সিপিআই (এম-এল) রেড স্টারের দ্বাদশ পার্টি কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার থেকে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা আর নামের সঙ্গে জাতসূচক পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। আমাদের দেশের গোপন কমিউনিস্ট দলে বা গোপন অবস্থায় থাকার সময়ে ছদ্মনাম নেওয়ার রেওয়াজ আছে। এই নামগুলিকে ‘পার্টিনেম’ বলা হয়। এই নামগুলিও সাধারণত পদবি ছাড়াই হয়। কিন্তু বর্ণ-জাতি প্রথার বিরুদ্ধে কামান দাগার উদ্দেশ্যে সম্মেলনে রীতিমত প্রস্তাব পাস করে জাতসূচক পদবি বাদ দেওয়ার নজির অতীতে কোনো কমিউনিস্ট দলে আছে কিনা তা আমার জানা নেই। স্বাভাবিকভাবেই এতে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠে এসেছে। যেমন এই ধরণের প্রতীকী পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে জাত-বর্ণ ব্যবস্থাকে কতটা আক্রমণ করা সম্ভব? কতটা নিকেশ করা সম্ভব? জাতসূচক পদবি ছেড়ে দিলেই কি তথাকথিত উচ্চবর্ণের সামাজিক সুবিধা থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নেওয়া সম্ভব? আবার অতীতের শোষক অস্তিত্বকে বর্জন করা কি অতই সোজা? একটা পদবি পরিত্যাগের মতই চুটকি বাজিয়ে জিতে যাওয়ার মতই সোজা? কেউ কেউ আবার বলেন, বরং জাতসূচক পদবি থাকাটা দরকার। কারণ তথাকথিত উচ্চবর্ণের একজন মানুষ যখন প্রকাশ্যে জাতিবর্ণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলেন, তা এই ব্যবস্থাকে আক্রমণ করতে অনেক বেশি কার্যকরী হয়।

এই প্রশ্নগুলো বেশি করে ওঠে পশ্চিমবঙ্গের বামমনোভাবাপন্ন চিন্তাশীল মানুষের মধ্যে থেকে। তাঁরা বাম রাজনীতিকে একভাবে বুঝতে শিখেছেন। যেখানে অনেক বেশি করে আছে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের লড়াইয়ের বয়ান। আছে শ্রেণির কথা, আছে ধনী-দরিদ্রের লড়াইয়ের ইতিবৃত্ত। আছে দেশভাগের কথা, উদ্বাস্তু আন্দোলনের কথা। এভাবেই কমিউনিস্ট রাজনীতি এখানে উঠে এসেছে। কিন্তু বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে যদি আমরা উত্তর ভারত এবং দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলোতে যাই তাহলে প্রেক্ষাপটের একটা স্পষ্ট পরিবর্তন আমরা টের পাব। আসল ভারতবর্ষ কী তা বাংলায় বসে সবটা ঠাহর হবে না। ফলে বাংলার কমিউনিস্ট রাজনীতির সাথে উত্তর এবং দক্ষিণ ভারতের (কেরালা বাদে) কমিউনিস্ট রাজনীতিরও বেশ পার্থক্য রয়েছে। বাংলাকেন্দ্রিক রাজনীতিতে থাকা মানুষের বিষয়টা বুঝতে তাই কিছুটা অসুবিধা হয়।

নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পাশে দাঁড়ান

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। স্বাধীন মিডিয়া সজীব গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কথাগুলো বলা আবশ্যক এবং যে প্রশ্নগুলো তুলতে হবে, তার জন্যে আমরা আমাদের পাঠকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
নাগরিক ডট নেটে সাবস্ক্রাইব করুন

