যে কোন বর্ষীয়ান মানুষের দোষ অথবা গুণের মতই, পিটার থঙ্গরাজের গল্পের ভাঁড়ার ছিল অফুরন্ত। আর তেমন মনোযোগী শ্রোতা পেলে তো কথাই নেই, তৎক্ষণাৎ খুলে বসতেন তাঁর গল্পের ঝাঁপি। এই গল্পটিও শুনিয়েছিলেন দুটি অলিম্পিক ও তিনটি এশিয়ান গেমস খেলা অনন্য কৃতিত্বের অধিকারী এই মানুষটি।

ষাট দশকের মাঝামাঝি কোনো এক সময়ে, কলকাতা লিগের এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সেদিন মুখোমুখি হবে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। দীর্ঘকায় থঙ্গরাজ তখন ইস্টবেঙ্গলের নিয়মিত গোলরক্ষক। কদিন ধরেই ক্লাব তাঁবুতে শুনতে পাচ্ছেন, বিভিন্ন বিষয়ে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে আইএফএর বিরোধ সেই মরশুমে চরমে উঠেছে, ক্লাবকে সাসপেন্ড করবার হুমকি অবধি দিয়েছেন নিয়ামক সংস্থার কর্তারা। এরই মধ্যে এসে গেছে তৎকালীন ভাষায় “বড়” ম্যাচ, আজকাল যার নতুন নাম, ডার্বি।

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন

~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

East Bengal

সেদিনের কথা উজ্জ্বল হয়ে ছিল থঙ্গরাজের স্মৃতিতে। দল মাঠে নামার আধ ঘণ্টা আগে টিম মিটিংয়ে বলতে উঠলেন ক্লাব সচিব জ্যোতিষ গুহ। থমথম করছে মুখ। প্রথমেই বললেন, ময়দানে এই মুহূর্তে কী চলছে, তোমরা নিশ্চয়ই দেখতে পাচ্ছ। আইএফএ শুধু প্রতি পদে আমাদের ক্লাবকে অপমানই করছে না, আমাকে বারবার জনসমক্ষে হেনস্থা করছে। তারা এক প্রকার প্রকাশ্যে আমার গালে চড় মেরেছে। তোমরা কি এই অপমানের জবাব দিতে চাও না? যদি চাও, তবে মনে রেখো এই অবমাননার একমাত্র জবাব হল আজকের ম্যাচ জিতে ফেরা। আর যদি হেরে যাও, তাহলে মনে রেখো তোমাদের সচিবের গালে আর একটি চড় সপাটে এসে পড়ল। আমি জানি, তোমরা তেমনটা কিছুতেই হতে দেবে না। থঙ্গরাজ বলেছিলেন, সেদিন মাঠে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল নয়, লাল হলুদ জার্সিতে এগারো জন বাঘ। মোহনবাগান কেন, দুনিয়ার সেরা দলকেও সেদিন ছিঁড়ে খেয়ে ফেলতে পারত ইস্টবেঙ্গল।

কিন্তু এ তো আজ গল্পকথা। প্রায় ষাট বছর আগেকার কাহিনী; সম্ভবত মূল্যহীন এক উপাখ্যান ছাড়া আর কিছু নয়। বরং ফিরে আসা যাক বর্তমানে। আজকের ইস্টবেঙ্গল আর চিরবিদ্রোহী ইস্টবেঙ্গল নয়, তারা আজ শান্তশিষ্ট এক লাল হলুদের সমন্বয়, যারা সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের অনুগত সদস্য, যাবতীয় কর্পোরেট সংস্থার বিনীত অনুগামী। তাই ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এখন ভেক বদলে এসসি ইস্টবেঙ্গল।

বলা যেতেই পারে এর মধ্যে নতুন কথা আর কী আছে? এ তো সাম্প্রতিক ভারতীয় ফুটবলের অতি পরিচিত গল্প। কিন্তু একটু গভীরে গেলেই বোঝা যাবে, এই পরিবর্তন ঘটেছে গত কয়েক বছরে। একটি বিশেষ কর্পোরেট সংস্থার সঙ্গে যোগসাজসে সুপরিকল্পিতভাবে ভারতীয় ফুটবলে এমন কিছু পরিবর্তন এনেছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন, যে একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মতই ক্রমশ নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে যাবতীয় প্রতিরোধ, স্তিমিত হয়ে গেছে ন্যূনতম প্রতিবাদ।

