্তিই তাদের কাছে বড়। নরেন্দ্র মোদীকেই অদ্বিতীয় হিসেবে তুলে ধরতে হবে। দল নয়, মন্ত্রীসভার সদস্যদের যৌথ দায়িত্ব নয়, রাষ্ট্রপতি, নির্বাচিত শাসক বা বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গড়ে ওঠা এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নয়, একজন ব্যক্তিই সব। ব্যক্তির নাম আগামীতে বদলাতে পারে, কিন্তু একনায়কতন্ত্র বদলাবে না। তিনি নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করে চিরকাল ‘অমর’ হয়ে থাকবেন। শাসক হিসেবে দেশের সর্বজনীন উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা, তাঁর অতীতের কাজ এসব কোনোকিছুই বিচার্য নয়। নতুন সংসদ ভবন নয়, তাঁর ক্ষমতা প্রদর্শনই আসল। যা আদতে রাষ্ট্রের ক্ষমতার আস্ফালন। এভাবেই একসময়ে ফ্যাসিস্টরা সংবিধান বদলের অধিকার দাবি করেছিল।

বিনায়ক দামোদর সাভারকরের জন্মদিনটিকে সেই কারণেই উদ্বোধনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। যেন নতুন সংসদ ভবন এক নতুন ভারত গড়ে তুলবে। সে ভারত বৈচিত্র‍্যের ভারত নয়। সে ভারতে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস হবে বিকৃত। গত শতাব্দীর বিশের দশক থেকে রাজনৈতিক হিন্দুত্ববাদ ও রাজনৈতিক ইসলাম যেভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতা করেছে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষে ব্রিটিশদের সহযোগিতা করেছে, তাকেই মহান বলে রাষ্ট্র প্রচার করবে। পাকিস্তান বা বাংলাদেশের মৌলবাদীদের সঙ্গে কোনো তফাত এদেশের হিন্দুত্ববাদীদের নেই। এই ভারতে নেতাজীর বিশাল মূর্তি হবে, গান্ধীজির চশমাকে লোগো করে স্বচ্ছ ভারতের প্রচার হবে আর সাভারকর, গোলওয়ালকর, শ্যামাপ্রসাদ, নাথুরামদের আদর্শ দেশ গড়ার কাজ চলবে। সংসদ, বিচারসভা থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন, নানা তদন্তকারী সংস্থা স্বাধীনতা বিসর্জন দিয়ে শাসকের বশংবদ হবে।

নতুন সংসদ ভবনসহ সমগ্র সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রকল্প সেই আস্ফালনের প্রতীক। ব্রোঞ্জ মূর্তির সিংহের হিংস্ররূপ তারই বার্তা বহন করে। করোনা অতিমারিতে দেশ যখন বিপর্যস্ত, অতিমারি মোকাবিলায় সরকার চূড়ান্ত ব্যর্থ তখন সেন্ট্রাল ভিস্টা নিয়ে আড়ম্বর করতে সরকার এতটুকুও দ্বিধা করেনি। অতিমারি, লকডাউনে যখন দেশ ধুঁকছে তখনই সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রকল্পের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে যখন নতুন সংসদ ভবনের শিলান্যাস হল, তখন অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ দুয়ারে কড়া নাড়ছে। পুরোহিতদের মন্ত্রপাঠে হিন্দু রীতিতে সেই শিলান্যাস হয়। তারপর দিল্লির রাজপথ জুড়ে অতিমারিতে মৃত মানুষের দেহ, মৃতদেহ দাহের মর্মান্তিক দৃশ্য আমরা দেখেছি। কিন্তু ভিস্টার কাজ বন্ধ হয় নি। জরুরি পরিষেবা বলে চালু রাখা হয়।