~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

ঐতিহাসিকভাবে ভারতে বর্ণব্যবস্থার উৎপত্তিই হয়েছিল সামাজিক উদ্বৃত্ত দখলের এক বিশেষ পন্থা হিসাবে। প্রথম হয়েছিল ভারতের সেই অঞ্চলে যা আর্যাবর্ত বলে পরিচিত। অর্থাৎ মূলত উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর ভারত। পরে এই ব্যবস্থা দেশের বিভিন্ন দিকে সম্প্রসারিত হয়। সুতরাং বাংলার ঠিক পাশ থেকেই – বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা – প্রভৃতি অঞ্চলে প্রবলভাবে আজকের বর্ণজাতি ব্যবস্থার অস্তিত্ব আজও বিদ্যমান। বাংলার ইতিহাসেও কুলীন ব্রাহ্মণদের দাপটের কথা আমরা জানি। কিন্তু বাংলার নবজাগরণ আন্দোলন, বিশেষ করে ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলন, ব্রাহ্মণ্যবাদের উপর বড়সড় আঘাত হানতে সমর্থ হয়েছিল। অতঃপর স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার অগ্রণী ভূমিকা, শক্তিশালী কমিউনিস্ট আন্দোলনের উপস্থিতি প্রভৃতি বাংলার বর্ণজাতি ব্যবস্থাকে ততটা নগ্ন হতে দেয়নি। কিন্তু এর অর্থ মোটেই এটা নয়, যে বাংলায় বর্ণজাতি ব্যবস্থার অস্তিত্ব নেই। অবশ্যই আছে, কিন্তু নানা ঐতিহাসিক কারণে অতটা বেআব্রু নয়।

কিন্তু অন্যত্র পরিস্থিতি তা নয়। ঘরের পাশেই বিহারে আজও তীব্র আকারে বর্ণজাতি ব্যবস্থার অস্থিত্ব রয়েছে এবং বর্ণসংগ্রাম কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সামাজিক ভিত্তি হিসাবে কাজ করেছে। উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ভারত এবং কেরালা বাদে গোটা দক্ষিণ ভারতেই বাস্তব এইরকম। গোটা অঞ্চলেই কমিউনিস্ট পার্টিতে এসেছেন মূলত তথাকথিত পিছিয়ে থাকা বর্ণজাতির লোকেরাই। উচ্চবর্ণের লোকেরা আগে সকলেই ছিল জমির মালিক, জমিদার, রাজা-উজির। আজ তারাই হয়েছে পুঁজিতান্ত্রিক-জমিদার শ্রেণি অথবা পুঁজিপতি। মূলধারার দলগুলোতে তাদেরই আধিপত্য। সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন এক সময়ে বিহারে অনেক বড় বড় লড়াই করেছে। বিখ্যাত ভোজপুরের লড়াই দিয়ে যা শুরু হয়েছিল। আশির দশকের মাঝামাঝি তারা বিহারে তাদের সংগ্রাম সম্পর্কে একটি বিস্তারিত বই প্রকাশ করেছিল, যার নাম ছিল রিপোর্ট ফ্রম দ্য ফ্লেমিং ফিল্ডস অফ বিহার, বাংলায় খুব সম্ভবত নাম দেওয়া হয়েছিল বিহারের বহ্নিমান খেতখামার থেকে। সেই বইয়ের কথা অনেকদিন আর শোনা যায় না। লিবারেশনের তরুণ কমরেডরা পড়েন কিনা জানি না। কিন্তু ভারতের মার্কসবাদী-লেনিনবাদী আন্দোলন এখন পর্যন্ত যে রাজনৈতিক সাহিত্য প্রস্তুত করেছে তার ইতিহাসে ওই বইটার কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সেখানে এক জায়গায় বিহারের জমিদারদের নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলা হচ্ছে:

In caste terms, landlords generally come from upper castes and in some pockets one also comes across landlords belonging to the upper layers of certain backward castes like the Kurmis and the Yadavas. Certain sections of Awadhiya Kurmis, who have gone up on the social ladder, are a new entrant in the category of landlords. Rich peasants belong to both upper castes and upper layers of certain backward castes, while peasants are made up of upper castes, upper layer of backward castes and in some cases, scheduled castes and tribes as well. And as far as the poor and lower-middle peasants and agricultural labourers are concerned, they have in their ranks the great majority of the backward castes and almost the entire harijan and adivasi population.” (page 46-47)