২০১৪ সালে আইএসএল নামক নতুন লিগ শুরু হবার পর থেকেই, মুখে না বললেও, ফেডারেশন কর্তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল এই প্রতিযোগিতাকে এমন একটা উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া, যার সামনে তুচ্ছ হয়ে যাবে অন্য যাবতীয় টুর্নামেন্ট, এমনকি আই লিগ অবধি। আইএসএল চালান যাঁরা, তাঁরাই আবার ফেডারেশনের মার্কেটিং পার্টনার, বাৎসরিক চুক্তির ভিত্তিতে একটা মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে থাকেন ফেডারেশনকে। সুতরাং তাঁদের স্বার্থসিদ্ধিই মূল লক্ষ্য।

এই পরিকল্পনার একমাত্র পথের কাঁটা ছিল কলকাতার দুই ক্লাব। গত মরসুম অবধি তারা খেলেছে আই লিগে, এবং মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল না থাকলে আজও দেশের যে কোনো প্রতিযোগিতা মূল্যহীন, হজম করতে কষ্ট হলেও, এটাই ভারতীয় ফুটবলের সার সত্য। সুতরাং আই লিগকে নষ্ট করে কলকাতার দুই ক্লাবকে বাধ্য করতে হবে আইএসএলে ঢুকতে — এটাই ছিল পরিকল্পনা। মজার কথা এই, বিন্দুমাত্র চিন্তাভাবনা না করে সেই ফাঁদে পা দিল মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল। অবশ্য অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে বলা যায়, নিজেদের সুবিধার জমি উর্বর করতে হাত বাড়িয়ে দিলেন দুই দলের কর্তারা।

ফেডারেশন অবশ্য মাঠে নেমেছিল যথেষ্ট আটঘাট বেঁধেই। ফিফা এবং এশীয় সংস্থার অনুমতি প্রার্থনা করা হল আইএসএল-কে দেশের এক নম্বর লিগ করে দেবার জন্য। তলে তলে আগেই কথাবার্তা পাকা হয়ে ছিল, সুতরাং অনুমতি মিলল সহজেই। কিন্তু অভূতপূর্বভাবে আইএসএল দেশের এক নম্বর লিগ হয়েও থেকে গেল একটি বন্ধ অথবা ক্লোজড লিগ হিসাবে, আগামী বেশ কয়েক বছর সেখানে ওঠানামা বন্ধ, অর্থাৎ প্রকৃত অর্থে এই লিগের চোখে জয় পরাজয় একটি মূল্যহীন বস্তু। তবে সুকুমার রায়ের কবিতার মত “কিন্তু তারা উচ্চ ঘর”, সুতরাং এই লিগে নাম লেখাতে হলে বাৎসরিক গুনাগার দিতে হবে বারো থেকে পনেরো কোটি টাকা, মাঠের কৃতিত্বের কোনো দাম নেই সেখানে। এবং এখানেই চরিত্র হারাল গত একশো বছরে কয়েকশো ট্রফি জেতা কলকাতার দুই ক্লাব। মুড়ি ও মিছরির এক দর হবে, এই মর্মে আত্মসমর্পণ করলেন মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা।