সেই প্রকল্পের অধীন নতুন সংসদ ভবন নির্মাণে প্রথম খরচ ধরা হয়, ৮৬২ কোটি টাকা। বরাত পায় টাটা গোষ্ঠী। ২০২২ সালের সংবাদমাধ্যম এন ডি টি ভি’র রিপোর্ট অনুযায়ী খরচ বেড়ে হয় ১২৫০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী তথা সরকারের দাবি নতুন সংসদ ভবন নাকি দেশের গণতন্ত্রকেই গৌরবাম্বিত করবে। অথচ, বিজেপির আমলেই সংসদের অধিবেশনকে গুরুত্বহীন করা হয়েছে। সংসদে বিতর্ক ছাড়া, স্ট্যান্ডিং কমিটির অভিমতকে গুরুত্ব না দিয়ে একের পর এক আইন সংশোধিত হয়েছে। অতিমারির সুযোগে সংসদকে এড়িয়ে নেওয়া হয়েছে নানা গুরুত্বপূর্ণ নীতি।

সবচেয়ে বড় কথা সংসদ ভবনকে আধুনিক স্থাপত্যে ঝাঁ চকচকে করলেই গণতন্ত্র শক্তিশালী হয় না। গণতন্ত্র শক্তিশালী হয় নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার দিয়ে ও অর্জিত অধিকারগুলি রক্ষা করে। বিজেপির নয় বছরের শাসন ক্ষমতায় উল্টোটাই ঘটছে। মত প্রকাশ, প্রতিবাদ করার, ঐক্যবদ্ধ হওয়ার স্বাধীনতা রাষ্ট্র কেড়ে নিচ্ছে। অসহিষ্ণুতা ও অপরের প্রতি হিংসাকে রাষ্ট্র মদত দিচ্ছে। অতিমারির সুযোগে শ্রম বিধি, জাতীয় শিক্ষানীতির মাধ্যমে অর্জিত অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দানবীয় কৃষি আইন প্রণীত হয়েছে। আন্দোলনের চাপে তা প্রত্যাহার করা হলেও, প্রতিশ্রুতি সরকার রক্ষা করে নি। অতিমারির আগেই ৩৭০ ধারা ও ৩৫ এ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীরকে তিন ভাগ করা হয়েছে। দেশজুড়ে এন আর সি চালুর হুঙ্কার দিয়ে নাগরিকত্বই কেড়ে নেওয়ার আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। যে সরকারের আমলে সরকার বিরোধিতা আর দেশদ্রোহিতাকে এক করে দেখা হয়, সে সরকার গণতন্ত্রের উৎসব করলে আতঙ্কই বাড়ে।

বলা হচ্ছে, সংসদ ভবনে নাকি স্থান সঙ্কুলান হচ্ছিল না। আগামীদিনে জনপ্রতিনিধির সংখ্যা বাড়বে। শোনা যাচ্ছে ডিলিমিটেশনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে সংসদে আসন সংখ্যা বাড়ানোর নকশা তৈরি। বিন্যাস এমনভাবে হবে যাতে একটি দুটি রাজ্যে বিপুল আসন জিতলেই দেশ শাসন করা যাবে। বাকি রাজ্যগুলিকে অবজ্ঞা করে হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থানের প্রকল্প বাস্তবায়িত করা যাবে। নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের পেছনে এটিও অন্যতম কারণ।

সংসদ ভবন নির্মাণসহ সমগ্র সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রকল্পকে জাতীয়তাবাদী প্রচারে নিয়ে আসা হয়েছে। মোদির রাজত্বে এটাই দস্তুর। এখানে দেশের কোনো শিল্পগোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারি মোকাবিলাতেও জাতীয়তাবাদের আবেগ ব্যবহার করা হয়। কোম্পানির কর্তা জাতীয় পতাকা দেখিয়ে বিবৃতি দেন। জাতীয় পতাকা নিয়ে ধর্ষকের সমর্থনে মিছিল হয়। দেশের নাগরিকের জমি, ভিটে কেটে কর্পোরেট দানবদের মুনাফা বৃদ্ধির খেলাও চলে জাতীয়তাবাদী টোটকা দিয়ে। আত্মনির্ভর ভারতের নামে কর্পোরেটদের মুনাফা বাড়িয়ে অর্থনীতি, দেশবাসীকে তাদের ওপরে নির্ভর করতে বাধ্য করা হয়। ভারত নির্মাণের নামে চলে বিনির্মাণ। প্রাকৃতিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় সম্পদের ওপর কর্পোরেটের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা যার লক্ষ্য। যে জাতীয়তাবাদ আসলে দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধে নামে।

