আলোচনার কেন্দ্রে কি মিড ডে মিল প্রকল্পের হিসাবে গরমিল থাকা উচিত, নাকি তৃণমূলের বিরুদ্ধে চুরির নিত্যনতুন অভিযোগগুলো – সেটা এখনো বুঝে উঠতে পারছি না। আসলে তৃণমূলের দুর্নীতি তো নতুন কিছু নয় এ রাজ্যের মানুষের কাছে। বরং কোনো জায়গায় তৃণমূল দুর্নীতি করেনি, এমন কিছু প্রকাশ হলেই লোকজন বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ হয়ে যাবে। চাকরি, রেশন, ত্রাণের চাল, চিনি, ত্রিপল, চিঁড়ে – কিছুই তো চুরি হতে বাকি নেই। সেই অন্তহীন তালিকায় নতুন একটি বিষয় যুক্ত হয়েছে – মিড ডে মিল। এ একান্তই তৃণমূলের অপার্থিব চৌর্যবৃত্তির কৃতিত্ব।
গত কদিনে আপনারা প্রায় সবাই সংবাদমাধ্যমে দেখেছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্য সরকার মিড ডে মিলের খরচের যে হিসাব পাঠিয়েছে, তাতে প্রায় ১৬ কোটি অতিরিক্ত মিলের হিসাব দেখানো হয়েছে, যার অর্থমূল্য ১০০ কোটি টাকা। বিষয়টি কিঞ্চিৎ বিস্তারিত ব্যাখ্যার দাবি রাখে।
নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।
মিড ডে মিল প্রকল্প চলে কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে। কেন্দ্র বহন করে ৬০% খরচ, রাজ্যের ভাগে থাকে ৪০%। কেন্দ্রকে রাজ্য পিছু বরাদ্দ পাবার জন্য অন্য যে কোনো প্রকল্পের মত এক্ষেত্রেও খরচের হিসাব, যাকে পরিভাষায় UC বলা হয়, তা জমা দিতে হয়। এই হিসাব জমা হয় ত্রৈমাসিক ধরে।
এ রাজ্যের মিড ডে মিল নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ চলে আসছে দীর্ঘদিন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্র কয়েক মাস আগে একটি জয়েন্ট রিভিউ মিশন তৈরি করে এবং সেই দলকে এ রাজ্যে পাঠায়। ১৯ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে একটি রিপোর্ট তৈরি করে। সেই রিপোর্টে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক চিত্র উঠে এসেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, খাদ্যপণ্যের অসম বণ্টন হয়েছে বিভিন্ন জেলায়, ভাত-ডাল এবং সবজি রান্নার ক্ষেত্রে প্রায় ৭০% কম খরচ করা হয়েছে, অর্থাৎ বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী খাবার পায়নি। বহু জায়গায় মেয়াদ উত্তীর্ণ পচে যাওয়া, পোকা ধরে যাওয়া চাল ব্যবহার করা হয়েছে। তেমন ছবি আপনারা আগেই একাধিকবার সংবাদমাধ্যমে দেখেছেন। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে মিড ডে মিল প্রকল্পের টাকা থেকে বগটুই গণহত্যা কাণ্ডে (যেখানে মৃত এবং অভিযুক্ত – উভয়পক্ষই তৃণমূল) ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
এইসব অভিযোগ ছাড়াও সবচেয়ে মারাত্মক যে হিসাব রিপোর্টে দাখিল হয়েছে, তা হল রাজ্যের দেওয়া হিসাবে প্রায় ১০০ কোটি টাকার গরমিল। কীভাবে?