আরো পড়ুন জাতীয় নীতি বদলের সূচক হল অশোকস্তম্ভের সিংহে বদল

এই যখন ঘরের পাশের বিহারের অবস্থা, তখন স্বাভাবিকভাবেই একটা সংগ্রামী লড়াকু কমিউনিস্ট পার্টিতে দলিত হরিজনদের ভিড় থাকবে – একথা বলাই বাহুল্য। অন্যদিকে উচ্চবর্ণের লোকেরা এমন পার্টির জাতশত্রু হবে এটাই স্বাভাবিক। এখানে জমির লড়াই এবং অন্যান্য সমস্ত লড়াইয়ের বর্ণসংগ্রামের চেহারা নেওয়া অনিবার্য। এই অবস্থা কিন্তু উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের একটা বড় অংশে বিদ্যমান। ভারতে সাধারণভাবে পুঁজিবাদের বিকাশ এবং বিশেষ করে কৃষিতে পুঁজিবাদের বিকাশ কিন্তু এই অবস্থার মৌলিক পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। এক সময়ে যদিও ভাবা হত, জাতপাতের সমস্যা সামন্ততন্ত্রের বিশেষ সমস্যা। পুঁজিবাদের অগ্রগতি ঘটলে এই সমস্যা আর থাকবে না। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। এর কারণ জরাগ্রস্ত পুঁজিবাদের (Late Capitalism) পক্ষে কোনো ধরনের মৌলিক পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হয়নি। দুনিয়ার কোথাও সম্ভব হয়নি। বরং এই ধরণের অসমানতা উচ্চ মুনাফা লাভের জন্যে কাজে লেগেছে। যদিও পুঁজিবাদ বুঝি বা অর্থনৈতিক ছাড়া অন্যান্য সব অসমানতা মুছে দেবে, এই ভাবাবেগ দুনিয়াজুড়েই মার্কসবাদীদের পুঁজিবাদকে বাড়িয়ে দেখার ভ্রান্তি হিসাবেই প্রমাণিত হয়েছে। ভারতে তথাকথিত জাতপাতের সমস্যা আসলে এক সামন্ততান্ত্রিক সমস্যা – এই ধারণাও মার্কসবাদীদের এক ভ্রান্তি। বর্ণজাতি ব্যবস্থাকে গভীরে গিয়ে বিশ্লেষণ করার অনিচ্ছা থেকেই এই ভ্রান্তির জন্ম হয়েছে। নইলে সাদা চোখেই ধরা পড়ত যে, আমাদের দেশে সামন্ততন্ত্রের উদ্ভবের বহু আগে থেকেই বর্ণজাতি ব্যবস্থার অস্তিত্ব রয়েছে। আর বর্তমানে সামন্ততন্ত্র প্রায় অপসৃত হওয়া সত্ত্বেও টিকে আছে।

এই পরিস্থিতিতেই কমিউনিস্ট দলগুলোকে কাজ করতে হচ্ছে। এখন আসা যাক জাতসূচক পদবি বাদ দেওয়ার নির্দিষ্ট প্রশ্নে। হ্যাঁ, এটা ঠিকই যে, এ এক প্রতীকী পদক্ষেপ। এর মধ্যে দিয়ে বলা হচ্ছে আমরা বর্ণজাতি ব্যবস্থা মানি না। কিন্তু প্রতীকী লড়াই যেমন গোটা লড়াই নয়, তেমনই প্রতীকী লড়াইয়ের কোনো মূল্য নেই এমনও নয়। বরং উলটো। বাস্তব শ্রেণিসংগ্রামে প্রতীকের বিরাট ভূমিকা আছে। অন্যান্য সমস্ত সামাজিক সংগ্রামের মত কমিউনিস্ট আন্দোলনেও প্রতীকী সংগ্রামের বিরাট অবদান আছে এবং তা গোটা সংগ্রামের অনেকটা অংশ জুড়েও আছে। যেমন রংয়ের ব্যবহার। রংও একটা প্রতীক। লাল রঙ প্রতীক, কাস্তে হাতুড়ি চিহ্ন প্রতীক, ছবির ব্যবহারও প্রতীক। মার্কস, এঙ্গেলস, লেনিন কিংবা মাও সে তুংয়ের ছবি ব্যবহার প্রতীক। বড় কোনো সমাবেশ বা সম্মেলনের শেষে নিয়ম করে ‘আন্তর্জাতিক’ গাওয়াও প্রতীক। এমন অজস্র প্রতীক প্রতি মুহূর্তে কমিউনিস্ট আন্দোলনে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। কিন্তু তা নিয়ে কখনো প্রশ্ন ওঠেনি। কেউই একথা বলেননি, যে মার্কসের ছবি টাঙালেই মার্কসকে মেনে চলা যেহেতু বোঝায় না, লাল ঝান্ডা হাতে ধরলেই যেহেতু কেউ কমিউনিস্ট হয়ে যায় না, ‘আন্তর্জাতিক’ গাইলেই কেউ শেষ যুদ্ধ শুরু করবেন এমন গ্যারান্টি যেহেতু নেই সেহেতু এবার থেকে কমিউনিস্ট আন্দোলনে ছবির ব্যবহার বন্ধ হোক, লাল ঝান্ডা বাতিল হোক কিংবা ঝান্ডাই বাতিল হোক অথবা ‘আন্তর্জাতিক’ গেয়ে ফালতু সময় নষ্ট করা বন্ধ হোক। এসব কেউ কখনো বলেননি কারণ সকলেই প্রতীক ব্যবহারের গুরুত্ব এবং সীমাবদ্ধতা – দুটোই বোঝেন। কিন্তু আপত্তি ওঠে যখন বর্ণজাতি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতসূচক পদবি পরিত্যাগের মত প্রতীকী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তাই সন্দেহ জাগে, এ আপত্তি কি অন্য কোনো গভীরতর সমস্যার প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করে? প্রশ্ন জাগে, তথাকথিত উচ্চবর্ণাগত কমিউনিস্টরা কি এখনও মনের গভীরে বর্ণবাদী চেতনার শৃঙ্খলে আবদ্ধ রয়ে গেলেন? সেই কারণেই কি শহুরে কমিউনিস্টদের মধ্যে এই জাতীয় সংশয় বেশি থাকলেও দেশের এক বিরাট অঞ্চলে তথাকথিত ‘পিছড়ে বর্গ’ থেকে আগত কমিউনিস্ট কর্মীরা বিপুল উল্লাসে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান?