স্থাপত্য জাতীয়তাবাদের অস্ত্রে অমরত্বের প্রত্যাশাও একনায়কতন্ত্রের সাধারণ চারিত্র বৈশিষ্ট্য। সংঘ পরিবার ইতিহাস বিকৃত করতে স্থাপত্য নিয়ে বিতর্ক ও দাঙ্গা বাধাতে সিদ্ধহস্ত। নতুনভাবে রাজধানী সাজানোর নামে সেই অস্ত্রেও শান দেওয়া হবে। এভাবেই মুঘল স্থাপত্যের ইতিহাসকে বিকৃত বা ধ্বংসের কাজকে ত্বরাম্বিত করা যাবে।

বিরোধী দলগুলির ঐক্যবদ্ধ হয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আগামী বছর ভোটের আগে এই ইস্যুতে বিরোধী ঐক্যের গুরুত্ব কম নয়। মূলত রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রশ্নেই বিজেপি বিরোধীরা এক হয়েছে। কিন্তু সার্বিকভাবে সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রকল্প নিয়েই তাদের এক হয়ে প্রশ্ন তোলা দরকার। প্রশ্ন তোলা দরকার সার্বিকভাবে বিজেপির নীতির বিরুদ্ধে। তবেই বিজেপি বিরোধী ঐক্য মজবুত হবে।

nda candidate draupadi murmu narendra modi
দ্রৌপদী মুর্মু ও নরেন্দ্র মোদী। ছবি উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে

কিন্তু এই ক্ষেত্রে বড় প্রশ্ন চিহ্ন রয়ে যাচ্ছে। এন আর সি বিরোধী আন্দোলন বা দিল্লি দাঙ্গার সময়ে আম আদমি পার্টির অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন আছে। সংসদেও নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারে নি। অনেক রাজ্যে জেতার সম্ভাবনা না থাকলেও ভোটে লড়ে বিজেপির সুবিধে করে দিয়েছে আপ। উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে একই কাজ করেছে তৃণমূল।

আসলে সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রকল্প নয়া উদারনীতির উন্নয়নেরই অঙ্গ। যেখানে নতুন স্থাপত্য, আড়ম্বরে, আড়ালে চলে যায় সর্বজনীন উন্নয়নের প্রসঙ্গ। বিধানসভার অধিবেশন গুরুত্বহীন করা, বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার অভিযোগ বাংলা সহ অনেক বিজেপি বিরোধী দল শাসিত রাজ্যেই রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, কর্পোরেটের প্রিয় পাত্র হয়ে থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই হয় না। সংসদের বাইরে তো বটেই, এমনকী সংসদীয় রাজনীতিতেও নয়। সংসদীয় রাজনীতিতে আদর্শের রসায়ন থেকেও পাটিগণিতের হিসেব বড়। তাকে কেন্দ্র করে চলে নানা জোট সমীকরণ। তাই বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির ঐক্যবদ্ধ হওয়া নিয়েও সংশয় রয়েছে।

ঐক্য সুদৃঢ় হয় নীতির ভিত্তিতে। পুঁজিবাদী উন্নয়নের মডেল মেনে নিলে তা হয় না। নিজ রাজ্যে শাসন ক্ষমতায় থেকে একনায়কতন্ত্র চালালেও নয়। পাটিগণিতের হিসেবে তখন বিজেপির সঙ্গে গোপন বোঝাপড়াও অসম্ভব নয়। নীতির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ লড়াই পারবে

সেই জোট গড়তে। মানুষের গণতান্ত্রিক আন্দোলনই পারে সেই প্রেক্ষাপট রচনা করতে।

~ মতামত ব্যক্তিগত

নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.