আরও একটা বিধানসভা নির্বাচন এসে পড়ল। এবার দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটকে। আগামী ১০ মে ২২৪ আসনবিশিষ্ট কর্ণাটক বিধানসভার ভোটদান আর ফল প্রকাশ ১৩ তারিখ। এই নির্বাচন আগামীদিনের রাজনৈতিক বয়ান এবং চলনের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। কেন? সে আলোচনায় পরে আসা যাবে, আগে এই নির্বাচনের প্রেক্ষাপটটা একটু বুঝে নেওয়া যাক।
২০১৮ সালের নির্বাচনে কর্ণাটক বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হয়। বিজেপি একক বৃহত্তম দল হয়েছিল, দ্বিতীয় বৃহত্তম দল ছিল কংগ্রেস আর বড় ব্যবধানে তৃতীয় হয়েছি জনতা দল (সেকুলার) বা জেডিএস। রাজ্যপাল বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদ্দিয়ুরাপ্পাকে সরকার গঠন করতে ডাকেন। কিন্তু সে সরকার টেকেনি। যেদিন বিধানসভার ফ্লোরে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার কথা সেদিনই ইয়েদ্দিয়ুরাপ্পা পদত্যাগ করেন। তার আগে অবশ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ঘটনা ঘটে। সেটা হল, রাহুল গান্ধী জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামীকে অবিজেপি সরকার গড়ার জন্য নিঃশর্ত সমর্থনের প্রস্তাব দেন, যদিও কংগ্রেস কুমারস্বামীর দলের থেকে অনেক বেশি আসন পেয়েছিল। সেই প্রথম ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে বিজেপিকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে কংগ্রেস প্রথম স্থান ছেড়ে দিতেও রাজি। ফলে ইয়েদ্দির পদত্যাগের পর কুমারস্বামী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সারা দেশের বিরোধী শক্তিগুলোকে একত্র হতে দেখা যায়। মনে হয়েছিল যে অধিকাংশ অবিজেপি দল ঐক্যবদ্ধ হওয়ার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে। কিন্তু তারপরের ঘটনাবলী সে পথে এগোয়নি। না কর্ণাটকে, না জাতীয় স্তরে।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
কর্ণাটকে বিজেপি একাধিক রাউন্ডে একটা অপারেশন চালায়, যে অপারেশনকে এখন সারা ভারতে ‘অপারেশন কমল’ বলা হয়। সেই অপারেশনগুলোর ফল হিসাবে কংগ্রেস-জেডিএস সরকার ১৪ মাস ধরে নড়বড় করে চলার পর পড়ে যায় এবং ইয়েদ্দি ফের মুখ্যমন্ত্রী হন ২০১৯ সালের জুলাই মাসে। তারপর কাবেরী দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে। ইয়েদ্দিকে খুবই অসম্মানজনকভাবে সরিয়ে দিয়ে বাসবরাজ বোম্মাইকে মুখ্যমন্ত্রী করেছে বিজেপি। কংগ্রেস দলের ভাঙন আটকে সংগঠন ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছে। জেডিএসের শক্তি কমলেও যেসব অঞ্চলে তাদের প্রভাব ছিল সেখানে মোটামুটি প্রভাব ধরে রাখতে পেরেছে।
এই মুহূর্তে কর্ণাটকের ওপিনিয়ন পোলগুলো বলছে কংগ্রেস চালকের আসনে থাকবে এবং একক বৃহত্তম দল হবে। কোনো কোনো পোল তো কংগ্রেসকে সংখ্যাগরিষ্ঠতাই দিয়ে ফেলেছে। পার্টির নিজস্ব সূত্র অবশ্য বলছে ১৩৫-১৪৫ আসন পাবে। অন্যদিকে বিজেপির আভ্যন্তরীণ পোল যা বলছে তা তাদের কর্মী সমর্থক নেতাদের পক্ষে খুবই হতাশাজনক। দেশের শাসক দলের নাকি এ যাত্রায় ৫০-৫৫ আসনের বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এমনকি ওপিনিয়ন পোলগুলোও বিজেপির এত খারাপ ফলের ইঙ্গিত দেয়নি। জেডিএস নাকি ২০-৩০ আসন পেতে পারে।
এই সমস্ত পোলই মোটের উপর কর্ণাটকের বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন। গত ছমাস ধরেই পরিস্থিতি এরকম হয়ে রয়েছে। কেন? এবার সে প্রশ্নের উত্তরে আসা যাক।
প্রথমত, কর্ণাটকে প্রবল সরকারবিরোধী হাওয়া বইছে। অপশাসন, দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা পেয়ে যাওয়া এবং একেবারে সাধারণ পরিষেবাগুলো দিতে সার্বিক ব্যর্থতার মত বিভিন্ন কারণে এই হাওয়া। বিজেপির সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা অবশ্যই দুর্নীতি। ওটা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সরকারটার নামই হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘ফর্টি পার্সেন্ট সরকার’। অর্থাৎ ওখানে কাজ করতে হলে ৪০% কাটমানি দিতে হয়।
