রমজান মাসে শহর কলকাতার রসনাতৃপ্তির অন্যতম শ্রেষ্ঠ গলি হল জাকারিয়া স্ট্রিট। এই সময়ে জাকারিয়া স্ট্রিটের রোশনাইতে সেজে ওঠে কলকাতার রমজান। নাখোদা মসজিদের অদ্ভুত কারুকার্যের সৌন্দর্য আর জাকারিয়ার গলিগুলোর গন্ধ যেন অদ্ভুত নেশায় আচ্ছন্ন করে সকলকে। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে রাজ্যের মানুষ তাই ছুটে যান জাকারিয়ার দিকে। এখানকার শরবতে মহব্বত বা ভালবাসা খুঁজে পান অনেকে। সুতা কাবাব,মালাই কাবাব আর খিরি কাবাবের লোভ সামলাতে না পেরে এই ছুটে যাওয়া এক মিলনক্ষেত্রে পরিণত করে জাকারিয়া স্ট্রিটকে।

অদ্ভুত হলেও সত্য, এই সময়ে জাকারিয়া স্ট্রিটে মুসলমানদের তুলনায় খাদ্যরসিক অমুসলমানদের ভিড় অনেক বেশি হয়। অ্যাডামসের কাবাবের লাইন থেকে শুরু করে দিল্লি সিক্সের টেবিল, সুফিয়ার নিহারির লাইন অথবা বোম্বে হোটেলের ভুনার জন্য অপেক্ষা — এত ভিড় হয় যে পা রাখার জায়গা থাকে না।

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন

~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

প্রতি বছর অনেক পেশাদার আলোকচিত্রী এবং ফুড ব্লগারদের ঠিকানা এই রমজান মাসের জাকারিয়া স্ট্রিট। এ বছর ফুড ব্লগারদের ভীড় যেন একটু বেশিই। ফলে বহু মানুষের কাছে জাকারিয়া স্ট্রিটের সুতা কাবাব, খিরি কাবাব, মালাই কাবাবের সুগন্ধ পৌঁছে যাচ্ছে অতি দ্রুত। কিন্তু বছর দুয়েক হল একটা জিনিস সবার নজরে পড়েছে নিশ্চয়ই। ইন্টারনেটে জাকারিয়া স্ট্রিটের ছবি, ভিডিওর নীচে ঘৃণা ছড়ানো মন্তব্যের ছড়াছড়ি। বিভিন্ন ফেসবুক পেজ থেকে জাকারিয়া স্ট্রিট সম্পর্কে অদ্ভুত অদ্ভুত মন্তব্য করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না খাওয়াদাওয়ার গ্রুপগুলোও। অ্যাডমিনরা কেন মুসলমানদের এলাকার খাবারকে প্রোমোট করছেন – এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকে। এদের বেশিরভাগের ফেসবুকে প্রোফাইলে হিন্দুরাষ্ট্রের নায়ক নরেন্দ্র মোদী বা আদিত্যনাথের একাধিক ছবি, টাইমলাইনে মুসলমান বিদ্বেষের ফুলঝুরি।

কেউ লিখছেন, মুসলমানরা ভীষণ নোংরা। কারোর অভিযোগ, ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা সব খাবারে গরুর চর্বি মিশিয়ে দেয়। আবার কেউ লিখছেন, খাবারে নাকি থুতু মিশিয়ে দেয় “ওরা”। এখানে ওরা বলতে যে মুসলমানরা তা না বোঝার কিছু নেই। এই জনতা মোদীর হিন্দুরাষ্ট্রে মুসলমানদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে ফেলতে উৎসুক।

চারপাশের অনেককে দেখছি এইসব মন্তব্য দেখে অবাক হচ্ছেন। অনেক অ্যাডমিন এবং ব্লগার এই তথাকথিত দেশপ্রেমিকদের আতঙ্কে ছবি, ভিডিও ডিলিট করছেন। বিপুল পরিমাণ মানুষ তো বুঝতেই পারছেন না, হঠাৎ খাবারের উপর এই অনলাইন দাঙ্গাবাজদের এত রাগ কেন। আমাদের অনেক প্রগতিশীল বামপন্থী বন্ধুবান্ধবকে এ নিয়ে ঠাট্টা ইয়ার্কি করতেও দেখলাম। আসলে এঁরা নিজেদের যতই সর্বজ্ঞ বলে প্রমাণ করতে চান না কেন, রাজনৈতিকভাবে প্রবল অনভিজ্ঞ। তাই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ পরিচালিত এই অনলাইন জঙ্গিদের উদ্দেশ্য বুঝতে অপারগ। তাই বিষয়টা নিয়ে মজা করেই ক্ষান্ত।

