বাবু, বিবি ভাবচেন চার সনের মোচ্ছব ওলিম্পিক বুঝি শেষ হোল, আজ সূয্যি ডুবলে দেদার বাজি পুড়িয়ে টোকিওর জলে প্রিতিমে বিসর্জন হবে। দু-এক বাবু ভাবচেন কদিন খই ভাজা ভিন্ন কাজ পাওয়া গিয়েচিল, একন সহসা মুদির দোকানে খই না পেলে ফাঁপরে পত্তে হবে। যে বাবুরো ঝিঁঝি খেলা দ্যাকার জন্যে শ্বাস নেয়া বন্দ রাখতে পারেন, তাঁরা এনাদের দেকে ভাবচেন, ছ্যা ছ্যা, এরা কি ইন্ডিয়ান গা? টেস্ট ম্যাচ চলচে, তা সময় কাটবে না এ বা কি কতা? কিন্তু অ্যাতো রকম বাবু বিবি কেউ দেকতে পাচ্চেন না ক্রেডিটোলিম্পিক আরম্ভ হয়ে গ্যাচে। চানু হতে চোপড়া, সকলের মেডেলের ক্রেডিট নিতে বাকি সকলেই নেমে পড়েচেন।

তা না নামবেন কেন? ওলিম্পিক এসে না পল্লে ঝিঁঝি খেলা ভিন্ন খেলার সংবাদ নেয়া হয় না সত্য। তা বলে লেট রাইজার বাঁড়ুজ্জে, আর্লি রাইজার চাটুজ্জে, ইনডিফারেন্ট ঘোষজা, মা জননীদের কাঁকাল ও বগল বার করে দুনিয়াসুদ্ধ লোকের সুমুখে দৌড়াদৌড়ি দেকে দেশটি জাহান্নমে গ্যাচে পেত্যয় হওয়া বোসজার কি মেডেলগুলির জন্যে স্যাক্রিফাইস নেই? তেনারা কদিন পেগ্যাসাস, কোরোনা, বন্যা, রেপড অ্যান্ড কিল্ড কন্যা ভুলে ওলিম্পিকের ধ্যান করেচেন। সাতটি মেডেল এম্নি এসেচে? বাঁকা লাঠি বাঁকা পিঠের খেলায় মা জননীরা হেরে গ্যাচেন বলে দু চার বাবু নাহক গাল দিয়েচেন তা হয়েচে কী? হারলে দলিতের দোষ, মোছলমানের দোষ, জিতলে বামুনের সাত জম্মের পুণ্যি — সেই স্কুল হতে এ আইনটি লাগু হয়েচে। না জানলে দেশের হয়ে খেলতে যাওয়া কেন বাপু? দলিত কন্যা হয়ে ভূমিষ্ঠ হলেম, ভারতের জার্সি গায়ে চড়ালেম আর উঁচু জাতের গাল খেলেম না? মগের মুলুকেও এম্নি অনাচার সম্ভবে না, এ তো যোগীর তালুক। শাস্তরের মান রাখতে চৌহানজা এরেস্ট হয়েচেন। এম্নি উঁচু জাতের স্যাক্রিফাইস করা দলটিকে ক্রেডিটোলিম্পিকের ব্রোঞ্জ না দেবেন এমন পাষাণ ওলিম্পিকের বাবুরো নয়।