দ্বিতীয়ত, ২০১৯ সালে বেশকিছু বড় নাম দলত্যাগ করলেও কংগ্রেস নিজের সংগঠন ও ভিত্তি ধরে রাখতে পেরেছে। ডিকে শিবকুমারকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করায় শুধু যে পার্টির ভাঙন ঠেকানো গেছে তাই নয়, তৃণমূল স্তরে এমন সব কর্মসূচি নেওয়া গেছে যাতে রাজ্য সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানানো যায়। কংগ্রেস রাজ্য সরকার এবং সাধারণ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগগুলোকে দ্রুত কাজে লাগাতে পেরেছে। ‘ফর্টি পার্সেন্ট সরকার’ নামে একটা সফল ক্যাম্পেনই চালানো হয়েছে। আরও একটা চমৎকার উদাহরণ হল নন্দিনী বনাম আমুল ইস্যুটা তুলে ধরে যেভাবে কংগ্রেস বিজেপি সরকারকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিতে পেরেছে সেইটা। এমনিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাদ দিয়ে কংগ্রেস দলের কথা কল্পনাও করা যায় না। কর্ণাটক ইউনিটও ব্যতিক্রম নয়। সেখানে দুটো জোরালো গোষ্ঠী আছে। একটার নেতা শিবকুমার, অন্যটার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। দুজনেই খুব বড় নেতা। শিবকুমারের পরিচিতি সংগঠনের লোক হিসাবে, যাঁর হাতে প্রচুর সংস্থান আছে। অন্যদিকে সিদ্দু নামে জনপ্রিয় সিদ্দারামাইয়া একজন জননেতা যাঁর আবেদন কর্ণাটকের সর্বত্র। দুজনের কেউই ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা গোপন করেননি। দুজনের মধ্যে মতবিরোধের ফিসফাসও শোনা গেছে, যদিও তার অধিকাংশই বিজেপি এবং সংবাদমাধ্যমের উস্কানিতে ঘটেছে। কিন্তু দুজনে একজোট হয়ে কাজ করতে পেরেছেন। দুজনেই পোড়খাওয়া এবং কড়া ধাতুর রাজনীতিবিদ হওয়ায় বোঝেন যে পার্টির ফল ভাল হলে তবেই হাইকমান্ডের কাছে নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করার দাবি জোরদার হবে। তবে এই বোঝাপড়ার ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছিলেন রাহুল, ভারত জোড়ো যাত্রার সময়ে। তিনি সর্বদা সচেতন ছিলেন যে এই দুই বর্ষীয়ান নেতা যেন সমান গুরুত্ব পান। আরেকটা ব্যাপারও কংগ্রেসের পক্ষে গেছে, যা নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয় না। সেটা হল মল্লিকার্জুন খড়গের সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়া। তিনি কর্ণাটকের মানুষ এবং দলিত। তিনি এমন এক নেতা যিনি একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসেছেন এবং অত্যন্ত লড়াকু।
তৃতীয়ত, জেডিএসের শক্তি কমে যাওয়া। জোট সরকারের পতনের পর থেকে কংগ্রেস ও জেডিএস আলাদা পথ ধরেছে। বিজেপি সম্পর্কে জেডিএসের অবস্থান ঠিক কী তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী সঙ্কেত পাওয়া গেছে, যা তাদের কর্মীদের আরও দ্বিধান্বিত করেছে। কিন্তু সমর্থন কমে গিয়ে থাকলেও কিছু কিছু অঞ্চলে এখনো জেডিএস বেশ শক্তিশালী। ফলে কিছু আসন তারা জিততেই পারে।
তাহলে কর্ণাটকের নির্বাচনে কংগ্রেসের ভাল ফল করা নিয়ে কি এখনই বাজি ধরা যায়? তা কিন্তু নয়। ভোটের এখনো দু সপ্তাহের বেশি বাকি। এটা রাজনীতিতে এক দীর্ঘ সময়। বেশিরভাগ ওপিনিয়ন পোল এবং রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ যতই কংগ্রেসের জয়ের কথা বলুন, ব্যাপারটা মোটেই অত সহজ হবে না। বিজেপি সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে যতরকম কাণ্ড করা সম্ভব, সবই করবে। দোসর গোদী মিডিয়াও যথাসম্ভব সাহায্য করবে। তাহলে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ব্যাপার বিজেপির পক্ষে যেতে পারে।
আরো শুনুন নাগরিক পডকাস্ট ২: নতুন রাহুলের জন্ম দিচ্ছে ভারত জোড়ো যাত্রা?