Mohun Bagan

জ্যোতিষ গুহদের মত কর্মকর্তারা আর নেই; বুক ঠুকে লড়ে যাবার মত মানুষের আজ বড় অভাব। আই এস এল খেলবার জন্য এক অস্বাভাবিক স্ফীত বাজেটের প্রয়োজন, বছরে ত্রিশ থেকে চল্লিশ কোটি টাকা। কোনো সর্বজনীন ক্লাবের পক্ষে এত টাকা যোগাড় করা দুঃসাধ্য। হাত পাততেই হবে কোন কর্পোরেট সংস্থার কাছে, কার্যত বিক্রি করে দিতে হবে এত বছরের পরিশ্রমে তিল তিল করে গড়ে তোলা সাধের ক্লাব। অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে সেই কাজেই নেমে পড়লেন কর্তারা। ফেডারেশন ও তাঁদের মার্কেটিং পার্টনার সংস্থা ঠান্ডা ঘরে বসে নির্ঘাত তৃপ্তির হাসি হাসলেন, এক ঢিলে একাধিক পাখি মারা গেছে। এক, মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল বিক্রি হবার সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় ফুটবল থেকে কার্যত মুছে গেল পাবলিক ক্লাব নামক যাবতীয় ধ্যান ধারণা। দুই, এই দেশের ফুটবল পরিণত হল সম্পূর্ণ কর্পোরেট কর্তৃত্বাধীন একটি খেলায়। তিন, অর্থের জোর না থাকলেও দেশের ফুটবলের উচ্চতম মঞ্চে কিছু করে দেখানোর রাস্তা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হল।

কিন্তু এ তো সামগ্রিক ছবি। কিছুটা সংকীর্ণ মনোবৃত্তি নিয়ে দেখা যেতে পারে কিভাবে এই নতুন ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ধংস হয়ে গেল বাঙালির দুই গর্বের ক্লাব। প্রথমত, মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল এখন আর সর্বজনীন ক্লাব নয়, মালিকাধীন দুটি সংস্থা মাত্র। স্রেফ ব্যক্তিগত সুবিধার্থে দুটি ক্লাবকেই বিক্রি করে দিলেন তাদের বর্তমান কমিটি। দ্বিতীয়ত, সবচেয়ে আশঙ্কাজনক ব্যাপার হল, এই ব্যবস্থায় সাময়িকভাবে টাকার সংস্থান হলেও, ক্লাব দুটির ভবিষ্যৎ হয়ে দাঁড়াল সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। ধরা যাক, বছর কয়েক বাদে ফুটবলে উৎসাহ হারালেন দুটি ক্লাবের বর্তমান মালিকরা। তখন কি দাঁড়াবে ক্লাবের ভবিষ্যৎ? ততদিনে আম জনতার ক্লাব হিসাবে দুটি শতবর্ষ পার করে যাওয়া ক্লাবের প্রশাসন ও ন্যূনতম কাঠামো চূর্ণ হয়ে যাবে। তখন কারা চালাবে, আর কারাই বা বহন করতে রাজি হবে এই বিশাল টাকার বোঝা? তখন কি আবার নতুন করে লোক খুঁজতে বাজারে নামতে হবে? শেষ অবধি যদি তেমন কাউকে না পাওয়া যায়, তখন কি একপ্রকার রুগ্ন শিল্পে পরিণত হবে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল? চরম আশাবাদী মানুষ বলতেই পারেন, সেই কথা ভেবে কি এখন থেকেই আশঙ্কিত হয়ে বসে থাকতে হবে? নিশ্চয়ই নয়, কিন্তু তেমনটা যে হতেই পারে, তার উদাহরণ তো ভুরি ভুরি। গত দু দশকে বন্ধ অথবা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে কম করে দু ডজন তথাকথিত কর্পোরেট ক্লাব। কলকাতার দুই ক্লাব যে এই ডামাডোলের মধ্যেও অস্তিত্ব বজায় রাখতে সমর্থ হয়েছিল, তার প্রধান কারণ ছিল এরা কেউই সরাসরি কর্পোরেট নির্ভর ছিল না। এখন সেই রাস্তাও বন্ধ হল।