সময় এইসব প্রশ্নের জবাব দেবে, সংশয় নিরসন করবে। আমরা আপাতত শুধু এটুকুই বলতে পারি, যে আমরা শেষ কথা বলছি এমন দাবি আমাদের নেই। এই ব্যাপারে এটাই শেষ পরীক্ষা নিরীক্ষা এমনও নয়। কাজটায় গুরুত্ব সহকারে হাত দেওয়া হয়েছে এটাই বড় কথা। কারণ এখানে হস্তক্ষেপ না করে কমিউনিস্ট আন্দোলন এগোবে না। কাজ করতে গিয়ে ঠিক-ভুল হবে, আগুপিছু হবে, ডান ঝোঁক বা বাঁয়া ঝোঁক দেখা দেবে, চলার পথে তার সংশোধনও হতে থাকবে। কিন্তু সাহসের সঙ্গে পথ চলতে হবে, পরীক্ষানিরীক্ষার ঝুঁকি নিতে হবে। এসব ছাড়া এগোনো যাবে না। আমাদের পার্টি কংগ্রেসে বিষয়টা নিয়ে বিস্তারিত চর্চা হয়েছে। বর্তমান গৈরিক ফ্যাসিবাদী পরিস্থিতিতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার অন্যান্য জটিলতা নিয়েও কথা হয়েছে। যেমন পাঞ্জাবের কমরেডরা জোরের সঙ্গে বলেছেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ দেশের মানুষের সমস্ত বৈচিত্র্যকে ধ্বংস করতে চাইছে। সবকিছুকে একই ছাঁচে ঢালতে চাইছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের ধর্মচিহ্নিত প্রতীক, পোষাক বা নাম ও পদবি যাঁরা ব্যবহার করেন তাঁদের উপর ব্যাপক আক্রমণ আসছে। এমন অবস্থায় নির্বিচারে পদবি ত্যাগ করার অন্য কিছু জটিলতাও রয়ে যাচ্ছে। কথাটা প্রণিধানযোগ্য। সুতরাং আপাতত ঠিক হয়েছে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরাই পদবি ত্যাগ করবেন। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও চর্চা হবে, পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখা হবে। পথচলা শুরু হোক। “চলায় চলায় বাজবে জয়ের ভেরি”।

লেখক সিপিআই (এম-এল) রেড স্টার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। মতামত ব্যক্তিগত

নাগরিকের পক্ষ থেকে আবেদন:

 প্রিয় পাঠক,
      আপনাদের সাহায্য আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। নাগরিক ডট নেটের সমস্ত লেখা নিয়মিত পড়তে আমাদের গ্রাহক হোন।
~ ধন্যবাদান্তে টিম নাগরিক।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.