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এপ্রিল ২০২১ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছমাসে মিড ডে মিল প্রকল্পে ১৪০.২৫ কোটি মিল বণ্টন করা হয়েছে বলে নবান্ন কেন্দ্রকে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। কিন্তু জেলাস্তর থেকে রাজ্যকে যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে সব জেলা মিলিয়ে এ রাজ্যে ওই সময়ে বণ্টিত মোট মিলের সংখ্যা ১২৪.২২ কোটি। অর্থাৎ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, জেলাস্তরের রিপোর্ট অগ্রাহ্য করে রাজ্য অতিরিক্ত ১৬ কোটি মিলের হিসাব, যার অর্থমূল্য ১০০ কোটির কিছু বেশি, কেন্দ্রকে জমা দিয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, রাজ্য এই অতিরিক্ত মিলের হিসাব কেন দিল? জেলার রিপোর্ট ভুল এসেছে বলে কোনো অভিযোগ নবান্ন থেকে করা হয়নি। তাহলে এই মিলের মূল্য যে ১০০ কোটি, সে টাকা গেল কোথায়? এই টাকা কি তৃণমূল কংগ্রেস দলীয় কাজে ব্যবহার করেছে (গণহত্যার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মত), নাকি তাদের নেতৃত্ব কাটমানি হিসাবে তুলে নিয়েছে, সেটাই ভাবার বিষয়। অন্তত আপাতদৃষ্টিতে এটাকে চুরি বলেই মনে হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জয়েন্ট মিশনের যে রিপোর্ট কেন্দ্র প্রকাশ করেছে তাতে রাজ্যের প্রতিনিধির সই নেই।
কেন্দ্রের এই তদন্তকারী দল পাঠানো এবং রিপোর্ট প্রকাশ করা দেখে কেন্দ্রীয় সরকারকে মিড ডে মিল প্রকল্পে উৎসাহী বা উদ্যোগী ভাবার কিন্তু কোনো কারণ নেই। কারণ ২০১৪ সাল থেকে ক্রমাগত প্রতিটি বাজেটে এই প্রকল্পের বরাদ্দ শতাংশের হারে কমেছে। ঠিক যেমন শিক্ষায় বরাদ্দ কমিয়ে গেছে সরকার। কোভিড পরিস্থিতিতে প্রায় বৎসরাধিক স্কুল বন্ধ ছিল। সেইসময় মিড ডে মিল হিসাবে চাল আর আলু এবং কালেভদ্রে ছোলা দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ স্কুল বন্ধ থাকার সুযোগে সরকার শিশুদের প্রাপ্য খাদ্যের বাজেট কমিয়ে খরচ বাঁচিয়েছে বিপুল পরিমাণে। দুপুরের খাবারের জন্য মিড ডে মিলের উপর নির্ভরশীল বিরাট সংখ্যক শিশুর পুষ্টির ঘাটতি হয়ে গেছে চিরস্থায়ী। কিন্তু শহরবাসী সচ্ছল জনতার চিন্তার কিছু নেই। যুদ্ধাস্ত্র কেনার বাজেট বাড়ানো হয়েছে। এটাই আপনার আমার ‘আচ্ছে দিন’, যার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুললেই দেশদ্রোহী হতে হয়।
মিড ডে মিল যে শিশুর ন্যায্য অধিকার – এই ধারণা এখনো সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, শিক্ষাক্ষেত্রে যুক্ত অনেকের কাছেও পরিষ্কার নয়। ওটাকে অনেকেই খয়রাতি বলে মনে করেন, কারণ তিনি আর্থিকভাবে সচ্ছল এবং তাঁর নিজের সন্তান হয়ত বেসরকারি স্কুলে যায়। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে একাংশের সরকারি কর্তার উদাসীনতা মিড ডে মিল প্রকল্পকে চোরেদের হাত সাফাই করার উৎকৃষ্ট জায়গায় পরিণত করেছে।
কেন্দ্রের এই তদন্তকারী দল পাঠানো এবং রিপোর্ট প্রকাশ করা দেখে কেন্দ্রীয় সরকারকে মিড ডে মিল প্রকল্পে উৎসাহী বা উদ্যোগী ভাবার কিন্তু কোনো কারণ নেই। কারণ ২০১৪ সাল থেকে ক্রমাগত প্রতিটি বাজেটে এই প্রকল্পের বরাদ্দ শতাংশের হারে কমেছে।
