পাকিস্তানের রাজনৈতিক সঙ্কট ক্রমশ গভীরতর হয়ে উঠছে এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপর প্রাণঘাতী আক্রমণ পরিস্থিতি আরও অস্থির করে তুলেছে। এ বিষয়ে ইমরানের অভিযোগের তীর শাহবাজ শরিফের অধীন ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) [পিএমএল-এন] সরকারের বিরুদ্ধে। এখানে উল্লেখযোগ্য যে শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। ইমরান খানের উপর হামলার সম্ভাব্য নিহিতার্থ নিয়ে আলোচনা করার আগে অতীতের ঘটনাগুলোর পুনরুল্লেখ প্রয়োজন। যে অতীত ইমরান খানের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল এবং একটি বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল।
পাকিস্তান ক্রিকেটে তাঁর অতুলনীয় অবদানের জন্য ইমরান খান ‘কাপ্তান সাহেব’ নামেই বহুল পরিচিত এবং একইসঙ্গে অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। যদিও তিনি অনেক জটিল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তবু বিশেষ করে দেশের যুবসমাজে তাঁর জনপ্রিয়তা কমেনি। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ধারা অনুযায়ী পাকিস্তানের রাজনীতিও মুষ্টিমেয় প্রভাবশালী পরিবারের দ্বারাই পরিচালিত এবং সেখানে ইমরান বহিরাগত হয়েও ইতিহাস গড়েছেন। তিনি কি এই পথে সম্পূর্ণ একা ছিলেন? কখনোই নয়। পাকিস্তানের প্রত্যেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এক অদৃশ্য শক্তির ছায়ায় থাকেন। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, সেই শক্তির মদত ছাড়া ইসলামাবাদের মসনদে বসা সম্ভব নয়। এরা এতটাই প্রভাবশালী যে কোনো ব্যক্তি তাদের ছাপিয়ে গেলে তাঁর রাজত্বের অবসান ঘটে। গত ৭৫ বছরে এই অদৃশ্য শক্তি বহু নায়ককে মসনদে বসিয়েছে এবং সরাসরি তার ভাগ্য নির্ধারণ করেছে। আর কেউ নয়, এই শক্তি হল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। তাদের অঙ্গুলিহেলন ব্যতীত পাকিস্তানে কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় না।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
এক সময়ের নয়নের মণি ইমরান এখন সেনাবাহিনীর চোখে ‘লুসিফার’ (পতিত দেবদূত) হয়ে উঠেছেন। ২০১৮ সালের যে নির্বাচনের মাধ্যমে ইমরান ক্ষমতায় আসেন, তা পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে ন্যক্কারজনক নির্বাচন। এর সম্পূর্ণ দায় বর্তায় পাকিস্তানি সামরিক শক্তির উপর, যারা এই নির্বাচনকে ভয়াবহ ও রক্তাক্ত করে তুলতে কোনো কৌশলই বাদ দেয়নি। প্রাক-নির্বাচন কারচুপি থেকে শুরু করে ভীতিপ্রদর্শন, সংবাদমাধ্যমের উপর নিপীড়ন, এমনকি লাহোর সেনা ছাউনি থেকে মুখোশধারী লোকেদের দ্বারা সাংবাদিকদের অপহরণ করার অভিযোগ পর্যন্ত শোনা গেছে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত হলেও দেশে তাঁর জনপ্রিয়তা তখনো হ্রাস পায়নি এবং তিনি কন্যা মারিয়মের সঙ্গে লন্ডন থেকে ফিরে এলে ঠিক নির্বাচনের আগে তাঁকে কারারুদ্ধ করা হয়। শেখ রশিদ আহমেদ, দুই স্বৈরাচারী শাসক জেনারেল জিয়া এবং মোশারফ, উভয়ের সরকারেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং পরবর্তীকালে তিনি ইমরানেরও অত্যন্ত আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। তাঁর নির্বাচনী এলাকায় শরিফের পার্টির অন্যতম নেতা হানিফ আব্বাসি তাঁর বিরুদ্ধে ছিলেন। এই বিরোধিতার অপরাধে তাঁকে একটি সাত বছরের পুরনো মাদক কাণ্ডে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়, তাও নির্বাচনের ঠিক চার দিন আগে। সামরিক শক্তির উপর দেশের সাধারণ মানুষের অনাস্থা ও অসন্তোষ ক্রমশ বাড়তেই থাকে। এমনকি রাওয়ালপিণ্ডির পথে পথে সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় দফতরের অদূরেই শোনা যেতে থাকে মানুষের কোলাহল—“ইয়ে জো দেহশতগরদি হ্যয়, ইস কে পিছে ওয়ারদি হ্যয়!” (এই সন্ত্রাসবাদের পিছনে উর্দি রয়েছে)।