প্রথমত, মোদী ফ্যাক্টর। এ বছরের শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রী আটবার কর্ণাটকে গেছেন এবং গুচ্ছ গুচ্ছ স্কিম ও প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। শেষ দু সপ্তাহে তাঁর কম করে কুড়িটা জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার কথা। সেই সভাগুলোতে প্রচুর লোক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিবেশী রাজ্য থেকেও সম্ভবত লোক আনা হবে। মোদী যে সেইসময় প্রাইম টাইম এবং ইন্টারনেট জুড়ে থাকবেন তা তো জানা কথাই।
বিজেপির দ্বিতীয় ভরসা মেরুকরণের রাজনীতি। কেরালা, তামিলনাড়ু এবং তেলুগুভাষী রাজ্যগুলোতে হিন্দুত্ব এজেন্ডা খুব একটা কাজ করে না। কিন্তু কর্ণাটকে রীতিমত কাজে দেয়। মনে রাখা ভাল, উপকূলবর্তী কর্ণাটকই হিন্দুত্বের অনেক প্রাচীন গবেষণাগার, যার সূচনা সাতের দশকের মাঝামাঝি। বিজেপি কখনোই ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করতে এবং তার ফায়দা তুলতে পিছপা হয় না। এবারেও দুর্নীতি আর অপশাসনের দায় এড়াতে তারা প্রথমে হিজাব নিয়ে গোলমাল শুরু করেছিল। তারপর পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-কে নিষিদ্ধ করা হল। এই কৌশল তারা শেষপর্যন্ত চালিয়ে যাবে।
বিজেপির তৃতীয় আশার আলো হল সংবাদমাধ্যম। বিরোধীদের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে, হাওয়া তৈরি করতে সংবাদমাধ্যম বরাবরই বিজেপির সহায়তা করে এসেছে। নিশ্চয়ই পাঠকদের মনে আছে গুলাম নবী আজাদের মত একজন নেতা, যিনি নিজের জেলায় কোনো নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জিততে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে, তাঁর কংগ্রেস ত্যাগকে কী পরিমাণ প্রচার দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেসকে ডুবন্ত জাহাজ প্রমাণ করার জন্য। কর্ণাটকে অনিল অ্যান্টনি, কিরণ কুমার রেড্ডি ইত্যাদি গুরুত্বহীন নেতার দলত্যাগকে কংগ্রেসের পক্ষে বিরাট ধাক্কা বলে দেখিয়েছিল যেসব সংবাদমাধ্যম, তারাই কিন্তু জগদীশ শেট্টারের মত হেভিওয়েট নেতার বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে চুপ। সত্যপাল মালিকের বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার, যেখানে তিনি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের কনভয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় মোদী সরকারকে সরাসরি দায়ী করেছেন, তা নিয়েও বেশিরভাগ মূলধারার সংবাদমাধ্যমে টুঁ শব্দটি নেই। আর গৌতম আদানির সঙ্গে মোদীর সম্পর্ক নিয়ে তো কোথাও একটাও বিতর্ক হয়নি। সংবাদমাধ্যম এভাবেই কর্ণাটক নির্বাচনের পর্বেও বিজেপিকে সাহায্য করে যাবে।
অন্য দলগুলোও বিজেপির আশার কারণ। জেডিএস ২৫টার বেশি আসন পেলে তার সরাসরি প্রভাব পড়বে কংগ্রেসের আসন সংখ্যায়। অন্যদিকে আসাদুদ্দিন ওয়েসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিস এ ইত্তেহাদ উল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) ২৫ আসনে লড়ছে, বেশিরভাগই হায়দরাবাদ-কর্ণাটক এবং মুম্বাই-কর্ণাটক অঞ্চলে। তারা কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ভোটে কতটা থাবা বসাতে পারে বা আদৌ পারে কিনা তা দেখার মত ব্যাপার। বহুবছর ধরে উপকূল অঞ্চলে এই কাজটা করে আসছে সোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (এসডিপিআই), অর্থাৎ নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া পিএফআইয়ের রাজনৈতিক শাখা। এসবের সঙ্গে আছে আম আদমি পার্টি, যারা এবার ২২৪ আসনের সবকটাতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। শহরাঞ্চলের বাইরে তাদের কোনো প্রভাব নেই এবং দুই শতাংশের বেশি ভোট পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। কিন্তু সেই ভোট কাদের ভোট থেকে কাটা যায় তা গুরুত্বপূর্ণ।
কর্ণাটক নির্বাচন নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এটা দক্ষিণ ভারতের এমন এক রাজ্য যেটাকে বিজেপি নিজেদের শক্ত ঘাঁটি বলে মনে করে। এখানে হেরে যাওয়া মানে ভারতের একটা গোটা অঞ্চল গেরুয়ামুক্ত হয়ে যাবে। মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বের দ্বিতীয় দফার শেষ দিনগুলোর পক্ষে সে এক জোরালো এবং গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হয়ে দাঁড়াবে। প্রতিবেশী রাজ্য মহারাষ্ট্র আর তেলেঙ্গানাতেও চলতি বছরেই বিধানসভা নির্বাচন। সেখানেও কর্ণাটকের ফলাফলের সরাসরি প্রভাব পড়বে বলে আশা করা যায়।
উপরন্তু কর্ণাটকের ইতিবাচক ফলাফল রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ের নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের অবস্থান অনেক মজবুত করে দেবে। কংগ্রেস ডুবন্ত জাহাজ – এই বয়ান অচল হয়ে পড়বে এবং কংগ্রেসের সারা ভারতের বিরোধী শক্তির মধ্যমণি হয়ে ওঠা আর কেউ আটকাতে পারবে না।
মতামত ব্যক্তিগত, তথ্য লেখকের
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।