পাঠককে বলব, সংঘকে বুঝতে হলে আরও গভীরে ভাবতে হবে। না হলে মাইকে আরএসএসকে তারস্বরে গালাগাল দিলেও তাদের আটকাতে আমরা ব্যর্থ হব। সংঘের আইটি সেলকে দিয়ে জাকারিয়া স্ট্রিট এবং বিভিন্ন মুসলমান প্রধান এলাকা নিয়ে এই অপপ্রচার চালানোর পিছনে এক বৃহত্তর পরিকল্পনা রয়েছে – মুসলমানদের অর্থনৈতিক বয়কট। যে কোনো গণহত্যার প্রস্তুতির একটা ধাপ এই অর্থনৈতিক বয়কট, আর দেশ যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে এই অর্থনৈতিক বয়কটের উদ্দেশ্য অন্তত রাজনৈতিকভাবে সচেতন মানুষের বুঝতে না পারার কথা নয়। অর্থনৈতিক বয়কটের মাধ্যমে দেশের মুসলমানদের এত বেশি দুর্বল করে দেওয়া সম্ভব, যাতে তারা ভয়ে সিঁটিয়ে থাকে এবং গণহত্যার সময়ে একে অপরকে সাহায্য করার মতো অর্থনৈতিক ক্ষমতাও তাদের না থাকে।

পাঠকের সুবিধার জন্য আরও বিস্তারিত বলা যাক। স্মৃতির পাতা উল্টে মনে করার চেষ্টা করুন কোভিড অতিমারীর দিনগুলো।

ভাল করে মনে করে দেখুন, করোনার সময়ে তবলিগী জামাতের নামে মিথ্যা প্রচার করে পুরো মুসলমান সমাজের ঘাড়ে করোনার দোষ চাপানো হয়েছিল সংবাদমাধ্যমের প্রত্যক্ষ সহায়তায়। গোদী মিডিয়া ভুয়ো খবর ছড়িয়ে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিল, মুসলমানরা করোনার চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। মুসলমানরা করোনা বোমা – এই তত্ত্ব তখন নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করা বহু মানুষও একরকম মেনে নিয়েছিলেন।

এই প্রোপাগান্ডার দুটো উদ্দেশ্য ছিল। প্রথমত, কেন্দ্রীয় সরকারের করোনাকালীন ব্যর্থতা চাপা দেওয়া। অন্যটা মুসলমানদের অর্থনৈতিকভাবে বয়কট করার রাস্তা চওড়া করা, যাকে বলছি গণহত্যা সংগঠিত করার অন্যতম ধাপ।

এই মিথ্যা প্রোপাগান্ডার ফলস্বরূপ গরিব সবজি ব্যবসায়ী, চুড়ি ব্যবসায়ী, ফল ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। হতদরিদ্র মুসলমান ব্যবসায়ীদের চরম মারধোর করা হয়েছিল। বহু অমুসলমান নিয়মিত খদ্দের তাদের থেকে খাবার নিতে অস্বীকার করেছিল। প্রতিবেশী অমুসলমানরাও গরীব মুসলমানদের বিপজ্জনক ভাবতে শুরু করেছিল। ফলে যেখানে সেখানে জুটেছিল মার, কোথাও বা দোকান ভাংচুর করা হয়েছিল।