শরিফ সামরিক শক্তির এই অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠেন এবং তা সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কিন্তু এই শক্তিকে প্রতিহত করা কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছিল না। সংবাদমাধ্যমের উপর ভয়ঙ্কর দমনপীড়ন চালানো হয়। এমনকি জনপ্রিয় চ্যানেল জিও টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং পাকিস্তানের প্রাচীনতম সংবাদপত্র ডন প্রকাশনা ব্যাহত হয়। বিরোধীদের চরম হেনস্থা করা হচ্ছিল আর সোশাল মিডিয়াতেও চলছিল কড়া সরকারি নজরদারি। ইমরানের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে গোটা দেশে ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করা হয়েছিল। তবুও সন্ত্রাসবিরোধী কন্ঠগুলোকে দমানো যায়নি। তারা সরাসরি এই বিচারক-সামরিক অশুভ আঁতাতকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে অভিযুক্ত করে।
ইমরান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি ক্ষমতায় এসে দেশটাকে আমূল বদলে দেবেন। যুবকদের চাকরি হবে, দেশের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে। বলাই বাহুল্য, এইসব বড় বড় দাবির পিছনে সৈন্যবাহিনীর সমর্থন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত আন্তর্জাতিক শক্তির পৃষ্ঠপোষকতা কাজ করছিল। পাকিস্তানি সেনাও হাতেগোনা কয়েকটি পরিবারকে সমর্থন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। তাই তারা ইমরানের মত পরিবারতন্ত্রবহির্ভূত এক ব্যক্তিকে ক্ষমতায় এনে সারা বিশ্বের সামনে পাকিস্তানকে গণতান্ত্রিক বলে তুলে ধরতে চেয়েছিল। শেষমেশ ইমরান ইসলামাবাদের লৌহ সিংহাসনে বসেন।
লৌহ সিংহাসন কেন? কারণ এর সঙ্গে গেম অফ থ্রোনস ওয়েব সিরিজটির অন্তর্গত ‘থ্রোন অফ তারগারইন’-এর একটি সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। সেই বিশেষ সিংহাসনটি বিপক্ষের তলোয়ার দিয়ে মোড়া এবং সামান্য ভুল হলেই তা রাজার গায়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। একথা সর্বজনবিদিত যে পাকিস্তানের ইতিহাসে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কোনো প্রধানমন্ত্রী তাঁর মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। তবে ইমরান আশাবাদী ছিলেন, তিনি মেয়াদ পূর্ণ করবেন। কিন্তু এবারেও নিয়মের কোনো ব্যতিক্রম হল না। তিনি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় এবং অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় পরিস্থিতি সম্পূর্ণ প্রতিকূল হয়ে উঠতে শুরু করে। এক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ইমরানের চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরক্তির কারণ হয়ে উঠেছিল। তাই তারা আইএসআই (পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা শাখা)-এর অভ্যন্তর থেকে ইমরানের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করতে থাকে। এখানে উল্লেখ্য, আইএসআই এবং মার্কিন দেশের সিআইএর মধ্যে একটি গভীর পারস্পরিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক বহুকাল ধরে বর্তমান এবং তা আরও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে ২০০১ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে, যখন আল কায়দা ও অন্য জঙ্গি দলগুলির উপর মার্কিন হামলার পিছনে আইএসআইয়ের গোপন সমর্থন ছিল।
ইমরান যখন বুঝতে পারলেন, আইএসআই তাঁকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে, তখন তিনি সরাসরি বিরুদ্ধাচরণ করা শুরু করলেন। নাদিম আঞ্জুম মার্কিন কর্তৃপক্ষের ঘনিষ্ঠ বলে তিনি কিছুতেই তাঁকে আইএসআইয়ের সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ করতে চাননি। বিস্তর রাজনৈতিক-সামরিক দ্বন্দ্বের পর এই কাজ করতে তাঁকে বাধ্য করেন সেনাপ্রধান কমর জাভেদ বাজওয়া। অনেক সামরিক পর্যবেক্ষক মনে করেন, এই ঘটনার পর থেকেই সামরিক বাহিনীর হাত ইমরানের মাথার উপর থেকে সরে যায়। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সময়ে তিনি বারবার অভিযোগ করেন যে বাজওয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু তার সপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে অক্ষম হন। কিছু সময়ের জন্য ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শেষপর্যন্ত সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে তাঁকে মসনদ থেকে টেনে নামানো হয়। তিনিই প্রথম পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী যাঁকে ওই প্রক্রিয়ায় গদিচ্যুত করা হয়েছে।