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন

~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

ক্রেডিট হজম কত্তে চাইলেই গাল দেয়া অ্যান্টিন্যাশনালদের কাজ। আপনারা সকলের ট্যালেন্ট জানেন না, কেবল নিন্দে করেন, হুতোমকেও নিন্দে কত্তে উস্কান। ঠাকুরবাবুকেই দেকুন। মায়ের পেট হতে পল্লেন, অমনই ঝিঁঝি খেলায় সিলেক্টর হলেন। তবে কেবল সিলেক্টরে তেমন আমোদ হয় না। ঠাকুরের ঠাকুর বল্লেন, তুই সিলেক্টর, প্লেয়ারের স্ট্যাম্পটি তোর হাতে। খেলতে সাধ হলে নিজ পশ্চাতে মেরে নিলেই গোল চুকে যায়। ঠাকুরবাবু সিলেক্টর কাম প্লেয়ার হলেন। কটি ম্যাচ খেলেচেন সে কতা শুধোবেন না। তেমন তেমন প্রতিভার অধিক খেলতে হয় না। ও দেশে নাকি ব্র্যাডম্যান বলে এক সায়েব খোদ ভগবানের মতন ঝিঁঝি খেলতেন। তিনি পয্যন্ত সিলেক্টর আর প্লেয়ারের দায় একত্র নিতে সাহস করেননি। অতেব দ্যাকা যাচ্চে ঠাকুরবাবু ঝিঁঝি খেলোয়াড়দের মদ্যে বিশ্বগুরু। তা ঝিঁঝি খেলায় যে বাবুর এম্নি ব্যুৎপত্তি, তেনার ভিক্ট্রি পাঞ্চেই যে ওলিম্পিক দেবীর কোঁচড় হতে এক কাঁড়ি মেডেল পড়ে গ্যাচে তাতে সন্দ করবেন না। স্মরণ রাখবেন, ওলিম্পিক স্পোর্টেও চাইলে বাবুটি দিনকে রাত কত্তে পারেন। শুটিং ইভেন্টে আপনাদের অভিনব বিন্দ্রা ঠাকুরবাবুর কাচে নস্যি। বিন্দ্রা একটি টার্গেট ভিন্ন গুলি কত্তে জানতেন না, ঠাকুরবাবু এক লপ্তে সকল গদ্দার টার্গেটে গুলি কত্তে পারেন। ক্রেডিটোলিম্পিকের রুপোর মেডেলগুলির অতেব ঠাকুরবাবুর ঘরে যাওয়াই ন্যায্য। তিনি সাইকোফ্যান্টাইমসের সনে ভাগ করে নিলে খামোকা গোল করবেন না। সুসময়ের স্যাঙাতকে মনে রাখতে না পাল্লে বিখ্যেত হয়েও মীরাবাঈয়ের মতন ট্রাক ড্রাইভারদের নে মগন থাকতে হবে।

সোনার মেডেল কাকে দেয়া হবে ডিসাইড কত্তে ফটোফিনিশের আবশ্যক নেই। সকল ফটোর মধ্যমণি, সকলের গুরু, সকল খেলার পয়লা নম্বর খেলুড়ে, নীরজের মতন চীনাদের বিঁধতে পারেন, মীরার মতন ইকোনমিকে কাঁধে তুলে উদ্ধার কত্তে পারেন, রবিকুমারের মতন রাফালে প্যাঁচ দিতে পারেন, সিন্ধুর মতন বারেবারে বিদেশ হতে রিটার্ন কত্তে পারেন, বজরঙের মতন বলবান, লভলীনার মতন সকলের জন্যে লভে টইটম্বুর, শ্রীজেশের মতন পাকিস্তানের মাতায় চড়ে পা দোলাতে পারেন অ্যামন মহাপুরুষ ভারতে একজনই আছেন। মানুষটি ফকির বলে সুমুখে আসেন না, তবে মেঘে মেঘে বেনিফিট করার উপায়টি অদিতিকে তিনিই বাতলে দেন। স্যাঙাত ডোনাল সাদাবাড়ীতে একুনো থাকলে মেডেলটিও আদায় হত। তিনি ছিলেন বলে ধ্যানচাঁদের যাদু মা জননীরাও শিখে ফেল্লেন। আজই টোকিওর বাবুরো ক্রেডিটোলিম্পিকের সোনার মেডেলটি তেনাকে দিয়ে জম্ম সার্থক কত্তে চেয়েছিলেন, কিন্তু হুতোমের সোর্সেজ ক্লোজ টু ওলিম্পিক বলচে মেডেলটির নাম বদলে প্রধান সেবক মেডেল রাখা হচ্চে। ও মেডেল গলায় দেয়া হিস্ট্রির পয়লা প্রধান সেবক হবেন আর ইউনেস্কোর স্ট্যাম্পটি থাকবে না এ বা কি কতা? সেটি আসতে বিলম্ব হওয়ায় আজ সোনার মেডেল দেয়া হচ্চে না। গোয়ালের কাঁওয়ালরাও বলচেন, ক্রেডিটোলিম্পিক হলেও ওলিম্পিক। টুর্নামেন্ট শেষ না হতে মেডেল নিয়ে ফেলা মন্দ দ্যাকায়। প্রধান সেবকের কেবল জিতলে চলবে কেন? আরো কদিন সময় নিয়ে সকল ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ভেঙে জেতা কর্তব্য। নইলে আর্বান নকশালদের মুখের মতন জবাব দেয়া হয় না।

নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

1 মন্তব্য

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.