দ্বিতীয় ধাপে নবরাত্রি, শিবরাত্রি ইত্যাদির নাম করে লখনৌ, মুম্বাই, পুনে সহ বিভিন্ন শহরে মুসলমান মাংস ব্যবসায়ীদের দোকান জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ধর্মের দোহাই দিয়ে নিম্নবিত্ত এই ব্যবসায়ীদের পেটে লাথি মারার পিছনেও ওই একই উদ্দেশ্য – আর্থিকভাবে দুর্বল করে দেওয়া। কারণ দেশের মাংস ব্যবসার সাথে এখনো বিপুল পরিমাণ গরীব মুসলমান যুক্ত। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় হয়ে দাঁড়ায় সেইসময়, যা এখনো চলছে। কয়েকদিন আগে আমরা রাজধানী দিল্লিতে দেখেছিলাম, কীভাবে বিজেপির এক সাংসদ জোর করে মুসলমান ব্যবসায়ীদের দোকানগুলোতে তালা মারছেন, সঙ্গে উপরি পাওনা হুমকি।

এর ঠিক পরের ধাপে হিন্দুধর্মের বিভিন্ন মেলা, উৎসব, অনুষ্ঠানে মুসলমানদের দোকান খোলা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় বহু এলাকায়। কেউ ছোট ঠেলায় দোকান খুললে গেরুয়াধারী বাহিনী এসে সেই ঠেলা ভাঙচুর করে দিত, উদ্দেশ্য ছিল গরীব মুসলিমদের জীবন আরও দুর্বিষহ করে তোলা। অর্থাৎ ক্রমশ ব্যবহারিক অর্থে তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে দেওয়া। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, হরিয়ানা সহ বহু রাজ্যে বিভিন্ন পুজোপার্বণে মুসলমানদের দোকান দেওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন হাত গুটিয়ে বসে থেকেছে। হতদরিদ্র মুসলমান ব্যবসায়ীদের দোকান ভেঙে দেওয়ার ভিডিওগুলো সারা দেশ দেখেছে।

এই অর্থনৈতিক বয়কটেরই প্রাথমিক ধাপ হল মুসলমান এলাকার খাবার সম্পর্কে অপপ্রচার। যাতে খাদ্যরসিক অমুসলমানরা অপপ্রচারের ফাঁদে পড়ে মুসলমানদের বয়কট করেন এবং মুসলমান ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়। ইতিমধ্যেই এর ফলাফল দেখা গিয়েছে বেঙ্গালুরু, মুম্বাইয়ের মত শহরগুলোতে। ওলা, উবের বা জ্যোমাটো, সুইগিতে কোনো মুসলমান নাম দেখলেই অর্ডার বাতিল করে দেন অনেকে। তার গর্বিত স্ক্রিনশট শেয়ার করেন সোশাল মিডিয়ায়। ব্যাঙ্গালোরের বহু সোসাইটি এবং আ্যপার্টমেন্টে মুসলিম ডেলিভারি বয়দের ঢোকা নিষিদ্ধ যার ফলে যে সমস্ত মানুষ সাম্প্রদায়িক নন তাঁরাও মুসলমানদের দেওয়া অর্ডার বাতিল করতে বাধ্য হন।

বিচারপতি রাজিন্দর সাচার বহুকাল আগেই দেখিয়ে দিয়েছেন এ দেশের চাকরি বাকরি দিয়ে হিসাবে করলে মুসলমান তোষণের গপ্প কতটা অন্তঃসারশূন্য। শিক্ষা, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও মুসলমানরা একইরকম অপাংক্তেয়। তারপরেওমুসলমান সমাজ হার মানেনি। ছোট বড় কোনো কাজেই তাদের অরুচি নেই। রাজমিস্ত্রি, পাইপ সারানো, রঙের কাজ, ফল বিক্রি, সবজি বিক্রি – সব কাজেই মুসলমানরা আছেন। তাই গোটা মুসলমান সমাজকে ভীত সন্ত্রস্ত করতে অর্থনৈতিক বয়কট সংঘের অন্যতম হাতিয়ার। যেসব ছোট ছোট ব্যবসা মুসলমানদের হাতে ছিল, সেগুলোকে ইতিমধ্যেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