ইমরান এখনও আশাবাদী যে তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ রয়েছে তা তিনি অস্বীকার করেছেন, কিন্তু পাঁচ বছরের জন্য তাঁর কোনো সরকারি পদে থাকার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ইমরানের সিন্ধু ও বেলুচিস্তান ছাড়া পাকিস্তানের অধিকাংশ প্রদেশে ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। কিন্তু যে চীনের উপর অগাধ ভরসা করেছিলেন, সেই চীন ইতিমধ্যে পাকিস্তানের বর্তমান সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করে ফেলেছে। ফলে বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি চীনকে তাঁর দ্বিতীয় বাড়ি বলে অভিহিত করেছেন। তবুও সাহসী ইমরান হাল ছাড়েননি, ইসলামাবাদের উদ্দেশে স্বাধীনতা যাত্রা শুরু করেছেন, হাজার হাজার সমর্থক তাঁর জন্য সমাবেশ করছে। যেহেতু পাকিস্তানের অর্থনীতির আরও অবনতি হচ্ছে এবং বেকারত্ব বাড়ছে, তরুণরা অক্সফোর্ডশিক্ষিত ক্যাপ্টেনের পিছনে জোট বেঁধেছে। যদিও তাঁর শাসনকালে দেশের বিশেষ কোনো উন্নতিই হয়নি।
আরো পড়ুন বন্যার গ্রাসে পাকিস্তান: উন্নয়নশীল দেশের চিন্তার কারণ
পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলে অতুলনীয় প্রভাব বিস্তারকারী মৌলবাদী ও জঙ্গি সংগঠনগুলোর সমর্থনও ইমরানের দিকে। এক সময় তালিবানদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এতটাই ঘনিষ্ঠ ছিল যে তাঁকে প্রায়ই ‘তালিব ইমরান’ বলা হত। ২০২১ সালে কাবুল দখল করার পরে ইমরানই প্রথম তালিবানদের অভিনন্দন জানিয়েছিলেন এবং ঐতিহাসিক ঘটনাটিকে দাসত্বের শিকল ভাঙা বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। নিজের প্রধানমন্ত্রিত্বে খুব বেশি সফল না হলেও তিনি দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেছিলেন – ১) দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী এবং স্বাধীন হওয়া উচিত এবং ২) পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি সার্বভৌম হওয়া উচিত, বিদেশি শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত নয় (ইঙ্গিত স্পষ্টতই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে)। এই কারণে তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা হয় এবং সেই কারণেই তাঁর স্বাধীনতা যাত্রাকে প্রতিহত করার জন্য ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে তাঁকে গুলি করা হয় (যদিও অনেকের মতে এই কাজ তিনি নিজেও করিয়ে থাকতে পারেন)।
ইমরান হাসপাতাল থেকে টিভি ভাষণে তাঁকে হত্যার চেষ্টার জন্য চারজনকে অভিযুক্ত করেছেন। তাঁদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় আইএসআই আধিকারিক ফয়সল নাসির অন্যতম। ইমরানের কথায় আমল দিলে বোঝা যাবে দেশের সামরিক শক্তি তাঁর প্রত্যাবর্তনের বিপক্ষে। তবে এই প্রাণঘাতী আক্রমণের ফলে ইমরানের প্রতি জনগণের সহানুভূতি আরও বেড়েছে।
দেশ-বিদেশ মিলিয়ে ইমরানের প্রতিপক্ষরা আজ তাঁর সামনে পর্বতপ্রমাণ বাধা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু তিনি একজন তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন চৌকস মানুষ এবং পাকিস্তানি জনগণ বিশ্বাস করে, ‘কাপ্তান সাহেব’ এমন কিছু করতে পারেন যা আর কেউ পারে না। আমার মনে আছে, ওয়াকার ইউনিসের বহুদিন আগে প্রকাশিত হওয়া একটি সাক্ষাৎকারের কথা। ইউনিস বলেছিলেন অল্প বয়সে একটি পার্টিতে তিনি অনেক রাত পর্যন্ত মদ্যপান করেছিলেন এবং তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিলেন শুধুমাত্র ইমরান। পরদিন সকালের প্রশিক্ষণে তাঁর পৌঁছতে দেরি হলেও ইমরানের হয়নি। কেন দেরি হল জিজ্ঞেস করা হলে ওয়াকার পার্টির কথা বলেন। তখন দলের একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তাঁকে উপদেশ দেন এরকম আর কখনো না করতে। কারণ ‘কাপ্তান সাহেব’ যা করতে পারেন তা আর কেউ পারে না।
মতামত ব্যক্তিগত
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।