স্পষ্টভাবে বলতে গেলে মিড ডে মিল প্রকল্পে বহুস্তরীয় দুর্নীতি হয়। এই দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দু হল ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের দপ্তরগুলো। সেখান থেকেই স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলোকে চাল বিলি করা হয় এবং স্কুলের তরফ থেকে সেখানেই হিসাব পেশ হয়। টাকা সেখান থেকেই বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে যায়। এই দুর্নীতিতে যুক্ত আছে চাল সরবরাহের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেশন ডিলাররা এবং অবশ্যই স্কুল ও তার পরিচালন সমিতিগুলোর একাংশ। এ রাজ্যে সরকারি ও সরকারপোষিত স্কুলের পরিচালন সমিতিগুলো কাদের দখলে সেটা বলার জন্য কোনো পুরস্কার নেই।
পরিচালন সমিতিগুলোকে আলাদা করে দোষ দিয়ে অবশ্য লাভ নেই, কারণ তারা তাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলেছে। একটা নির্বাচিত সরকার যখন সর্বোচ্চ স্তর থেকে সরাসরি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় এবং অনুপ্রাণিত করে, তখন সাধারণ মানুষের অবস্থা বড়ই মর্মান্তিক হয়।
শাসক দল মিড ডে মিল প্রকল্পের টাকা তুলে নিয়ে খরচ করছে তার নিজস্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে খুন হয়ে যাওয়া দলীয় সমর্থকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে এবং দলের সম্পাদক প্রকাশ্যে সেটা ঘোষণা করে হাততালি পাচ্ছে। অর্থাৎ এই দল সাধারণ নীতি নৈতিকতা বা রাজনৈতিক, প্রশাসনিক বাধ্যবাধকতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে এক কুৎসিত, সর্বগ্রাসী গা জোয়ারি সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে। যদিও যে দলের সুপ্রিমো নিজেকে গুন্ডা নিয়ন্ত্রক হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন ক্ষমতায় আসার আগেই, সেই দলের কাছে এই শাসনই প্রত্যাশিত। এ রাজ্যের মানুষ শিশুসুলভ সারল্যে তাদের উপর ভরসা করেছিলেন। সে দায় এই দল নেবে কেন? তারা কিন্তু জন্মলগ্ন থেকেই নিজেদের লুম্পেন পরিচয়ের ব্যাপারে অন্তত সৎ থাকার চেষ্টা করেছে।
আমরা যারা বাঙালি মধ্যবিত্ত নামক একটি বুদবুদের মধ্যে বাস করি, তারা অন্তত নিজেদের পরবর্তী প্রজন্মকে ঠিক-ভুলের হিসাবটা বোঝানোর চেষ্টা করে এসেছি, হয়ত এখনো করছি। তাদের এটুকু বুদ্ধি হয়ত এখনো অবশিষ্ট আছে, যা দিয়ে বোঝা যায় যে অপরাধের পথ সবসময় একমুখী, ফেরার রাস্তা নেই। তাই সেদিকে না যাওয়াই শ্রেয়। কিন্তু অদ্ভুতভাবে এই রাজ্যের শাসক দল ঠিক তার বিপরীত সংস্কৃতি আমদানি করেছে বিশেষ করে তাদের তৃতীয় দফার শাসনকালে।
আধা সামন্ততান্ত্রিক, আধা বুর্জোয়া এই দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজের মধ্যে থেকে একটি স্থানীয় দল উঠে আসবে দুগ্ধফেননিভ সততা নিয়ে , এমন কষ্ট কল্পনা নেহাত নির্বোধ না হলে কেউ করে না। তবে এ কথাও সত্যি, যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এবং নেতার বহুবিধ এবং বহুমুখী দুর্নীতি গত ৭৬ বছর ধরে দেখে ফেলা এই দেশও অন্তত এই রাজ্যে বর্তমান শাসকের মত দুর্নীতিই লক্ষ্য, দুর্নীতিই মুখ্য কর্মসূচি করে ফেলা দল দেখেনি।