সবচেয়ে দুঃখের কথা, বিপদ যে ঘনিয়ে আসতে পারে, এই কথাটা একবারও ভেবে দেখলেন না গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও। করজোড়ে ভিক্ষার ঝুলি হাতে যখন নবান্নের দ্বারে গিয়ে দাঁড়ালেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা, তখন তাঁদের কেউ পরামর্শ দিলেন না, রুখে দাঁড়ান এই অসম ব্যবস্থার বিরুদ্ধে, বলুন প্রয়োজনে আমরা আই লিগেই থেকে যাবো, কিন্তু বড়লোকের খামখেয়ালিপনায় গড়া হঠাৎ সাম্রাজ্যে ক্রীতদাস হয়ে থাকব না। সেটাই হতে পারত ভারতীয় ফুটবলের প্রতি শতবর্ষের ক্লাবের সবচেয়ে বড় অর্ঘ্য। কিন্তু তার বদলে সমাধান এল কোন পথে? অঙ্গুলিহেলনে ডেকে আনা হল নেহাত নিমরাজি একটি কর্পোরেট সংস্থাকে, যাদের ফুটবলের সঙ্গে যোগাযোগ এতদিন ছিল শূন্যের ঘরে। রাজ্যের অন্যতম ঐতিহ্যশালী ক্লাবকে ঘিরে তৈরি হওয়া গভীর সমস্যাকে পরিণত করা হল বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলের একটি মার্কামারা শো-তে। আরো বেশি খেদের কথা, ঘনঘন আফিম খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখার মত সভ্য সমর্থকদের নিয়মিত বোঝানো হল এটাই ললাটলিখন, মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলকে বাঁচাবার একমাত্র রাস্তা তাদের বিক্রি করে দেওয়া, আই এস এল খেলতে পারলেই মোক্ষ লাভ অনিবার্য। সুনির্দিষ্ট কায়দায় অযথা উত্তেজিত করা হল অগণিত সমর্থককে, যাঁরা এতদিন ক্লাবকে ভালবেসেছেন বিনা শর্তে, পরিবর্তে চাননি কিছুই। বাজারি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁদের বোঝানো হল সর্বস্বত্ত্ব বিকিয়ে দিয়ে, নিজেদের পরিচিতি জলাঞ্জলি দিয়ে বড়লোকের উঠোনে নাচতে যাওয়া আদতে জয়ের নামান্তর, এর মধ্যে আত্মসম্মান ভূলুণ্ঠিত হবার মত অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন।

গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় ফুটবলকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এমন এক খাদের কিনারায়, যেখানে সর্বসাধারণের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ফুটবলকে ব্যক্তিগত মালিকানায় রূপান্তরিত করবার ক্রমাগত নিম্নরুচির প্রচেষ্টা দৃশ্যত প্রকট হয়ে উঠছে। এই মুহূর্তে পাল্লা ঠিক কোন দিকে ভারী, তা বুঝতে যখন কারুর বিশেষ অসুবিধা হচ্ছে না, তখন এই লড়াইয়ে সবচেয়ে জরুরি ছিল কলকাতার দুই ক্লাবকে পাশে পাওয়া। কিন্তু এই সঙ্কট মুহূর্তে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের প্রতিরোধহীন পৃষ্ঠপ্রদর্শন ভারতীয় ফুটবলকে কার্যত পিছিয়ে দিল বেশ কয়েকশো মাইল। যত্রতত্র হাত পেতে টাকার সংস্থান করে, ক্লাবের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিসর্জন দিয়ে আই এস এল খেলতে নামতে পারার এই সাময়িক উল্লাস শুধু ভারতীয় ফুটবল নয়, অদূর ভবিষ্যতে মহাপ্রস্থানের পথে ঠেলে দিতে পারে বাংলার দুই গর্বের ক্লাবকেও। ফুটবলকে আপাদমস্তক কুক্ষিগত করা যাদের একমাত্র লক্ষ্য, তারা নিশ্চিতভাবে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলকে এই মুহূর্তে ব্যবহার করছে ঢাল হিসাবে, নিজেদের পায়ের তলার জমি শক্ত করবার একমাত্র উদ্দেশ্য নিয়ে। স্বার্থসিদ্ধি হয়ে গেলে স্বরূপ প্রকাশ করতে তারা বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবে না। যাবতীয় আশঙ্কা সেখানেই পুঞ্জীভূত হয়।

**ছবি উইকিমিডিয়া থেকে 

আরো পড়ুন

বড় ম্যাচ, তুমি কি সেই আগের মতই আছ, নাকি বদলে গেছ?

নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

2 মন্তব্য

  1. Baro besi football mather baire r politics na emotionsniye lekha…je jinis ta ignore kara holo..eta hoye football er technicality ba gunogato man ki barbe na kombe..eta ki biswer darbare bharaatio football ke pouche debe..esob bisoy ta thakle holistic lekha hoto bole mone hoy

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.