একটা ছোট উদাহরণ দিই। আজ থেকে ১০ বছর আগে গরু, ছাগল, ভেড়ার কাঁচা চামড়ার দাম ছিল ৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি, তখন কোরবানির চামড়া বিক্রির টাকার দান থেকে মসজিদ, মাদ্রাসায় অনেক কাজ হত। আজ সেই চামড়ার দাম ৫০ টাকাও নয়। অথচ চামড়ার ব্যাগ, জুতো, কাপড়ের দাম কিন্তু বিপুল পরিমাণে বেড়েছে। সেক্ষেত্রে কাঁচার চামড়ার দামও বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। কেন তা হল না? যেহেতু চামড়া শিল্পের নিচের দিকের কাজগুলো – বিশেষ করে কাঁচা চামড়ার কাজ – পুরোটাই নিম্নবিত্ত মুসলমানদের হাতে ছিল, তাই সুপরিকল্পিতভাবে পুরোটা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এখন অনেকখানি কাঁচা চামড়া আমদানি করা হয় চীন থেকে। নিজের দেশের মুসলমান জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক দুরবস্থার দিকে ঠেলে দিয়ে এই আমদানি।

আরো পড়ুন পরেশ দেখিয়ে দিলেন ভদ্রলোক বাঙালি নিরাপদ নন

অর্থনৈতিক বয়কটের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হল দাঙ্গা। আরেকটু পরিষ্কার করে বলি। কাঁচা চামড়ার কাজ করতেন মূলত উত্তরপ্রদেশের মুসলমানরা। সম্ভবত সে কারণেই উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগর সহ একাধিক জায়গায় একাধিকবার পরিকল্পিতভাবে দাঙ্গা লাগানো হয়েছে, যাতে সেখান থেকে মুসলমানরা ভয়ে পালিয়ে যান। তারপর পুরো কাঁচা চামড়ার ব্যবসা এখন গুরগাঁওতে সরে গেছে, যা নিয়ন্ত্রণ করছে বেনিয়া সম্প্রদায় এবং মাড়োয়ারিরা। এই ভয় তৈরি করতেই গোমাংসের অজুহাতে মুসলমানদের পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। গরুকে গোমাতা বলা হয়, অথচ মোদীর শাসনকালে কিন্তু গোমাংস রপ্তানিতে ভারত ক্রমশ উন্নতি করছে। গোমাংসের পুরো ব্যবসা মুসলমানদের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে নিজেদের জৈন বন্ধুদের হাতে তুলে দেওয়াই অমিত শাহের উদ্দেশ্য। সে উদ্দেশ্য ইতিমধ্যেই অনেকখানি সফল।

এই কারণেই আশঙ্কা, ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গে কোনো বড়ো দাঙ্গা হলে তা হবে মেটিয়াবুরুজে। কারণ মেটিয়াবুরুজের জামাকাপড়ের ব্যবসা দেশে বিদেশে খ্যাত। আর এই ব্যবসার নিয়ন্ত্রক মধ্যবিত্ত মুসলমানরা। এখন বড়বাজারের মাড়োয়ারির যদি মেটিয়াবুরুজকে সরিয়ে এই ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার করতে চায়, তাহলে তাদেরকে বেশি কিছু করতে হবে না। মেটিয়াবুরুজে একটা দাঙ্গা লাগলেই কাজ হাসিল হয়ে যাবে। মেটিয়াবুরুজ নিয়েও যে অনবরত অসত্য, অর্ধসত্য প্রচার করা হয়ে অনলাইনে, তার পিছনে আছে এই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।

আরও অনেক কিছু লেখা যায়, তবে আপাতত এটুকুই যথেষ্ট। মনে রাখবেন, খাবারের কোনো ধর্ম হয় না। তাই খাদ্যরসিক হলে এই মরসুমে জাকারিয়া স্ট্রিটে না যাওয়ার ভুল করবেন না।

মতামত ব্যক্তিগত

নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

2 মন্তব্য

  1. ভীষণ ভালো লেখা। রিসার্চেও দেখা গেছে যেখানে মুসলমান হিন্দুনকমপ্লিমেন্টারি কাজ করে সেখানে দাঙ্গার সম্ভাবনা বা বীভৎসতা কম যেমন সুরাট৷ পক্ষান্তরে যেখানে হিন্দু মুসলমানের প্রতিযোগিতা আছে সেখানে দাঙা মারাত্মক যেমন আহমেদাবাদ। দাঙ্গার অন্যতম উদ্দেশ্য সংখ্যালঘুকে প্রতিযোগিতা থেকে বের করে দেওয়া।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.