একটি দল বা তার সর্বোচ্চ নেত্রী যে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য স্কুলের শিশুদের দুপুরের খাবারও নিজের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারেন – তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন হত। তবে বঙ্গের শাসক কখনো নিজের উদ্দেশ্য নিয়ে কোন সন্দেহের জায়গা রাখে না।
বিগত বিধানসভা নির্বাচনের আগে (২০২১) রাজ্য সরকার নিজের উদ্যোগে মিড ডে মিলের বরাদ্দ কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছিল। পেটোয়া মিডিয়া পত্রপাঠ নেত্রীর স্তব স্তুতি শুরু করে। নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের ঠিক এক মাসের মধ্যে সেই অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কেন অতিরিক্ত বরাদ্দ হয়েছিল, কেন বন্ধ হল, কেন ঠিক নির্বাচনের আগে-পরেই ব্যাপারটা হল – এসব প্রশ্ন তুলে বঙ্গীয় মিডিয়া শাসক তথা নেত্রীকে বিব্রত করার ন্যূনতম চেষ্টা করেনি, কারণ বিজ্ঞাপনে বড় মধু।
আরো পড়ুন ৮,০০০ স্কুল বন্ধ: শিক্ষাব্যবস্থার কণ্ঠরোধ করছে সরকার
মোটামুটি একই চিত্রনাট্যের এবছরও পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটের দিকে লক্ষ্য রেখে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল – এই চার মাস মিড ডে মিলে মাথা পিছু সপ্তাহে কুড়ি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ হয়েছে। সে টাকায় সপ্তাহে একদিন মুরগির মাংস ও মরসুমি ফল খাওয়ানোর কথা। এপ্রিলের পর কী হবে তা নিয়ে সবাই অন্ধকারে। কিছু নিন্দুকের মতে, তীব্র গরমের কারণে যে ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে মে মাসের ২ তারিখে, সম্ভবত সেটা আরও এগিয়ে আসবে। তারপর সেই ছুটি অল্প অল্প করে বাড়িয়ে যাওয়া হবে আগামী দুমাস (২০২২ স্মরণ করুন) এবং তার মধ্যে হয়ে যাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপর? নীরবতা হিরণ্ময়। এই অতিরিক্ত বরাদ্দ সম্পর্কে সরকার, মিডিয়া উভয়েই মৌন ব্রত অবলম্বন করবে।
এসব দেখে বুঝতে সমস্যা হওয়া উচিত নয়, সরকার মিড ডে মিলকে দায়িত্ব নয়, বোঝা মনে করে। আর স্কুলের শিশুদের ভোটের বোড়ে। শাসক দলের এই মানসিকতাই জেলার হিসাব এড়িয়ে নবান্ন থেকে অতিরিক্ত ১৬ কোটি মিল বা অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকার হিসাব দেওয়াও স্বাভাবিক করে তোলে। এই মানসিকতাই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীসহ মোটামুটি সম্পূর্ণ শিক্ষা দপ্তর শিক্ষাক্ষেত্রে চাকরি চুরির দায়ে জেলে থাকা সত্ত্বেও বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীকে দিয়ে প্রতিটি কথার আগে পরে বলিয়ে নেয় – মুখ্যমন্ত্রী এ রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রের আমূল উন্নতি সাধন করেছেন।
এই নির্লজ্জ সরকারের আস্ফালন বঙ্গবাসী নীরবে শুনে চলেছে আর ভাবছে – ওই ১০০ কোটি টাকা গেল কোথায়?
ওই টাকা শিশুদের প্রাপ্য খাদ্যের টাকা, আমার আপনার দেওয়া করের টাকা, আমার আপনার শিশুর জন্য। যা নিজের অধিকার, তার জন্য সোচ্চার হওয়া আপনার আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। চোরকে সোচ্চারে চোর বলা কেবল অধিকার নয়, দায়িত্বও বটে।
মতামত ব্যক্তিগত
নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:
আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন।
টুইটারে আমাদের ফলো করুন।
আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিন।